আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ, কী পদক্ষেপ নিচ্ছে সরকার?

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ, কী পদক্ষেপ নিচ্ছে সরকার?

ক্ষমতা নেওয়ার প্রথম ১০০ দিনে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে সবচেয়ে বেশি চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। গত ৫ আগস্ট পরবর্তী সময়ে পুলিশের অনুপস্থিতি এবং পরিবর্তিত পরিস্থিতির সুযোগ নিয়ে দেশের বিভিন্ন এলাকায় অপরাধ প্রবণতা বৃদ্ধি পায়। ছিনতাই, ডাকাতি ও হত্যাকাণ্ড জনমনে আতঙ্কের পরিবেশ সৃষ্টি করে। ভুক্তভোগী এবং সাধারণ মানুষ সবাই বলছেন অপরাধ দমনে সরকারকে ‘আরো কঠোর’ হতে হবে।

 

আরো পড়ুন
ভোলায় কোস্ট গার্ডের অভিযানে আগ্নেয়াস্ত্রসহ ৩ ভাই আটক

ভোলায় কোস্ট গার্ডের অভিযানে আগ্নেয়াস্ত্রসহ ৩ ভাই আটক

 

বিবিসির সঙ্গে আলাপে এ রকম দাবি জানালেন সিদ্ধিরগঞ্জের ইজিবাইকচালক মোহাম্মদ শামীম। ঋণ করে কেনা শামীমের ইজিবাইকটি গত সপ্তাহে ছিনতাই করেছে দুর্বৃত্তরা। কৌশলে অজ্ঞান করে লুটে নেওয়া হয় তার আয়-রোজগারের একমাত্র অবলম্বন। বর্তমান পরিস্থিতিকে নাজুক উল্লেখ করে তিনি বলেন, গত তিন মাসে ডজনের বেশি ইজিবাইক ছিনতাই হয়েছে, এর মধ্যে চারজন চালককে খুন করা হয়েছে।

‘রাতে গাড়ি নিয়ে বাইর হইতে অনেক মানুষের কষ্ট হচ্ছে। মানে ভয় পাইতেছে। কারণ কখন কোন দিক দিয়া আসে, ছুরি আঘাত করে, আহত করে বা নিহত করে।’ সারা দেশে ইজিবাইকচালকদের মধ্যে একটা ছিনতাই আতঙ্ক কাজ করছে বলেও উল্লেখ করেন মি. শামিম।

কারণ চলতি নভেম্বর মাসের দুই সপ্তাহে রূপগঞ্জ, নরসিংদি, কিশোরগঞ্জ, ঝিনাইদহ জেলায় চালককে হত্যা করে ইজিবাইক ছিনতাই করা হয়েছে।

শেখ হাসিনা সরকার পতনের পর বিভিন্ন জায়গায় মব সৃষ্টি করে গণপিটুনি দিয়ে বিচারবহির্ভূত হত্যার ঘটনায় উদ্বেগ সৃষ্টি হয়েছে। গত ১০ নভেম্বর রোববার ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের সানারপাড় বাসস্ট্যান্ডে এক পুলিশ সদস্যকে ‘ভুয়া পুলিশ’ আখ্যা দিয়ে গণপিটুনি দেওয়া হয়েছে।

আরো পড়ুন
কাকরাইল মসজিদে প্রবেশ করলেন সাদপন্থীরা

কাকরাইল মসজিদে প্রবেশ করলেন সাদপন্থীরা

 

সিদ্ধিরগঞ্জ থানার পুলিশ জানায়, আক্রান্ত ব্যক্তি ভুয়া পুলিশ নন, বাংলাদেশ পুলিশের একজন সদস্য। পকেটমার ভুয়া পুলিশ গুজব রটিয়ে তাকে গণপিটুনি দেওয়ার ব্যবস্থা করে।

আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ আল মামুন বিবিসিকে জানান, ৫ আগস্টের পর এক মাসের মতো পুলিশের অনুপস্থিতি অপরাধ বৃদ্ধিতে ভূমিকা রেখেছে। এখন সেনাবাহিনীর সহযোগিতা নিয়ে টহল এবং পুলিশিং চলছে। ‘নিয়মিত পুলিশিংটা আমি আসার আগ পর্যন্ত বন্ধই ছিল। সেপ্টেম্বরের ৭ তারিখে আমি জয়েন করার পর আস্তে আস্তে পুলিশিংটা দৃশ্যমান হয়েছে। এখন আমরা ফুল ফিল্ডওয়ার্কে আছি। আগে চারটা টহল বের হতো, এখন যানবাহন সংকটে দুইটা টহল বের হয়। একটা ভাড়া নেই, আরেকটা সরকারি গাড়ি আছে। থানার গাড়ি তো পুড়ায় দিছে অনেকগুলো,’ বলেন আল মামুন।

রাজধানী ঢাকার মধ্যে মোহাম্মদপুর এলাকার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির বিষয়টি সবচেয়ে আলোচিত হয়েছে। সেখানে বিহারি ক্যাম্পে খুনোখুনি, প্রকাশ্যে ছিনতাই, ডাকাতি, সশস্ত্র মহড়ার ঘটনা ঘটেছে। পরিস্থিতি উন্নতির জন্য মোহাম্মদপুরে বিশেষ অভিযান হয়েছে। জেনেভা ক্যাম্পসহ বিভিন্ন স্থান থেকে শতাধিক সন্দেহভাজনক আসামি গ্রেপ্তার হয়েছে। 

কিন্তু এখনো মানুষের আতঙ্ক কাটেনি বলেই জানান এলাকার একজন বাসিন্দা জেসমিন। তার ভাষায়, ‘এখন একটু পরিস্থিতি ভয়াবহ। কেমন যেন একটা আতঙ্কে আছি আমরা। আগে রাতে বারোটা একটায় মানুষ যাইতে পারছে বাইরে। এখন তো মানুষ ভয়ের চোটে বাইরায় না।’

স্কুলে সন্তানকে নিয়মিত আনা-নেওয়া করা একজন অভিভাবক বলেন, ‘আমি ২০১০ সালের পর থেকে ঢাকায় আছি। আমরা কখনো আমাদের এলাকার মধ্যে এমন নিউজ পাইনি। গণ্ডগোলের পর থেকে যখন এ রকম দেখতেছি, তখন আতঙ্ক তো থাকবেই ‘

‘চলন্ত রিকশা থেকে বয়স্ক একজনের কানের দুলটা ছিঁড়ে নিয়ে গেছে। রক্ত ঝরছে। এটা দেখার পর থেকে আমার বাচ্চাকে আমি বাসা থেকে হিজাব পরায় নিয়ে আসি, স্কুলের কাছে এসে হিজাবটা খুলি।’

আরো পড়ুন
সেনাবাহিনীর নাম ব্যবহার করে প্রতারণা, অভিযোগ জানানোর আহ্বান

সেনাবাহিনীর নাম ব্যবহার করে প্রতারণা, অভিযোগ জানানোর আহ্বান

 

আইনশৃঙ্খলার অবনতির বিষয়টি অনেকেই উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন, তবে পরিচয় প্রকাশ করে মিডিয়ায় বক্তব্য দিতে অনিচ্ছুক অনেকে। একজন নারী বলেন, ‘সন্ধ্যার পরে বের হওয়াটা যেন খুব একটা সিরিয়াস ব্যাপার। মনে হয় যে তাড়াতাড়ি বাসায় ঢুইকা যাই।’ তার ভাষায়-গত কিছুদিনের ঘটনায় এখন আতঙ্ক কাজ করে।

‘আমরা তো স্বাধীন দেশের স্বাধীন নাগরিক। যে সরকারই আসুক, যেই আসুক, আমাদেরকে কেউ খাওয়াবে না পরাবে না। খাবারটা নিজেই আর্ন করে খেতে হবে। তাহলে আমাদের মূল চাওয়াটা হচ্ছে সেইফটিটা যেন সরকারের থেকে পাই।’

