করোনা লড়াইয়ের সামিল হয়েছেন হলিউড তারকা আর্নল্ড শোয়ার্জনেগার। ফ্রন্টলাইন রেস্পন্ডার্স ফান্ডে ৮ কোটি ৪৩ লাখ টাকা দান করেন তিনি। বৃহস্পতিবার নিজের ইন্সটাগ্রাম একাউন্টে এই তথ্য প্রকাশ করে নিজের অনুসারীদেরকেও এগিয়ে আসার আহ্বান জানান 'টার্মিনেটর' তারকা। তাঁর অনুরোধ ফেলতে পারেননি ভক্তরাও।
করোনা লড়াইয়ে সাড়ে ৮ কোটি টাকা দান করলেন আর্নল্ড শোয়ার্জনেগার
বিনোদন প্রতিবেদক

এই দানের পর ইনস্ট্রাগ্রামে আর্নি লেখেন, "সোফায় বসে থেকে শুধু অভিযোগ করার ব্যক্তি আমি নই। আমি বিশ্বাস করি সবাইকে নিজ নিজ অবস্থান থেকে নিজেদের দায়িত্বটুকু পালন করতে হবে। এই সময়কার আমাদের আসল অ্যাকশন হিরো হচ্ছেন হাসপাতালে কাজ করা স্বাস্থ্যকর্মীরা।
অনলাইনে তহবির সংগ্রহ করার পেজ 'গোফান্ডমি'-এ এই তহবিলটি তৈরি করেছে 'ফ্ল্যাক্সপোর্ট' নামের একটি সংস্থা। তহবিলটির মাধ্যমে বিশ্বব্যাপী হাসপাতালগুলোকে মাস্কস, গাউন, গ্লাভস এবং ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী সরবরাহ করার চেষ্টা করা হবে।

ফিলিস্তিনিদের জন্য একঝাঁক শিল্পীর প্রতিবাদী গান
বিনোদন প্রতিবেদক

ফিলিস্তিনে ইসরায়েলের বর্বরোচিত গণহত্যা নাড়িয়ে দিয়েছে গোটা বিশ্বকে। বাংলাদেশেও এই হামলার প্রতিবাদ জানাচ্ছে সর্বসাধারণ। শোবিজ তারকারাও শামিল হয়েছেন এই প্রতিবাদে। এবার ফিলিস্তিনে ইসরায়েলি হামলার প্রতিবাদে গান তৈরি করলেন জাহিদ নিরব।
গানটির শিরোনাম অনুপ্রাণিত হয়েছে গাজা থেকে ছড়িয়ে পড়া একটি ভাইরাল ভিডিও থেকে, যেখানে বিস্ফোরণের পর আকাশে ছিটকে পড়া মৃতদেহের করুণ দৃশ্য ধারণ করা হয়েছিল।
গানটির সাউন্ড ডিজাইন করেছেন সুমন পারভেজ এবং এটি রেকর্ড করা হয়েছে সাউন্ড অব সাইলেন্স স্টুডিওতে। এটি একটি শান্ত কিন্তু গভীর আবেগময় প্রতিবাদী গান।
আকাশে উড়ছে মৃত লাশ গানটি নিয়ে জাহিদ নিরব বলেন, ‘আমি বিশ্বাস করি, প্রতিবাদের তিনটি ভাষা রয়েছে—নীরবতা, শব্দ আর রক্ত।

কান উৎসবের মনোনয়ন ঘোষণা, কারা আছেন দৌড়ে?
বিনোদন প্রতিবেদক

বছর পেরিয়ে আবারও শুরু হচ্ছে কান চলচ্চিত্র উৎসব। এবার ৭৮তম আসর অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে আগামী ১৩ মে, ফ্রান্সের কান শহরের পালে দ্য ফেস্টিভ্যাল ভবনে। বৃহস্পতিবার রাতে উৎসবের নির্বাচিত ছবিগুলোর তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। সংবাদ সম্মেলনে হাজির হয়ে তালিকা প্রকাশ করেন উৎসবের প্রেসিডেন্ট আইরিস নোবলোখ ও জেনারেল ডেলিগেট থিয়েরি ফ্রেমো।
এবারের উৎসবে মূল প্রতিযোগিতা বিভাগে জায়গা পেয়েছে ১৯টি ছবি। তবে এবার কোনো কোরীয় ছবি জায়গা করে নিতে পারেনি। গত এক যুগে এই প্রথম এমনটা ঘটল।
এবারের নির্বাচিত ছবিগুলো হলো ‘আলফা’ (ফ্রান্স, বেলজিয়াম), ‘দোসিয়ে ১৩৭’ (ফ্রান্স), ‘ঈগলস অব দ্য রিপাবলিক’ (সুইডেন, ফ্রান্স, ডেনমার্ক ও ফিনল্যান্ড), ফুয়োরি’ (ইতালি, ফ্রান্স), ‘এডিংটন’ (যুক্তরাষ্ট্র), ‘নুভেল ভাগ’ (ফ্রান্স), ‘দ্য ফিন্যান্সিয়াল স্কিম’ (যুক্তরাষ্ট্র, জার্মানি), ‘দ্য হিস্টোরি অব সাউন্ড’ (যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র), ‘ইট ওয়াজ জাস্ট অ্যান অ্যাক্সিডেন্ট’ (ইরান, ফ্রান্স), ‘দ্য লিটল সিস্টার’ (ফ্রান্স, জার্মানি), ‘দ্য মাস্টারমাইন্ড’ (যুক্তরাষ্ট্র, জার্মানি), ‘রেনোয়ার’ (জাপান, ফ্রান্স, সিঙ্গাপুর, ফিলিপাইন ও ইন্দোনেশিয়া), ‘রোমেরিয়া’ (স্পেন, জার্মানি), ‘দ্য সিক্রেট এজেন্ট’ (ব্রাজিল, ফ্রান্স), ‘সেনটিমেন্টাল ভ্যালু’ (নরওয়ে, ফ্রান্স, জার্মানি, ডেনমার্ক, সুইডেন, যুক্তরাজ্য), ‘সিরাত’ (স্পেন, ফ্রান্স), ‘সাউন্ড অব ফলিং’ (জার্মানি), ‘টু প্রসিকিউটরস’ (লাটভিয়া, ফ্রান্স, নেদারল্যান্ডস, রোমানিয়া, লিথুয়ানিয়া) এবং ‘দ্য ইয়ং মাদার্স হোম’ (বেলজিয়াম)।
উৎসবের অন্যতম প্রতিযোগিতা বিভাগ আঁ সার্তে রিগায় এবার লড়বে ১৬টি ছবি—‘দ্য মিস্টিরিয়াস গেজ অব দ্য ফ্লেমিঙ্গো’, ‘মেতেওরস’, ‘মাই ফাদারস শ্যাডো’, ‘আর্চিন’, ‘এলিয়ানোর দ্য গ্রেট’, ‘ওয়ান্স আপন আ টাইম ইন গাজা’, ‘আইশা ক্যান্ট ফ্লাই অ্যাওয়ে’, ‘হেডস অর টেইল?’, ‘পিলোন’, ‘ল্যাঁকোনু দ্য লা গ্রঁদ আর্শ’, ‘আ পালে ভিউ অব দ্য হিলস’, ‘দ্য লাস্ট ওয়ান ফর দ্য রোড’, ‘হোমবাউন্ড’, ‘কারাভান’, ‘দ্য প্লেগ’ ও ‘প্রমিজড স্কাই’।
এবারের কান উৎসব হলিউড অভিনেত্রী স্কারলেট জোহানসনের জন্য বিশেষ বটে। কেননা নির্বাচিত দুটি ছবির সঙ্গে তিনি জড়িত। মূল প্রতিযোগিতায় জায়গা করে নেওয়া ওয়েস অ্যান্ডারসনের ‘দ্য ফিন্যানশিয়াল স্কিম’-এ অভিনয় করেছেন স্কারলেট।
এদিকে জাহ্নবী কাপুরের ক্যারিয়ারেও নতুন প্রাপ্তি যুক্ত হলো। বলিউড অভিনেত্রী অভিনীত ‘হোমবাউন্ড’ নির্বাচিত হয়েছে আঁ সার্তে রিগায়। বানিয়েছেন নিরাজ ঘেওয়ান।
উৎসবের প্রধান জুরি অভিনেত্রী জুলিয়েট বিনোশ। এবার আজীবন সম্মাননা হিসেবে সম্মানসূচক স্বর্ণপাম দেওয়া হবে অভিনেতা রবার্ট ডি নিরোকে।

