<p style="text-align: justify;">সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজিম আনারের দেহাংশ শনাক্ত করতে ভিসা জটিলতার জন্য কলকাতায় যেতে পারছেন না তাঁর মেয়ে মুমতারিন ফেরদৌস ডরিন। আজ শুক্রবার (৩১ মে) দুপুর ২টার দিকে সংসদ সদস্য আনারের কন্যা মুমতারিন ফেরদৌস ডরিন কালের কণ্ঠকে এ তথ্য জানান।</p> <p style="text-align: justify;">ডরিন বলেন, গত মঙ্গলবার কলকাতার নিউটাউনের সঞ্জীভা গার্ডেনের সেই ফ্ল্যাটের সেপটিক ট্যাঙ্ক থেকে আমার বাবার দেহের খণ্ডিতাংশ উদ্ধার করে পুলিশ। এই খণ্ডিতাংশ আমার বাবার দেহাংশ কিনা তা নিশ্চিত করতে আমাকে ও আমার চাচা আবেদ আলীকে গত বুধবার কলকাতায় ডেকেছিলেন ডিবি পুলিশের প্রধান হারুন অর রশিদ।</p> <p style="text-align: justify;">তিনি আরো বলেন, আমার চাচা আবেদ আলীর ভিসা প্রস্তুত থাকলেও আমার ভিসা হাতে না পাওয়ায় আমরা কলকাতায় যেতে পারছি না। আগামী রবিবার ভিসার জন্য আমি ভারতীয় হাইকমিশনে যাব। যদি ভিসা না পায় তাহলে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করব। আমার এখন একটাই চাওয়া দ্রুত পরীক্ষা-নীরিক্ষা করে আমার বাবার মরদেহের খণ্ডিতাংশ দেশে নিয়ে আসা হোক।</p> <p style="text-align: justify;">উল্লেখ্য, গত ১২ মে চিকিৎসার জন্য ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ থেকে চুয়াডাঙ্গার দর্শনার গেদে সীমান্ত দিয়ে ভারতে যান সংসদ সদস্য আনার। ওঠেন পশ্চিমবঙ্গে বরাহনগর থানার মণ্ডলপাড়া লেনে গোপাল বিশ্বাস নামে এক বন্ধুর বাড়িতে। পরদিন ডাক্তার দেখানোর কথা বলে বাড়ি থেকে বের হন। এরপর থেকেই রহস্যজনকভাবে নিখোঁজ ছিলেন আনোয়ারুল আজিম। </p> <p style="text-align: justify;">গত ২২মে হঠাৎ খবর ছড়ায়, কলকাতার পার্শ্ববর্তী নিউটাউন এলাকায় বহুতল সঞ্জিভা গার্ডেনস নামে একটি আবাসিক ভবনের বিইউ ৫৬ নম্বর রুমে সংসদ সদস্য আনার খুন হয়েছেন। </p> <p style="text-align: justify;">সবশেষ গত মঙ্গলবার বিকেলে ওই ভবনের সেপটিক ট্যাঙ্ক থেকে এমপি আনারের দেহের খণ্ডিতাংশ উদ্ধার করে পুলিশ।</p>