<p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">এক সপ্তাহের ব্যবধানে টেসলার শেয়ার ২৯ শতাংশ বেড়ে বাজার মূলধন এখন এক ট্রিলিয়ন ডলারের বেশি। গত মঙ্গলবারও তার টেসলার বাজার মূলধন ছিল ৮০৭.১ বিলিয়ন ডলার। টেসলার শেয়ার দর বৃদ্ধিতে কম্পানিটির সিইও ইলন মাস্কের সম্পদ বেড়েছে প্রায় ৫০ বিলিয়ন ডলার।  তাঁর মোট সম্পদের পরিমাণ এখন ৩১৩.৭ বিলিয়ন ডলার বা ৩১ হাজার ৩৭০ কোটি ডলার। তিন বছরের মধ্যে প্রথমবারের মতো তিনি ৩০০ কোটি ডলারের মাইলফলক পার করেছেন।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">একলাফে টেসলা ও মাস্কের চূড়ায় উঠে যাওয়ার কারণ মার্কিন নির্বাচন। ডোনাল্ড ট্রাম্প হোয়াইট হাউসে ফিরলে টেসলা যে লাভবান হবে, তা বিনিয়োগকারীরা আগেভাগেই বুঝতে পেরেছেন। অতি দূরদৃষ্টিসম্পন্ন মাস্ক বিষয়টি ধরতে পেরেছিলেন বহু আগে। তাই ট্রাম্পকে সমর্থন দিয়ে নির্বাচনে এমনভাবে প্রচারণা চালিয়েছেন, যেন প্রেসিডেন্ট পদের জন্য তিনিই লড়ছেন। শুধু ট্রাম্পের প্রচারণার পেছনেই ১৩০ মিলিয়ন ডলার ব্যয় করেন মাস্ক। ডোনাল্ড ট্রাম্পের জয়ের পর এর ফল পেতে শুরু করেছেন হাতেনাতে।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">পরামর্শ দেবেন মাস্ক : ট্রাম্প তাঁর নির্বাচনী প্রচারণার সময় জানিয়েছিলেন, তিনি জিতলে সরকারের কার্যকারিতা কমিশনের প্রধান হবেন মাস্ক। গত অক্টোবরে ইলন মাস্কও জানিয়েছেন, এই পদে থাকলে সরকারি বাজেট থেকে দুই ট্রিলিয়ন ডলারের অনর্থক ব্যয় বন্ধ করবেন। </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">তবে নতুন কোনো সরকারি সংস্থা চালু করা বেশ কঠিন ব্যাপার। সরকারি নীতিমালায় বা কোনো সংস্থার কার্যক্ষমতায় পরিবর্তন এনে কংগ্রেসের মাধ্যমে আইন পাস করাতে দীর্ঘদিন সময় লাগতে পারে। স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের এনভায়রনমেন্টাল ল ক্লিনিকের পরিচালক দেবোরা শিবাসের মতে, সরাসরি সরকারি দপ্তরে মাস্ককে দেখা যাবে না, বরং ট্রাম্পের পেছনে দাঁড়িয়ে বিভিন্ন পরামর্শ দেবেন মাস্ক। মহাকাশবিষয়ক নীতিমালার ক্ষেত্রেও তিনি প্রভাব খাটাবেন। তাঁর অভিজ্ঞতা থাকায় বিষয়টি খারাপ কিছু হবে না। তবে ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠ হলেও সব নিয়ম-নীতি এড়াতে পারবেন না ইলন মাস্ক। কিছু শর্ত তাঁকে মানতেই হবে।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">লাভবান হবে স্পেসএক্স : খুব ছোটবেলা থেকেই মাস্ক একজন উচ্চাভিলাষী মানুষ। কোনো কম্পানি দাঁড় করালে সেটা নিয়ে বড় স্বপ্নই দেখেন তিনি। যেমন ২০২০ সালেই তিনি ঘোষণা দেন চলতি দশকের শেষে বছরে দুই কোটি ইভি বিক্রি করবে টেসলা। এর পাশাপাশি রাইড শেয়ারিং কম্পানিগুলোকে টেক্কা দেবে টেসলার তৈরি রোবো ট্যাক্সি। টেসলা দিয়ে সারা বিশ্বের ক্রেতাদের মন জয় করতে চান মাস্ক। আরেক কম্পানি স্পেসএক্সের তৈরি রকেট দিয়ে অভিযান চালাতে চান মঙ্গল গ্রহে। আগামী দুই দশকের মধ্যে সেখানে স্বয়ংসম্পূর্ণ শহরও তৈরি করতে চান তিনি।