হলসংখ্যা বেড়েছে ঈদের তিন ছবির
বিনোদন প্রতিবেদক

অর্ধ ডজন ছবিতে শুরু হয়েছিল ঈদ উৎসব। স্বাভাবিক নিয়মে দর্শকপ্রিয়তার বিচারে মিছিল থেকে ছিটকে পড়েছে একাধিক ছবি। তবে ঈদের বাজার নিজের করে নিয়েছে তিনটি ছবি—‘বরবাদ’, ‘দাগি’ ও ‘জংলি’। দ্বিতীয় সপ্তাহে এসে তিনটি ছবিরই হলসংখ্যা বেড়েছে।
সপ্তাহের মাঝামাঝি ঈদ হওয়ায় প্রায় ১২ দিনের লম্বা সপ্তাহ পেয়েছে ছবিগুলো। গতকাল শুরু হয়েছে ঈদের ছবির দ্বিতীয় সপ্তাহ। এই সপ্তাহে তিনটি বেড়ে মেহেদী হাসান হৃদয়ের ‘বরবাদ’ চলবে ১২৬টি প্রেক্ষাগৃহে। সিঙ্গেল স্ক্রিনের পাশাপাশি মাল্টিপ্লেক্সেও চুটিয়ে ব্যবসা করছে শাকিব খান ও ইধিকা পাল অভিনীত ছবিটি।
গতকাল শুধু মাল্টিপ্লেক্সেই ছবিটির ৭২টি শো চলেছে এবং প্রায় সবটিই ছিল হাউসফুল। এ ছাড়া সিঙ্গেল স্ক্রিন মিলিয়ে ছবির শো সংখ্যা ছিল ৪৪০!
মিছিলে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে শিহাব শাহীনের ‘দাগি’। প্রথম সপ্তাহে ছবিটি চলেছে ১৩টি প্রেক্ষাগৃহে। এ সপ্তাহে বেড়েছে দুটি হল।
এম রাহিমের ‘জংলি’র শুরুটা একটু নড়বড়ে ছিল। ১০টি প্রেক্ষাগৃহ নিয়ে যাত্রা করে ছবিটি।
এ ছাড়া শরাফ আহমেদ জীবনের ‘চক্কর ৩০২’ প্রশংসা পেলেও প্রেক্ষাগৃহের সংখ্যায় সুবিধা করতে পারছে না। পিছিয়ে রয়েছে কামরুজ্জামান রোমানের ‘জ্বীন ৩’ও। আর ওয়াজেদ আলী সুমনের ‘অন্তরাত্মা’ তো একেবারেই ছিটকে পড়েছে।

