চলে গেলেন বিশিষ্ট চলচ্চিত্র পরিচালক মোস্তফা আনোয়ার গত ১২ই মে সন্ধ্যায় ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ হয়ে মৃত্যুবরণ করেন। (ইন্নালিল্লাহি...রাজিউন)। তার বয়স হয়েছিল ৭৭।
পাকিস্তান বিমান বাহিনীতে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত মোস্তফা আনোয়ার চলচ্চিত্র নির্মাণের প্রতি অদম্য ভালবাসায় একসময় তা শুরু করেন।
অসংখ্য জনপ্রিয় চলচ্চিত্রের পরিচালক মোস্তফা আনোয়ার মারা গেছেন
কালের কণ্ঠ অনলাইন

এই চলচ্চিত্রের ‘তুমি আমার জীবন আমি তোমার জীবন’ গানটি এখনও বেশ শ্রোতাপ্রিয়। তার পরিচালিত ইলিয়াস কাঞ্চন-সুচরিতা অভিনীত ‘আঁখি মিলন’ চলচ্চিত্রের ‘আমার গরুর গাড়িতে বউ সাজিয়ে’ গানটি এখনও শ্রোতা-দর্শকের মুখে মুখে ফিরে।
মোস্তফা আনোয়ার পরিচালিত আরেকটি বহুল আলোচিত চলচ্চিত্রের মধ্যে রয়েছে রাজ্জাক, সূচরিতা, ইলিয়াস কাঞ্চন, কাজরী অভিনীত ‘কাজল লতা’। এই চলচ্চিত্রের ‘এই রাত ডাকে ওই চাঁদ ডাকে আজ তোমায় আমায়’ গানটিও বেশ শ্রোতাপ্রিয়।
মোস্তফা আনোয়ার পরিচালিত ‘কাশেম মালার প্রেম’ ছবির মাধ্যমে চম্পার সঙ্গে অভিনয় করে মান্না প্রথম লাইমলাইটে আসেন। ‘পুষ্পমালা’, ‘সমর্পণ’, ‘আশ্রয়’, বাংলার মা’সহ ষোলটি চলচ্চিত্র তিনি নির্মাণ করেন তিনি। চিত্রনায়ক ইলিয়াস কাঞ্চন বলেন, একজন মেধাবী পরিচালক ছিলেন মোস্তফা আনোয়ার। কিন্তু আমাদের ইন্ডাস্ট্রি মেধাবী এই মানুষটিকে এতটুকুও মূল্যায়ন করেনি।
আজ ১৩ মে বুধবার বাদ জোহর জামালপুরে জানাজা শেষে নিজ বাড়িতে পারিবারিক কবর স্থানে মা, বাবার কবরের পাশে দাফন করা হয়েছে।
সম্পর্কিত খবর

সার্জারির পর হাসতে পারছেন না অভিনেত্রী, কপালও ফুলে গেছে!
অনলাইন ডেস্ক

ছোট পর্দায় নিজের পরিচিতি তৈরি করে বড় পর্দায় উত্তরণ হয় ওপার বাংলার অভিনেত্রী মৌনির। বেশ কিছু বড় প্রযোজনা সংস্থার সঙ্গে ইতিমধ্যেই কাজ করে ফেলেছেন।
মৌনির অভিনয় জীবনের পাশাপাশি তার ব্যক্তিগত জীবন নিয়েও উৎসাহের অন্ত নেই। তার নির্মেদ চেহারা ও শারীরিক গঠন নিয়ে কৌতূহল রয়েছে অনুরাগী মহলে।
এবার মৌনির মুখের আদল নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। মৌনি নাকি এমন অস্ত্রোপচারের করিয়েছেন যে আর হাসতে পারছেন না। এমনকি তার কপালের দুটি দিক ফুলে রয়েছে। এই জল্পনা কতটা সত্যি সে বিষয়ে মুখ খুললেন মৌনি।
সম্প্রতি নিজের আসন্ন ছবির প্রচারে যান মৌনি। সেখানেই নায়িকার মুখের অঙ্গভঙ্গি দেখে খানিক খটকা লাগে ভক্তদের। শুরু হয় গুঞ্জন। মৌনির আগের চেহারার সঙ্গে বর্তমান চেহারার অমিল দেখছেন ভক্তরা।
তার দিন কয়েক পর ফের দেখা গেল মৌনিকে। তখনো যেন সেই একই গুঞ্জন অব্যাহত। ভক্তদের মতে, মৌনি এত অস্ত্রোপচার করিয়েছেন যে মুখের গড়ন বদলে গেছে।
এই প্রসঙ্গে মৌনি বলেন, ‘আমি এসব নেতিবাচক মন্তব্য দেখি না, পাত্তাও দিই না।

