খুলনার ফুলতলায় কুপিয়ে হত্যা করা নারীর বিবস্ত্র মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। তবে মরদেহের মাথার কোন অংশ এখনও পাওয়া যায়নি।
উদ্ধার হওয়া নারীর নাম মুসলিমা খাতুন। তিনি সাতক্ষীরা জেলার শ্যামনগর থানার পাইস্যাখালী গ্রামের মো. এমদাদুল ইসলামের মেয়ে।
খুলনার ফুলতলায় কুপিয়ে হত্যা করা নারীর বিবস্ত্র মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। তবে মরদেহের মাথার কোন অংশ এখনও পাওয়া যায়নি।
উদ্ধার হওয়া নারীর নাম মুসলিমা খাতুন। তিনি সাতক্ষীরা জেলার শ্যামনগর থানার পাইস্যাখালী গ্রামের মো. এমদাদুল ইসলামের মেয়ে।
বুধবার (২৬ জানুয়ারি) সকাল ৮ টায় উপজেলার উত্তরডিহি নামক এলাকা হতে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।
ফুলতলা থানার ওসি ইলিয়াস তালুকদার বলেন, 'ওই এলাকার ধান ক্ষেতে মাথাবিহীন অজ্ঞাতনামা এক নারীর মরদেহ দেখে স্থানীয়রা থানা পুলিশকে সংবাদ দেয়।
মাত্র গত সোমবার বিকেলে ফুলতলার যুগ্নিপাশা এলাকার ধানক্ষেত থেকে হানিফ পরিবহনের সুপারভাইজার তুহিন মোল্যার (৪০) গলায় গামছা পেচানো অবস্থায় মরদেহ উদ্ধার করা হয়। তিনি ঐ গ্রামের মোহাম্মদ আলী মোল্যার ছেলে। ঘটনার ৩৬ ঘন্টা পরে ফুলতলায় উদ্ধার হলো আরেকটি মরদেহ।
পিরোজপুর সদর উপজেলার কদমতলা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান মো. হানিফ খানকে (৪৫) গ্রেপ্তারের সময় পুলিশের ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে।
শনিবার (৫ এপ্রিল) গভীর রাতে সদর উপজেলার কদমতলা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় রবিবার (৬ এপ্রিল) পিরোজপুর সদর থানা পুলিশের সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) মিঠুন কুমার দাস বাদী হয়ে সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। এ ঘটনায় দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- মো. হানিফ খানের স্ত্রী মোসা. নাসিমা আক্তার (৪০) ও সদর উপজেলার পান্তাডুবি গ্রামের আক্কাছ আলী শেখের ছেলে নুরুজ্জামান শেখ (৩৫)।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, শনিবার (৫ এপ্রিল) রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পুলিশ জানতে পারে পিরোজপুর সদর উপজেলার টোনা ইউনিয়নের তেজদাসকাঠি গ্রামে একাধিক নাশকতা মামলার আসামি পিরোজপুর সদর উপজেলার কদমতলা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও ইউপি চেয়ারম্যান মো. হানিফ খান তার বসতঘরের মধ্যে আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের সদস্যদের নিয়ে নাশকতা করার জন্য গোপন বৈঠক করছে। এ ঘটনায় অভিযান চালিয়ে পুলিশ হানিফ খানকে গ্রেপ্তারের উদ্দেশ্যে ঘরের সদস্যদের দরজা খুলতে বললে আসামিরা উপস্থিত পুলিশ সদস্যদের ওপর দেশীয় অস্ত্রসহ হামলা করে। এ ঘটনায় দুজনকে আটক করেছে পুলিশ।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সদর থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এস আই) মোজাম্মেল বলেন, আমরা গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারি কদমতলা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. হানিফ খান আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের সদস্যদের নিয়ে গোপন বৈঠক করছে। অভিযানে সত্যতা যাচাইয়ে ও আসামি হানিফ খানকে আটকের জন্য গেলে পুলিশের ওপর হামলার ঘটনা ঘটে।
