ঢাকা, বুধবার ০৯ এপ্রিল ২০২৫
২৬ চৈত্র ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৬

ঢাকা, বুধবার ০৯ এপ্রিল ২০২৫
২৬ চৈত্র ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৬

শার্শার গোগা সীমান্তে ১৬টি স্বর্ণের বারসহ পাচারকারী আটক

বেনাপোল প্রতিনিধি
বেনাপোল প্রতিনিধি
শেয়ার
শার্শার গোগা সীমান্তে ১৬টি স্বর্ণের বারসহ পাচারকারী আটক

যশোরের শার্শার গোগা সীমান্ত থেকে এক কেজি ৮৪৬ গ্রাম ওজনের ১৬টি স্বর্ণের বারসহ জনি (৪০) নামে একজন স্বর্ণ পাচারকারীকে আটক করেছেন বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সদস্যরা। আটক জনি বেনাপোল পোর্ট থানার ছোট আঁচড়া গ্রামের মিজানুর রহমানের ছেলে।

খুলনা ২১ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ তানভীর রহমান (পিএসসি, ইঞ্জিনিয়ার্স) বলেন, আজ বুধবার (১৭ আগস্ট) সকাল ৯টার দিকে শার্শার গোগা সীমান্ত দিয়ে একটি স্বর্ণের চালান ভারতে পাচার হবে- এমন খবর পেয়ে গোগা ক্যাম্পের বিজিবি সদস্যরা ইউনাইটেড মাধ্যমিক বিদ্যালয় এলাকায় অভিযান চালিয়ে একজন স্বর্ণ পাচারকারীকে আটক করেন। পরে তার শরীরে কৌশলে লুকিয়ে রাখা এক কেজি ৮৪৬ গ্রাম ওজনের ১৬ পিস স্বর্ণের বার উদ্ধার করা হয়।

যার বাজার মূল্য প্রায় এক কোটি ৫৩ লাখ টাকা। স্বর্ণসহ আটক আসামি জনিকে শার্শা থানায় সোপার্দ করা হয়েছে বলে তিনি জানান। 

এ নিয়ে খুলনা ২১ বর্ডার গার্ড গত ছয় মাসে ভারতে পাচারের সময় সাড়ে আট কেজি স্বর্ণ আটক করেছে। এ সময় পাঁচজন আসামিকে আটক করে তারা।

আটককৃত সোনার সিজার মূল্য ছিল প্রায় ছয় কোটি টাকা। 

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

আদমদীঘিতে বিদ্যুৎস্পর্শে সেনা সদস্যের মৃত্যু

আদমদীঘি (বগুড়া) প্রতিনিধি
আদমদীঘি (বগুড়া) প্রতিনিধি
শেয়ার
আদমদীঘিতে বিদ্যুৎস্পর্শে সেনা সদস্যের মৃত্যু
প্রতীকী ছবি

বগুড়ার আদমদীঘিতে পুকুরে পানি সেচ দেওয়ার জন্য বৈদ্যুতিক সংযোগ দিতে গিয়ে মাইন হোসেন (২৮) নামের এক সেনা সদস্যের মৃত্যু হয়েছে। তিনি আদমদীঘি উপজেলার ছাতিয়ানগ্রাম ইউপির কালাইকুড়ি গ্রামের রোস্তম আলীর ছেলে।

বুধবার (৯ এপ্রিল) দুপুরে তার নিজ বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। বিকেল ৫টায় পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করে।

পুলিশ ও পারিবারিক সূত্রে জনা যায়, সেনা সদস্য মাইন হোসেন ঘাটাইল সেনানিবাস থেকে র‌্যাব হেড কোয়াটারে পোষ্টিংয়ে ছিলেন। গত ৮ এপ্রিল ছুটিতে বাড়িতে আসেন। আজ বুধবার দুপুর সোয়া ১ টায় আদমদীঘির কালাইকুড়ি গ্রামে নিজ বাড়ির পাশে একটি পুকুরে পানি সেচ দেওয়ার উদ্দেশ্যে বৈদ্যুতিক সংযোগ দিতে গিয়ে অসাবধানতাবশত বিদ্যুতস্পর্শে ঘটনাস্থলেই তিনি মারা যান। তার ছুটির মেয়াদ ছিল ২২ এপ্রিল পর্যন্ত।