প্রিয়াঙ্কার সঙ্গে দ্বন্দ্ব নিয়ে অকপট কারিনা!
বিনোদন ডেস্ক

প্রিয়াঙ্কা চোপড়া এবং কারিনা কাপুর, দুজনেই তাদের প্রতিভা এবং শক্তিশালী অভিনয় দিয়ে দশকের পর দশক ধরে দর্শকের মুগ্ধ করে এসেছেন। কিন্তু জানলে অবাক হবেন যে একটা সময় এই দুই অভিনেত্রী জড়িয়ে পড়েছিলেন গুরুতর বিবাদে।
অক্ষয় কুমার অভিনীত ‘এতরাজ’ ছবিতে ২০০৪ সালে প্রথমবার একসঙ্গে দেখা গিয়েছিল কারিনা ও প্রিয়াঙ্কাকে। তার পর থেকেই এই সমস্যার সূত্রপাত।
তার এই কথা শুনে কড়া জবাব দেন প্রিয়াঙ্কাও।
তবে এখানেই শেষ নয়। গুঞ্জন শোনা গিয়েছিল, কারিনা এবং প্রিয়াঙ্কা বেলজিয়ামের অ্যান্টওয়ার্পে একটা কনসার্টের সময় একসঙ্গে গিয়েছিলেন, সেখানেও তাদের মধ্যে সমস্যা হয়েছিল।
জানা গিয়েছিল, সেই লড়াই নাকি হাতাহাতি পর্যন্ত পৌঁছে যায়। ২০২৩ সালে কারিনা মিড-ডেকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এই বিষয়ে মুখ খোলেন। তিনি বলেন, ‘না, না, সবটাই গুঞ্জন। আমি সেই সময় ভাবছিলাম, ‘এসব কী হচ্ছে?’ কিন্তু আমার মনে হয়, আমাদের সবার মধ্যেই রাগ আছে, এমন কিছু বিষয় থাকে যেখানে আমরা সবাই নিজেদের প্রমাণ করতে চাই।’
পাশাপাশি কারিনা এও জানান, সংবাদমাধ্যম কিভাবে ৯০-এর দশক থেকে ২০০০-দশক শুরু দিক পর্যন্ত তাদের মধ্যকার সমস্যা নিয়ে গুঞ্জন ছড়াতেন।
তিনি আরো জানিয়েছিলেন, তখনকার সময়ে মানুষেরা একে অপরের বিরুদ্ধে অভিনেতাদের দাঁড় করিয়ে দিতেন। তবে এই সব কিছু বলার পরও কারিনা স্বীকার করেন যে, তিনি সফল হওয়ার জন্য সেই সময় একটু বেশি অস্থিরও হয়ে পড়েছিলেন।
তার কথায়, ‘আমি ক্রমাগত তাড়াহুড়া করছিলাম... আমি শুধু নিজেকে প্রমাণ করতে চেয়েছিলাম। আমি সেরা হতে চেয়েছিলাম।’ তবে এ সমস্যা শুধু কারিনার একার নন, শুরুর দিকে অনেক অভিনেতার মধ্যেই এই অস্থিরতা কাজ করে।
তবে সব থেকে মজার বিষয় ঘটেছিল ২০১৯ সালে। ওই বছর ফের কারিনা এবং প্রিয়াঙ্কা একসঙ্গে ‘কফি উইথ করণ’-এ উপস্থিত হয়ে সবাইকে অবাক করে দিয়েছিলেন। ষষ্ঠ সিজনের সেই পর্বে দুই অভিনেত্রীকেই একে অপরের সঙ্গে হাসতে, ঠাট্টা করতে দেখা গিয়েছিল। শুধু তা-ই নয়, তারা একে অপরের হয়েও কথা বলেছিলেন।

