ঢাকা, বুধবার ১৯ মার্চ ২০২৫
৪ চৈত্র ১৪৩১, ১৮ রমজান ১৪৪৬

ঢাকা, বুধবার ১৯ মার্চ ২০২৫
৪ চৈত্র ১৪৩১, ১৮ রমজান ১৪৪৬

পাবিপ্রবির শিক্ষক জয় সাময়িক বহিষ্কার

পাবিপ্রবি প্রতিনিধি
পাবিপ্রবি প্রতিনিধি
শেয়ার
পাবিপ্রবির শিক্ষক জয় সাময়িক বহিষ্কার
সংগৃহীত ছবি

বিশ্ববিদ্যালয় অনুপস্থিত থাকার অভিযোগে পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজকর্ম বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ড. আওয়াল কবির জয়কে সাময়িক বহিষ্কার করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। শনিবার (১৫ মার্চ) বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার অফিস সূত্রে বিষয়টি জানা যায়। 

জয় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি ছিলেন। ২০০৯ সালে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রশিবিরের তৎকালীন সেক্রেটারি শরিফুজ্জামান নোমানী হত্যা মামলার আসামি ছিলেন তিনি।

জয়ের বহিষ্কার নিয়ে বুধবার রেজিস্ট্রার অফিস থেকে একটি অফিস আদেশ জারি করা হয়। অফিস আদেশে বলা হয়, ‘জনাব ড. মো. আওয়াল কবির, সহকারী অধ্যাপক, সমাজকর্ম বিভাগ, পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (পাবিপ্রবি) কর্তৃপক্ষের অনুমতি ব্যতীত গত ৭-১১-২০২৪ খ্রি. হতে কর্মস্থলে অনুপস্থিত, বিভাগীয় আদেশ অমান্যকরণ এবং মিথ্যা তথ্য প্রদান করে ভার্চুয়ালি ক্লাসের অনুমতি গ্রহণের কারণে অসংগত আচরণ, ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার আইন সংগত আদেশ অমান্যকরণ, কর্তব্য অবহেলা প্রদর্শনজনিত কার্য সংগঠন এবং পলায়নের অভিযোগের সত্যতা পাওয়া যায়। তার এহেন আচরণ সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা, ২০১৮-এর বিধি ৩(খ)(গ) অনুযায়ী শাস্তিযোগ্য অপরাধ। সে পরিপ্রেক্ষিতে, সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা, ২০১৮-এর বিধি ১২(১) অনুযায়ী অভিযুক্তকে চাকরি থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা সমীচীন মর্মে বিবেচিত হওয়ায় এতদ্দ্বারা কর্তৃপক্ষের নির্দেশক্রমে জনাব ড. মো. আওয়াল কবিরকে চাকরি হতে সাময়িক বরখাস্ত করা হলো।

৫ আগস্ট স্বৈরাচারী হাসিনার পতনের পর থেকে জয় বিশ্ববিদ্যালয়ে অনুপস্থিত ছিলেন বলে জানা গেছে। এ সময় তিনি তৎকালীন প্রশাসনের কাছে অনুমতি নিয়ে তিন মাসের জন্য অনলাইনে ক্লাস নেন। নতুন প্রশাসন আসার পর অনলাইনে ক্লাস নেওয়ার অনুমতি চাইলে সেটা দেওয়া হয়নি। গত বছর ৭ নভেম্বর থেকে তিনি লিখিতভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ে অনুপস্থিত ছিলেন।

তাকে কর্মস্থলে আসার জন্য প্রশাসন থেকে বলা হলেও তিনি প্রশাসনিক আদেশ অমান্য করে বিশ্ববিদ্যালয়ে অনুপস্থিত ছিলেন।

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

ক্ষীর

    অষ্টম শ্রেণির শারীরিক শিক্ষা ও স্বাস্থ্য বইয়ের প্রথম অধ্যায়ে তোমরা ক্ষীর সম্পর্কে পড়েছ। ভূরিভোজের পর শেষ পাতে মিষ্টি খাবার হিসেবে বেশ জনপ্রিয় বিশেষ এই পদ
অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
ক্ষীর

