ঈদে মাংস নিয়ে বাড়ি ফেরা হলো না যুবকের

ভাঙ্গুড়া (পাবনা) প্রতিনিধি
ভাঙ্গুড়া (পাবনা) প্রতিনিধি
শেয়ার
ঈদে মাংস নিয়ে বাড়ি ফেরা হলো না যুবকের
সংগৃহীত ছবি

ঈদে সন্তানদের ইচ্ছে পূরণের জন্য মহিষের মাংস কিনে বাড়ি ফেরার পথে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় রুহুল আমিন (৪০) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। আজ সোমবার (৩১ মার্চ) সকালে ভাঙ্গুড়া-পাবনা সড়কের চাটমোহর উপজেলার কড়ইতলা এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে। রুহুল পাবনার ভাঙ্গুড়া উপজেলার সদর ইউনিয়নের চরভাঙ্গুড়া গ্রামের ভাদু মোল্লার ছেলে। 

জানা যায়, রুহুল আমিনের ৩ শিশু সন্তান ঈদে মহিষের মাংস খাওয়ার জন্য বায়না ধরে বাবার কাছে।

বাবা সেই মহিষের মাংস কেনার জন্য মোটরসাইকেল নিয়ে ঈদের দিন সকালে পাবনা সদর উপজেলা টেবুনিয়া বাজারে যায়। সেখান থেকে মাংস কিনে বাড়ি ফেরার পথে চাটমোহরের কড়ইতলা এলাকায় পৌঁছালে দ্রুতগতির মোটরসাইকেলটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সড়কের পাশে একটি গাছে সজোরে ধাক্কা লাগে। এতে গুরুতর আহত হয় রুহুল। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে চাটমোহর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
দুপুরের পরে গ্রামের সামাজিক কবরস্থানে রুহুলের দাফন সম্পন্ন হয়।

রুহুলের প্রতিবেশী সুলতান আহমেদ বলেন, সন্তানদের পছন্দের মাংস আনতে গিয়ে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় মারা যায়। তার ছোট তিনটি সন্তান রয়েছে।

চাটমোহর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মঞ্জুরুল আলম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

ট্রেন থেকে সাড়ে ৫ কোটি টাকার কোকেন উদ্ধার

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঝিনাইদহ
নিজস্ব প্রতিবেদক, ঝিনাইদহ
শেয়ার
ট্রেন থেকে সাড়ে ৫ কোটি টাকার কোকেন উদ্ধার

ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুরে ট্রেন থেকে সাড়ে ৫ কোটি টাকা মূল্যের কোকেন জব্দ করেছে বিজিবি। শুক্রবার (১০ এপ্রিল) মহেশপুর ৫৮ বিজিবির সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম এক  সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানান।

এর আগে বৃহস্পতিবার (১০ এপ্রিল) রাতে কোটচাঁদপুর রেলওয়ে স্টেশনে খুলনাগামী কপোতাক্ষ ট্রেনে অভিযান চালিয়ে এ কোকেন জব্দ করা হয়।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিজিবি জানায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কোটচাঁদপুর রেলওয়ে স্টেশনে অভিযান চালায় বিজিবি।

অভিযানকালে রাজশাহী থেকে খুলনাগামী কপোতাক্ষ ট্রেনের ঙ-বগির কামরায় পরিত্যক্ত অবস্থায় ১ কেজি ৬১৫ গ্রাম ওজনের তিন প্যাকেট কোকেন উদ্ধার করা হয়।

উদ্ধারকৃত কোকেনের আনুমানিক মুল্য ৫ কোটি টাকারও বেশি হবে বলে বিজিবি জানিয়েছে।

মন্তব্য

বিদ্যালয়ের জমিতে দোকান নির্মাণ, ৭ বছর ধরে ভাড়া তুলছেন আ. লীগ নেতা

রামগতি-কমলনগর (লক্ষ্মীপুর) প্রতিনিধি
রামগতি-কমলনগর (লক্ষ্মীপুর) প্রতিনিধি
শেয়ার
বিদ্যালয়ের জমিতে দোকান নির্মাণ, ৭ বছর ধরে ভাড়া তুলছেন আ. লীগ নেতা
চরআফজল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের জায়গায় দোকান নির্মাণ

লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরগাজী ইউনিয়নে চরআফজল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের জায়গা দখল করে দোকান নির্মাণ করে সাত বছর ধরে ভাড়া তুলছেন সাইফুল আলম বিপ্লব নামের এক আওয়ামী লীগ নেতা।

স্থানীয়রা জানান, সাইফুল আলম বিপ্লব উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক, তার বাবা মাহফুজুল হক শের আলী চরগাজী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি, তার চাচা আব্দুল ওয়াহেদ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ছিলেন।

