বিচারের মূল উদ্দেশ্য মামলার রায় প্রদান করে বাদী-বিবাদীর মধ্যকার বিবাদ নিষ্পত্তি করা। স্বাভাবিকভাবেই যত দ্রুত ও অল্প সময়ের মধ্যে মামলা নিষ্পত্তি করা যায় ততই উভয় পক্ষের জন্য তা কল্যাণকর। এতে অত্যাচারের শিকার ব্যক্তির ন্যায়বিচার পাওয়ার প্রতীক্ষার অবসান ঘটে এবং অত্যাচারীর ত্বরিত শাস্তি হয় এবং অত্যাচারও বন্ধ হয়। কিন্তু ত্বরিতগতি অবলম্বন অর্থ শুনানি, সাক্ষ্য-প্রমাণ উপস্থাপন, সাক্ষ্যগ্রহণ ইত্যাদি সীমিত করা বা এড়িয়ে যাওয়া নয়, বরং ন্যায়বিচার নিশ্চিত করার শর্তে বিচারক কোনো প্রকার গড়িমসি না করে যত দ্রুত বিচারকার্য শেষ করা যায়—এটিই দ্রুত বিচার।
শরিয়াহ আইনের দৃষ্টিতে দ্রুত বিচার
কালের কণ্ঠ অনলাইন

শরিয়াহ আইনের দৃষ্টিতে বিচার দ্রুতগতিতে সম্পন্ন করাই স্বাভাবিক অবস্থা বা সাধারণ নীতি। বিলম্বিত বিচার প্রক্রিয়া একটি বিকল্প ব্যবস্থামাত্র। শরিয়তসম্মত কারণ ছাড়া বিচারকার্য বিলম্বিত করা বিচারকের জন্য অনুমোদিত নয়। পূর্বসূরি আলেমরা বিশেষত, যারা ইসলামী আইন ও বিচার ব্যবস্থা বিষয়ক গ্রন্থাদি রচনা করেছেন বা বিচারব্যবস্থার সঙ্গে সরাসরি সংশ্লিষ্ট ছিলেন তাঁরা বিলম্বিত বিচারের ক্ষেত্র নির্ধারণ করেছেন।
দ্রুত বিচার নিষ্পত্তির ব্যাপারে মূলনীতি
মামলার বিচারকাজ দ্রুত নিষ্পন্ন করার জন্য বিশেষ নীতিমালা প্রণয়ন এবং বিশ্বব্যাপী প্রচলিত দ্রুত বিচার দাবি মূলত শরিয়াহ আইনে বিচার দ্রুত সম্পন্ন করার নির্দেশনা থেকেই গৃহীত। শরিয়াহ আইনে দ্রুত বিচারের ক্ষেত্রে যেসব মূলনীতি বিশেষভাবে বিবেচনা করা হয়েছে, তার কয়েকটি নিচে আলোচিত হলো—
মহানবী (সা.)-এর সুন্নাহ (হাদিস)
মহানবী (সা.) বলেছেন, ‘ইসলামে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়াও যাবে না এবং ক্ষতিগ্রস্ত করাও যাবে না।’ (মুস্তাদরাক হাকেম, হাদিস : ২৪০০)
এ হাদিস থেকে স্পষ্টভাবে প্রমাণিত হয় যে কারো যেকোনো ধরনের অনিষ্ট সাধন করা ইসলামে সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ।
সম্পর্কিত খবর

আজকের নামাজের সময়সূচি, ১৬ এপ্রিল ২০২৫
অনলাইন ডেস্ক

আজ বুধবার ১৬ এপ্রিল ২০২৫, ৩ বৈশাখ ১৪৩২, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৬
ঢাকা ও এর পার্শ্ববর্তী এলাকার নামাজের সময়সূচি নিম্নরূপ—
জোহর সময় শুরু- ১২টা ২ মিনিট।
আসরের সময় শুরু - ৪টা ৩০ মিনিট।
মাগরিব- ৬টা ২৪ মিনিট।
এশার সময় শুরু - ৭টা ৪১ মিনিট।
আগামীকাল ফজর শুরু - ৪টা ২০ মিনিট।
আজ ঢাকায় সূর্যাস্ত - ৬টা ২০ মিনিটে এবং আগামীকাল সূর্যোদয়- ৫টা ৩৬ মিনিটে।
সূত্র : ইসলামিক রিসার্চ সেন্টার, বসুন্ধরা, ঢাকা।