মোহাম্মদপুর থানার অফিসার ইনচার্জ আলী ইফতেখার হাসানের দাবি- বিশেষ অভিযানের পর এলাকার পরিস্থিতি অনেকটাই তার ভাষায় নিয়ন্ত্রণে এসেছে। ‘গত আড়াই মাসে দুটো ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। আমরা দ্রুততম সময় ডাকাতির ঘটনায় আসামি গ্রেপ্তার করেছি। আমরা রহস্য উদঘাটন করেছি। কিছু আসামি পলাতক আছে। ঘটনা ঘটতে পারে, কিন্তু ঘটনার প্রতিকার পাচ্ছে কি না জনগণ, সেটাই হলো বিবেচ্য বিষয়। সেই হিসেবে আমরা বলতে পারি, আমরা সফলতার সাথে মোকাবেলা করছি চ্যালেঞ্জগুলো। চ্যালেঞ্জ থাকবেই।’

মোহাম্মদপুর থানাটি ৫ আগস্টে অগ্নিসংযোগ এবং ব্যাপক লুটপাটের শিকার হয়। এলাকার পরিস্থিতির কারণ নিয়ে হাসান বিবিসিকে বলেন,

‘আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর একটা শূন্যতা ছিল। সেই সুযোগে যারা পেশাদার অপরাধী, সেই লোকগুলো পুরোদমে তাদের অপরাধ বাড়িয়ে দিয়েছিল। পরিস্থিতি খারাপ হয়েছিল, এখন আল্লাহর রহমতে আবার পরিস্থিতি অনেকটা ভালো হয়েছে এবং ডে বাই ডে এটা ভালোই হবে- এটা আমি আশা করি।'

আইন ও সালিশ কেন্দ্রের হিসাবে গত তিন মাসে গণপিটুনিতে খুন হয়েছেন অন্তত ৬৮ জন। এ সময় ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে ৭৮টি। একই সময়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে সংখ্যালঘুরাও হামলার শিকার হয়েছেন। 

পরিস্থিতি নিয়ে আইন ও সালিশ কেন্দ্রের চেয়ারম্যান জেড আই খান পান্না বিবিসিকে বলেন, ‘নরসিংদী কারাগার থেকে যে জঙ্গিরা বের হইছিল, সেটার ব্যাপারে কী পদক্ষেপ নিছে। সেখান থেকে যে আর্মসগুলো যে লুট হইছিল, সেগুলো কতটা উদ্ধার হইছে। সেগুলো নিছিল কে? তারপরে রাতারাতি আমরা দেখলাম যে সাজাপ্রাপ্ত দীর্ঘদিন যাবৎ চিহ্নিত সন্ত্রাসী মুক্তি পাইছে কারাগার থেকে। কী গ্রাউন্ডে পাইলো না পাইলো কিছুই জানি না। এইগুলা তো হতাশা আনে।’ আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি সরকারের কতটা নিয়ন্ত্রণ আছে সে প্রশ্ন রাখেন মি খান।

‘আমি তো দেখি হোম মিনিস্টার (উপদেষ্টা) অনেক সময় শুনেও না শোনার ভান করেন, উত্তর দিতে চান না, এভয়েড করে যান। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি তার নিয়ন্ত্রণে নাই। পুলিশ অসহযোগিতা করতেছে, এতে কোনো সন্দেহ নাই। আনসার নন-কো-অপারেশন করবে, এতেও কোনো সন্দেহ নাই। খোঁজ নিয়ে দেখেন, সারা দেশের অবস্থা কী? চাঁদাবাজি চলছে সেই আগের মতো। ইজারাদারি প্রথা- আমার জায়গায় আপনি আসছেন, আপনার জায়গায় আমি আসছি- এই চলতেছে। হাট-বাজার দখল চলছে।’

আরো পড়ুন
বাংলা সংস্কৃতির এক অনন্য সম্পদ পালাগান

বাংলা সংস্কৃতির এক অনন্য সম্পদ পালাগান

 

