<p>টঙ্গীর বিশ্ব ইজতেমা মাঠ দখল ঘিরে তাবলিগের দুই পক্ষের সংঘর্ষে গতকাল তিন জন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় গতকাল ভুলবশত চার জনের কথা প্রচার হয়েছে বলে জানা গেছে। পুরো এখনা ফাঁকা রয়েছে এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। তবে সহিংসতার ঘটনায় এখনো কোনো মামলা হয়নি। </p> <p>এদিকে ইজতেমা মাঠের সামনে কামার পাড়া সড়ক বন্ধ করে পুরো মাঠের নিয়ন্ত্রণে থাকা সেনাবাহিনী আজ বেলা ১২টায় সড়ক থেকে ব্যারিকেড তুলে নিয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৯ ডিসেম্বর) সরেজমিনে ইজতেমা মাঠের এমন চিত্র দেখা যায়।</p> <p>জানা যায়, গতকাল বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) টঙ্গীর বিশ্ব ইজতেমা মাঠে তাবলিগ জামাতের দুই গ্রুপের সহিংসতায় তিন জন নিহত হয়েছেন। </p> <p>পুলিশ ও বিবদমান দুই পক্ষের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, নিহত আমিনুল হক উরফে বাচ্চুর নাম কোথাও আমিনুল হক আবার কোথাও বাচ্চু বলে উল্লেখ করা হয়েছে। এক নামকে খণ্ডিত করে ভুলে দুই বার বলায় নিহতের সংখ্যা তিন জনের বদলে চার জনের কথা বলা হয়েছে। </p> <p>এর আগে গতকাল স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত শুরায়ি নেজামের (জুবায়েরপন্থী) মিডিয়া সমন্বয়কারী হাবিবুল্লাহ রায়হান কালের কণ্ঠকে বলেন, স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা নিহত আমিনুল হক উরফে বাচ্চুর নাম ভুলে দুই বার উচ্চারণ করায় একজনকে দুই জন বলা হয়েছে। আসলে আমিনুল হক ও বাচ্চু একই ব্যাক্তি; দুই ব্যাক্তি নয়। ফলে নিহতের সংখ্যা চার নয় তিন।</p> <p>টঙ্গী পশ্চিম থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ইস্কান্দার হাবিবুর রহমান কালের কণ্ঠকে বলেছেন, ইজতেমার সহিংসতার ঘটনায় তিন জন নিহত হয়েছেন।</p> <p>তবে নিহতরা কোন পক্ষের ছিলেন এই বিষয়ে সরকারের পক্ষ থেকে স্পষ্ট কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি। এসব ঘটনায় এখনো কোনো মামলা হয়নি। মামলা হওয়ার পর বাদির সঙ্গে কথা বলে নিহতরা কোন পক্ষের ছিলেন তা জানা যাবে।</p> <p>নিহতরা হলেন- কিশোরগঞ্জ জেলার পাকুন্দিয়া থানার এগারসিন্দু গ্রামের মৃত উসমান মিয়ার ছেলে আমিনুল হক উরফে বাচ্চু মিয়া(৭০)। ঢাকার দক্ষিণ খানের বেড়াইদ এলাকার আব্দুস সামাদের ছেলে বেলাল হোসেন (৬০) ও বগুড়া জেলার তাজুল ইসলাম (৭০)।</p> <p>এদিকে গতকাল রাতে রেখে যাওয়া মালামাল নিতে মাওলানা জুবায়ের পক্ষের বেশ কিছু লোক ইজতেমা মাঠে এসেছেন বলে জানা গেছে। এ বিষয়ে শুরায়ে নেজামের (জুবায়েরপন্থী) মিডিয়া সমন্বয়কারী হাবিবুল্লাহ রায়হান কালের কণ্ঠকে বলেছেন, আমাদের কেউ মাঠে নেই। তবে মাঠের টিনসেড মসজিদ আমরা এবং তুরাগের পশ্চিম পাড়ে বেলাল মসজিদ সাদপন্থীরা সারা বছর ব্যবহার করতে পারবে বলে সরকারি সিদ্ধান্ত আছে। তাই আমরা মাঠে নেই। শুধুমাত্র মসজিদে আছি।</p> <p>এ বিষয়ে টঙ্গী পশ্চিম থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ইস্কান্দার হাবিবুর রহমান কালের কণ্ঠকে বলেছেন, মালামাল নেওয়ার জন্য জুবায়েরপন্থীদের কেউ আসতে পারেন। তবে মাঠ আমাদের নিয়ন্ত্রণে আছে।</p> <p>বেলা ১২ টায় সরেজমিন দেখা যায়, ইজতেমা মাঠের প্রধান ফটকের সামনে টঙ্গীর কামার পাড়ার বন্ধ সড়ক খুলে দিয়েছে সেনাবাহিনী। তবে মাঠের ভেতরে ও বাইরে সেনাবাহিনী, পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা সতর্ক অবস্থানে আছে।</p>