সাত বছর আগে মোহাম্মদপুর সরকারি কলেজের এক ছাত্রীকে বিয়ের প্রলোভনে ধর্ষণের অভিযোগে করা মামলায় একই কলেজের সাবেক প্রিন্সিপাল ও বহিস্কৃত উপসচিব এ কে এম রেজাউল করিম ওরফে রতনকে খালাস দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল।
আজ বৃহস্পতিবার ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৪ এর বিচারক মুন্সি মো. মশিয়ার রহমান এ রায় ঘোষণা করেন। রায়ে আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হয়নি বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
আরো পড়ুন
খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা হলেন কুমিল্লার আমিন উর রশীদ ইয়াছিন
আদালত সূত্রে জানা গেছে, কারাগারে আটক আসামি রেজাউল করিমকে আদালতে হাজির করা হয়।
তার উপস্থিতিতে বিচারক এ রায় ঘোষণা করেন। তবে রায়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছে রাষ্ট্রপক্ষ। এ বিষয়ে পাবলিক প্রসিকিউটর এরশাদ আলম জর্জ বলেন, এ রায়ে আমরা অসন্তুষ্ট। খালাসের বিরুদ্ধে আমরা উচ্চ আদালতে আপিল করব।
আরো পড়ুন
জামায়াতের আমির ও নাহিদ ইসলামের চুম্বনের দৃশ্যটি আসল নয়
মামলার সূত্রে জানা গেছে, বিয়ের প্রলোভনে ধর্ষণের অভিযোগে ওই ছাত্রী ২০১৮ সালের ২৮ জুলাই ধানমন্ডি থানায় রেজাউল করিমের বিরুদ্ধে মামলাটি দায়ের করেন। মামলাটি তদন্ত করে ২০১৯ সালের ১৩ জানুয়ারি আদালতে অভিযোগ পত্র দাখিল করেন তেজগাঁও নারী সহায়তা ও তদন্ত বিভাগের পুলিশ পরিদর্শক (নি.) কুইন আক্তার।
মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, এ কে এম রেজাউল করিম ২০১৬ সালের ১২ মে থেকে ২০১৮ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি মোহাম্মদপুর সরকারি কলেজের প্রিন্সিপাল হিসেবে কর্মরত ছিলেন। ভিকটিম ২০১৬ সালের জুনে কলেজে ভর্তি হন।
এর সুবাদে আসামির সঙ্গে তার পরিচয়। ভিকটিমের মোবাইর নাম্বার নেয়। এ কে এম রেজাউল করিম ভিকটিমকে আশ্বস্ত করেন, তাকে কলেজের কোনো ফি দিতে হবে না।
এক পর্যায়ে রেজাউল করিম ভিকটিমের মন জয় করে এবং তাকে বিয়ের প্রলোভন দেন। ২০১৭ সালের ১২ জুন রেজাউল করিম ভিকটিমকে কলেজে ডেকে নিয়ে ধর্ষণ করেন।
তাকে স্ত্রীর পরিচয় দিয়ে বিভিন্ন স্থানে নিয়ে ধর্ষণ করেন।
২০১৮ সালের ২৬ মার্চ রেজাউল করিম ভিকটিমকে ফোন করে জানান তার প্রমোশন হয়েছে। তাকে সঙ্গে নিয়ে বাসা দেখতে যাবে। ধানমন্ডি এলাকায় বাসা দেখার কথা বলে তাকে আবার ধর্ষণ করেন।
২০১৯ সালের ২৫ জুন আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন আদালত। মামলার বিচার চলাকালে আদালত ১৩ জন সাক্ষীর মধ্যে ৭ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেন।