<p>জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) আইন অনুষদের ফলাফল পুনর্মূল্যায়নসহ তিন দফা দাবিতে আমরণ অনশন কর্মসূচি পালন করছেন ওই অনুষদের তিন শিক্ষার্থী।</p> <p>রবিবার (২৯ ডিসেম্বর) বিকেল পৌনে ৪টা থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের পুরাতন প্রশাসনিক ভবনের সামনে আমরণ অনশন কর্মসূচি শুরু করেন তারা।</p> <p>তাদের দাবিগুলো হলো- আইন অনুষদের ৪৯তম ব্যাচ থেকে ৫১তম ব্যাচের ফলাফল পুনর্মূল্যায়ন, ভর্তি পরীক্ষায় আইন অনুষদের জন্য পূর্বের মতো আলাদা ইউনিট করা এবং স্থায়ী ভবন বরাদ্দ করা।</p> <p>অনশনরত শিক্ষার্থীরা হলেন, আইন ও বিচার বিভাগের ৫০তম ব্যাচের শিক্ষার্থী ও বিভাগের ছাত্র সংসদের সাধারণ সম্পাদক মো. আসাদুজ্জামান, ৪৯তম ব্যাচের শিক্ষার্থী মালিহা হাসান মাইশা ও একি ব্যাচের রফা রওনাক।</p> <p>রাত পৌনে ২টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের পুরাতন রেজিস্ট্রার ভবনের সামনে সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, শীতের মধ্যে মাটিতে শুয়ে আছেন শিক্ষার্থীরা। তারা তিনজনই বিকাল থেকে না খেয়ে আছেন।</p> <p>অনশনের বিষয়ে মো. আসাদুজ্জামান বলেন, ‘আমাদের তিনটা দাবির বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন মৌখিক আশ্বাস দিচ্ছেন কিন্তু লিখিত কোনো ডকুমেন্টস দিচ্ছেন না। আমরা তাদের আর বিশ্বাস করতে পারছি না। আমরা দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন করছি এ বিষয়গুলো নিয়ে প্রশাসন আমাদের সঙ্গে টালবাহানা করছে। যতক্ষণ না লিখিত পাচ্ছি ততক্ষণ পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাব।’</p> <p>এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক সোহেল আহমেদ বলেন, ‘আমরা তাদের সঙ্গে কথা বলেছি। কনভিন্স করার চেষ্টা করেছি। আগের কোনো প্রশাসনই আইন ও বিচার বিভাগকে গুরুত্ব দিয়ে দেখেনি কিন্তু আমরা দেখছি। আমাদেরকে আজকের সিন্ডিকেট মিটিং পর্যন্ত যাতে তারা সময় দেন সেটা বলেছি কিন্তু তারা সেই সময়টুকুও আমাদের দিচ্ছেন না।’</p> <p>প্রসঙ্গত, এদিকে এই তিন দাবিতে আইন ও বিচার বিভাগের শিক্ষার্থীরা অবস্থান কর্মসূচি পালন করছিল বিকাল পৌনে ৪টা থেকে পুরাতন রেজিস্ট্রার ভবনের সামনে। </p> <p>এ বিষয়ে আইন অনুষদ ছাত্র সংসদের সহসভাপতি (ভিপি) আসিফুল হাসান অমিত বলেন, ‘দীর্ঘ প্রায় ৬ মাস যাবৎ আমরা আইন অনুষদের স্থায়ী ভবন এবং প্রকাশিত প্রশ্নবিদ্ধ ফলাফল পুনর্মূল্যায়নের দাবিতে আন্দোলন করে আসছি। প্রশাসন বারংবার আশ্বাস দিলেও তদন্ত কমিটি গঠন ছাড়া কোনো দৃশমান ফল দেখতে পাইনি। অনুষদের স্বৈরাচারী শিক্ষক তাপস কুমার দাস ও সুপ্রভাত পালের অন্যায়ের বিচার ও ফলাফল পুনর্মূল্যায়নের জন্য গঠিত হওয়া কমিশনের রিপোর্ট জমা দেওয়া হয়েছে। আশা করছি আজকে অ্যাকাডেমিক কাউন্সিল থেকে একটা শিক্ষার্থীবান্ধব সিদ্ধান্ত আসবে।’</p> <p>তিনি আরো বলেন, ‘অনুষদের স্থায়ী ভবনের বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত আসেনি। ২টি ক্লাস রুমে আমাদের শ্রেণি কার্যক্রম পরিচালনা করা একেবারেই অসম্ভব। আমরা আইন অনুষদের সাধারণ শিক্ষার্থীরা আমাদের এসব ন্যায্য দাবির বিষয়ে যথোপযুক্ত সিদ্ধান্ত নিয়েই ফিরব।’<br />  </p>