<p>বগুড়ায় একটি বেসরকারি ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে টাকা পরিশোধের জন্য দেওয়া চেক প্রত্যাখ্যান মামলায় ব্যবসায়ী আব্দুল গফুরকে এক বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে ৬ কোটি ৭৯ লাখ ১২ হাজার টাকা অর্থদণ্ডাদেশ দেওয়া হয়েছে।</p> <p>বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি) বগুড়ার প্রথম যুগ্ম দায়রা জজ আদালতের বিচারক শাহনাজ পারভীন এই রায় দেন।</p> <p>দণ্ডাদেশপ্রাপ্ত আসামি মেসার্স শাহ সুলতান হিমাগারের স্বত্বাধিকারী আব্দুল গফুর বগুড়া শহরের রাজা বাজারের মৃত আকবর আলীর ছেলে। জামিনে মুক্ত হওয়ার পর থেকেই তিনি পলাতক থাকায় গ্রেপ্তারের পর থেকে তার সাজা কার্যকর হবে বলে রায়ে উল্লেখ করা হয়েছে।</p> <p>মামলা সূত্রে জানা গেছে, বগুড়ার ব্যবসায়ী আব্দুল গফুর তার ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান মেসার্স শাহ সুলতান হিমাগার ও শাহ সুলতান ফিড মিলস (প্রা.) লিমিটেডের ব্যবসা পরিচালনার জন্য আল-আরাফাহ্ ইসলামী ব্যাংক বগুড়া শাখা থেকে ব্যাংক ঋণ গ্রহণ করেন। ঋণের ওই টাকা সুদাসলে ৮৬ কোটি ১৩ লাখ ৫০ হাজার ৫০ টাকা ব্যাংকের পাওনা দাঁড়ায়। আসামি আব্দুল গফুর ব্যাংকের পাওনা ঋণের টাকার মধ্যে আংশিক পরিশোধ করতে তার নামের ব্যাংক হিসাবের ৬ কোটি ৭৯ লাখ ১২ হাজার ৪২৪ টাকা মূল্যমানের একটি চেক আল-আরাফাহ ইসলামী ব্যাংক বগুড়া শাখার অনুকুলে দেয়। ব্যাংকের বগুড়া শাখা ওই ব্যাংক চেকটি নগদ অর্থায়নের জন্য ২০১৭ সালের ৯ নভেম্বর ব্যাংকে জমা দিলে ব্যাংক হিসাবে তা অপর্যাপ্ত তহবিলের কারণে ব্যাংক থেকে প্রত্যাখান হয়। পরে আল-আরাফাহ ইসলামী ব্যাংক বগুড়া শাখার পক্ষ থেকে লিগ্যাল নোটিশ দেওয়ার পরও আব্দুল গফুর ব্যাংকের পাওনা টাকা পরিশোধ না করায় আল-আরাফাহ ইসলামী ব্যাংক লিমিটেড বগুড়া শাখার পক্ষে ক্ষমতাপ্রাপ্ত প্রিন্সিপাল অফিসার শহীদুল আলম বাদী হয়ে ঋণগ্রহীতা ব্যবসায়ী মেসার্স শাহ সুলতান হিমাগারের স্বত্বাধিকারী আব্দুল গফুরকে আসামি করে এই মামলা করেন।</p>