প্রশ্ন-উত্তর
সাহু সিজদার আদায় পদ্ধতি কী?
ইসলামী জীবন ডেস্ক

প্রশ্ন : আমি হানাফি মাজহাবের আলোকে সাহু সিজদা আদায় পদ্ধতি সম্পর্কে জানতে চাই। দলিলসহ জানালে উপকৃত হব।
-আবুল হোসেন, কুমিল্লা
উত্তর : নামাজের মধ্যে ভুলবশত কোনো ওয়াজিব ছুটে গেলে বা নামাজের ফরজ ও ওয়াজিবের পরস্পর ধারাবাহিকতায় আগে-পরে হলে বা ফরজ ও ওয়াজিব দ্বিগুণ আদায় করলে অথবা ফরজ ও ওয়াজিব আদায়ে বিলম্ব হলে সাহু সিজদা ওয়াজিব হয়। তা আদায়ের পদ্ধতি হলো, শেষ বৈঠকে তাশাহুদ তথা আত্তাহিয়্যাতু পড়ার পর ডান দিকে এক সালাম ফেরাবে, অতঃপর নামাজের মতো দুটি সিজদা দেবে এবং পুনরায় তাশাহুদ, দরুদ ও দোয়া মাসুরা পড়ে নামাজ শেষ করবে।
সমাধান : ইসলামিক রিসার্চ সেন্টার বাংলাদেশ, বসুন্ধরা, ঢাকা।

হাদিসের কথা
যেসব কাজ সবচেয়ে বড় পাপ
ইসলামী জীবন ডেস্ক

বিভিন্ন হাদিসে গুরুতর পাপ সম্পর্কে আলোচনা এসেছে। একটি হাদিসে শিরিকের পাশাপাশি মাতা-পিতার অবাধ্যতাকে শিরিকের অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। ইরশাদ হয়েছে,
عَنْ عِمْرَانَ بْنِ حُصَيْنٍ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم: مَا تَقُولُونَ فِي الزِّنَا، وَشُرْبِ الْخَمْرِ، وَالسَّرِقَةِ؟ قُلْنَا: اللَّهُ وَرَسُولُهُ أَعْلَمُ، قَالَ: هُنَّ الْفَوَاحِشُ، وَفِيهِنَّ الْعُقُوبَةُ، أَلاَ أُنَبِّئُكُمْ بِأَكْبَرِ الْكَبَائِرِ؟ الشِّرْكُ بِاللَّهِ عَزَّ وَجَلَّ، وَعُقُوقُ الْوَالِدَيْنِ، وَكَانَ مُتَّكِئًا فَاحْتَفَزَ قَالَ: وَالزُّورُ.
ইমরান ইবন হুসায়ন (রা.) বলেছেন, নবী করিম (ﷺ) বলেছেন, ‘তােমরা ব্যভিচার, মদ্যপান ও চুরি সম্পর্কে কী বলো?’ সাহাবারা বললেন, আল্লাহ ও তাঁর রাসুলই বেশি জানেন। রাসুল (সা.) বললেন, ‘এগুলো হচ্ছে জঘন্য পাপাচার এবং এর কঠিন শাস্তি রয়েছে।

প্রতিদিনের আমল
ঘরে প্রবেশকালে রাসুল (সা.) যে দোয়া পড়তে বলেছেন
ইসলামী জীবন ডেস্ক

ঘরে প্রবেশ ও ঘর থেকে বের হওয়ার সময় ঘরবাসীর নিরাপত্তার জন্য আল্লাহকে স্মরণ করা জরুরি। রাসুল (সা.) ঘরে প্রবেশ ও ঘর থেকে বের হওয়ার সময় একটি দোয়া পড়তে বলেছেন। এরপর সালাম দিয়ে ঘরে প্রবেশ করে।
اللَّهُمَّ إِنِّي أَسْأَلُكَ خَيْرَ الْمَوْلَجِ ، وَخَيْرَ الْمَخْرَجِ ، بِسْمِ اللَّهِ وَلَجْنَا، وَبِسْمِ اللَّهِ خَرَجْنَا، وَعَلَى اللَّهِ رَبِّنَا تَوَكَّلْنَا
উচ্চারণ : আল্লাহুম্মা ইন্নি আসআলুকা খাইরা মাওলাজি, ওয়া খাইরাল মাখরাজি, বিসমিল্লাহি ওয়ালাজনা, বিসমিল্লাহি খারাজনা, ওয়া আলাল্লাহি রব্বিনা তাওক্কালনা।
অর্থ : হে আল্লাহ, আমি আপনার কাছে উত্তম প্রবেশ ও উত্তম বের হওয়া প্রার্থনা করছি। আল্লাহর নামে প্রবেশ করছি এবং আল্লাহর নামে বের হচ্ছি। এবং আমাদের রব আল্লাহর ওপর ভরসা করছি।
হাদিস : আবু মালিক আল-আশআরি (রা.) বর্ণিত, রাসুল (সা.) বলেছেন, যে ব্যক্তি ঘরে প্রবেশ করছে সে যেন এই দোয়া পড়ে।