আদমদীঘি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এসএম মোস্তাফিজুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, এ ঘটনায় থানায় একটি ইউডি মামলা হয়েছে।
 

মন্তব্য

শ্রেণিকক্ষে শিক্ষিকাকে প্রাণনাশের হুমকি নিষিদ্ধ ‘ছাত্রলীগ’ নেতার

শেয়ার
শ্রেণিকক্ষে শিক্ষিকাকে প্রাণনাশের হুমকি নিষিদ্ধ ‘ছাত্রলীগ’ নেতার
ফেনীর ছাগলনাইয়া মডেল সরকারি স্কুল

ফেনীতে শ্রেণিকক্ষে পাঠদানকালে শামীমা আক্তার (৪০) নামে এক শিক্ষিকাকে প্রাণনাশের হুমকি দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। গতকাল মঙ্গলবার (৮ এপ্রিল) বিকেলে ছাগলনাইয়া মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শ্রেণিকক্ষে ঢুকে মো. সনিট নামের এক ‘নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ’ নেতা শিক্ষার্থীদের সামনে গালমন্দ ও প্রাণনাশের হুমকি দেন বলে অভিযোগ করেন শিক্ষিকা শামীমা। 

শিক্ষিকা শামীমা আক্তার জানান, পূর্ববিরোধের জের ধরে এলাকার চিহ্নিত সন্ত্রাসী মো. সনিট (২৫) বিদ্যালয়ে প্রবেশ করে তাকে প্রাণনাশের হুমকি দেন। ২০২৩ সালে ৮ এপ্রিল তার ছেলে আইনুল আলম ফুলক ও তার স্বামী এ কে এম ফরিদুল আলমকে সন্ত্রাসী সনিটসহ কয়েকজন যুবক সরকারি হাসপাতাল এলাকায় মারধর করার বিষয়ে একটি মামলা আদালতে বিচারাধীন।

ওই মামলা করার পর থেকে সনিট তার নাম প্রত্যাহারের জন্য প্রকাশ্যে ও মোবাইল ফোনে হুমকি দিয়ে আসছেন।

আরো পড়ুন
কাঠগড়ায় ক্ষিপ্ত হয়ে চিৎকার করলেন হাজী সেলিম

কাঠগড়ায় ক্ষিপ্ত হয়ে চিৎকার করলেন হাজি সেলিম

 

শিক্ষিকা শামীমা আক্তার আরো বলেন, ‘গত মঙ্গলবার দুপুরে আমার কর্মস্থল ছাগলনাইয়া সরকারি মডেল প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নিচতলার একটি কক্ষে পাঠদান করছিলাম। এ সময় সনিটসহ ৩-৪ জন সন্ত্রাসী এসে আমাকে গালমন্দ করে এবং আমি ও আমার পরিবারকে শান্তিতে থাকতে দেবে না বলে হুমকি দেয়। মামলা থেকে তার নাম প্রত্যাহার না করলে প্রাণনাশের হুমকি প্রদান করে।

এ বিষয়ে শামীমা আক্তার বাদী হয়ে ছাগলনাইয়া থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন। অভিযুক্ত সনিটের বড় ভাই সুইট বলেন, ‘২০২৩ সালে শামীমা আক্তারের ছেলে ও স্বামীকে মারধরের বিষয়ে যে মামলা করা হয়েছে তাতে প্রতিহিংসাবশত আমার ভাই সনিটকে আসামি করা হয়েছে।’

আরো পড়ুন
৪৬তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষা পেছানোর বিষয়ে যা বলল পিএসসি

৪৬তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষা পেছানোর বিষয়ে যা বলল পিএসসি

 

সুইট বলেন, ‘বিষয়টি পারিবারিকভাবে আমরা মীমাংসা করার চেষ্টা করলেও তারা সাড়া দিচ্ছে না। তবে বিদ্যালয়ে প্রবেশ করে শিক্ষিকা শামীমা আক্তারকে গালমন্দ করাটা ঠিক হয়নি বলে মন্তব্য করেন সনিটের ভাই সুইট।

