অবসরের পরও অফিস করেন ববির রেজিস্ট্রার

রফিকুল ইসলাম, বরিশাল
রফিকুল ইসলাম, বরিশাল
শেয়ার
অবসরের পরও অফিস করেন ববির রেজিস্ট্রার
সংগৃহীত ছবি

বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় (ববি) রেজিস্ট্রার মনিরুল ইসলাম চাকরি থেকে অবসর গ্রহণের পরও যথারীতি অফিস করছেন। সরকারি সকল ধরনের সুযোগ সুবিধাও ভোগ করছেন। বিভাগীয় চেয়ারম্যান থেকে শুরু করে শিক্ষক এমনকি কর্মকর্তাদের চাকরিচ্যুতির হুমকী সন্বলিত অফিস আদেশেও স্বাক্ষর করছেন তিনি।

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য এবং উপ-উপাচার্যের মধ্যকার দ্বন্দের কারণে অবসরে গিয়েও রেজিস্ট্রার বহাল তবিয়াতেই রয়েছেন।

অবসরে থেকেও গুরুত্বপূর্ণ ফাইলে রেজিস্ট্রারের স্বাক্ষর নিয়ে আগামীতে জটিলতা সৃষ্টি হতে পারে বলে আশঙ্কা করছে কর্তৃপক্ষ। 

কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক মো. মামুন অর রশিদ মুঠোফোনে কালের কণ্ঠকে বলেন, রেজিস্ট্রার ১ ফেব্রুয়ারি থেকে অবসরে গেছেন। কিন্তু এখনো তিনি রেজিস্ট্রারের সকল দায়িত্ব পালন করছেন। সরকারি সুযোগ-সুবিধা আগের মতোই ভোগ করছেন।

উপাচার্য অধ্যাপক শুচিতা শরমিন তাঁর প্রশাসনিক ক্ষমতা বলে, মনিরুল ইসলামকে আবার রেজিস্ট্রারের দায়িত্ব পালনের আদেশ দিতেই পারেন।

কিন্তু সেই আদেশের অনুলিপি প্রশাসনে পাঠাতে হবে। কিন্তু রেজিস্ট্রারের নিয়োগ প্রসঙ্গে মঙ্গলবার বিকেল পর্যন্ত কোন অফিস আদেশ পাইনি। তাই কিভাবে এখনো তিনি রেজিস্ট্রার পদে বহাল রয়েছেন, তা আমি অবগন নই।

তার দায়িত্ব নিয়ে আগামীতে প্রশ্ন উঠবে।

অবসরে গ্রহনের কথা স্বীকার করে রেজিস্ট্রার মনিরুল ইসলাম কালের কণ্ঠকে বলেন, উপাচার্য অধ্যাপক শুচিতা শরমিনের লিখিত আদেশ নিয়েই রেজিস্ট্রারের দায়িত্ব পালন করছি। সে অনুযায়ী সরকারি সুযোগ-সুবিধা আগের মতোই ভোগ করছি। অফিস আদেশে স্বাক্ষরসহ সকল কার্যাদি আগের মতোই পালন করছি। 

রেজিস্ট্রারের নতুন দায়িত্বেও অফিস আদেশ সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, উপাচার্য আমাকে লিখিত আদেশ দিয়েছেন।

সিন্ডিকেটের সভায় অনুমোদন পেলেই সকলকে অফিস আদেশ দেওয়া হবে। সিন্ডিকেটের সভায় আপনার নিয়োগ যদি বাতিল হয়, সে ক্ষেত্রে আবার স্বাক্ষরিত সকল আদেশই বাতিল হয়ে যাবে। তখন এটি নিয়ে প্রশ্ন উঠবে। এ প্রসঙ্গে মনিরুল ইসলাম জোর দিয়ে বলেন, আমার নিয়োগ হবেই।   

উপ-উপাচার্য অধ্যাপক গোলাম রাব্বানি বলেন, অবসরে যাওয়া মনিরুল ইসলামকে চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে তাকে দিয়ে যা ইচ্ছে উপাচার্য তাই করাচ্ছেন। নৈতিক স্খলনের অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় চাকরিচ্যুত হয়েছিলেন রেজিস্ট্রার। চার বছর পর তিনি আদালতের আদেশে চাকুরি ফিরে পেয়েছেন। অযোগ্য এই রেজিস্টারকে ব্যবহার করে উপাচার্য চেয়ারম্যানদের চাকরিচ্যুতির হুমকী দিয়ে নোটিশ দিয়েছিলেন। শুধু তাই নয়, আমার দপ্তরের একজন মাত্র কর্মকর্তা, তাকেও স্ট্যান্ডরিলিজ করা হয়েছে। তার স্থালে অন্য কোনো কর্মকর্তাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়নি। কারণ ওই কর্মকর্তা যোগদান করে আবার যদি কোনো চিঠি দেয়, সেই ভয়ে কর্মকর্তাকে দায়িত্ব দেয়নি উপাচার্য।