আইনশৃঙ্খলা বিষয়ে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা কোনো সাক্ষাৎকার দেননি। তবে ছাত্র প্রতিনিধি হিসেবে দায়িত্ব নেওয়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া বিবিসিকে বলেন, ‌আগামী তিন মাসের মধ্যে পরিস্থিতি উন্নতির লক্ষ্যে কাজ করছে সরকার।

‘আমরা আশা করি যে ছয় মাসের একটা টাইমফ্রেমের মধ্যে আগামী তিন মাসের মধ্যে আমরা পুরোপুরি আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসতে পারব। এবং পুলিশ পুরোপুরি ফাংশনাল হবে,’ বলেন আসিফ মাহমুদ।

তিনি জানান, সে লক্ষ্যে প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী প্রতিমন্ত্রীর মর্যাদায় খোদা বক্সকে নিয়োগ করা হয়েছে। ‘আইনশৃঙ্খলা হচ্ছে প্রায়োরিটি ওয়ান। কারণ এটার সাথে মানুষের জীবনযাত্রা ওতপ্রোতভাবে জড়িত। মানুষের নিরাপত্তা ওতপ্রোতভাবে জড়িত,’ বলেন আসিফ মাহমুদ।

সরকার জানাচ্ছে, নতুন করে পুলিশ ও আনসার নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। আর জননিরাপত্তার স্বার্থে পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত সেনাবাহিনীকে মাঠে রাখার চিন্তা-ভাবনাও আছে অন্তর্বর্তী সরকারের।

‘২২ তারিখ পর্যন্ত সেনাবাহিনীর ম্যাজিস্ট্রেসি পাওয়ার আছে। আমরা চাই খুব দ্রুত সেনাবাহিনী তার যে নিয়মিত কার্যক্রম স্বাভাবিক কার্যক্রম সেটাতে ফিরে যাক। সরকার চায় তারা দ্রুত ফিরে যাক। তবে পুলিশ সম্পূর্ণভাবে রিভাইভ করা এবং আমাদের যে অভ্যন্তরীণ অন্য বাহিনীগুলো, যারা আইনশৃঙ্খলা দেখে থাকে, তাদের মাধ্যমে আইনশৃঙ্খলা পুরোপুরি কন্ট্রোলে আসার পরপরই সেনাবাহিনী ব্যারাকে ফিরে যাবে,’ বলেন আসিফ মাহমুদ।

দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে বুধবার সেনা সদর এক ব্রিফিং করে জানিয়েছে, সেনাবাহিনী দেশের সাত শতাধিক বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করেছে। লুট হয়ে যাওয়া ছয় হাজার অস্ত্র, দুই লক্ষাধিক গুলি উদ্ধার করেছে এবং এতে সম্পৃক্ত আড়াই হাজার ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে।

ব্রিফিংয়ে সেনা সদরের কর্নেল ইন্তেখাব হায়দার খান বলেন, পরিস্থিতি আরো উন্নতির জন্য সমন্বিতভাবে কাজ করছে সেনাবাহিনী।

‘ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা পাওয়ার পরের যে স্ট্যাটিস্টিক, সেটাতে আগের তুলনায় অপরাধের নথিভুক্ত রেকর্ডের সংখ্যা কমেছে। তার মানে পরিস্থিতির অবনতি হয়নি। সেনাবাহিনী এবং অন্যান্য গোয়েন্দা সংস্থা সবাইকে সম্পৃক্ত করে আমাদের চেষ্টা অব্যাহত আছে এবং আমরা আশা করছি, ভবিষ্যতে সিচুয়েশন আরো ভালো হবে,’ বলেন কর্নেল খান।

সূত্র : বিবিসি বাংলা

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

কাল থেকে চট্টগ্রামের ৯ আন্তঃনগর ট্রেনের নতুন সূচি

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
কাল থেকে চট্টগ্রামের ৯ আন্তঃনগর ট্রেনের নতুন সূচি
সংগৃহীত ছবি

আগামীকাল সোমবার থেকে পূর্ব রেলের চট্টগ্রাম থেকে চলাচলকারী নয়টি ট্রেনের চলাচলের সময় পাল্টাচ্ছে। নতুন ওয়ার্কিং টাইম টেবিল-৫৪ অনুযায়ী ট্রেন ছাড়া ও গন্তব্যে পৌঁছার সময়ে কিছুটা কম-বেশি করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন সংস্থাটির কর্মকর্তারা।

