ঢাকা, রবিবার ২৩ মার্চ ২০২৫
৯ চৈত্র ১৪৩১, ২২ রমজান ১৪৪৬

ঢাকা, রবিবার ২৩ মার্চ ২০২৫
৯ চৈত্র ১৪৩১, ২২ রমজান ১৪৪৬

রিয়েল এস্টেট খাতে রাজনীতিবিদ ও আমলাদের বিনিয়োগ কমেছে : ইকবাল হোসেন

অনলাইন প্রতিবেদক
অনলাইন প্রতিবেদক
শেয়ার
রিয়েল এস্টেট খাতে রাজনীতিবিদ ও আমলাদের বিনিয়োগ কমেছে : ইকবাল হোসেন
ছবি: কালের কণ্ঠ

জেসিএক্স গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ইকবাল হোসেন চৌধুরী জুয়েল কালের কণ্ঠকে বলেছেন, ‘রিয়েল এস্টেট সেক্টরটি এ মুহূর্তে খুব ভালো নেই। আমরা রিয়েল এস্টেট উদ্যোক্তারা ও যারা ফ্ল্যাট নির্মাণের সঙ্গে জড়িত আমরা খুব কঠিন সময় পার করছি। এর পিছনে বর্তমান রাজনৈতিক পটপরিবর্তন এবং নির্মাণসামগ্রীর উর্দ্ধমূল্য কিংবা ব্যাংকের ইন্টারেস্ট রেট সবকিছু মিলে রিয়েল এস্টেট কঠিন মন্দাকালীন সময় পার করছি আমরা।

রিয়েল এস্টেট খাতের অন্যতম বিনোয়গকারী হলেন রাজনীতিবিদ ও আমলারা।

তারাই বিনিয়োগ করে থাকেন। কিন্তু এখন উপদেষ্টা পরিষদ আছেন, তা খুব স্বল্প সংখ্যক। কিন্তু কোনো রাজনৈতিক নেতা নেই, তাই রিয়েল এস্টেটে তেমন বিনিয়োগ নেই। এর জন্য আমরা বড় রাজনৈতিক পটপরিবর্তনকে দেখছি।
কারণ রাজনৈতিক নেতাদের বড় অংশ রিয়েল এস্টেটে বিনিয়োগ করতেন। এছাড়াও আমলারাও বিনিয়োগ করতেন, কিন্তু সেটি আমরা এখন পাচ্ছি না। কারণ দেশ একটা সংকটাপূর্ণ অবস্থায় আছে। তাই সমন্বিত উদ্যোগ নিয়ে এই সেক্টরটিকে বাঁচাতে  হবে।

তিনি আরো বলেছেন, যারা আগে বিনিয়োগ করেছেন, তাদের সেই বিনিয়োগকৃত অর্থ ফেরত চাচ্ছেন বা বিক্রি করে দিচ্ছেন। আমরা যাদের কাছ থেকে বিনিয়োগ পেয়েছিলাম তারা রাজনৈতিক কারণে এখন দেশে নেই। ফলে তারা ফ্ল্যাট বিক্রির জন্য নানাভাবে চেষ্টা করছেন। তাই এই সময়ে রিয়েল এস্টেট সেক্টরটি কঠিন ক্রান্তিলঙ্গে আছে।

অন্তর্বর্তীকালীন সরকার নানা সেক্টর নিয়ে কাজ করছেন, কিন্তু রিয়েল এস্টেট নিয়ে তারা কতটুকু মাথা ঘামাচ্ছে? বিষয়টি নিয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের অনেক কাজ।

তারা কঠিন বাস্তবতায় এসেছেন এবং নানা চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করছেন। কিন্তু তারা রিয়েল এস্টেট নিয়ে সেভাবে সময় দিচ্ছেন বলে মনে হচ্ছে না। আমরা সংশোধিত ড্যাব বাস্তবায়নের জন্য তাদের কাছে গেলেও এখন পর্যন্ত বাস্তবায়ন হয়নি। 

এই খাত ক্ষতিগ্রস্ত হলে এর সঙ্গে জড়িত ৩৫ লাখ মানুষের কী হবে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আবাসন খাতে ৩৫ লাখ মানুষ জড়িত। এছাড়াও এর সঙ্গে ১৫০টির মতো লিঙ্ককের শিল্প আছে। তাই এই খাত বাঁচাতে আলাদা মন্ত্রণালয় প্রয়োজন। এই শিল্পকে বাঁচাতে সহজ শর্তে ১০ হাজার কোটি টাকা থোক বরাদ্দ চেয়েছিলাম, সেটি দেওয়া হয়নি। এই শিল্পে যেসব কাঁচামাল ব্যবহার হয় সবগুলো আমদানি নির্ভর। সেজন্য ডলার রেটের বৃদ্ধিতে সেটি নির্মাণশিল্পের উপরে এসে পড়েছে। এছাড়াও গ্রাহকরা যে ঋণ নিবেন সেই ঋণের জন্য সুদের হার সর্বোচ্চ। এজন্য যারা ফ্ল্যাট কিনবেন সেটিও গ্রাহকরা বহন করতে পারছেন না। তাই এই সেক্টরকে বাঁচাতে বড় পরিকল্পনা দরকার। 

নির্বাচিত সরকার আসলে এই খাত বাঁচাতে করণীয় জানতে চাইলে বলেন, এই খাতে সরকারের ‍দৃষ্টি দিতে হবে। এই বিষয়ে বিশদ পরিকল্পনা দরকার। এছাড়াও মন্ত্রণালয় দরকার। এছাড়াও এই খাতে ২০ হাজার কোটি টাকা থোক বরাদ্দ প্রয়োজন। গ্রাহকদের কম সুদে ঋণ ও রেজিস্ট্রেশন খরচ কমালে এই শিল্পকে বাঁচানো সম্ভব বলে আমার মনে হয়।

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

প্রস্তাবিত ট্রাভেল এজেন্সি পরিপত্র : বন্ধ হয়ে যাবে কয়েক হাজার ট্রাভেল এজেন্সি

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
শেয়ার
প্রস্তাবিত ট্রাভেল এজেন্সি পরিপত্র : বন্ধ হয়ে যাবে কয়েক হাজার ট্রাভেল এজেন্সি
সংগৃহীত ছবি

‘গ্রাহক হয়রানি প্রতিরোধের’ নামে ট্রাভেল এজেন্সি ব্যবসা পরিচালনার জন্য একটি খসড়া পরিপত্র তৈরি করেছে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়। পরিপত্রে ট্রাভেল এজেন্সি ব্যবসা পরিচালনায় স্বচ্ছতা' ও 'জবাবদিহিতা' নিশ্চিত করার কথা বলা হলেও মূলত এতে কয়েক হাজার ট্রাভেল এজেন্সি বন্ধ হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। 

পরিপত্রের খসড়ার (ণ)- ধারায় বলা হয়েছে, ‘এক ট্রাভেল এজেন্সি অন্য ট্রাভেল এজেন্সির সঙ্গে টিকিট ক্রয়-বিক্রয় করিতে পারবে না।’ খসড়া পরিপত্রের এই ধারার বিরোধিতা করে ট্রাভেল এজেন্সিগুলো বলছে, বিশ্বব্যাপী ট্রাভেল ব্যবসায় এজেন্ট টু এজেন্ট (বি-টু-বি) মডেল প্রচলিত রয়েছে।

যেখানে এক ট্রাভেল এজেন্সি অন্য ট্রাভেল এজেন্সির মাধ্যমে টিকিট বিক্রি করতে পারে। বাংলাদেশে এই নিয়মের ব্যত্যয় হলে স্থানীয় ট্রাভেল এজেন্সিগুলো আšত্মর্জাতিক বাজারের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে পারবে না। পাশাপাশি এই সেক্টরের সঙ্গে প্রত্যড়্গ ও পরোড়্গভাবে সংশ্লিষ্ট লাখ লাখ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হবে।

আরো পড়ুন
আ. লীগ নিষিদ্ধে সমাবেশের ডাক দিলেন হাসনাত আব্দুল্লাহ

আ. লীগ নিষিদ্ধে সমাবেশের ডাক দিলেন হাসনাত আব্দুল্লাহ

 

সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো জানায়, দেশে বর্তমানে ৫৭৪৬ টি লাইসেন্সধারী ট্রাভেল এজেন্সি রয়েছে।

তাদের মধ্যে মাত্র ৯৭০ টি ট্রাভেল এজেন্সি আয়াটার স্বীকৃতিপ্রাপ্ত। ৯৭০টির মধ্যে কেবলমাত্র ৩৫০ টি ট্রাভেল এজেন্সির কাছে এমিরেটস এয়ারলাইন্স, কাতার এয়ারওয়েজ, সিঙ্গাপুর এয়ারলাইন্স, সৌদি অ্যারাবিয়ান এয়ারলাইন্সসহ বড় বড় এয়ারলাইন্সের টিকেট বিক্রির অনুমতি (ক্যাপিং) রয়েছে। এমনকি রাষ্ট্রীয় পতাকাবাহী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের টিকেট বিক্রির অথোরিটি পেতে হলে আয়াটাসহ সবমিলে ৪০ লাখ টাকা অগ্রিম জমা দিতে হয়। এছাড়াও এয়ার অ্যারাবিয়া, ইন্ডিগো, সালাম এয়ার, জাজিরা এয়ারওয়েজের মতো বাজেট এয়ারলাইন্স রয়েছে, যাদের টিকেট আয়াটাতে পাওয়া যায় না।
দেশের ৫ হাজারেরও বেশি লাইসেন্সধারী ট্রাভেল এজেন্সি টিকেট সংগ্রহের জন্য এই ৩৫০ টি ট্রাভেল এজেন্সির উপর নির্ভরশীল। এ অবস্থায় এক ট্রাভেল এজেন্সি অন্য ট্রাভেল এজেন্সির সঙ্গে টিকিট কেনা বেচা করতে না পারলে ৫ হাজারের বেশি লাইসেন্সপ্রাপ্ত মাঝারি ও ছোট পরিধির প্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে যাবে।

মঈন ট্রাভেলসের স্বত্বাধিকারী মো. গোফরান চৌধুরী বলেন, ‘জানুয়ারি, ফেব্রম্নয়ারি ও মার্চ-এই বছরের প্রথম ৩ মাসে আমি নিজে মাত্র ৮ টি টিকেট ইস্যু করেছি। বাকি টিকেটগুলো অন্য লাইসেন্সধারী এজেন্সি থেকে কেটেছি। আমরা শত চেষ্টা করলেও কম টাকার ব্যাংক গ্যারান্টি থাকার কারণে বড় এয়ারলাইন্সগুলো আমাদের টিকেট বিক্রির অথরিটি দেবে না।

এই পরিপত্র জারি করলে আমাদের ব্যবসা বন্ধ করা ছাড়া উপায় থাকবে না।’

আরো পড়ুন
আ. লীগ ক্লিনিক্যালি ডেড, জীবিত হওয়ার সুযোগ নেই : আবু হানিফ

আ. লীগ ক্লিনিক্যালি ডেড, জীবিত হওয়ার সুযোগ নেই : আবু হানিফ

 

তিনি আরো বলেন, ‘এই নতুন বিধি-নিষেধ কার্যকর হলে বড় ট্রাভেল এজেন্সিগুলোই বাজার নিয়ন্ত্রণ করবে। কম পুঁজির এজেন্সিগুলো টিকিট সংগ্রহের সুযোগ হারাবে, তাই তারা বড় প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে প্রতিযোগিতা করতে পারবে না। ফলে এয়ার টিকেটের বাজার কয়েকটি বড় কোম্পানির হাতে চলে যাবে এবং একচেটিয়া ব্যবসার সুযোগ তৈরি হবে। বিদেশি ট্রাভেল এজেন্সিগুলো এর সুযোগ নেবে।’

খসড়া পরিপত্রের (ঙ) ধারায় বলা হয়েছে, ট্রাভেল এজেন্সি ব্যবসা করার জন্য আবশ্যিকভাবে ইন্টারন্যাশনাল এয়ার ট্রান্সপোর্ট অ্যাসোসিয়েশন- আয়াটার স্বীকৃতি ও সদস্যপদ নিতে হবে।

এজেন্সির মালিকরা বলছে, আয়াটা হচ্ছে একটি টিকেট সেলিং প্ল্যাটফর্ম। পৃথিবীতে দুই ধরনের ট্রাভেল এজেন্সি থাকে। আয়াটা এবং নন-আয়াটা  ট্রাভেল এজেন্সি। তবে পৃথিবীর কোথাও ট্রাভেল এজেন্সির ব্যবসা করার জন্য আয়াটার মাধ্যমে টিকেট বিক্রি বাধ্যতামূলক নয়।