কোনো গভীর বা ঘনিষ্ঠ অবস্থা বোঝাতে আমরা প্রায়ই বলি বিষয়টি জমে ক্ষীর। দুধকে আগুনে জ্বাল দিয়ে শুকিয়ে ধীরে ধীরে ক্ষীর বানানো হয়। অর্থাৎ দুধের ঘনীভূত অবস্থা বা জমে যাওয়া অবস্থাটিই ক্ষীর। এখানেই শেষ না! রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ভাইপো অবনীন্দ্রনাথ আঁকাআঁকির কারণে খ্যাতি পেয়েছিলেন।

তবে স্বয়ং রবীন্দ্রনাথ তাঁকে সাহিত্যকর্মে মন দেওয়ার জন্য উৎসাহিত করতেন। উৎসাহিত হয়ে তিনি প্রথমে লিখেছিলেন ‘শকুন্তলা’। এরপর ১৮৯৬ খ্রিস্টাব্দে প্রকাশিত হয় তাঁর রূপকথাধর্মী গ্রন্থ ‘ক্ষীরের পুতুল’। শিশুসাহিত্যে বিশেষ স্থান দখল করে রাখা এই সাহিত্যকর্ম পরবর্তী সময়ে ইংরেজি, ফরাসি, সুইডিশ, হিন্দি, মারাঠিসহ বিভিন্ন ভাষায় অনূদিত হয়।

আরো পড়ুন
চিরিরবন্দরে বসুন্ধরা শুভসংঘের উদ্যোগে আজান প্রতিযোগিতা

চিরিরবন্দরে বসুন্ধরা শুভসংঘের উদ্যোগে আজান প্রতিযোগিতা

 

বাঙালির ক্ষীরপ্রেমের শিকড় সুদূর অতীতে। ধারণা করা হয়, ভারতীয় উপমহাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলে প্রাচীনকাল থেকেই ক্ষীর তৈরি হয়ে আসছে। বিশেষ করে মোগল আমলে এই খাবার রাজকীয় পদ হিসেবে উচ্চ মর্যাদা পায়। তখন দুধ ঘন করে রান্না করে নানা রকম বাদাম ও মসলা মিশিয়ে এটি পরিবেশন করা হতো।

পরবর্তী সময়ে বিভিন্ন অঞ্চলে নিজস্ব স্বাদ ও রীতি অনুসারে তৈরি হতে থাকে বৈচিত্র্যময় ক্ষীর। কোনো অঞ্চলে লালচে রঙের পায়েসের মতো ক্ষীর জনপ্রিয়। আবার কোথাও একদম ঘন মালাইয়ের মতো ক্ষীর বেশি প্রিয়। ক্ষীর তৈরির প্রধান উপাদান হলো দুধ। দুধকে ধীরে ধীরে ঘন করে তাতে চাল, চিনি, গুড় বা কনডেন্সড মিল্ক মেশানো হয়।

আরো পড়ুন
‘কন্যা’-য় মজেছেন দর্শক, মুগ্ধ মেহজাবীন-তিশারাও

‘কন্যা’-য় মজেছেন দর্শক, মুগ্ধ মেহজাবীন-তিশারাও

 

তারপর এটি ধীর আঁচে রান্না করে তৈরি করা হয় ঘন ও সুগন্ধি একটি মিশ্রণ। স্বাদ বাড়াতে অনেকে কাজুবাদাম, পেস্তাবাদাম, কিশমিশ কিংবা এলাচ-দারচিনির মতো মসলা যোগ করে। ঈদ, পূজা, নববর্ষ কিংবা বিয়েসহ বিভিন্ন সামাজিক ও পারিবারিক অনুষ্ঠানের ভূরিভোজে ক্ষীর না হলে চলে!

