ফেনীতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বহিষ্কৃত এক সমন্বয়ককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। প্রতারণা, চাঁদাবাজি ও মানহানির অভিযোগে দায়ের করা মামলায় মঙ্গলবার রাত ১১টার দিকে ফেনী শহরের মডেল থানা সংলগ্ন এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার ওমর ফারুক শুভ ফেনী সদর উপজেলার ফরহাদনগর ইউনিয়নের জগতজীবনপুর গ্রামের নুরুজ্জামানের ছেলে। গত আগস্টে আন্দোলনে শৃঙ্খলাবিরোধী কার্যক্রমে জড়িত থাকায় তাঁকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ফেনী জেলার সহ-সমন্বয়ক পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়।
বহিষ্কার হওয়ার পরও গত কয়েক মাস ধরে জেলার অন্য সমন্বয়ক ও ছাত্র প্রতিনিধিদের সঙ্গে ‘সমন্বয়ক’ পরিচয় দিয়েই বিভিন্ন কর্মসূচি ও সভা-সমাবেশে অংশ নিচ্ছিলেন তিনি।
জানা গেছে, নানা কেলেঙ্কারিতে ফেনী আলিয়া কামিল মাদরাসার সাময়িক বরখাস্ত অধ্যক্ষ মাওলানা মাহমুদুল হাসানকে স্বপদে বহাল রাখার আশ্বাস দিয়ে চাঁদা দাবি করেন শুভ। সেই ঘটনার কল রেকর্ড ফাঁস হলে বিষয়টি নিয়ে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা শুরু হয়। ভাইরাল ওই কল রেকর্ডে তাকে বলতে শোনা যায় আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক আব্দুল কাদের ও হামজা মাহবুবের কথা বলে অধ্যক্ষ মাহমুদুল হাসানের কাছে ৩ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন।
যেখানে মধ্যস্থতাকারী হিসেবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফাইন্যান্স বিভাগের শিক্ষার্থী ফেনীর আজিজুর রহমান রিজভীর নাম উল্লেখ করেন তিনি।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার রাতে আজিজুর রহমান রিজভীর পক্ষে তাঁর বাবা ছিদ্দিকুর রহমান বাদী হয়ে ওমর ফারুক শুভকে আসামি করে ফেনী মডেল থানায় একটি মামলা করেন। পরে অভিযান চালিয়ে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে আজিজুর রহমান রিজভী বলেন, কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক, এক উপদেষ্টা ও আমার নাম ভাঙিয়ে সে (শুভ) চাঁদাবাজি করার চেষ্টা করেছে।
ন্যূনতম যোগাযোগ ও সংশ্লিষ্টতা না থাকা সত্ত্বেও তার এমন কাণ্ড আমার জন্য সম্মানহানিকর। বিষয়টি অবগত হয়ে আমি ফেনী মডেল থানায় অভিযোগ করেছি।
ফেনী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মর্ম সিংহ ত্রিপুরা বলেন, মামলা করার পর অভিযান চালিয়ে পুলিশ তাঁকে গ্রেপ্তার করেছে। বুধবার আদালতের মাধ্যমে গ্রেপ্তার শুভকে কারাগারে পাঠানো হবে।