জানা গেছে, সাধারণত বড় বড় ট্রাভেল এজেন্সিগুলো আয়াটার সদস্যপদ লাভ করে। কারণ আয়াটাতে সব এয়ারলাইন্সের টিকেট বিক্রির অথোরিটি পেতে হলে কোটি কোটি টাকার ব্যাংক গ্যারান্টির পাশাপাশি কয়েকবছর অপেক্ষা করতে হয়। তাছাড়া আয়াটাতে কম টাকার ব্যাংক গ্যারান্টিতে সব এয়ারলাইন্সের টিকেট কাটার অনুমতি পাওয়া যায় না। একটি এজেন্সিকে আয়াটার সদস্যপদের জন্য আবেদন করতে হলে কমপক্ষে ৬ মাস ব্যবসা করতে হয়। পাশাপাশি সর্বনিম্ন ৩০ লাখ টাকার ব্যাংক গ্যারান্টিসহ আরো নানা কাগজপত্রের আয়াটার বাংলাদেশের কান্ট্রি ম্যানেজার বরাবর জমা দিতে হয়। সব কাগজপত্র ঠিক থাকলে এই ৩০ লাখ টাকার গ্যারান্টিতে মাত্র ৩-৪ টি এয়ারলাইন্সের টিকেট কাটার অনুমতি পাওয়া যায়।  ট্রাভেল এজেন্সি গ্যারান্টিকৃত অর্থের সর্বোচ্চ ৭০ শতাংশ অর্থাৎ ২১ লাখ টাকার টিকেট কিনতে পারে।

বেসামরিক বিমান ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, সরকার কর্তৃক নিবন্ধিত এজেন্সিগুলোর মধ্যে ৪৪৭৬ টি  ৮৩ শতাংশ প্রতিষ্ঠানের আয়াটার স্বীকৃতিপত্র নেই। ফলে নতুন পরিপত্র জারির সঙ্গে সঙ্গে এই এজেন্সিগুলো আর টিকেট বিক্রি করতে পারবে না। ফলে টিকেটের সংকট দেখা দেবে, ভোগান্তিতে পড়বে যাত্রী সাধারণ।

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

ভিয়েতনাম থেকে এলো ২৯ হাজার মেট্রিক টন চাল

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
শেয়ার
ভিয়েতনাম থেকে এলো ২৯ হাজার মেট্রিক টন চাল

 

ভিয়েতনাম থেকে ২৯ হাজার মেট্রিক টন চাল নিয়ে আসা জাহাজ চট্টগ্রামে এসে পৌঁছেছে। চলতি বছর সম্পাদিত জিটুজি চুক্তির আওতায় (তৃতীয় চালান) এই আতপ চাল নিয়ে এমভি ওবিই ডিনারেস (mv OBE Dinares) জাহাজটি চট্টগ্রাম বন্দরে পৌঁছেছে।

শনিবার (২২ মার্চ) খাদ্য মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা এই তথ্য জানিয়েছেন।

ভিয়েতনাম থেকে জিটুজি ভিত্তিতে মোট এক লাখ মেট্রিক টন চাল আমদানির চুক্তি হয়েছে।

এর মধ্যে দুটি চালানে মোট ৩০ হাজার ৩০০ মেট্রিক টন চাল ইতোমধ্যে দেশে পৌঁছেছে।

জাহাজে রক্ষিত চালের নমুনা পরীক্ষা ইতোমধ্যে শেষ হয়েছে এবং চাল খালাসের কার্যক্রম দ্রুত শুরু হবে। এ জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।

মন্তব্য

আ. লীগের অনিয়মের কারণে সংকট মোকাবেলা করতে হচ্ছে : বাণিজ্য উপদেষ্টা

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
আ. লীগের অনিয়মের কারণে সংকট মোকাবেলা করতে হচ্ছে : বাণিজ্য উপদেষ্টা
ফাইল ছবি

বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন বলেছেন, ‘অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে দেশকে স্বল্পোন্নত দেশ (এলডিসি) থেকে সুষ্ঠুভাবে উত্তরণ নিশ্চিত করার জন্য যথাসম্ভব সর্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।’

বাণিজ্য উপদেষ্টা সম্প্রতি সচিবালয়ে তার কার্যালয়ে রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা বাসসের সঙ্গে সাক্ষাৎকারে এ কথা বলেন।

২০২৬ সালে স্বল্পোন্নত দেশের পর্যায় থেকে উত্তরণের ক্ষেত্রে বেসরকারি খাতের অভিমত সম্পর্কে তিনি প্রশ্ন তোলেন যে, বেসরকারি খাত কেন বছরের পর বছর ধরে এই বিষয়টি নিয়ে নীরব ছিল এবং জোরালো কোনো আওয়াজ তোলেনি।