তারা জানান, স্কুলটি তাদের বাড়ির দরজায় হওয়ায় তিনি প্রভাব বিস্তার করে স্কুলের জায়গায় ৬টি দোকান নির্মাণ করেছেন। বর্তমানে ৪ হাজার করে প্রতিমাসে ২৪ হাজার টাকা ভাড়া তুলছেন বিপ্লব।

সাত বছরে ২০ লাখ ১৬ হাজার টাকা ভাড়া ভোগ করছেন তিনি। বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় এলাকাবাসীর মধ্যে দেখা দিয়েছে ক্ষোভ ও অসন্তোষ।

এ বিষয়ে অভিযুক্ত আওয়ামী লীগ নেতা সাইফুল আলম বিপ্লব বলেন, স্কুলের সব জায়গা আমরা দিয়েছি। প্রয়োজনে আরো দিবো।

এটা নিয়ে এতো হৈ চৈ করার কি আছে?

এ বিষয়ে কথা বলতে অপারগতা প্রকাশ করেন স্কুলের প্রধান শিক্ষক সুবির চন্দ্র দে।

উপজেলা প্রাথমিক সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা আবু ইউছুফ বলেন, বিদ্যালয়ের জমি দখল করে দোকান নির্মাণ করে ভাড়া নেওয়ার বিষয়টি তার জানা নেই। খোঁজ নিয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নেবেন বলে জানান তিনি।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সৈয়দ আমজাদ হোসেন বলেন, সংশ্লিষ্ট দপ্তরকে ব্যবস্থা নিতে বলবেন তিনি।

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীদের বর্ষবরণ উৎসব বৈসাবিতে বর্ণাঢ্য আয়োজন

কাউখালী (রাঙামাটি) প্রতিনিধি
কাউখালী (রাঙামাটি) প্রতিনিধি
শেয়ার
ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীদের বর্ষবরণ উৎসব বৈসাবিতে বর্ণাঢ্য আয়োজন
ছবি: কালের কণ্ঠ

বাংলা নতুন বছরকে বরণ করতে রাঙামাটির কাউখালীর ঘাগড়ায় শুরু হয়েছে পার্বত্য চট্টগ্রামের ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীদের বর্ষবরণ উৎসব বৈসাবি। উৎসবটি ত্রিপুরাদের কাছে বৈসুব, বৈসু বা বাইসু, মারমাদের কাছে সাংগ্রাই এবং চাকমা ও তঞ্চঙ্গ্যাদের কাছে বিজু নামে পরিচিত। বৈসাবি নামকরণও করা হয়েছে এই তিনটি উৎসবের প্রথম অক্ষর গুলো নিয়ে। বৈ শব্দটি ত্রিপুরাদের বৈসু থেকে, সা শব্দটি মারমাদের সাংগ্রাই থেকে এবং বি শব্দটি চাকমাদের বিজু থেকে।

এই তিন শব্দের সম্মিলিত রূপ হলো ‘বৈসাবি’।

শুক্রবার (১০ এপ্রিল) থেকে নানা বর্ণাঢ্য আয়োজনের মধ্য দিয়ে  শুরু হয়েছে বৈসাবি'র আমেজ। সকালে কাউখালী উপজেলার ঘাগড়া কলেজ মাঠে, ঘাগড়া এলাকাবাসীর আয়োজনে বিজু, সাংগাই, বৈসুক, বিষু ও বিহু উদ্‌যাপনের কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন রাঙামাটি জেলা পরিষদের সদস্য লুৎফুন্নেসা বেগম।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার কাজী আতিকুর রহমান, উপজেলা বিএনপির সভাপতি জাহাঙ্গীর হোসেন, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মোতালেব মেম্বার, বিএনপি নেতা ও বৈসাবি অনুষ্ঠান উদ্‌যাপন কমিটির সভাপতি অর্জুন মনি চাকমা, ঘাগড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক চন্দ্রা দেওয়ান, সাবেক ইউপি সদস্য শান্তি মনি চাকমাসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।

দিনব্যাপী এই উৎসবে সকালে ফিতা কেটে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করা হয়। এরপর পরই স্থানীয় শিল্পীদের পরিবেশনায় চাকমা গানের সাথে নৃত্য। এরপর ঘাগড়া কলেজ মাঠ থেকে বের করা হয় বর্ণাঢ্য র‍্যালির। র‍্যালিটি রাঙামাটি চট্টগ্রাম প্রধান সড়ক হয়ে ঘাগড়া বাজার ঘুরে কলেজ মাঠে এসে শেষ হয়।