সনিট এক সময় ছাত্রলীগ করলেও বর্তমানে ছাত্রদলের আশ্রয়ে রাজনীতি করছেন বলে জানা গেছে। এ ব্যাপারে উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক নাদিম উদ্দিন জানান, সনিট ও সুইট এক সময় ছাত্রলীগের রাজনীতির করত তবে বর্তমানে তারা ছাত্রদল করে বলে ভুয়া পরিচয় দিচ্ছে। উপজেলা মহিলা লীগের সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান জোলেখা শিল্পীর ছেলেদের সাথে রাজনীতি করত এবং তাদের বন্ধু বলে তিনি জানান।

এ বিষয়ে ছাগলনাইয়া উপজেলা শিক্ষা অফিসার মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান মোল্লা জানান, শিক্ষিকা শামীমা আক্তার যখন বিদ্যালয়ে কর্মরত থাকবেন তখন তিনি সরকারের প্রতিনিধি।

আরো পড়ুন
নিজের নিরাপত্তা চেয়ে জিডি করলেন ইউএনও

নিজের নিরাপত্তা চেয়ে জিডি করলেন ইউএনও

 

তিনি জানান, শ্রেণি পাঠদানকালীন তাকে হুমকি প্রদান করা সরকারের প্রতিনিধিকে হুমকি দেওয়া হয়েছে এবং সরকারি কাজে বাধা প্রদান করা হয়েছে।

এ বিষয়ে আইনি পদক্ষেপ নেওয়ার প্রস্তুতি চলছে। 

এ বিষয়ে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন ছাগলনাইয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নজরুল ইসলাম।

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

পরকীয়ার অভিযোগে প্রেমিক যুগলকে গাছে বেঁধে রাখল স্থানীয়রা

দুর্গাপুর (রাজশাহী) প্রতিনিধি
দুর্গাপুর (রাজশাহী) প্রতিনিধি
শেয়ার
পরকীয়ার অভিযোগে প্রেমিক যুগলকে গাছে বেঁধে রাখল স্থানীয়রা
আটক প্রেমিক যুগল

রাজশাহীতে পরকীয়ার অভিযোগে এনে এক প্রেমিক যুগলকে আটক করে আমগাছের সঙ্গে বেঁধে রেখেছে এলাকাবাসী। এতে পাহারা দিচ্ছিল গ্রাম্য পুলিশ ও স্থানীয়রা। তবে আটক দুজনের বক্তব্যে রয়েছে ভিন্নতা। 

বুধবার (৯ এপ্রিল) দুপুর ১২টার দিকে রাজশাহীর দুর্গাপুর উপজেলার নওপাড়া ইউনিয়নের নান্দিগ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

এদিকে এ ঘটনায় তাদের বেঁধে রাখলেও মারধর করা হয়নি বলে জানিয়েছে স্থানীয়রা।

আতিকুর রহমান নামের এক স্থানীয় বাসিন্দা জানান, আটক ছেলেটির নাম আহসান হাবীব। তার একটি সন্তান রয়েছে। মেয়েটিরও এক সন্তান রয়েছে।

তাদের দুজনের আগে থেকেই প্রেমের সম্পর্ক ছিল। একই জায়গায় তাদের বাড়ি। বুধবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে তিনি বিল থেকে বাড়ি আসার সময় আটক আহসান হাবিবের বাড়ি থেকে অশালীন কর্থাবার্তা শোনা যাচ্ছিল। তিনি জানালা খুলে তাদের আপত্তিকর অবস্থায় দেখতে পান।
পরে স্থানীয় লোকজনের সহযোগিতায় তাদের ঘরেই আটক করেন তারা।

আরো পড়ুন
কাঠগড়ায় ক্ষিপ্ত হয়ে চিৎকার করলেন হাজী সেলিম

কাঠগড়ায় ক্ষিপ্ত হয়ে চিৎকার করলেন হাজি সেলিম

 

আতিক আরো বলেন, ‌‘আহসান হাবিব এলাকায় লম্পট হিসেবে পরিচিত। একাধিবার তাকে নিয়ে নারীঘটিত বিচার ফয়সালা করা হয়েছে। তার কুনজরে পাড়া-প্রতিবেশী নারীরা অতিষ্ঠ।’