উপদেষ্টা বলেন, ‘এটা সত্য যে, আমি বেসরকারি খাতের দাবির সাথে একমত বা দ্বিমত পোষণ করতে পারছি না।

সুতরাং, এটি একটি দ্বান্দ্বিক পরিস্থিতি।’

বশিরউদ্দীন আরো বলেন, ‘আমরা যদি তাদের সাথে একমত হই, তাহলে প্রয়োজনীয় সংস্কারগুলো আবার ঘুমিয়ে পড়বে। উত্তরণ বিলম্বিত করা মোটেও সরকারের ইচ্ছার ওপর নির্ভর করে না। তাদের (বেসরকারি খাত) এটি মেনে নিতে হবে।

তিনি উল্লেখ করেন, বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উত্তরণের তিনটি মানদণ্ডেই উত্তীর্ণ হয়েছে। যদিও এটি একটি ভিন্ন যুক্তি যে, সেগুলো সঠিক তথ্যের উপর ভিত্তি করে নাকি ভুল তথ্যের ওপর ভিত্তি করে নেওয়া হয়েছে। 

বাণিজ্য উপদেষ্টা বলেন, ‘পূর্ববর্তী আওয়ামী লীগ সরকারের অনিয়মের কারণে সংকট মোকাবেলা করতে হচ্ছে। আমাদের টিমের সদস্যরা আন্তরিকতা ও দেশপ্রেমের সাথে কঠোর প্রচেষ্টা চালাচ্ছেন এবং ইনশাআল্লাহ, আশা করি আমরা দেশের জন্য একটি কল্যাণকর পরিস্থিতিতে পৌঁছাতে সক্ষম হব।


 
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘যদিও সকল সংস্কার করা সম্ভব নয়, তবে অবশ্যই কিছু বাস্তবায়ন করা হবে। বাকিগুলো গতিশীলভাবে এগিয়ে যাবে।’

এদিকে, অর্থনীতিবিদ ও ব্যবসায়ীদের একটি অংশসহ অনেকেই স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উত্তরণের প্রক্রিয়া কয়েক বছর পিছিয়ে দেওয়ার পক্ষে।

তারা যুক্তি দিচ্ছেন, অর্থনীতির ক্ষেত্রে মহামারীর তীব্র প্রভাব, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ এবং গত কয়েক বছর ধরে বিদ্যমান উচ্চ বৈশ্বিক মূল্যস্ফীতির চাপ মোকাবেলার জন্য সময়ের প্রয়োজন।

সম্প্রতি এক ব্রিফিংয়ে প্রধান উপদেষ্টার প্রেসসচিব শফিকুল আলম বলেছেন, ‘উত্তরণের বিষয়ে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার সময়সূচী মেনে জাতিসংঘের মর্যাদা অর্জনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

তিনি বলেন, ‘এই প্রক্রিয়া শিল্পের ওপর প্রভাব ফেলবে কিনা সে বিষয়ে সরকার বিশেষজ্ঞদের মতামত বিবেচনা করে তা বাস্তবায়নের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।’
 
প্রধান উপদেষ্টার প্রেসসচিব আরো উল্লেখ করেছেন, ‘বাংলাদেশকে স্বল্পোন্নত দেশ হিসেবে দেয়া সুবিধাগুলো উত্তরণের পরও তিন বছর ধরে বহাল থাকবে।’

১৯৭১ সালে স্বাধীনতা লাভের পর থেকে অর্থনৈতিক উন্নয়নের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ উত্তরণ লাভের জন্য তিনটি পূর্বশর্তই পূরণ করেছে।

মুক্তিযুদ্ধের পর অর্থনীতির ভঙ্গুর পরিস্থিতিতে শূন্য-শুল্ক ও কোটা সুবিধার মতো বিভিন্ন সুবিধা পেতে দেশটি ১৯৭৫ সালে স্বল্পোন্নত দেশ হিসেবে তালিকাভুক্ত হয়েছিল।

এই সুবিধাগুলো বাংলাদেশকে বর্তমানে চীনের পরে দ্বিতীয় বৃহত্তম পোশাক রপ্তানিকারক হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে সক্ষম করেছে।

