কম খরচে আমেরিকান মেডিক্যাল ডিগ্রির সূবর্ণ সুযোগ

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
কম খরচে আমেরিকান মেডিক্যাল ডিগ্রির সূবর্ণ সুযোগ
সংগৃহীত ছবি

আমেরিকায় মেডিক্যাল পড়া একটি স্বপ্নের বিষয়। কারণ, সেখানে পড়তে খরচ হয় প্রতিবছর ৬০ থেকে ৭০ হাজার ডলার। এবারে আমেরিকার সমুদ্রতীরবর্তী আর্কএঞ্জেল ইউনিভার্সিটি নিয়ে আসছে সেই সুযোগ, যেখানে বছরে মাত্র ১৫ হাজার ডলারে সেই স্বপ্ন পূরণ করতে পারছেন মেডিক্যাল শিক্ষার্থীরা।

স্কলারশিপ সুবিধা ও কম খরচের সুযোগ

মেডিক্যাল শিক্ষার প্রথম বছরে শিক্ষার্থীদের জন্য রয়েছে ৫ হাজার ডলারের স্কলারশিপ।

ফলে, প্রথম বছরে মাত্র ১০ হাজার ডলার ব্যয় করলেই হবে।

ভিসা হওয়ার পর ১ম বছরের টিউশন ফি-এর অর্ধেক দিয়ে পড়া শুরু করা যাবে এবং বাকী অর্ধেক ৬ মাস পর পরিশোধ করা যাবে।

এই সকল সুবর্ণ সুযোগ শিক্ষার্থীদের মেডিক্যাল ক্যারিয়ার গড়ার পথকে আরো সহজ ও সাশ্রয়ী করে তুলেছে।

চমৎকার শিক্ষার পরিবেশ

ক্যারাবিয়ান সাগরের নয়নাভিরাম সৌন্দর্যের মাঝে এন্টিগায় অবস্থিত আর্কএঞ্জেল ইউনিভার্সিটিটি একটি বিশ্বমানের মেডিক্যাল শিক্ষা ও গবেষণার স্থল, যেখানে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও কানাডার স্বাস্থ্য ব্যবস্থা সমন্বিত পাঠ্যক্রম।

সেখানে শিক্ষার্থীরা ৬ বছর পড়াশুনা করতে পারবে এবং শেষের ২ বছর যুক্তরাষ্ট্র, ইউকে কিংবা কানাডায় ক্লিনিক্যাল রোটেশনের সুযোগ পাবে, যা শিক্ষার্থীদের বাস্তব অভিজ্ঞতা অর্জনে সহায়তা করবে।

এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ USMLE পরীক্ষার প্রস্তুতির জন্য বিশেষ সহায়তা প্রদান করবে, যা যুক্তরাষ্ট্রে চিকিংসা পেশায় প্রবেশের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

কালের কণ্ঠ

কেন আর্কএঞ্জেল ইউনিভার্সিটি পছন্দ করবেন?

বিশ্বমানের মেডিক্যাল শিক্ষা ও গবেষণা- আর্কএঞ্জেল ইউনিভার্সিটির মেডিক্যাল শিক্ষা ও গবেষণার এই ক্ষেত্রটি যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও কানাডার স্বাস্থ্য ব্যবস্থা সমন্বিত পাঠ্যক্রম অন্তর্ভুক্ত।

আধুনিক ল্যাব ও লাইব্রেরীর সুবিধা- ইউনিভার্সিটির লাইব্রেরিতে চিকিৎসা, সাহিত্য, জার্নাল এবং ডিজিটাল রিসোর্সের বিস্তৃত সংগ্রহ রয়েছে, যা গবেষণা ও অধ্যয়নের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ একাডেমিক কেন্দ্র হিসেবে শিক্ষাথীদের পাশে রয়েছে সর্বক্ষণ।

শিক্ষার উন্নত ব্যবস্থা- শিক্ষার্থীদের দক্ষ হিসেবে গড়ে তুলতে হাতে কলমে শিক্ষার পাশাপাশি 3D অ্যানাটমিক্যাল ভিজ্যুয়ালাইজেশনের মাধ্যমেও শিক্ষা দেয়া হয়ে থাকে।

AI বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহার- AI ব্যবহার করে শিক্ষার্থীদের মতামত সংগ্রহ এবং ডাটা বিশ্লেষণের মাধ্যমে প্রতিটি শিক্ষার্থীর উপযোগী করে উন্নত শিক্ষা প্রদান।

বিশ্বমানের তালিকাভুক্ত - এন্টিগুয়া ও বারবুডা সরকারের পূর্ণ সমর্থন রয়েছে এই আর্কএঞ্জেল ইউনিভার্সিটির ওপর, যা আর্কএঞ্জেল ইউনিভার্সিটিকে করে তুলেছে বিশ্বমানের তালিকাভুক্ত।

ছাত্র ও শিক্ষকের অনুপাত কম - আর্কএঞ্জেল ইউনিভার্সিটিতে শিক্ষক ও ছাত্রের অনুপাত কম হওয়ায় ছাত্র ও শিক্ষকের মাঝে থাকবে এক সুসম সম্পর্ক।

কালের কণ্ঠ

মেডিক্যাল শিক্ষার্থীরা কি কি আন্তর্জাতিক সুবিধা পাবেন?

অধ্যয়নের শেষ ২ বছর যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য কিংবা কানাডায় সরাসরি ক্লিনিক্যাল রোটেশনের সুযোগ রয়েছে।

আমেরিকান মেডিক্যাল লাইসেন্স (USMLE) পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতি ও সাহযোগীতা রয়েছে।

আর্কএঞ্জেল ইউনিভার্সিটিতে ভর্তি সুবিধা কি থাকছে

IELTS স্কোর এর প্রয়োজন নেই। শুধু ইংরেজীতে দক্ষতা থাকলেই যথেষ্ট।

NRBC ব্যাংকের স্টুডেন্ট লোন অ্যাকাউন্ট খোলার সুবিধা রয়েছে। এটি পড়াশুনার খরচ বহনে সহায়ক হবে।

ফি পরিশোধেও থাকছে বিশেষ সুবিধা। যেমন ভিসা প্রসেসিং ফি মাত্র ২৫০ ডলার। ভিসা পাওয়ার পর ১ম বছরের টিউশন ফি-র অর্ধেক মাত্র পরিশোধ করতে হবে। বাকী অর্ধেক ৬ মাস পর পরিশোধ করা যাবে।

আবেদনকারীকে বিজ্ঞান বিভাগের হতে হবে। GPA-তে ৪ থাকলেই প্রি-মেডিক্যাল প্রোগ্রামে আবেদন করা যাবে।
 

কালের কণ্ঠ

আবেদন করবেন যেভাবে

Arkangel University- এর ওয়েবসাইটে আবেদন করতে হবে। (www.arkangel.org.ag)। এজন্য প্রাইম একাডেমি বাংলাদেশ অফিসে সরাসরি যোগাযোগ করতে হবে।

প্রাথমিক আবেদন সম্পন্ন করে ইন্টারভিউ-তে অংশগ্রহণ করতে হবে।

ভিসা পাওয়ার পর ১ম বছরের টিউশন ফি-র অর্ধেক দিয়ে ভর্তি নিশ্চিত করতে হবে।

কালের কণ্ঠ

আন্তর্জাতিক মেডিক্যাল মার্কেটে কাজ করার অপার সম্ভাবনা নিয়ে আর্কএঞ্জেল বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের মেডিক্যাল পড়ার স্বপ্ন পূরণে এগিয়ে এসেছে এবং খুলে দিয়েছে বিশ্বব্যাপী নতুন দিগন্ত। আসন সীমিত বলে আগ্রহী শিক্ষার্থীরা অতি দ্রুত আবেদন করা প্রয়োজন।

