<p>শীতের শুরুতেই পর্যটন কেন্দ্র কুয়াকাটায় দেশি-বিদেশি পর্যটকের ঢল নেমেছে। দুই সপ্তাহ ধরে দেশের সব প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পরীক্ষা শেষ হওয়ায় পর্যটক ও পিকনিক পার্টির সদস্যদের উপস্থিতি বেড়েছে। পর্যটকদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে কাজ করছেন ট্যুরিস্ট পুলিশ ও মহিপুর থানা পুলিশ।</p> <p>শুক্রবার (২০ ডিসেম্বর) কুয়াকাটায় সরেজমিনে দেখা গেছে, যাত্রীবাহী বাস, মিনিবাস এবং অন্যান্য যানবাহনযোগে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে কুয়াকাটায় পর্যটকরা এসেছেন। সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত দল বেধে সৈকতের গুরুত্বপূর্ণ স্পট নারিকেল বাগান, ঝাউ বন, নারিকেল বাগান, তাল বাগান, লেম্পুচর, গঙ্গামতি, কাউয়া চর ও টেংরাগিরী বনাঞ্চলে ছুটছেন তারা। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে হই হুল্লোর ও আনন্দঘন পরিবেশে উত্তাল সমুদ্রে ব্যস্ত সময় পার করছেন আগতরা। </p> <p>ঢাকা থেকে স্বপরিবারে বেড়াতে আসা পর্যটন মো. নাহিদুল ইসলাম কালের কণ্ঠকে বলেন, 'তিন দিন ধরে কুয়াকাটায় এসেছি। এখানকার চর বিজয়, গঙ্গামতিচর, কাউয়ারচর, লালকাড়ারচর, মিশ্রিপাড়া বৌদ্ধবিহার পরিদর্শন করেছি। এখানকার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য আমাকে মুগ্ধ করেছে। এখানকার ভ্রমণ আমি কোনো দিন ভুলব না।'</p> <p>কুয়াকাটা সৈকত সংলগ্ন তাঁতবস্ত্র ও ঝিনুকের শো পিচ বিক্রেতা মো. সুমন আহম্মেদ কালের কণ্ঠকে বলেন, 'গত সপ্তাহের চেয়ে এই সপ্তাহে দ্বিগুণ পর্যটক এসেছেন। আমাদের কুয়াকাটার সব বাণিজ্যিক দোকানে বেচাবিক্রিও বেড়েছে দ্বিগুণ। এভাবে চলতে থাকলে আমরা গত বছরের লোকসান কাটিয়ে উঠতে পারব।'</p> <p>কুয়াকাটা হোটেল মোটেল ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মোতালেব শরীফ কালের কণ্ঠকে বলেন, কুয়াকাটার সব হোটেল মোটেলের প্রায় ৯০ শতাংশ রুম বুকিং হয়ে গেছে। পর্যটন মৌসুম শুরু হওয়ায় হোটেল ব্যবসায়ীরা একটু স্বস্তিতে রয়েছেন। গত বছর হোটেল ব্যবসায়ীরা কোটি কোটি টাকা লোকসানে পড়েছিলেন। সেই লোকসান হয়ত কাটিয়ে ওঠা যাবে বলে মনে হচ্ছে।</p> <p>কুয়াকাটা ট্যুরিস্ট পুলিশের সহকারী পুলিশ সুপার মো. হাবিবুর রহমান কালের কণ্ঠকে বলেন, কুয়াকাটায় লাখো পর্যটকের আগমন ঘটেছে। পর্যটকদের সেবা এবং নিরাপত্তা নিশ্চিতে পুলিশের একাধিক টিম কাজ করছে। একইসঙ্গে সৈকত পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতায় কুয়াকাটা পৌরসভার পরিচ্ছন্নতাকর্মীরা কাজ করছে।</p>