এলডিসি-পরবর্তী অগ্রাধিকারমূলক বাণিজ্য সুবিধা প্রত্যাহারের কারণে বাংলাদেশ বার্ষিক ৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলারেরও বেশি মূল্যের বাণিজ্য হারাতে পারে। এ পর্যায়ে বাংলাদেশকে পণ্য সরবরাহের উপর কমপক্ষে ১২ শতাংশ শুল্ক দিতে হবে। বর্তমানে, বাংলাদেশের ৭৮ শতাংশ রপ্তানি ৩৮টি দেশে স্বল্পোন্নত বাণিজ্য সুবিধা ভোগ করে।

ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) ইতোমধ্যেই আশ্বাস দিয়েছে যে, তারা ২০২৯ সাল পর্যন্ত আরও তিন বছর ধরে বাংলাদেশের জন্য এলডিসি বাণিজ্য সুবিধা অব্যাহত রাখবে, যা একটি মসৃণ উত্তরণের ক্ষেত্রে সক্ষম করার জন্য একটি গ্রেস পিরিয়ড হিসেবে বিবেচিত হবে। যুক্তরাজ্য, কানাডা ও অস্ট্রেলিয়া কিছু শর্ত ছাড়া একই রকম প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।

মন্তব্য

বসুন্ধরায় আপন ফ্যামিলি মার্টের দ্বিতীয় আউটলেটে ক্রেতাদের দারুণ সাড়া

অনলাইন প্রতিবেদক
অনলাইন প্রতিবেদক
শেয়ার
বসুন্ধরায় আপন ফ্যামিলি মার্টের দ্বিতীয় আউটলেটে ক্রেতাদের দারুণ সাড়া
ছবি: কালের কণ্ঠ

একই ছাদের নিচে সকল সেবা মেলায় দুই সপ্তাহেই ক্রেতাদের নজর কেড়েছে বসুন্ধরায় আপন ফ্যামিলি মার্টের দ্বিতীয় আউটলেটটি। বিশেষ করে ফ্রেশ বড় মাছ থেকে, গরুর মাংস ও জীবিত মুরগি মেলায় খুশি ক্রেতারা । অন্যান্য সুপারশপে জীবিত মুরগি না মিললেও আপন ফ্যামিলি মার্টের এই আউটলেটে ক্রেতারা জীবিত মুরগি কিনতে পারছেন। এই বিষয়টির প্রশংসা করছেন ক্রেতারা।

শুক্রবার (২১ মার্চ) বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার ‘সি’ ব্লকের উম্মে কুলসুম রোডের (প্লট: ৫৬/এ) আপন ফ্যামিলি মার্টের দ্বিতীয় আউটলেটে গিয়ে দেখা যায়, ক্রেতারা নিজের ইচ্ছেমতো দেশি, ব্রয়লার, পাকিস্তানি জীবিত মুরগি কেনার জন্য ভিড় করছেন। ক্রেতাদের চাহিদা অনুযায়ী সুন্দর পরিবেশে তা সরবরাহ করছেন আউটলেটের বিক্রয়কর্মীরা। এ ছাড়াও জীবিত হাঁস, কবুতর ও কোয়েল পাখিও মিলছে। মুরগির পাশাপাশি হাঁসেও আগ্রহ দেখা গেছে ক্রেতাদের।

অনেককেই দেশি হাঁস কিনতে দেখা গেছে।

ছবি: কালের কণ্ঠ

বিষয়টি সম্পর্কে নাজমুল হাসান নামের এক ক্রেতা কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘সুপারশপগুলোতে মুরগি মাংস মিললেও জীবিত মুরগি রাখা হয় না। এতে প্রসেস করা মাংস কিনতে হয়। কিন্তু এই আউটলেটে জীবিত মুরগি পাওয়া যাচ্ছে।

এটি আমাদের জন্য স্বস্তিদায়ক। কারণ দেখে শুনে দেশি মুরগি কেনার মধ্যে এক ধরনের মানসিক শান্তি কাজ করে। সবকিছু মিলে আমার কাছে এই আউটলেটটি চমৎকার লেগেছে।’

জানা গেছে, এই আউটলেটে আজ শুক্রবার (২১ মার্চ) উদ্বোধন হচ্ছে একটি ক্যাফে বার। কেনাকাটার পর যেখানে ক্রেতারা বসে কফি, চাসহ বিভিন্ন সেবা উপভোগ করতে পারবেন।