বাংলাদেশে যোগাযোগ: প্রাইম একাডেমি, সুইট ৫০৪০, লিফট ৫, সীমান্ত সম্ভার, বিজিবি গেট, রোড ২, ধানমন্ডি, ঢাকা-১২১৫, মোবাইল নম্বর- ০১৩০০২৯০৪৯২।

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

সুস্বাদু আইসক্রিম

    সপ্তম শ্রেণির বাংলা বইয়ের ‘সেই ছেলেটি’ নাটিকায় তোমরা ‘আইসক্রিম’ সম্পর্কে পড়েছ। হিমায়িত মিষ্টিজাতীয় সুস্বাদু খাবার এটি—
সাদিয়া আফরিন হীরা
সাদিয়া আফরিন হীরা
শেয়ার
সুস্বাদু আইসক্রিম
ভ্যানিলা, চকোলেট, স্ট্রবেরি ফ্লেভারের আইসক্রিম বেশি জনপ্রিয়। ছবি : সংগৃহীত

গরমের দিনে রোদে হাঁটতে হাঁটতে হঠাৎ যদি তোমার হাতে একটা ঠাণ্ডা আইসক্রিম এসে যায়, কেমন লাগবে? আহা! দারুণ, তাই না? হিমায়িত মিষ্টিজাতীয় খাদ্য আইসক্রিম। সাধারণত এটি দুধ, ক্রিম, চিনি এবং বিভিন্ন ফ্লেভার মিশিয়ে তৈরি করা হয়। আইসক্রিমের ইতিহাস অনেক পুরনো। এর উৎপত্তি নিয়ে নানা মত প্রচলিত।

ধারণা করা হয়, চীনে প্রথম আইসক্রিম তৈরি হয়েছিল। তাং রাজবংশের (৬১৮-৯০৭ খ্রিস্টাব্দ) সময় রাজকন্যারা বরফের বিশেষ একটি খাবার উপভোগ করতেন, যা দুধ, ময়দা ও কর্পূর দিয়ে প্রস্তুত করা হতো। এরও আগে প্রায় ২০০ খ্রিস্টপূর্বে, দুধ ও চাল বরফের সঙ্গে মিশিয়ে খাওয়ার প্রচলন ছিল।

পারস্যবাসী বরফ সংরক্ষণ করে ফল, গোলাপজল এবং অন্যান্য উপাদান মিশিয়ে ‘ফালোডেহ’ নামে এক ধরনের হিমায়িত মিষ্টান্ন তৈরি করত, যা আজও ইরানে জনপ্রিয়।

বিখ্যাত অভিযাত্রী মার্কো পোলো চীন থেকে হিমায়িত মিষ্টির ধারণা ইতালিতে নিয়ে আসেন, যা ইউরোপজুড়ে ছড়িয়ে পড়ে এবং পরে বিশ্বব্যাপী জনপ্রিয় হয়।

তবে যেকোনো হিমায়িত মিষ্টি স্বাদযুক্ত খাবারকেই আইসক্রিম বলা যাবে না। অন্তত ১০ শতাংশ দুগ্ধজাত চর্বি বা মিল্কফ্যাট থাকলেই শুধু তাকে আইসক্রিম বলা যাবে। ভ্যানিলা, চকোলেট, স্ট্রবেরি ফ্লেভারের আইসক্রিম সবচেয়ে জনপ্রিয়।

এর বাইরে পৃথিবীতে এমন কিছু আইসক্রিম আছে, যেগুলোর নাম শুনলেই চমকে উঠবে। যেমন—রসুন আইসক্রিম। ক্যালিফোর্নিয়ার গিলরয় নামের একটি শহরে এই আইসক্রিম জনপ্রিয়। এতে মিষ্টির সঙ্গে কাঁচা রসুনের ঝাঁঝালো স্বাদ পাওয়া যায়। ভারতের কিছু জায়গায় কাঁচা মরিচ আইসক্রিমের দেখা মেলে।

যারা ঝাল পছন্দ করে তাদের জন্য এই আইসক্রিমই সেরা। এ ছাড়া ফ্রান্সের ব্লু চিজ আইসক্রিম, জাপানের অক্টোপাস আইসক্রিম ও স্কুইড ইংক আইসক্রিম এবং মেক্সিকোর ক্যাকটাস আইসক্রিম উল্লেখযোগ্য।