এ বিষয়ে পিরোজপুর সদর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুস সোবহান বলেন, আসামি গ্রেপ্তারের সময় পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
জয়পুরহাট শহরের নতুন হাট এলাকায় কুসুম সুইটস অ্যান্ড রেস্টুরেন্টে ওয়েটারের কাজ করার সময় দুই সহকর্মীর মারামারি ঠেকাতে গিয়ে রডের আঘাত নিহত হয়েছেন ফরিদপুরের সালথা উপজেলার মো. জাহিদ হাসান (৩৫)।
রবিবার (৬ এপ্রিল) দুপুরে বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিক্যাল কলেজ হাসাপাতালে তিনি মারা যান।
এর আগে সকাল ৯টার ওই রেস্টুরেন্টের শ্রমিক শাহীন মিয়ার (২৫) রডের আঘাতে জাহিদ হাসান গুরুতর আহত হলে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এ ঘটনায় অভিযুক্ত শাহীন মিয়াকে আটক করেছে পুলিশ।
স্থানীয় ইউপি সদস্য নাসির মেম্বার জানান, জাহিদ অত্যন্ত একজন ভালো ছেলে।
জয়পুরহাটের কুসুম সুইটসের ম্যানেজার ফরহাদ হোসেন জানান, রবিবার সকালে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে হোটেল শ্রমিক নাসিমের সঙ্গে শাহিনের মারামারি হয়। এ সময় ওয়েটার জাহিদ তাদের মারামারি ঠেকাতে গেলে শাহীন তাকে রুটি বানানোর বেলুন দিয়ে প্রথমে আঘাত করেন। পরে আবারও জাহিদকে তিনি একটি রড দিয়ে মাথায় সজোরে আঘাত করে জখম করেন।
গুরুতর আহত জাহিদকে উদ্ধার করে প্রথমে জয়পুরহাট ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
হত্যার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জয়পুরহাট সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নুর আলম সিদ্দিক। তিনি বলেন, জাহিদকে হত্যার অভিযোগে অভিযুক্ত হোটেল শ্রমিক শাহিনকে আটক করেছে পুলিশ।
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী যুবদলের সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম নয়ন বলেছেন, ভোলাসহ সারা দেশে বিএনপির কোনো নেতাকর্মী যদি অন্যায়, হত্যাকাণ্ড, দখলদারিত্ব ও দুর্বৃত্তপনার সঙ্গে জড়িয়ে পড়ে তাহলে তাকে ছাড় দেওয়ার কোনো সুযোগ নেই। আমাদের কাজ হচ্ছে দল থেকে তাকে সাংগঠনিকভাবে শাস্তি দেওয়া। আর প্রশাসনের কাজ হচ্ছে তাকে গ্রেপ্তার করে শাস্তির আওতায় আনা এবং আইনি প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে সর্বশেষ তার বিচার নিশ্চিত করা। আমরা চাই আগামী দিনে কেউ যাতে অপরাধের সঙ্গে না জড়ায়।
রবিবার (৬ এপ্রিল) রাতে ভোলার চরফ্যাশন উপজেলার আবুবকরপুর ইউনিয়নে সম্প্রতি হত্যার শিকার যুবদলকর্মী মো. মাসুদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে গিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
আবুবকরপুর ইউনিয়ন স্বেচ্ছসেবক দলের সদস্য সচিব আল আমিনের হামলায় যুবদলকর্মী মাসুদ নিহতের কথা উল্লেখ করে তিনি আরো বলেন, আল আমিন আমাদের সংগঠনের একজন নেতা ছিল এটা আমরা অস্বীকার করি না। কিন্তু যতক্ষণ পর্যন্ত সে অন্যায় করেনি ততক্ষণ পর্যন্ত সে আমাদের নেতা ছিল। যখনই সে অন্যায় করবে তখন দল তাকে নিজের মনে করবে না।