এ ছাড়াও চালু হচ্ছে একটি পোশাকের স্টল। এর পাশাপাশি আগে থেকেই মিলছে মাছ-মাংস, শাক-সবজি, ফল-মূল, চাল-ডালসহ প্রয়োজনীয় সকল নিত্যপণ্য। এ ছাড়া রয়েছে মেডিক্যাল কর্নার, যেখানে মিলছে প্রয়োজনীয় ওষুধ। পাশাপাশি রয়েছে মোবাইল শপ, নারী-পুরুষের ত্বকের যত্ন ও রূপচর্চায় প্রসাধনী, বিভিন্ন ডিনার সেটসহ প্রয়োজনীয় সবকিছুই। দুপুর সাড়ে ৩টা থেকে ইফতারের আগ পর্যন্ত এবং ইফতারের পরে ক্রেতাদের ভিড় বেশি লক্ষ্য করা গেছে।

ফ্যামিলি মার্টের দ্বিতীয় আউটলেটে বাজার করার অভিজ্ঞতার বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রী নুসরাত বলেন, ‘এখানকার প্রসাধনী সামগ্রীর অনেকগুলো বিদেশ থেকে আনা। যা পেতে আগে দূরে যেতে হত। কিন্তু এখন তা হাতের কাছেই পাচ্ছি। কারণ আমি এই আউটলেটের পাশেই থাকি। সবথেকে বড় বিষয় হচ্ছে, একই সঙ্গে বাজার, ওষুধ, পোশাকসহ সব সেবা পাওয়া যাচ্ছে। এই সেবাগুলো একসঙ্গে পাওয়া যায় না। এ ছাড়াও আউটলেটটি অনেক জায়গাজুড়ে হওয়ায় কেনাকাটা করায় স্বস্তি মিলছে। সবমিলে পরিবেশ খুবই ভালো।’ 

সামগ্রিক বিষয়ে আউটলেটটির ফ্লোর অপারেশন ম্যানেজার এম ডি লোকমান খান কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘ক্রেতাদের কথা বিবেচনা করে জীবিত হাঁস-মুরগি রাখা হচ্ছে। বিষয়টি অনেক চ্যালেঞ্জিং হওয়া সত্ত্বেও ক্রেতাদের সুবিধার্থে আমরা এটি করতেছি। এতে আমরা ইতিবাচক সাড়া পাচ্ছি। এ ছাড়া সবজি থেকে শুরু করে মাছ-মাংস আমরা নিজেরাই প্রসেসিং করি। গরু কিনে আমাদের তত্ত্বাবধানে জবাই করার পর আমরা তা সরবরাহ করছি। তাই ক্রেতাদের আগ্রহ এখন পর্যন্ত এই প্রোডাক্টগুলোতে বেশি পাওয়া যাচ্ছে।

এর বাইরে প্রসাধনী সামগ্রী, মেডিক্যাল কর্নার, বিভিন্ন ডিনার সেটে আগ্রহ দেখা যাচ্ছে ক্রেতাদের। যতই দিন যাচ্ছে ততই ক্রেতা সংখ্যা বাড়ছে, আমরা পজেটিভ সাড়া পাচ্ছি। অনেক জায়গাজুড়ে সুপারশপটি হওয়ায় ক্রেতারা প্রশংসা করছেন। কারণ অনেক স্বস্তি নিয়ে তারা কেনাকাটা করতে পারছেন। আমরা আরো কিছু পরিকল্পনা নিয়ে এগুচ্ছি। আমাদের মূল লক্ষ্য ক্রেতাদের মানসম্মত সেবা দেওয়া।’

জানা গেছে, গত ৬ মার্চ আপন ফ্যামিলি মার্টের দ্বিতীয় আউটলেটের উদ্বোধন করেন বসুন্ধরা গ্রুপের ভাইস চেয়ারম্যান সাফওয়ান সোবহান এবং পরিচালক ইয়াশা সোবহান। এসময় মাশাল্লাহ গ্রুপের চেয়ারম্যান হাজি জহির রায়হান অতিথিদের স্বাগত জানান।

আপন ফ্যামিলি মার্টের অপারেশন বিভাগের প্রধান রাশেদুল ইসলাম বলেন, ‘এই সুপারশপে ৪৫ হাজার স্কয়ার ফিট জায়গাজুড়ে ২২ হাজারেরও বেশি পণ্য পাওয়া যাবে।’

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