উপাচার্য অধ্যাপক শুচিতা শরমিনের মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি। এমনকি হোয়াটসঅ্যাপ নম্বরে খুদে বার্তা পাঠালেও তিনি তাতে কোনো সাড়া দেননি। তাই তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।

যেভাবে রেজিস্ট্রার মনিরুল

জানাগেছে, ঢাকার নন-এমপিওভুক্ত ক্যামব্রিয়ান কলেজে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষর দায়িত্বে ছিলেন মনিরুল। তার স্ত্রী মাসুদা বেগম, তিনি ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের উপ-পরীক্ষা নিয়ন্ত্রকের দায়িত্বে ছিলেন। আওয়ামী লীগ সরকারের তৎকালিন শিক্ষা মন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদের মাধ্যমে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ডেপুটি রেজিস্ট্রার হিসেবে নিয়োগ পান তিনি। নিয়ম অনুযায়ী কমপক্ষে দুই বছর ডেপুটি রেজিস্ট্রার হিসেবে দায়িত্ব পালন করার পর রেজিস্ট্রার হওয়ার কথা। প্রভাব খাটিয়ে নির্দিষ্ট সময়ে আগেই মনিরুল বিশ্বব্যিালয়ের প্রথম রেজিস্ট্রার হন।

রেজিস্ট্রার হিসেবে যোগদান করার পর থেকে মনিরুল ইসলাম নিয়োগ বাণিজ্যসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রভাব বিস্তার শুরু করেন। এরই মধ্যে নৈতিক স্খলন সংক্রান্ত অশালীন ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। তদন্ত কমিটির সুপারিশের ভিত্তিতে সিন্ডিকেট সভা তাকে স্বেচ্ছায় পদত্যাগের নির্দেশ দেয়। ছুটি নিয়ে তিনি বিশ্ববিদ্যালয় ত্যাগ করেন। নৈতিক স্খলনের অভিযোগে ২০১৯ সালের ১০ এপ্রিল তাঁকে চাকরিচ্যুত করেছিলেন তৎকালীন উপাচার্য ইমামুল হক। 

উচ্চ আদালতের আদেশে ২০২৩ সালের ৪ অক্টোবর তিনি আবার রেজিস্ট্রার পদে যোগ দেন।

মেয়াদ শেষেও দ্বন্দ্বে বহাল রেজিস্ট্রার

বিশ্ববিদ্যালয়ের একাধিক শিক্ষক নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, গত বছরের ৩০ অক্টোবর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক গোলাম রাব্বানি উপ-উপাচার্য হিসেবে প্রথম নিয়োগ পান। সেই থেকেই তিনি উপাচার্যের দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন। পরবর্তিতে গত বছরের ২৩ সেপ্টেম্বর ববির উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয় অধ্যাপক শুচিতা শরমিনকে। তিনিই ববির প্রথম নারী উপাচার্য, যিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়ন অধ্যয়ন বিভাগের অধ্যাপক ছিলেন।

অধ্যাপক শুচিতা শরমিন উপাচার্য হিসেবে দায়িত্ব গ্রহনের পর তার অনুসারী কর্নেল (অব.) আবু হেনা মোস্তফা কামাল খানকে কোষাধ্যক্ষ নিয়োগের ব্যবস্থা করেন। ওই ঘটনার পর উপাচার্য এবং কোধাধ্যক্ষের বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীরা আন্দোল শুরু করে। শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কোষাধ্যক্ষ বিরোধী আন্দোলনে শিক্ষকদের একটা অংশ যোগ দেওয়ার পরে কোষাধ্যক্ষ ওই পদে যোগদান করতে পারেননি। আন্দোলনের মুখে সেই কোষাধ্যক্ষের নিয়োগ বাতিল করতে কর্তৃপক্ষ বাধ্য হয়েছিল। অদৃশ্য কারণে উপাচার্য বিরোধী আন্দোলন একটা পর্যায়ে থেমে যায়।