অনেকে পায়েস, ফিরনি ও ক্ষীরকে একই পদ ভেবে ভুল করে। পায়েস কিছুটা পাতলা হয়, অন্যদিকে ফিরনি আঠালো দেখতে। ক্ষীর হয় একেবারেই জমাট এবং এতে চালের দানাগুলো ভালোভাবে সিদ্ধ হলেও আস্ত থাকে। ক্ষীরের তৈরি অনেক মিষ্টি আমাদের দেশে জনপ্রিয়, বিশেষ করে ক্ষীর কদম, কানসাট, ক্ষীরের বরফি, পাতক্ষীর, ক্ষীরের পুতুল নিয়ে মাতামাতির শেষ নেই।

আল সানি

মন্তব্য

পবিপ্রবিতে সাবেক উপাচার্যের ছেলেসহ ৬ কর্মকর্তা চাকরিচ্যুত

রফিকুল ইসলাম, বরিশাল
রফিকুল ইসলাম, বরিশাল
শেয়ার
পবিপ্রবিতে সাবেক উপাচার্যের ছেলেসহ ৬ কর্মকর্তা চাকরিচ্যুত
ফাইল ছবি

পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (পবিপ্রবি) সা‌বেক উপাচার্য অধ্যাপক স্বদেশ চন্দ্র সামন্তের ছেলে শাওন চন্দ্র সামন্ত তনুসহ ৬ কর্মকর্তাকে সাময়িকভাবে চাকরিচ্যুত (বরখাস্ত) করা হয়েছে। উচ্চ আদালতের নির্দেশে তাদের বরখাস্ত করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এছাড়া আরো ২৬ কর্মচারীকে সাময়িকভাবে চাকরীচ্যুতের বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। 

পবিপ্রবির উপাচার্য অধ্যাপক ড. কাজী রফিকুল ইসলাম কালের কণ্ঠকে বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) অনুমোদন না নিয়েই কর্মকর্তা-কর্মচারী পদে নিয়োগ প্রকাশ করা হয়েছিল।

উচ্চ আদালতের নির্দেশে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন তদন্ত করে অনিয়মের সত্যতা পেয়েছে। সে অনুযায়ী ৬ কর্মকর্তাকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে। ইউজিসির অনুমোদন না থাকায় ওই কর্মকর্তারা সাময়িক বরখাস্তকালীন সময় খোরপোষও পাবেন না। 

উপাচার্য আরো বলেন, শুধু কর্মকর্তা নন, কর্মচারী নিয়োগে অনিয়মের বিষয়টি তদন্তে উঠে এসেছে।

অনেকেরই ফাইলে প্রয়োজনীয় তথ্য পাওয়া যাচ্ছে না। যাদের কাগজ পাওয়া যাচ্ছে, তাদের মধ্যে অন্তত ২৬ জন কর্মচারীর বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থা (সাময়িক বরখাস্ত) গ্রহণের বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। চাকরিচ্যুতির বিষয়টি উচ্চ আদালতকে লিখিতভাবে জানানো হবে। আদালতের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী পরবর্তীতে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
 

উপাচার্যের ছেলে ছাড়া চাকুরিচ্যুতরা বাকি কর্মকর্তারা হলেন— পবিপ্রবি কর্মকর্তা সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও উপ-রেজিস্ট্রার জসিম উদ্দিন বাদলের স্ত্রী আয়েশা সিদ্দিকা, পবিপ্রবি কর্মকর্তা সমিতির সভাপতি সাইদুর রহমান জুয়েলের ভাই মো. আরিফুর রহমান পিয়েল, পবিপ্রবি শাখা ছাত্রলীগের সম্পাদক মেহেদী হাসান তারেকের ভাই মো. হাফিজুর রহমান, দুমকি উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবুল কালাম আজাদের ছেলে তানভীর হাসান স্বাধীন এবং জেলা যুবলীগের সম্পাদকের সৈয়দ সোহেলের স্ত্রী তাকছিনা নাজনীন। 