১৬৮৬ সালে ফ্রান্সের প্যারিসে প্রথম আইসক্রিমের দোকান চালু হয়। বিশ্বের সবচেয়ে বড় আইসক্রিম স্কুপ তৈরি হয়েছিল ২০১৪ সালে ক্যালিফোর্নিয়ায়, যার ওজন ছিল প্রায় এক হাজার ৩৬৫ কেজি! বিশ্বের সবচেয়ে দামি আইসক্রিমের নাম ‘বিয়াকুয়া’, যা জাপানে তৈরি হয়। গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস অনুসারে, এই আইসক্রিমের প্রতি স্কুপের দাম প্রায় ৮৮০,০০০ ইয়েন, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় সাত লাখ টাকা!

মন্তব্য
সাক্ষাৎকার : অধ্যাপক ড. মো. শামছুল আলম

সবাইকে নিয়ে একটি আন্তর্জাতিক মানের বিশ্ববিদ্যালয় গড়ার কাজ করছি

সাক্ষাৎকার নিয়েছেন মো. সাইফুল ইসলাম
সাক্ষাৎকার নিয়েছেন মো. সাইফুল ইসলাম
শেয়ার
সবাইকে নিয়ে একটি আন্তর্জাতিক মানের বিশ্ববিদ্যালয় গড়ার কাজ করছি
অধ্যাপক ড. মো. শামছুল আলম

অধ্যাপক ড. মো. শামছুল আলম ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগ থেকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেন। তিনি স্নাতক ও স্নাতকোত্তরে প্রথম শ্রেণিতে প্রথম হয়েছিলেন। ২০০৮ সালে তিনি একই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি অর্জন করেন। শামছুল আলম ২০০০ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামিক স্টাডিজ প্রভাষক হিসেবে যোগ দেন এবং ২০১২ সালে অধ্যাপক পদে উন্নীত হন।

তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলে প্রভোস্ট ও ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের চেয়ারম্যান ছিলেন। তার ৩১টি গবেষণা প্রবন্ধ রয়েছে। তার তত্ত্বাবধানে ৬ জন পিএইচডি এবং ৭ জন এমফিল ডিগ্রি অর্জন করেছেন। ২০২৪ সালের ১৯ সেপ্টেম্বর ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন তিনি।

 

কালের কণ্ঠ : ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয়কে কেমন অবস্থায় পেয়েছিলেন? বর্তমান অবস্থা কেমন?

ড. মো. শামছুল আলম : বিগত সরকারের শাসনামলে দেশের অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের মতো ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয়কেও ধ্বংস করা হয়েছিল। সেখান থেকে এ বিশ্ববিদ্যালয়কে টেনে তোলার চেষ্টা করছি। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারীসহ সব অংশীজনকে সঙ্গে নিয়ে এ বিশ্ববিদ্যালয়কে একটি আন্তর্জাতিক মানের বিশ্ববিদ্যালয়ে উন্নীত করার কাজ করছি।  

কালের কণ্ঠ : ইআবি এখনো ভাড়া বাসায় কার্যক্রম পরিচালনা করছে।

স্থায়ী ক্যাম্পাস নির্মাণ কত দূর?

ড. মো. শামছুল আলম : ঢাকার কেরানীগঞ্জ থানাধীন ঘাটারচর ও মধ্যেরচর এলাকায় ১৭ একর জমিতে নির্মিত হবে ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থায়ী ক্যাম্পাস। পুরো প্রজেক্টের কাজটি বাস্তবায়ন করছে সরকার। সেখানে কিছু আমলাতান্ত্রিক জটিলতা রয়েছে। আমি দায়িত্ব গ্রহণের পর পুরো ১৭ একর জমি বালু দিয়ে ভরাট করা হয়েছে। জমির বাউন্ডারির কাজ হয়েছে প্রায় ৮০ ভাগ।

কালের কণ্ঠ : স্থায়ী ক্যাম্পাসে কী কী থাকবে?