নতুন সূচি অনুসারে, আন্তঃনগর ট্রেন সুবর্ণ এক্সপ্রেস চট্টগ্রাম থেকে সাড়ে ৭টার বদলে সকাল ৭টায় ঢাকার উদ্দেশ্যে ছাড়বে। একই ট্রেন ঢাকা থেকে আগের সূচি অনুযায়ী বিকাল সাড়ে ৪টায় ছাড়বে।

পূর্ব রেলের জিএম মো. সবুক্তগীন বলেন, ১০ মার্চ (সোমবার) থেকে নতুন টাইম টেবল অনুযায়ী ট্রেন চলাচল করবে। এতে কিছু ট্রেনের সময়সূচিতে সামান্য পরিবর্তন এসেছে।

পূর্ব রেলের কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, চট্টগ্রাম থেকে সিলেট, ঢাকা, ময়মনসিংহ ও কক্সবাজারের পথে মোট ১৫টি আন্তঃনগর ট্রেন চলাচল করে থাকে। এর মধ্যে ৯টি ট্রেনের চলাচলের সময়সূচিতে কিছুটা হেরফের হয়েছে।

ট্রেনগুলোর মধ্যে সোনার বাংলা এক্সপ্রেস চট্টগ্রাম থেকে বিকাল পৌনে ৫টার বদলে ৫ টায় ছাড়বে। একই ট্রেন ঢাকা থেকে প্রতিদিন সকাল ৭টায় আগের সময়ই ছাড়বে।

চাঁদপুরগামী মেঘনা এক্সপ্রেস নতুন সূচিতে সন্ধ্যা ৬টার বদলে বিকাল সোয়া ৫টায় ছাড়বে। একই ট্রেন চাঁদপুর থেকে সকাল ৫টাতেই ছাড়বে।

জামালপুরগামী বিজয় এক্সপ্রেস চট্টগ্রাম থেকে ছাড়ার সময় সকাল সোয়া ৯টায় ঠিক থাকলেও জামালপুর থেকে ছাড়ার সময় বদলেছে। রাত ৮টা ১০ মিনিটের বদলে ছাড়বে রাত ৮টায়।

অন্যদিকে ঢাকামুখী চট্টলা এক্সপ্রেস আগের সময় সকাল ৬টায় ঢাকার উদ্দেশ্যে ছাড়বে, কিন্তু ঢাকা থেকে দুপুর ১টা ৪৫ মিনিটের বদলে ছাড়বে ২টা ১৫ মিনিটে।

এছাড়া কক্সবাজার এক্সপ্রেস কক্সবাজার থেকে বেলা ১২টা ৪০ মিনিটের সাড়ে ১২টায় ঢাকার উদ্দেশ্যে ছাড়বে। অপরদিকে পর্যটক এক্সপ্রেস রাত সাড়ে ৮টার বদলে সন্ধ্যা পৌনে ৮টায় কক্সবাজার থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে ছাড়বে।

চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারের মধ্য চলাচলকারী সৈকত ও প্রবাল এক্সপ্রেসের সময়েও কিছুটা হেরফের হয়েছে। প্রবাল এক্সপ্রেস কক্সবাজার থেকে চট্টগ্রামের উদ্দেশ্যে ১০টা ৩৫ মিনিটের বদলে ১০টা ২০ মিনিটে ছাড়বে। সৈকত এক্সপ্রেস রাত সোয়া ৮টার বদলে চট্টগ্রামের উদ্দেশ্যে ছাড়বে রাত ৮টায়।

পূর্ব রেলের বিভাগীয় রেল ব্যবস্থাপক এবিএম কামরুজ্জামান বলেন, “নতুন সূচিতে সোমবার থেকে ট্রেন চলাচল করবে। এজন্য টিকেট বিক্রিও সে হিসাবে করা হয়েছে।