নির্বাচন নিয়ে যুবদলের সাধারণ সম্পাদক বলেন, এদেশের মানুষ গত ১৬ বছর ভোট দিতে পারেনি। এমনকি ভোট কেন্দ্রেও যেতে পারেনি। মানুষ চায় ভোট কেন্দ্রে গিয়ে পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিতে। তাই আমরা চাচ্ছি নির্বাচন নির্বিঘ্ন ও সুষ্ঠুভাবে করতে যে সংস্কারটুকু দরকার সেই সংস্কারের পর পরই যৌক্তিক সময়ের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হোক।
এ সময় তার সঙ্গে ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নাকিব চৌধুরী, চরফ্যাশন জেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটির সদস্য টিপু উপজেলা বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক কাজী মঞ্জুর ইসলাম ও মমিনুল ইসলাম ভুট্টু, জেলা যুবদেলর সাধারণ সম্পাদক আব্দুল কাদের সেলিম, সহসভাপতি ফখরুল ইসলাম ফেরদাউস, সাংগঠনিক সম্পাদক মো. মনির হোসেন, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহবায়ক হারুন অর রশিদ সুমন, জেলা ছাত্রদল নেতা নুর মোহাম্মদ রুবেল, সদর উপজেলা ছাত্রদলের আহবায়ক আব্দুল্লাহ আল রাসেল, ভোলা পৌরসভা ছাত্রদলের আহবায়ক জাকারিয়া মঞ্জুসহ স্থানীয় বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
নুরুল ইসলাম নয়ন ঢাকা থেকে রবিবার সন্ধ্যায় চরফ্যাশনে এসে নিহত যুবদল কর্মী মাসুদের কবর জিয়ারত করেন। পরে তার পরিবারের খোঁজ-খবর নিয়ে আর্থিক সহায়তা করেন তিনি।
উল্লেখ্য, গত শুক্রবার দুপুরের দিকে ভোলার চরফ্যাশন উপজেলার আবুবকরপুর ইউনিয়নে সালিসে না যাওয়ায় মো. মাসুদ নামে এক যুবককে পিটিয়ে হত্যা করে ওই ইউনিয়নের স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব মো. আল আমিন। এ ঘটনায় আল আমিনকে দল থেকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হয়। এ ঘটনায় নিহতের ভাইয়ের দায়ের করা মামলায় ৯ জনকে গ্রেপ্তার করলেও মামলার প্রধান আসামি আল আমিনকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ। তাকে গ্রেপ্তারের দবিতে জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের পক্ষ থেকে সংবাদ সম্মেলন করা হয়েছে।
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু অসুস্থ হয়ে কুমিল্লা নগরীর একটি প্রাইভেট হাসপাতালের সিসিইউতে (অ্যাডভান্সড করোনারি কেয়ার ইউনিট) ভর্তি হয়েছেন।
রবিবার (৬ এপ্রিল) রাত ৯টার দিকে তাকে নগরীর একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তার চিকিৎসার বিষয়ে খোঁজ নেন বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমিন-উর-রশিদ ইয়াছিনসহ স্থানীয় নেতারা।
রাত সোয়া ১১টায় কুমিল্লা মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ইউসুফ মোল্লা টিপু কালের কণ্ঠকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
দলীয় সূত্র জানায়, রবিবার রাত ৮টায় নোয়াখালী থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওয়ানা করেন বরকত উল্লাহ বুলু। কুমিল্লার লাকসাম উপজেলা পার হওয়ার পর হঠাৎ শ্বাসকষ্ট দেখা দিলে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। খবর পেয়ে রাত ৯টার দিকে বিএনপি নেতাকর্মীরা তাকে দ্রুত রিসিভ করে কুমিল্লা নগরীর একটি হাসপাতালে ভর্তি করান।
এ বিষয়ে কুমিল্লা মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ইউসুফ মোল্লা টিপু বলেন, খবর পেয়ে দ্রুত কুমিল্লা মুন হাসপাতালে ভর্তি করে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হয়েছে।