ড. মো. শামছুল আলম : একটি বড় আকারের ১০ তলা ভবন হবে। যেখানে একাডেমিক ও প্রশাসনিক কার্যক্রম চলবে। স্থায়ী ক্যাম্পাসে একটি বড় মসজিদ হবে। আর তিন একর জায়গাজুড়ে নির্মিত হবে আরবি ভাষা ইনস্টিটিউট। সৌদি আরবের অর্থায়নে এই ইনস্টিটিউট নির্মিত হবে। 

কালের কণ্ঠ : ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয় অনেকাংশে পরীক্ষাকেন্দ্রিক...

ড. মো. শামছুল আলম : আমরা এ বিষয়ে দৃষ্টি দিয়েছি। বৃহৎ পরিসরে গবেষণা কার্যক্রম পরিচালনার উদ্যোগ নিয়েছি। আমরা আগামীতে অনেকগুলো জার্নাল বের করব। ইতিমধ্যে বেশ কিছু প্রবন্ধ জমা হয়েছে। দেশ-বিদেশের ভালো মানের অনেক গবেষক আমাদের সঙ্গে কাজ করছেন। 

কালের কণ্ঠ : ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয় এমফিল-পিএইচডি প্রগ্রাম চালু করবে?

ড. মো. শামছুল আলম : আমরা এমফিল-পিএইচডি দেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছি। এ জন্য নীতিমালাও চূড়ান্ত হয়েছে। খুব দ্রুত এ বিষয়ে সার্কুলার দেওয়া হবে। আশা করি, ভালো সাড়া পাব। 

কালের কণ্ঠ : ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীন মাদরাসাগুলোর শিক্ষার মান নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে...

ড. মো. শামছুল আলম : আমরা মাদরাসাগুলোকে কোয়ালিটি বাড়ানোর কাজে উদ্বুদ্ধ করছি। আগামীতে শুধু এই লক্ষ্যে সভা-সেমিনার করা হবে। এ বিষয়ে পুঙ্খানুপুঙ্খ তথ্য চাই। আসলে কেন এমন হচ্ছে। এ কাজে বিশেষজ্ঞদের নিয়োজিত করা হবে। এ ছাড়া বিগত ১৫ বছর চাকরির ক্ষেত্রে মাদরাসা শিক্ষার্থীরা বঞ্চিত হয়েছে। এটাও শিক্ষার মান ও শিক্ষার্থী কমে যাওয়ার ক্ষেত্রে প্রভাব ফেলতে পারে। আমরা মাদরাসা শিক্ষকদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করব। শিক্ষার্থীদেরে মধ্যে এই আস্থা তৈরির চেষ্টা করব যে তারা যোগ্য ও দক্ষ হলে চাকরির বাজারে আর বৈষম্যের শিকার হবে না। আশা করি, আগামীতে মাদরাসা শিক্ষার মানোন্নয়নের বিষয়গুলো সুষ্পষ্ট হবে। 

কালের কণ্ঠ : মাদরাসাগুলোতে নিয়মিত ক্লাস হয় না, পরীক্ষায় অনিয়মের কথাও শোনা যায়।

ড. মো. শামছুল আলম : আমরা ধীরে ধীরে একটি সিস্টেম গড়ে তুলব মাদরাসাগুলোর জন্য। সেখানে শিক্ষার্থীদের নির্দিষ্টসংখ্যক ক্লাসে উপস্থিতি বাধ্যতামূলক করা হবে। পরীক্ষায় অনিয়ম বন্ধে আমরা ইতিমধ্যে কঠোর নির্দেশনা দিয়েছি। প্রয়োজনে কেন্দ্র বাতিলের সিদ্ধান্তও নেওয়া হবে।

কালের কণ্ঠ : মাদরাসা শিক্ষার্থীদের দক্ষতা উন্নয়নে প্রফেশনাল কোর্স করানোর উদ্যোগ আছে কি?