র‍্যালি শেষে আগত অতিথি দর্শনার্থীদের পাহাড়ের ঐতিহ্যবাহী খাবার পাজন পরিবেশন করা হয়। শুক্রবার বিকেলে চাকমাদের ঘিলা খেলা, শিক্ষামূলক চাকমা নাটিকা উপস্থাপন করা হয়। সন্ধ্যার পর আয়োজন করা হয় মনোগ্য সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের।

আয়োজন কমিটির সভাপতি অর্জুন মনি চাকমা বলেন, ‘বর্ষবরণ আমাদের প্রধান সামাজিক উৎসব। আমরা চাই সকল সম্প্রদায়ের মানুষ মিলে মিশে সম্প্রীতি রক্ষাকরে বসবাস করে যেতে।

এই উৎসবের মাধ্যমে পরবর্তী প্রজন্মকে সম্প্রীতির মিল বন্ধনের বিষয়ে অবহিত করা আমাদের উদ্দেশ্য।’

চাকমা ও তঞ্চঙ্গ্যাগণ এ উৎসবটি ৩দিন ধরে পালন করে। চৈত্রের শেষ ২দিন ও বৈশাখের প্রথম দিন। চৈত্রের শেষ দিনটি এই উৎসবের মূল আকর্ষণ। এ দিন ঘরে ঘরে পাঁচ প্রকারের সবজি সহকারে বিশেষ খাদ্য পাজন রাঁধা হয়। তারা বিশ্বাস করেন, এই পাজনের দৈব গুণাবলি আগত বছরের অসুস্থতা ও দুর্ভাগ্য দূর করবে। তরুণীরা পানিতে ফুল ভাসিয়ে দেয়।

মন্তব্য

সরিষাবাড়ীতে পৃথক অভিযানে আটক ৯

সরিষাবাড়ী (জামালপুর) প্রতিনিধি
সরিষাবাড়ী (জামালপুর) প্রতিনিধি
শেয়ার
সরিষাবাড়ীতে পৃথক অভিযানে আটক ৯

জামালপুরের সরিষাবাড়ীতে চুরি ও জুয়া খেলার অভিযোগ এবং ইয়াবাসহ ৯ জনকে আটক করেছে পুলিশ। শুক্রবার (১১ এপ্রিল) উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়। 

চুরির অভিযোগে আটকরা হলেন পৌরসভার মাইজবাড়ী এলাকায় সুন্দর আলীর ছেলে সাজ্জাদ হোসেন স্বচ্ছ (২৬), রাসেল মিয়ার ছেলে রাজ মিয়া (১৯), সোহেল চাকলাদারের ছেলে সূর্যা চাকলাদার (১৯), চাঁদ শিমলা গ্রামের নুরুল হকের ছেলে কামাল হোসেন (২০) ও মহাদান ইউনিয়নের ফরিদ পাঠানের ছেলে সনি পাঠান (২৫)।

আরো পড়ুন
কাপ থেকে চা-কফির দাগ দূর করবেন যেভাবে

কাপ থেকে চা-কফির দাগ দূর করবেন যেভাবে

জুয়া খেলার অভিযোগে আটকরা হলেন পৌরসভার আব্দুল জব্বারের ছেলে মামুনুর রশিদ, দুদু মিয়ার ছেলে ছানোয়ার হোসেন ও হযরত আলীর ছেলে মজনু মিয়া ও ইয়াবা ব্যবসায়ী চাপারকোনা গ্রামের তাজিন মিয়া।

 

সরিষাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) চাঁদ মিয়া জানান, দীর্ঘদিন ধরে চোর চক্রের সক্রিয় সদস্যরা বন্ধ থাকা আলহাজ জুটমিলের বিভিন্ন যন্ত্রাংশ চুরি করছিল। শুক্রবার রাতে জুট মিলের (সুইচ বোর্ড অ্যাটেনডেন্ট) ভেতরে প্রবেশ করে প্রায় ২০ পিস পিনিয়াম চুরি করে তারা। যার বাজার মূল্য ৮০ হাজার টাকা। 

আরো পড়ুন
বাঁশির সুরে ঘুম ভাঙে যে গ্রামে

বাঁশির সুরে ঘুম ভাঙে যে গ্রামে

তিনি আরো জানান, অভিযান চালিয়ে চোর চক্রের সক্রিয় পাঁচ সদস্যকে আটক করা হয়।

অপরদিকে পৃথক অভিযানে তিন জুয়াড়ি ও এক মাদক ব্যবসায়ীকে আটক করা। শুক্রবার বিকালে তাদের বিরুদ্ধে মামলা দিয়ে আদালতে মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়।

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