“কয়েক বছর পর পর ট্রেনের সিডিউল নতুন করে করা হয় থাকে। এত করে ট্রেন ছাড়া ও পৌঁছার সময়ে পরিবর্তন করা হয়ে থাকে।”

সবশেষ ২০২৩ সালের ১ ডিসেম্বর পূর্ব রেলের সময় সূচির পরিবর্তন করা হয়েছিল।

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

ভোটার তালিকা হালনাগাদ শেষে শুরু হবে স্মার্ট কার্ড বিতরণ: ইসি

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
ভোটার তালিকা হালনাগাদ শেষে শুরু হবে স্মার্ট কার্ড বিতরণ: ইসি
সংগৃহীত ছবি

বাড়ি বাড়ি গিয়ে চলমান ভোটার তালিকা হালনাগাদ কার্যক্রম শেষ হওয়ার পর স্থগিত থাকা স্মার্ট জাতীয় পরিচয়পত্র বিতরণের কার্যক্রম শুরু করার নির্দেশনা দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। সম্প্রতি অনুষ্ঠিত ইসির এক মাসিক সমন্বয় সভায় এ নির্দেশনা দেওয়া হয়।

নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের আইডেন্টিফিকেশন সিস্টেম ফর এনহ্যান্সিং একসেস টু সার্ভিসেসের (আইডিইএ) দ্বিতীয় পর্যায়ের  প্রকল্প পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ আজিজুর রহমান সিদ্দিকী সভায় বলেন, ভোটার তালিকা হালনাগাদ কার্যক্রম চলমান থাকায় মুদ্রিত স্মার্ট কার্ডসমূহ বিতরণের ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতির জোগাড় করা কষ্টসাধ্য হতে পারে।

আরো পড়ুন

দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছাত্রদলের মানববন্ধন আগামীকাল

দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছাত্রদলের মানববন্ধন আগামীকাল

 

এছাড়া অফিসের কারিগরি যন্ত্রপাতিগুলো বর্তমানে হালনাগাদ কার্যক্রমে ব্যবহার করা হচ্ছে।

এ কার্যক্রম আগামী ১১ এপ্রিল শেষ হওয়ার পর স্মার্ট কার্ড বিতরণ কার্যক্রম জোরদার করা সম্ভব হবে।

ইসি সূত্র জানায়, চলমান হালনাগাদ কার্যক্রম শেষ হওয়ার পর ১২ এপ্রিল মুদ্রিত স্মার্ট কার্ডগুলো বিতরণের কার্যক্রম শুরু করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

আরো পড়ুন

ধর্ষণের শিকার শিশুটির সব ছবি সরাতে হাইকোর্টের নির্দেশ

ধর্ষণের শিকার শিশুটির সব ছবি সরাতে হাইকোর্টের নির্দেশ

 

ইসি সূত্র জানায়, সবশেষে হালনাগাদ অনুযায়ী দেশে ভোটার সংখ্যা ভোটার সংখ্যা ১২ কোটি  ৩৭ লাখ ৩২ হাজার ২৭৪ জন। যার মধ্যে স্মার্ট কার্ড পেয়েছেন ছয় কোটি ৯১ লাখ ৪৯ হাজার ৩৪৯ জন আর এখনো এ সেবার বাইরে রয়েছেন পাঁচ কোটি ২৭ লাখ ৮১১ জন।

 

চলমান বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোটার তালিকা হালনাগাদ কার্যক্রম শেষ হলে জুনে আরো একটি ভোটার তালিকা প্রকাশ করবে ভোট আয়োজনকারী সাংবিধানিক এ সংস্থাটি। এতে দেশে আরো ৫০ লাখের বেশি ভোটার যুক্ত হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

জানা যায়, ২০১৬ সালের ৩ অক্টোবর স্মার্টকার্ড বিতরণ কার্যক্রম শুরু করার পর ৮ বছরের বেশি সময় অতিবাহিত হয়েছে। এ সময়ের মধ্যে দেশের সকল নাগরিকদের হাতে স্মার্ট কার্ড তুলে দিতে পারেনি সংস্থাটি।