ড. মো. শামছুল আলম : আগামীতে আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্যোগে বিভিন্ন ভাষাসহ ভিন্ন ভিন্ন বিষয়ে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হবে। সেখানে প্রশিক্ষণার্থীদের জন্য আবাসিক সুবিধাও রাখা হবে।

কালের কণ্ঠ : ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল চ্যালেঞ্জ কী?

ড. মো. শামছুল আলম : দেখুন, আমরা দেড় হাজার মাদরাসা নিয়ে কাজ করি। এই বিপুলসংখ্যক প্রতিষ্ঠানে কাজগুলো সমন্বয় করতে যতসংখ্যক জনবল থাকা দরকার, তা আমাদের নেই। ফলে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে সুষ্ঠুভাবে কাজগুলো পরিচালনা করা অনেকটাই কঠিন। তবে আমরা চেষ্টা করছি সমন্বিতভাবে কাজ করার। একই সঙ্গে জনবল নিয়োগের জন্যও কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে।

কালের কণ্ঠ : আপনার মেয়াদের শেষে ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয়কে কোথায় দেখতে চান?

ড. মো. শামছুল আলম : দুর্নীতিমুক্ত, স্বচ্ছতার সঙ্গে পরিচালিত, বিশ্বমানের একটি বিশ্ববিদ্যালয় আমার স্বপ্ন। মাদরাসা শিক্ষার উন্নয়নে সবার সহযোগিতা নিয়ে ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয়কে একটি আন্তর্জাতিক মানের বিশ্ববিদ্যালয়ে পরিণত করব ইনশাআল্লাহ।

কালের কণ্ঠ : সময় দেওয়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।

ড. মো. শামছুল আলম : আপনাকেও ধন্যবাদ। কালের কণ্ঠের জন্য শুভ কামনা।

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

দাখিল পরীক্ষার সূচি পরিবর্তন, নতুন রুটিন প্রকাশ

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
শেয়ার
দাখিল পরীক্ষার সূচি পরিবর্তন, নতুন রুটিন প্রকাশ
ফাইল ছবি

এসএসসির পর এবার ২০২৫ সালের দাখিল পরীক্ষার সময়সূচি পরিবর্তন করে নতুন রুটিন প্রকাশ করা হয়েছে। বুধবার (২৬ মার্চ) মাদারাসা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ কামরুল আহসানের সই করা সংশোধিত সময়সূচি প্রকাশ করা হয়।

আগামী ১০ এপ্রিল এ পরীক্ষা শুরু হবে। প্রথম দিন অনুষ্ঠিত হবে কুরআন মাজিদ ও তাজভিদ বিষয়ের পরীক্ষা।

নতুন সূচিতে দুটি পরিবর্তন আনা হয়েছে। নতুন সূচি অনুযায়ী, ২০ এপ্রিলের বাংলা প্রথমপত্র পরীক্ষা এক দিন পিছিয়ে ২১ এপ্রিল অনুষ্ঠিত হবে। এ ছাড়া উচ্চতর গণিত (তত্ত্বীয়) ১২ মের পরিবর্তে ১৫ মে অনুষ্ঠিত হবে।

বাংলা প্রথম পত্র এবং উচ্চতর গণিত (তত্ত্বীয়)-এর পরিবর্তন ছাড়া সংশোধিত রুটিনের সঙ্গে আগে প্রকাশিত রুটিনের সব তারিখ ও সময়ের মিল রয়েছে।

এর আগে এসএসসি পরীক্ষার রুটিনেও একবার সংশোধন আনা হয়।

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

প্রতারণার ফাঁদে ৩০ হাজার টাকা খোয়া গেল জবি শিক্ষার্থীর

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি
শেয়ার
প্রতারণার ফাঁদে ৩০ হাজার টাকা খোয়া গেল জবি শিক্ষার্থীর
ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী ইমদাদুল