শাহরুখের বাড়িতে ভাড়ায় থাকা যাবে, খরচ হবে কত?
বিনোদন ডেস্ক

বান্দ্রার ‘মান্নাত’ ছাড়াও দুবাই, লন্ডন, ক্যালিফোর্নিয়াসহ একাধিক শহরে বাড়ি রয়েছে শাহরুখ খানের। আমেরিকার লস অ্যাঞ্জেলেসে তার যে বাড়ি রয়েছে, সেটি ভাড়া দেন অভিনেতা। অবসর যাপনের জন্য যে কেউই সে বাড়িতে থাকতে পারেন।
শাহরুখের লস অ্যাঞ্জেলেসের বাড়ির নাম ‘গ্র্যান্ড ভ্যাকেশন ভিলা’।
মোট ছয় রুমের এই ভিলাতে মাঝেমধ্যে অবসর কাটাতে আসেন বলিউড বাদশাহ। অভিনেতার এই বাড়িতে থাকার খরচ নেহাত কম নয়।
এদিকে শাহরুখ সম্প্রতি তার বান্দ্রার সমুদ্রমুখী বাড়ি থেকে বেরিয়ে মুম্বাইয়ের পালি হিলের একটি আবাসনে গিয়ে উঠেছেন। মোটা অঙ্ক দিয়ে ভাড়া নিয়েছেন সেই আবাসন। ‘মান্নাত’-এর অন্দরসজ্জা একেবারে বদলে যাবে। সে জন্য আপাতত ওই বাড়ি ছেড়ে পালি হিলের বাড়িতে থাকবে খান পরিবার।

‘কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা’ একসময় অস্কারও জিতে নিতে পারে : ক্যামেরন
বিনোদন ডেস্ক

অস্কার পাওয়া কালজয়ী সিনেমার কথা উঠলেই প্রথমেই চলে আসে ‘টাইটানিক’ সিনেমার কথা। আর টাইটানিকের প্রসঙ্গ উঠলেই চোখে ভেসে ওঠে হলিউডের বর্ষীয়ান নির্মাতা জেমস ক্যামেরনের কথা। হলিউডে সিনেমার ধারা বদলে দিয়েছিলেন জেমস ক্যামেরন। সিনেমায় যখন চলতি ধারা অনুসরণ করা হচ্ছিল, তিনি সেখান থেকে সরে গিয়ে এতে যুক্ত করেন প্রযুক্তি।
সর্বশেষ ক্যামেরন সবাইকে অবাক করেছেন ‘অ্যাভাটার’ ফ্ল্যাঞ্চাইজি দিয়ে। ২০০৯ সালে এ সিনেমা হলিউড সিনেমার মানচিত্র বদলে দিয়েছিল।
সাম্প্রতিক সময়ে কৃত্তিম বুদ্ধিমত্তা নিয়ে প্রায়ই মন্তব্য করছেন ক্যামেরন। সম্প্রতি তিনি অংশ নিয়েছিলেন ‘বজ টু দ্য ফিউচার’ পডকাস্টে। সেখানেই তিনি ফের কৃত্তিম বুদ্ধিমত্তা নিয়ে কথা বলেন।
পডকাস্টে সিনেমার বাজেট নিয়েও কথা বলেন এ নির্মাতা। ক্যামেরন চেষ্টা করছেন কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা কাজে লাগিয়ে সিনেমার বাজেট কমাবেন। তিনি বলেন, ‘আগের দিনে হলে আমি কোনো প্রতিষ্ঠানকে দায়িত্ব দিতাম সমাধানের। এখন মনে হয় এর বাইরেও কাজটা করা যায়। আমি কখনো বহু টাকা কামানোর চিন্তা করিনি। সব সময় চেয়েছি কেমন করে সিনেমাটা ঠিকঠাক নির্মাণ করা যায়। এখন সবাই ভিএফএক্স নিয়ে ভাবছে। সেখানেই খরচ বেড়ে যাচ্ছে।এখন যে সিনেমাগুলো নির্মাণ করা হয়, কমবেশি সবাই সিজিআইনির্ভর। ডুনের দুই পর্ব দেখেছি আমরা। এমন সব সিনেমায়ই কম্পিউটার জেনারেটেড ইমেজ ব্যবহার হয়। খরচও বেড়ে যায় অনেক। এ জায়গায় আমরা খরচ কমাতে পারি। কেমন করে সেটা করা যায়, তা নিয়েই ভাবতে হবে। বাজেট কমালে ব্লকবাস্টার পাওয়া সহজ হবে।’
সামনে ক্যামেরন নিয়ে আসছেন ‘অ্যাভাটার : ফায়ার অ্যান্ড অ্যাশ’। সিনেমাটি নিয়ে এরই মধ্যে দর্শকমহলে সাড়া পড়ে গেছে। এটি অ্যাভাটার ফ্র্যাঞ্চাইজির তৃতীয় কিস্তি। ২০০৯ সালের প্রথম অ্যাভাটার ও ২০২২ সালের ‘দ্য ওয়ে অব ওয়াটার’—দুটি সিনেমাই ২ বিলিয়ন ডলারের বেশি আয় করেছে।