মন্তব্য

‘বিন্দুমাত্র ছাড় দেওয়া হবে না’, মাগুরার সেই শিশুকে দেখতে গিয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
‘বিন্দুমাত্র ছাড় দেওয়া হবে না’, মাগুরার সেই শিশুকে দেখতে গিয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
সংগৃহীত ছবি

নারীদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে বিন্দুমাত্র ছাড় দেওয়া হবে না বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। রবিবার (৯ মার্চ) সকালে মাগুরায় ধর্ষণের শিকার শিশুকে দেখতে ঢাকা সেনানিবাসস্থ সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) গিয়ে এ কথা বলেন তিনি। 

এ সময় উপদেষ্টা শিশুটির চিকিৎসার খোঁজখবর নেন ও সর্বোচ্চ চিকিৎসাসেবা নিশ্চিত করতে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেন। এ সময় সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, মাগুরায় আট বছরের শিশুকে ধর্ষণ ও হত্যাচেষ্টার মামলায় মাগুরা সদর থানায় চারজনকে আসামি করে মামলা দায়ের করা হয়েছে এবং মামলার এজাহারভুক্ত চার আসামিকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে। দোষীরা যেন কোনোভাবেই ছাড় না পায়, এ বিষয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সোচ্চার রয়েছে। 

উপদেষ্টা বলেন, আমি আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে নারী হয়রানি ও ধর্ষণের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছি। এ যাবৎ নারীর প্রতি যত সহিংসতা হয়েছে, সেগুলোর তালিকা করে দ্রুত তদন্ত সম্পন্নপূর্বক আদালতে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশনা দিয়েছি।

 

তিনি বলেন, সম্প্রতি ঘটে যাওয়া ধর্ষণের ঘটনাগুলোর সঙ্গে জড়িত অপরাধীদের বিচার নিশ্চিত করা হবে এবং কঠোর শাস্তির আওতায় আনা হবে। নারীরা নির্ভয়ে, নির্বিঘ্নে ঘরে-বাইরে দায়িত্ব পালন করবে। এতে যারা তাদের বাধা দিতে আসবে, সহিংসতা করতে আসবে, তাদের আইনের আওতায় নিয়ে আসা হবে। এ ব্যাপারে বিন্দুমাত্র ছাড় দেওয়া হবে না।

 

আরো পড়ুন
বাংলাদেশে সরকার পরিবর্তন হলে ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক বদলাতে পারে

বাংলাদেশে সরকার পরিবর্তন হলে ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক বদলাতে পারে

 

এর আগে গতকাল মাগুরার সেই শিশুটিকে উন্নত চিকিৎসাসেবা প্রদানের জন্য ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল থেকে ঢাকা সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়।

মন্তব্য

সারা দেশে তাপমাত্রা কেমন থাকবে, জানাল আবহাওয়া অফিস

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
সারা দেশে তাপমাত্রা কেমন থাকবে, জানাল আবহাওয়া অফিস

আগামী তিন দিন সারা দেশে তাপমাত্রা বাড়তে পারে বলে আভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। রবিবার সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ৭২ ঘণ্টার জন্য দেওয়া পূর্বাভাসে এমন তথ্য জানানো হয়েছে। 

এতে বলা হয়েছে, আগামী ২৪ ঘণ্টায় সারা দেশে দিনের তাপমাত্রা ১ থেকে ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস বাড়তে পারে এবং রাতে সামান্য বাড়তে পারে। এ ছাড়া আগামীকাল সোম ও পরদিন মঙ্গলবার সারা দেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে পারে।

এই তিন দিন অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারা দেশের আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে বলেও পূর্বাভাসে বলা হয়েছে। 

আবহাওয়ার সিনপটিক অবস্থা সম্পর্কে বলা হয়েছে, লঘুচাপের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে।

বর্ধিত পাঁচ দিনের আবহাওয়ার অবস্থা সম্পর্কে বলা হয়েছে, এ সময়ের শেষদিকে দেশের উত্তরপূর্বাঞ্চলে বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