দুমকি উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবুল কালাম আজাদের ছেলে তানভীর হাসান স্বাধীন সেকশন অফিসার পদে কর্মরত ছিলেন। তিনি মুঠোফোনে কালের কণ্ঠকে বলেন, ২৭ ফেব্রুয়ারি তাকে সাময়িক বরখাস্ত করার অফিস আদেশ দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। সেইসঙ্গে কেন তাকে স্থায়ীভাবে বরখাস্ত করা হবে না মর্মে কারণ দর্শানোর নোটিশও দেওয়া হয়েছে। বুধবার তিনি জবাব দিয়েছেন।

 

জানা গেছে, ২০২২ সালের ১৬ নভেম্বর এবং এর আগের কয়েকটি নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে মোট ৩৯টি পদের বিপরীতে ২০২৩ সালের ২ ডিসেম্বর রিজেন্ট বোর্ডে ৫৮ জনকে নিয়োগ দেওয়া হয়। ২০২২ সালের ১৭ অক্টোবরের বিজ্ঞপ্তিতে সেকশন অফিসার পদে তিনজনকে নিয়োগের কথা উল্লেখ ছিল। সেকশন অফিসার পদে ২০২৩ সালের ২ ডিসেম্বর  রিজেন্ট বোর্ডের ৫২তম সভায় তাদের চূড়ান্ত নিয়োগ দেওয়া হয়। নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে ৩ জন নিয়োগ দেওয়ার কথা থাকলেও বাছাই বোর্ড ৬ জনকে নিয়োগের জন্য সুপারিশ করে। ওইদিন সবাই তড়িঘড়ি করে যোগদান করেন। কিন্তু ২০০৮ সালে ইউজিসির অনুমোদিত অর্গানোগ্রামে বিশ্ববিদ্যালয়ে সেকশন অফিসারের পদ রয়েছে ৩০টি, কিন্তু বিভিন্ন সময়ে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে ৪৮ জনকে।

পবিপ্রবির সেকশন অফিসারসহ বিভিন্ন পদের নিয়োগ কেন অবৈধ হবেনা তার কারণ জানতে সাবেক উপাচার্য ও রেজিস্ট্রারসহ চারজনের বিরুদ্ধে গতবছরের ২৮ আগস্ট হাইকোর্ট রুল জারি করে। শামসুল হুদা রিফাত নামের এক চাকরি প্রত্যাশীর দায়েরকৃত রিট পিটিশনের শুনানি শেষে উচ্চ আদালত ওই রুল দেন। সে অনুযায়ী বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন। সে অনুযায়ী বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ২৭ ফেব্রুয়ারি ৬ কর্মকর্তাকে সাময়িক বরখাস্ত করে। 

মন্তব্য
জুলাই আন্দোলনে হামলা

জাবির ২৮৯ ছাত্রলীগের নেতাকর্মী বহিষ্কার, সাময়িক বরখাস্ত ৯ শিক্ষক

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি
শেয়ার
জাবির ২৮৯ ছাত্রলীগের নেতাকর্মী বহিষ্কার, সাময়িক বরখাস্ত ৯ শিক্ষক

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ঘটনায় ২৮৯ জন ছাত্রলীগ নেতাকর্মীকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে। এ ছাড়া হামলায় মদদদাতার অভিযোগে ৯ জন শিক্ষককে চাকরি থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।

সোমবার (১৭ মার্চ) দিবাগত রাত ৩টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সভা শেষে উপাচার্য অধ্যাপক মোহাম্মদ কামরুল আহসান এসব তথ্য নিশ্চিত করেন। এর আগে, এদিন বেলা ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন প্রশাসনিক ভবনের কাউন্সিল কক্ষে সিন্ডিকেট সভা শুরু হয়।

উপাচার্য অধ্যাপক মোহাম্মদ কামরুল আহসান বলেন, ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে জাবি শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ঘটনায় ২৮৯ জন ছাত্রলীগ নেতাকর্মীকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে। এ ছাড়া একটি অধিকতর তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। ওই ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের মধ্যে, যাদের ছাত্রত্ব শেষ তাদের সনদ স্থগিত করা হবে, যারা পরীক্ষা ও ভাইভা দিয়েছে তাদের ফলাফল স্থগিত করা হবে এবং নিয়মিত শিক্ষার্থীদের সাময়িক বহিষ্কার করা হবে।