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">ট্রাম্প প্রশাসনের কাছাকাছি থাকার অর্থ দুই কম্পানির ব্যবসার ক্ষেত্রেই নীতিমালাবিষয়ক ছাড় পাবেন মাস্ক। কিছুটা হলেও সরকারি চুক্তি পাওয়া সহজ হবে। পরিবেশসংক্রান্ত বিষয়ে জবাবদিহিও কম করতে হবে। এই বিষয়গুলো শুধু টেসলার জন্য নয়, মাস্কের রকেট নির্মাতা কম্পানি স্পেসএক্সের জন্যও বড় সুবিধা এনে দেবে। ডোনাল্ড ট্রাম্প ক্ষমতায় বসলে মঙ্গল গ্রহে মানুষসহ রকেট পাঠানোর পরিকল্পনা আরো বেশি গতি পাবে। আগামী দুই বছরের মধ্যেই মঙ্গল গ্রহে স্টারশিপ রকেট পাঠানোর প্রস্তুতি নিচ্ছে স্পেসএক্স। সেই মিশন সফল হলে চার বছর পর মঙ্গলে মানুষসহ স্টারশিপ পাঠানো হতে পারে। অর্থাৎ চলতি দশকের শেষ দিকেই মানুষের পক্ষে সশরীরে মঙ্গল গ্রহে যাওয়া হবে। ফেডারেল এভিয়েশন অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের সাবেক কর্মকর্তা জর্জ নিল্ডের মতে, এত স্বল্প সময়ে পরিকল্পনা বাস্তবায়নের প্রচেষ্টাকে উচ্চাভিলাষীই বলা যায়। এর জন্য অতীতের চেয়ে ভিন্ন ধরনের নীতিমালা কাঠামো প্রয়োজন। এই কাজে মাস্কের সফল হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি। এ ছাড়া বাণিজ্যিকভাবে মঙ্গলে মিশন পরিচালনা করতে সহায়তা দেওয়া ট্রাম্প সরকারের জন্য নিয়মিত বিষয় হয়ে দাঁড়াতে পারে। কারণ স্টারশিপ রকেট নিয়ে ট্রাম্পের প্রচুর আগ্রহ আছে। তবে আপাতত তিনি চাঁদ নিয়ে ভাবছেন। ২০২৬ সালের সেপ্টেম্বরে নাসা পরিচালিত আর্টেমিস প্রগ্রামের আওতায় চারজন নভোচারী চাঁদের পথে রওনা হবেন। নাসার ওরিয়ন স্পেসশিপ চাঁদের কক্ষপথে গিয়ে স্পেসএক্সের সঙ্গে মিলিত হবে। সেখান থেকে স্পেসএক্সের স্টারশিপ দুজন নভোচারীকে চাঁদের পৃষ্ঠে নিয়ে যাবে। </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">ট্রাম্পের সঙ্গে সুসম্পর্ক জরুরি : মিশন সফল হলে ১৯৭২ সালের পর এবারই প্রথম চাঁদে পা রাখবে মানুষ। টেসলার লক্ষ্য পূরণ মঙ্গল গ্রহ ও চাঁদে অবতরণ</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">—</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">এসবই সম্ভব হবে যদি ট্রাম্প-মাস্কের সম্পর্ক অটুট থাকে। দীর্ঘ মেয়াদে তাঁরা একে অপরের পাশে থাকলে তা শুধু ব্যক্তিগত লেনদেন নয়, মার্কিনদের জাতীয় স্বার্থ রক্ষায়ও গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠবে। এরই মধ্যে মঙ্গলের মাটিতে অ্যালুমিনিয়াম, আয়রন, ম্যাগনেসিয়াম ও টাইটানিয়ামের খোঁজ পেয়েছে মানুষের পাঠানো মহাকাশযান। সূত্র : ফরচুন, বিজনেস ইনসাইডার</span></span></span></span></p>