এমন পরিস্থিতিতে নতুন কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক মো. মামুন অর রশিদ নিয়োগ পান। উপাচার্যের অনুপস্থিতিতেই নতুন কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক মো. মামুন অর রশিদ যোগদান করেন। এ নিয়ে দুজনের মধ্যে বিরোধের সূত্রপাত। প্রায় তিন মাস হয়েছে উপাচার্য নিয়োগ পেয়েছেন। কিন্তু এই সময়ে উপ-উপাচার্যকে কোন দায়িত্ব দেওয়া হয়নি। 

উপ-উপাচার্য একাডেমিক সভা আহবান করলে উপাচার্য রেজিস্ট্রারের মাধ্যমে অংশগ্রহনকারীদের চাকুরিচ্যুতির হুমকী দিয়ে সভা বন্ধ করিয়ে দেন। শিক্ষকরা বলছেন, উপাচার্য, উপ-উপাচার্য ও কোষাধ্যক্ষ এই পদের মধ্যে সমন্বয় না থাকলে সব কার্যক্রম ব্যাহত হতে পারে।

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য আরেকটি জুলাই আন্দোলন দরকার : বিএনপি নেতা বকুল

জবি প্রতিনিধি
জবি প্রতিনিধি
শেয়ার
সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য আরেকটি জুলাই আন্দোলন দরকার : বিএনপি নেতা বকুল
ছবি: কালের কণ্ঠ

ভোটাধিকার নিশ্চিত ও সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য আরেকটি জুলাই আন্দোলন দরকার বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক আলহাজ্ব রকিবুল ইসলাম বকুল।

শুক্রবার (২১ মার্চ) জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদলের উদ্যোগে ইফতার ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠানে  প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন তিনি।

এসময় দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনা, বিগত ফ্যাসিস্ট বিরোধী আন্দোলনে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যায়ের গুম-আহত ছাত্র নেতাদের সুস্থতা, জুলাই আন্দোলনে নিহত জবি ছাত্র ইকরামুল হক সাজিদের পরিবারের মাঝে ঈদ সামগ্রী বিতরণ ও সকল শহীদের মাগফেরাত কামনা করা হয়। 

তিনি আরো বলেন, অত্যন্ত ক্রান্তিকালে আমরা অবস্থান করছি।

এসময় আমাদের ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। যেভাবে আমরা জুলাই বিপ্লবে ঐক্যবদ্ধ ছিলাম। আমাদের আরেকটা আন্দোলনের দরকার হতে পারে। কারণ আমরা যে জন্য আন্দোলন করেছিলাম মানুষের ভোটাধিকার নিশ্চিত ও সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য কুচক্রী দল তা বানচালের জন্য উঠেপড়ে লেগেছে।
তাদেরকে মোকাবেলা করার জন্য আমাদেরকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের আহ্বায়ক মেহেদী হাসান হিমেলের সভাপতিত্বে ও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের সদস্য সচিব শামসুল আরেফিনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের সভাপতি মো. রাকিবুল ইসলাম রাকিব, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দীন নাছিরসহ জবি ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি, সাধারণ সম্পাদকসহ বর্তমান জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা।

আয়োজিত ইফতার মাহফিলে প্রধান বক্তার বক্তব্যে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব বলেন, ফ্যাসিবাদ বিরোধী আন্দোলনে জবি ছাত্রদলের ভূমিকা অনেক বেশি। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় আন্দোলনের সূতিকাগার।

আমরা যখন কোনো সংকটে পড়ি তখন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলকে তীব্রভাবে স্মরণ করি। ফ্যাসিবাদ বিরোধী আন্দোলনে বিরোধীতাকারী জবি ছাত্রলীগের বিচার করতে হবে। 

বক্তব্যে নাসির বলেন, আমরা বিশ্বাস করি আগামীতে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের যেকোনো ইউনিটে যে নেতৃত্বে আসবে সেখানে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়কে আমাদের চেয়ারম্যান তারেক রহমান অবশ্যই গুরুত্ব দিয়ে দেখবেন। এ ছাড়া জুলাই বিপ্লবের মতো প্রতিটি আন্দোলন সংগ্রামে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়কে পাশে পাব।

ইফতার মাহফিলে জুলাই আন্দোলনে নিহত জবি ছাত্র ইকরামুল হক সাজিদ, ফ্যাসিবাদ বিরোধী আন্দোলনে নিহত ছাত্রনেতা, গুম ও নিহত হওয়া ছাত্র নেতাদের মাঝে ঈদ সামগ্রী বিতরণ করা হয়।

