<p style="text-align:justify">কুমিল্লার লালমাই উপজেলার পালপাড়া গ্রামের কৃষক খোরশেদ আলম হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত আসামি ফাহিমকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার (২৮ নভেম্বর) দুপুরে লালমাই থানা পুলিশের একটি দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে কুমিল্লা বিআরটিএ কার্যালয় থেকে তাকে আটক করে।</p> <p style="text-align:justify">গ্রেপ্তার ফাহিম উপজেলার বেলঘর উত্তর ইউনিয়নের পালপাড়া গ্রামের সাব্বির আহমেদের ছেলে। তিনি কুমিল্লা বিআরটিএ অফিসের ফিঙ্গার সেকশনে মাস্টার রুলে অফিস সহায়ক হিসেবে চাকরি করতেন।</p> <p style="text-align:justify">পুলিশ ও নিহতের পরিবার সূত্রে জানা যায়, উপজেলার বেলঘর উত্তর ইউনিয়নের পালপাড়া গ্রামের খোরশেদ আলম ও জসিম উদ্দিনের সঙ্গে জমি বিক্রয় নিয়ে পূর্ব থেকে বিরোধ চলে আসছিল একই গ্রামের সাব্বির আহমেদের। গত ৫ আগস্ট বিকেলে দেশব্যাপী অস্থিতিশীলতার সুযোগে সাব্বির আহমেদ তার সঙ্গীয়দের নিয়ে দেশীয় তৈরি অস্ত্র দিয়ে খোরশেদ আলম ও জসিম উদ্দিনের ওপর হামলা করে। হামলাকারীরা খোরশেদ আলমকে কুপিয়ে রক্তাক্ত করলে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। ঘটনার পর পুলিশি সহায়তা না পাওয়ায় ময়নাতদন্ত ছাড়াই মরদেহ দাফন করে নিহতের পরিবার।</p> <p style="text-align:justify">নিহতের ছেলে ইমরান হোসেন জানান, জমি সংক্রান্ত বিরোধের প্রতিশোধ নিতে আমার বাবাকে কুপিয়ে হত্যা করেছে সন্ত্রাসীরা। হত্যাকাণ্ডের  বিচারের জন্য অনেকদিন ধরে আদালতের বারান্দায় ঘুরেছি। পুলিশ আজকে এজাহারভুক্ত ৩নং আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে। তবে ১ ও ২নং সহ অন্যান্য আসামিদেরকে গ্রেপ্তার করা জরুরি। আসামিরা এলাকায় থাকায় আমাদের পরিবার নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছে।</p> <p style="text-align:justify">লালমাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. শাহ আলম বলেন, খোরশেদ আলম হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত আসামি ফাহিমকে তার কর্মস্থল কুমিল্লা বিআরটিএ থেকে বৃহস্পতিবার দুপুরে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পলাতক আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য নিহতের মরদেহ উত্তোলন প্রক্রিয়াধীন।<br />  </p>