তিনি বলেন, ‘আন্দোলন চলাকালে বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগ ও পুলিশি হামলায় সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে ৯ জন শিক্ষককে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।

প্রাথমিক তদন্তে আরো কয়েকজন শিক্ষকের বিরুদ্ধে হামলায় জড়িত থাকার অভিযোগ পাওয়া গেছে। তাদের বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য-প্রমাণ সংগ্রহ করতে স্ট্রাকচার্ড কমিটি গঠন করা হয়েছে।’

এদিকে হামলার ঘটনায় অভিযুক্তদের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের তৎকালীন উপাচার্য অধ্যাপক মো. নূরুল আলম এবং রেজিস্ট্রার আবু হাসান অবসরে চলে যাওয়ায় তাদের পেনশন সুবিধা বাতিলের সিদ্ধান্ত হয়েছে।

অন্যদিকে শিক্ষার্থীদের দাবির প্রেক্ষিতে বিশ্ববিদ্যালয়ে শেখ পরিবারের কয়েকজন সদস্যর নামে থাকা স্থাপনার নাম বাতিলের সিদ্ধান্ত হয়েছে।

সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হল, শেখ রাসেল হল এবং শেখ হাসিনা হলের নাম পরিবর্তন করা হবে বলে জানা গেছে। এ ছাড়া ১৫ জুলাইয়ের রাত জাবিতে কালোরাত হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে।

মন্তব্য

জবি ছাত্রীকে হেনস্তা, ভিক্টর পরিবহনের ১০ বাস আটক

জবি প্রতিনিধি
জবি প্রতিনিধি
শেয়ার
জবি ছাত্রীকে হেনস্তা, ভিক্টর পরিবহনের ১০ বাস আটক
ছবি: কালের কণ্ঠ

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীকে হেনস্তার ঘটনায় ভিক্টর ক্লাসিক পরিবহনের ১০ বাস আটকে দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। সোমবার (১৭ মার্চ) রাত সোয়া ৯টার দিকে বাসগুলো আটকে দেন শিক্ষার্থীরা।

জানা যায়, জবির ইংরেজি বিভাগের এক ছাত্রী গুলিস্তান থেকে বাসে ওঠার সময় তাকে হেনস্তা করেন ওই বাসের হেলপার। বাসের অন্যান্য যাত্রীদেরকে বিষয়টি জানালেও কেউ কর্ণপাত করেননি।

ওই ছাত্রী বিশ্ববিদ্যালয়ে এসে তার বন্ধুদেরকে জানালে তারা ভিক্টর ক্লাসিকের বাসগুলো আটকে রাখেন। তবে হেনস্তাকারী হেলপার ও বাসটিকে পাওয়া যায়নি।

এ বিষয়ে ওই শিক্ষার্থীর বন্ধু সিফাত সাকিব বলেন, আমাদের ব্যাচের এক ফ্রেন্ডকে গুলিস্তান থেকে বাসে ওঠার সময় হেনস্তা করা হয়। আমরা ওই বাসের হেলপার এবং বাসটিকে আর পাইনি।

এজন্য আমরা ভিক্টর ক্লাসিকের দশটি বাস আটকে রেখেছি।

ঘটনার বর্ণনা দিয়ে ওই নারী শিক্ষার্থী বলেন, আমরা প্রায়ই শুনি আমাদের বোনেরা এমন হেনস্তার শিকার হয়। আমি এ ঘটনার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই। আমি যে হেনস্তার শিকার হয়েছি তা যেন আর কোনো মেয়ে না হয়।

প্রসঙ্গত, এর আগে গত বছরের অক্টোবরেও ভিক্টর ক্লাসিক বাসে হেনস্তার শিকার হন জবির আরেক ছাত্রী। এ ঘটনায় ১১ বাস আটকে দেন শিক্ষার্থীরা।

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