এ ছাড়া অনুষ্ঠানে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের সাবেক নেতৃবৃন্দসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। 

মন্তব্য

হঠাৎ জাহাঙ্গীরনগরে আলী আহসান জুনায়েদ, নতুন প্ল্যাটফরমের আলোচনা

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
হঠাৎ জাহাঙ্গীরনগরে আলী আহসান জুনায়েদ, নতুন প্ল্যাটফরমের আলোচনা
ছবি: কালের কণ্ঠ

জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের শক্তি হিসেবে নতুন আরেকটি রাজনৈতিক প্ল্যাটফরমের উদ্যোক্তা আলী আহসান জুনায়েদ জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) গিয়ে মতবিনিময় করেছেন।

আজ শুক্রবার বিকেল ৩টার দিকে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রে (টিএসসি) একদল শিক্ষার্থীর সঙ্গে মতবিনিময় করেন আলী আহসান জুনায়েদ।

নতুন প্ল্যাটফরমের ‘ইডিওলজি’, অর্থের উৎস এবং নেতৃত্বসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে এ সময় আলোচনা হয় বলে জানা গেছে।

এ ছাড়া মহান মুক্তিযুদ্ধ, ধর্ম, নারী, আদিবাসী ইত্যাদি বিষয়ে নতুন প্ল্যাটফরমের অবস্থান কেমন হবে, এসব বিষয়েও আলোচনা হয়।

জুনায়েদ জানান, সবকিছু ছাপিয়ে ‘বাংলাদেশপন্থী’ রাজনীতি করবে নতুন এই প্ল্যাটফরম।

আলী আহসান জুনায়েদ বলেন, ‘জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূমিকা ছিল অভূতপূর্ব। তবে অভ্যুত্থান-পরবর্তী বাংলাদেশের রাজনৈতিক বিন্যাসে সে অবদানের যথাযথ প্রতিফলন ঘটতে দেওয়া হয়নি গোষ্ঠী স্বার্থের কারণে। আমরা জুলাইয়ের স্পিরিট ধারণ করে একটি নতুন রাজনৈতিক প্ল্যাটফর্ম গড়ে তোলার চেষ্টা করছি।

যেখানে জাবিয়ানদের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে লড়াই করতে চাই। সেই লক্ষ্যেই আমরা আজকে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে এসেছি।’

এদিকে, এ মতবিনিময়সভার আয়োজক জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউট অব ইনফরমেশন টেকনোলজির (আইআইটি) সাবেক শিক্ষার্থী তানভীর কল্লোল বলেন, ‘জুলাই অভ্যুত্থানে অংশগ্রহণকারী প্রত্যেক ব্যক্তিকে তার অবদানের স্বীকৃতি দেওয়া, শহীদদের মর্যাদা প্রতিষ্ঠা এবং মেধার যথাযথ মূল্যায়নের মাধ্যমে জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের চেতনাকে প্রতিষ্ঠিত করার জন্য একটি প্ল্যাটফরম জরুরি। তারই অংশ হিসেবে আজকে জাবিতে মতবিনিময় সভার আয়োজন করা হয়।

আমরা আশা করছি, এপ্রিলে আসন্ন নতুন প্ল্যাটফরম বাংলাদেশের মানুষের এই আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন ঘটাবে।’

মন্তব্য

আইআইটি-জেইউ স্পোর্টস ক্লাবের পুরস্কার বিতরণী

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
আইআইটি-জেইউ স্পোর্টস ক্লাবের পুরস্কার বিতরণী
সংগৃহীত ছবি

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউট অব ইনফরমেশন টেকনোলজিতে আইআইটি-জেইউ স্পোর্টস ক্লাবের পুরস্কার বিতরণী হয়েছে। অনুষ্ঠানে ক্রিকেট, ফুটবল এবং শাটলচ্যাম্পস ২.০ (ব্যাডমিন্টন)-এর প্রতিযোগীদের কৃতিত্বকে স্বীকৃতি দেওয়া হয়।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন আইআইটির পরিচালক ড. রিসালা তাসিন খান। তিনি অংশগ্রহণকারীদের প্রশংসা করেন এবং শিক্ষার্থীদের জীবনে খেলাধুলার গুরুত্ব সম্পর্কে আলোকপাত করেন।

