<p>ছিল সরু জমির আইল। গাড়ি তো দূরের কথা হাঁটাও যেত না। কেউ মারা গেলে খাটিয়া নেওয়া যেত না। স্কুল শিক্ষার্থীদের এ পথ মাড়িয়ে যাওয়া ছিল কষ্টসাধ্য। বর্ষাকালে অবস্থা হয় আরো শোচনীয়। এ অবস্থায় এলাকার মানুষের দুর্ভোগের শেষ ছিল না। অবশেষে এলাকার বিত্তশালী, দানশীল ব্যক্তিদের সহযোগিতায় রাউজান আদালতের পশ্চিম পাশে গড়ে তোলা হচ্ছে পাকা সড়ক। এতে এলাকার লোকজনসহ সর্বশ্রেণির মানুষ বেশ খুশি। ইতিমধ্যে নতুন এ সড়কটির অর্ধেকাংশের ঢালাইকাজ শেষ হয়েছে। এলাকাবাসীর আর্থিক সহযোগিতায় বাকি অংশের কাজ শুরু হতে যাচ্ছে।</p> <p>নতুন এ সড়কের জন্য অবশিষ্ট অংশের খাস জমি উদ্ধার, প্রশস্তকরণসহ নানা বিষয়সহ নানা জটিলতা নিরসনে গতকাল বুধবার (১৩ নভেম্বর) বিকেলে পরিদর্শনে আসেন উপজেলা প্রশাসন, রাউজান ভূমি অফিসের কর্মকর্তাসহ স্থানীয় বিশিষ্ট জনেরা।</p> <p>এ সময় উপস্থিত ছিলেন ভূমি অফিসের বড় মিয়া শওকত ওসমান, সার্ভের আল আমিন, রাউজান রোজ গার্ডেন ক্লাবের উপদেষ্টা ইকবাল হোসেন চৌধুরী, সমাজের সর্দার ইমরান হোসেন চৌধুরী, মাওলানা মো. এনাম, মো. বেলাল, মো. কাশেম, মনছুরুল হাসান চৌধুরী, মো. ওসমান।</p> <p>স্থানীয় বাসিন্দা ও সমাজসেবক মাওলানা মো. এনাম বলেন, ‘রাউজান আদালতের আশপাশের লোকজন একটি সড়কের জন্য অবহেলিত ছিল। চলাচলে দুর্ভোগের কথা ভেবে আমিসহ এলাকার কয়েকজন মিলে প্রায় পৌনে এক কিলোমিটার নতুন এ রাস্তা সৃজনের উদ্যোগ নিই। এ উদ্যোগে এলাকাবাসীর ব্যাপক সাড়া পেয়েছি। এ রাস্তাটি নির্মাণ করা হচ্ছে বেশিরভাগ স্বেচ্ছাদানের জায়গায় এবং কিছু খাস জমিতে। ইতিমধ্যে জায়গা দান করেছেন এম.এ মালেক, ইলিয়াছ চৌধুরী, মাহামুদ নেওয়াজ চৌধুরী, মাওলানা মো. এনাম, ইম্মে কুলছুম, আবু তৈয়ব বাবুল, আবদুল কুদ্দুছ প্রকাল কালু মেম্বারের পরিবার।’</p> <p>তিনি আরো বলেন, ‘ইতিমধ্যে নব সৃজিত রাস্তাটির পশ্চিমাংশ পৌরসভার অর্থায়নে ঢালাই সম্পন্ন হয়েছে। বাকি অর্ধেকাংশ দুপাশে গার্ড ওয়াল, মাটি ভরাট, ইট, কংক্রিট, ছোট পুল দেওয়া এবং চলাচলের উপযোগী করে ঢালাই কাজ করার প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। এ জন্য এলাকার বিভিন্ন শ্রেণির মানুষ আর্থিক সহযোগিতা দিয়ে যাচ্ছে।’</p> <p>স্থানীয় বাসিন্দা ইমরান হোসেন চৌধুরী, রাউজান রোজ গার্ডেন ক্লাবের সদস্য মো. বেলাল, মো. কাশেম, মো. ওসমানসহ অনেকে জানান, রাস্তাটির পুরো কাজ শেষ হলে হাজার হাজার মানুষ উপকৃত হবে। সমাজসেবক মাওলানা এনাম এর আগেও রাস্তার উন্নয়ন, বিভিন্ন সামাজিক কর্মকাণ্ড করেছেন। তার উদ্যোগের কারণেই আমরা এমন সহজ যোগাযোগের একটি রাস্তা পেতে যাচ্ছি।</p>