এ সময় আটককৃত আহসান হাবিব জানান, স্থানীয় কয়েকজন ব্যক্তি তাকে জোর করে আটক করে।

তাকে ফাঁসানো হয়েছে বলে দাবি করেন তিনি। তবে ভুক্তভোগী ওই নারী জানান, তিনি দুপুর ১২টার দিকে বিলে পটলের ক্ষেত থেকে বাড়ি ফিরছিলেন। এ সময় আহসান হাবিবের বাড়ি কাছে এলে তিনি ৫ হাজার টাকার প্রলোভন দিয়ে তাকে দুই হাজার টাকার হাতে ধরিয়ে দিয়ে কুপ্রস্তাব দেয়। পরে তার ডাকে সাড়া দিয়ে ঘরে গেলে স্থানীয়রা তাদের আটক করে।

বুধবার বিকেল ৫টার দিকে ঘটনাস্থলে আটকদের পাহারা দিচ্ছেলেন গ্রাম্য পুলিশ সাইফুল ইসলাম। তিনি বলেন, চেয়ারম্যানের নির্দেশে তাদের পাহারায় নিয়োজত আছেন তিনি। চেয়ারম্যান ও গ্রাম্য মাতব্বর এলে স্থানীয়ভাবে বিষয়টা মিটিয়ে ফেলা হতে পারে বলে জানান।

এ বিষয়ে নান্দিগ্রামের গ্রাম্যমাতব্বর আবু সাইদ বলেন, ‘আমি পার্শ্ববর্তী একটি বাজারে ব্যবসা করি। সেখানে দোকান আছে আমার। আমি এখনো দোকান বন্ধ রেখে ঘটনাস্থলে যেতে পারিনি। এলাকাবাসী আমাকে বারবার ফোন দিচ্ছেন। আমি দোকান বন্ধ করে যেতে পারছি না। তাদের বলে দিয়েছি, এ বিষয়ে তোমরা আইনের হাতে তুলে দাও। তারা আমার কথা শুনছেন না। আমার আসার অপেক্ষায় আছেন। বিষয়টা স্থানীয়ভাবে সমাধান করবেন বলে। আমি তাদের না করে দিয়েছি। এর পরও কথা না শোনায়, এখন সন্ধ্যা ৬টা বাজে। আমি দোকান বন্ধ রেখে সেখানে যাচ্ছি।’ 

আরো পড়ুন
৪৬তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষা পেছানোর বিষয়ে যা বলল পিএসসি

৪৬তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষা পেছানোর বিষয়ে যা বলল পিএসসি

 

নওপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের দায়িত্বপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আজাদ আলী সরদার বলেন, ‘খবর পেয়ে আমি ওখানে গ্রাম্য পুলিশ পাঠিয়েছি। আমি ঘটনাস্থলে যাইনি। কারণ ধর্ষণের ঘটনার বিচার বা ফয়সালা করার অধিকার আমার নাই। আমি তাদের থানা পুলিশে খবর দিতে বলেছি।’

দুর্গাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দুরুল হুদা বলেন, বিষয়টা শুনেছি। এলাকাবাসী থেকে জানানো হয়েছে, তারা পরস্পর বিয়ে করবে। কোনো অভিযোগ পাইনি। যেহেতু তারা বিয়ে করতে চায়, তাহলে আমাদের কিছু করার নাই। 

দুপুর থেকে আমগাছের সঙ্গে তাদের বেধে রাখা হয়েছে এ বিষয়ে জানতে চাইলে ওসি বলেন, তাদের বেধে রাখা হয়েছে এ বিষয়ে আমি কিছু জানি না। তবে তাদের বেঁধে রাখা যাবে না। আমি দ্রুত বিষয়টা খোঁজ নিয়ে ব্যবস্থা নিচ্ছি বলে জানান ওসি।

মন্তব্য

বগুড়ার শেরপুরে জামায়াতকর্মী হত্যার ঘটনায় স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা গ্রেপ্তার

শেরপুর (বগুড়া) প্রতিনিধি
শেরপুর (বগুড়া) প্রতিনিধি
শেয়ার
বগুড়ার শেরপুরে জামায়াতকর্মী হত্যার ঘটনায় স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা গ্রেপ্তার
সংগৃহীত ছবি

বগুড়ার শেরপুরে কাবিল উদ্দিন নামে জামায়াতের এক কর্মীকে পিটিয়ে ও শ্বাসরোধ করে হত্যার ঘটনায় স্বেচ্ছাসেবক দলের এক নেতাকে আটকের পর গণধোলাই দিয়ে পুলিশে দিয়েছে স্থানীয় জনতা। মঙ্গলবার (৮ এপ্রিল) রাতে উপজেলার কুসুম্বী ইউনিয়নের গোসাইবাড়ী বটতলা বাজার এলাকা থেকে তাকে আটক করা হয়। 