তিনি এবং অন্যান্য শিক্ষকরা বলেন, ‘এমন প্রতিযোগিতা শিক্ষার্থীদের মধ্যে দলগত চেতনা, শৃঙ্খলা ও মানসিক সুস্থতা গড়ে তুলতে সাহায্য করে।’

আইআইটি-জেইউ-এর সাবেক পরিচালক ড. এম. কায়সার অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন এবং অন্যান্য শিক্ষকদের সঙ্গে বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার ও সনদ তুলে দেন।

আইআইটি-জেইউ স্পোর্টস ক্লাবের সাবেক সভাপতি (২০২৩-২৪) মুয়াম্মার শাহরিয়ার শিক্ষার্থীদের মানসিক স্বাস্থ্যের ওপর খেলাধুলার ইতিবাচক প্রভাব সম্পর্কে আলোচনা করেন। তিনি বলেন, ‘এমন কার্যক্রম শিক্ষার্থীদের একাডেমিক চাপ কমাতে সহায়তা করে এবং তাদের নেতিবাচক কার্যকলাপ থেকে দূরে রেখে গঠনমূলক ও ইতিবাচক কর্মকাণ্ডে যুক্ত রাখে।

অন্যদিকে, আইটিপিএল ক্রিকেট এ প্রাইজমানি স্পন্সর করার জন্য সাধারণ সম্পাদক আতিকুল ইসলাম তন্ময় ৪২ আবর্তনকে ধন্যবাদ জানান।

মন্তব্য

আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে জবিতে বিক্ষোভ মিছিল

জবি প্রতিনিধি
জবি প্রতিনিধি
শেয়ার
আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে জবিতে বিক্ষোভ মিছিল
জবিতে বিক্ষোভ মিছিল

আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থীরা।

শুক্রবার (২১ মার্চ) জুমার নামাজের পর বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদ থেকে বিক্ষোভ মিছিল শুরু হয়ে ক্যাম্পাস ঘুরে ভিক্টোরিয়া পার্ক প্রদক্ষিণ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ফটকের সামনে অবস্থা নেন তারা। 

এসময় শিক্ষার্থীরা ‘আওয়ামী লীগের রাজনীতি, বন্ধ করো করতে হবে’ , ‘ছাত্রলীগ বাংলাদেশ, একসাথে চলে না’ ; ‘অ্যাকশন টু অ্যাকশন, ডাইরেক্ট অ্যাকশন’ ; ‘গড়িমশি বন্ধ করো, আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ করো’ ;  ‘চব্বিশের হাতিয়ার, গর্জে ওঠো আরেকবার’ বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকেন।

শাখা ছাত্র অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রায়হান রাব্বি বলেন, ‘কথা ছিলো আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করা হবে।

কিন্তু এখন বলা হচ্ছে হবে না। কেন করা হবে না। আমরা বিপ্লবীরা কি মরে গেছি? জুলাই বিপ্লবে যারা আমাদের ভাইদের পাখির মতো হত্যা করেছে তাদেরকে আমরা বেচে থাকতে এই বাংলাদেশে আওয়ামী লীগকে রাজনীতি করতে দেবো না। আমরা এখানে জড়ো হয়েছি আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে।
যতদিন না আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ হয়, আমরা আন্দোলন চালিয়ে যাবো ‘

শাখা ছাত্র শিবিরের সাধারণ সম্পাদক রিয়াজুল বলেন, ‘হাজার মায়ের বুক খালি হওয়ার মধ্য দিয়ে আমরা নতুন বাংলাদেশে বসবাস করছি। শত সহস্র ভাইয়ের রক্তে যাদের হাত রঞ্জিত, তাদের আমরা বাংলাদেশের রাজনীতি করতে দিতে চাই না। গুম, খুন সন্ত্রাসের রাজনীতি আমরা ফিরে আসতে দিতে চাই না। ইন্টেরিম সরকারকে হুঁশিয়ার করে বলে দিতে চাই আপনারা ভুলে যাবেন না, আপনার ওই ক্ষমতার চেয়ার আমার ভাইয়ের রক্তের ওপর বসে আছে।

রক্তের সাথে বেইমানি করবেন না। 

তিনি আরো বলেন, আওয়ামী লীগ আমাদের শত্রু, দেশের শত্রু। সুতরাং যারা আওয়ামী লীগের গোলামী করতে চাইবে তারাও আমাদের শত্রু হিসেবে গণ্য হবে।

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