<p>পোশাক কারখানার শ্রমিকদের সড়ক অবরোধে গাজীপুরের ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে ১২ ঘণ্টার বেশি সময় ধরে তীব্র যানজট দেখা দিয়েছে। এমনকি মধ্যরাতেও গুরুত্বপূর্ণ এ সড়ক বন্ধ রেখেছিল শ্রমিকরা। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন এ পথে চলাচলকারী যাত্রী ও পথিকরা। </p> <p>আজ মঙ্গলবার সকাল ১২টায় ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে গিয়ে দেখা যায়, শ্রমিকরা পুরো সড়ক আগের মতো অবরোধ করে আন্দোলন করছে। এতে সড়কের উভয় দিকে তীব্র যানজট দেখা যায়। গতকাল সোমবার সন্ধ্যা থেকে আব্দুল্লাহপুর-টঙ্গী হয়ে গাজীপুরের চান্দনা চৌরাস্তা পর্যন্ত এ যানজট দেখা যায়। এর প্রভাবে অন্যান্য মহাসড়ক ও আঞ্চলিক সড়কেও একই অবস্থা বিরাজ করছে। </p> <p>দুপুর পৌনে ১টায় এই প্রতিবেদন লেখার সময় ঢাকা-ময়মনসিংহ ও ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে তীব্র যানজট দেখা যায়। মহাসড়ক বন্ধ থাকায় বিভিন্ন সড়কে গণপরিবহনের চাপ দেখা গেছে। তবে গাজীপুরা থেকে টঙ্গী পর্যন্ত একাধিক বিকল্প শাখা সড়ক থাকায় মূল মহাসড়কে যানবাহনের চাপ তুলনামূলকভাবে কম।</p> <p>জানা যায়, গতকাল সোমবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে রাত ১টা পর্যন্ত পোশাক শ্রমিকদের অবরোধে দেশের ব্যস্ততম ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক বন্ধ ছিল। প্রায় ৭ ঘণ্টা বন্ধ থাকার পর কিছু সময় সচল থাকে মহাসড়কটি। তবে সচল হওয়ার ৬ ঘণ্টা পর আজ সকালে আবারও বন্ধ হয়ে যায় এই মহাসড়ক। সকাল ৮টার দিকে গাজীপুর মহানগরের ভোগরা এলাকায় আবারও মহাসড়ক অবরোধ করে আন্দোলন করেছে অ্যাপারেল প্লাস লিমিটেড কারখানার শ্রমিকরা। মহাসড়কের একাধিক স্থানে বিচ্ছিন্নভাবে একই ধরনের আন্দোলন হচ্ছে। </p> <p>অ্যাপারেল প্লাস লিমিটেড কারখানার আন্দোলনরত শ্রমিকরা জানায়, কারখানাটি আমাদের বকেয়া বেতন পরিশোধ না করে বন্ধ ঘোষণা করেছে। আমরা আমাদের পাওনা না পাওয়া পর্যন্ত সড়ক থেকে উঠব না। আজ মাস শেষ। কাল থেকে বাড়িওয়ালা ঘর ভাড়ার জন্য তাগাদা দেবে। সন্তানদের স্কুল-কলেজে বেতন দিতে হবে।</p> <p>বাংলাদেশ গার্মেন্টস অ্যান্ড শিল্প শ্রমিক ফেডারেশনের গাজীপুর মহানগর সভাপতি শফিউল আলম বলেন, মালিক পক্ষ গত ১৪ আগস্ট কারখানাটি বন্ধ ঘোষণা করেন। এরপর যাবতীয় পাওনা শোধে ত্রিপক্ষীয় সমঝোতা চুক্তি হয়। চুক্তি অনুসারে গত ২৫ সেপ্টেম্বর জুলাই মাসের বকেয়া বেতন পরিশোধের তারিখ ছিল। তবে তারিখ মিস করায় শ্রমিকরা রাস্তা অবরোধ করেছে।</p> <p>গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের উপকমিশনার (ট্রাফিক) মোহাম্মদ ইব্রাহিম খান বলেন, শ্রমিকরা গতকাল সন্ধ্যা থেকে আন্দোলন করছে। তারা রাত ১টার সময় সড়ক ছেড়ে দিয়েছিল। তবে সকাল ৮টার আগে থেকে আবারও আন্দোলন শুরু করেছে। এতে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক বন্ধ রয়েছে।</p>