আটক ওই স্বেচ্ছাসেবক দল নেতার নাম মো. গোলাম আজম (২৮)। তিনি কুসুম্বী ইউনিয়নের গোসাইবাড়ী কলোনি গ্রামের সহিদুল ইসলাম প্রামাণিকের ছেলে।

পাশাপাশি একই ইউনিয়ন জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক। এর আগে নিহতের বাবা শাহজাহান আলী বাদি হয়ে ১৩ জনের নাম উল্লেখ করে থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। মামলায় অজ্ঞাত আরো অনেককে আসামি করা হয়।

শেরপুর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) রবিউল ইসলাম তথ্যটি নিশ্চিত করে জানান, মঙ্গলবার রাতে কাবিল উদ্দিনকে (৩৯) মুঠোফোনে পার্শ্ববর্তী গাড়ীদহ ইউনিয়নের হাটগাড়ি গ্রামস্থ একটি বাড়িতে ডেকে নিয়ে যাওয়া হয়।

এরপর পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী অভিযুক্তরা কাবিল উদ্দিনের হাত-পা বেঁধে ফেলেন। সেইসঙ্গে বাড়ির পাশের একটি মাঠে নিয়ে বেধড়ক পেটায়। এতে রক্তাক্ত জখম হন কাবিল। একপর্যায়ে আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাকে স্থানীয় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
পরদিন রাতে থানায় একটি হত্যা মামলা করা হয়।

কাবিল উদ্দিন পেশায় একজন ইলেকট্রিক মিস্ত্রি। এভাবে তাকে খুন করা হবে, যা কোনোভাবেই মেনে নিতে পারছেন না স্থানীয় গ্রামবাসী। তাদের দাবি, প্রতিবেশী সজিবের পরকীয়ার ঘটনা জেনে যাওয়া এবং বাধা দেওয়ার জের ধরেই কাবিল উদ্দিনকে খুন করা হয়। 

আফছার আলী, আব্দুল হাইসহ একাধিক ব্যক্তি বলেন, কাবিল উদ্দিন সাধারণ এবং নিরীহ একজন মানুষ।

তার কোনো শক্র ছিল না। তিনি সবসময় মানুষকে ভালো কাজের জন্য আহ্বান জানাতেন। সেটিই তার কাল হলো। বেশ কিছুদিন আগে তার প্রতিবেশী বেল্লাল হোসেন বিদেশে যান। আর এই সুযোগ নেন বেল্লালের ছোট ভাই সজিব। সে তার স্ত্রীর সঙ্গে পরকীয়ায় লিপ্ত হয়। ঘটনাটি জানার পর তাদের দুজনকেই ভালো হওয়ার উপদেশ দেন কাবিল। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন সজিব ও তার লোকজন। এমনকি পরিকল্পনা মাফিক মুঠোফোনে ডেকে নিয়ে তাকে হত্যা করা হলো বলে জানান তারা। 

নিহত কাবিল উদ্দিনের স্ত্রী শাপলা খাতুন বলেন, তার স্বামীর কোনো দোষ ছিল না। তাই যারাই তার স্বামীকে খুন করেছে, তাদের বিচার ও ফাঁসি দেওয়ার দাবি করেন তিনি।

উপজেলা জামায়াতের রাজনৈতিক সেক্রেটারি রেজাউল করিম বাবলু বলেন, নিহত কাবিল উদ্দিন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর একজন কর্মী। এভাবে তাকে খুন করা হবে তা মেনে নিতে পারছি না। তিনি এই হত্যাকাণ্ডের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে দ্রুততম সময়ের মধ্যে ঘটনায় জড়িতদের গ্রেপ্তারপূর্বক আইনের আওতায় আনার জন্য জোর দাবি জানান।

শেরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শফিকুল ইসলাম বলেন, এই ঘটনায় মামলা নেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি ঘটনায় জড়িত গোলাম আজম নামের এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পাশাপাশি ঘটনা সম্পর্কে তাকে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ প্রয়োজন। এ জন্য ৭ দিনের রিমান্ড চেয়ে বুধবারই দুপুরের পর বগুড়া আদালতে পাঠানো হয়েছে বলে জানান তিনি।

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