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) সমাজবিজ্ঞান বিভাগের ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী মো. ইমদাদুল হক। নিজের পড়াশোনার খরচ চালানোর জন্য সন্ধ্যার পর রাস্তার পাশে লুঙ্গি বিক্রি করেন। ঈদের অধিক মুনাফা লাভের আশায় কুষ্টিয়া থেকে বাবাকে নিয়ে এসে একই ব্যবসা করতে থাকেন। তবে গ্রাম থেকে আসা সহজ সরল বাবা ফাঁদে পড়ে ৩০ হাজার টাকার প্রতারণার শিকার হয়েছেন।

 

সোমবার (২৪ মার্চ) বিকালে গেন্ডারিয়ার ঘুণ্টিঘর সংলগ্ন এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। 

জানা যায়, গেন্ডারিয়া মসজিদের পাশে সাধনার গলির সামনে লুঙ্গি বিক্রি করছিল শিক্ষার্থীর বাবা। পরে একজন নারী একসঙ্গে ৩০-৪০টি লুঙ্গি কেনার কথা জানান। মানের লুঙ্গি কম থাকায় নারী আরো লুঙ্গি আনতে বলেন।

পাশে থাকা একটি দোকানের একজন ছোট ছেলের কাছে লুঙ্গি রেখে আরো লুঙ্গি আনতে যান বাবা। ফিরে এসে দোকান বন্ধ দেখেন। পরে ছেলেটি জানান, তাঁর কাছ থেকে ওই নারী লুঙ্গি নিয়ে চলে গেছে।

ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী ইমদাদুল বলেন, আমি সোমবারই গেন্দারিয়া থানায় জিডি করে আসি।

মঙ্গলবার পুলিশ নিয়ে দোকানে যাই। দোকানের সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায়, ছেলেটি নিজ হাতে লুঙ্গি নারীর হাতে তুলে দিচ্ছে। পুলিশ জানিয়েছেন, তাঁরা ফুটেজ দেখে নারীকে শনাক্ত করে ব্যবস্থা নেবেন।  

তিনি আরো বলেন, আমি ঋণ নিয়ে ৪০ হাজার টাকা নিয়ে ঈদের আগে ব্যবসা শুরু করি। ৩০-৩৫ হাজার টাকার মতো মালামাল নিয়ে গেছে।

আমি কিভাবে কি করব, বুঝতে পারছি না। ঋণ কিভাবে শোধ করব বুঝতে পারছি না।

এ ব্যাপারে ইমদাদুলের সহপাঠী হোমাইরা বলেন, ইমদাদুল নিজের পড়াশোনার খরচ চালানোর জন্যে সন্ধ্যার পরে রাস্তার পাশে লুঙ্গি বিক্রি করত। কিন্তু অত্যন্ত দুঃখের বিষয় একটি প্রতারক চক্র ওর থেকে প্রায় ৩০ হাজার টাকার লুঙ্গি নিয়ে যায়। ছেলেটা অনেকটা অসহায় হয়ে পড়েছে। আমরা সবাই গ্রামে চলে এসেছি। তাই কেউ ওর কাছে যেতেও পারছি না। পুলিশের কাছে দাবি জানাই, দ্রুত অপরাধীকে শনাক্ত করুন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের নাট্যকলা বিভাগের শিক্ষার্থী তাকরিম আহমেদ বলেন, মঙ্গলবার আমরা ৪ জন ইমদাদুলকে নিয়ে গেন্ডারিয়া থানায় যাই। সেখান থেকে পুলিশকে সঙ্গে নিয়ে ঘটনাস্থলে যাই। সিসিটিভি ফুটেজ দেখি। সিসিটিভি ফুটেজ এবং দোকানে থাকা ছেলের কথাবার্তায় কিছু অসামঞ্জস্যতা পাওয়া যায়। তবে ঘটনা দেখে দোকানিকে দায়ীও করা যাচ্ছে না। তদন্ত কর্মকর্তা সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করে ওসির সঙ্গে কথা বলবে। তারপর যদি কোনো ক্ষতিপূরণ আদায় করা যায়, সেটা জানানো হবে। তবে এই ব্যাপারটা নিশ্চিত নয়।

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