নিদ্রা নেহা
আমি খারাপ অভিনয়শিল্পী নই
কামরুল ইসলাম

শুরুটা ‘মিস ইউনিভার্স—বাংলাদেশ’ দিয়ে। সেখান থেকে মডেলিংয়ে, কাজ করেন বিভিন্ন নামি ব্র্যান্ডের হয়ে। পরে মনে জাগে অভিনয়ের সাধ। বছর পাঁচেক হলো অভিনয় করছেন।
“নিজের প্রশংসা করতে চাই না। তবে এটুকু বলতে পারি, আমি খারাপ অভিনয়শিল্পী নই। আমাকে যদি ভালোভাবে চরিত্র-দৃশ্য বোঝানো হয়, সেটা ঠিকঠাক উপস্থাপন করতে পারি।
পরপর দুটি বড় ছবি হাতছাড়া হয়েছে নেহার। নাম উল্লেখ না করেই বলেন, ‘জানুয়ারির ঘটনা। আমি মুম্বাইতে ছিলাম, বাবার চিকিৎসার জন্য। আগে ছোট পর্দায় অনেক জনপ্রিয় ছিলেন, এখন সিনেমা করছেন, এই ঈদেও তাঁর ছবি আছে। তাঁর সঙ্গে একটা ছবি হওয়ার কথা। পরিচালকও আমাকে চাইছেন। সব কিছু চূড়ান্তই ছিল। দুই মাস ধরে প্রস্তুতিও নিলাম। হঠাৎ শুটিংয়ের আগে নিউজ, ওই ছবিতে নায়িকা অমুক! তখন মুম্বাই থেকে নির্মাতাকে ফোন করি। রেসপন্স পাইনি। পরে দেশে এসে পরিচালকের সহকারীর সঙ্গে কথা হয়েছিল। দুই দিন সময় চাইল, বিষয়টা সমাধানের। এরপর ক্যানসেল করে দিল। ১০ দিন পর আবার কল করা হলো। আবার শিডিউল চাইলেন। পরিচালক নানাভাবে চেষ্টা করেছিলেন চরিত্রটির জন্য আমাকে নিতে। কিন্তু প্রযোজকের অনিচ্ছায় আমাকে নেওয়া হয়নি। কারণ কী? আমি জানি না। এই যে বারবার শিডিউল নষ্ট করা হয়, এতে আমাদের কত ক্ষতি হয়! আমাদের তো ঘর-সংসারও দেখতে হয়। টুকটাক বিজ্ঞাপনচিত্র, নাটক করতে হয়। ছবির শিডিউলের জন্য সেগুলো ছেড়ে দিতে হয়। এই অর্থনৈতিক ক্ষতিপূরণ তো তাঁরা দেয় না।’
সম্প্রতি নতুন একটি ছবিতে যুক্ত হয়েছিলেন নেহা। অডিশন সেরে শুটিংয়েও অংশ নিয়েছেন। এমন অবস্থা থেকেও বাদ পড়েছেন তিনি! নেহার ভাষ্য, ‘তারা আমাকে ডেকেছিল, কথা হলো, অডিশন দিলাম, তাদের পছন্দ হলো। আমার শিডিউল নিয়ে একটু জটিলতা ছিল, তবু ম্যানেজ করে নিলাম। বাবার চিকিৎসার জন্য ২৫ মার্চ দেশের বাইরে যাওয়ার কথা ছিল। টিকিট পর্যন্ত ক্যানসেল করলাম। এরপর শুটিং করলাম এক দিন। সাধারণত শুটিংয়ের আগে শিল্পীদের সঙ্গে একটা চুক্তি হয়, বিভিন্ন নির্দেশনা-শর্ত দেওয়া হয়। সেগুলো মেনে চলতে হয়। এ রকম কিছুই হলো না। কারণ ঈদের আগে তাড়াহুড়ার মধ্যে ওই এক দিনের শুটিং হয়েছিল। আমিও আর ব্যাপারটা নিয়ে কথা বাড়াইনি। এর মধ্যে এক রিপোর্টার আমাকে কল করেন, নতুন কাজের খবরাখবর জানতে চান। আমি ওই ছবির কথা বলি। যেহেতু আমাকে টিম থেকে বারণ করা হয়নি, তাই আমি নরমালি বিষয়টি জানিয়েছি। নিউজ হওয়ার পর আমার সঙ্গে চিৎকার-চেঁচামেচি! এটার অধিকার তো নেই তাদের। আমি একজন শিল্পী। আমার জায়গায় কোনো বড় তারকা থাকলে তারা এমনটা করতেন না। অনেক বোঝানোর পরেও তারা বোঝেনি। এটা নিয়ে নাকি তাদের অনেক সমস্যা হয়ে গেছে। ১১ এপ্রিল থেকে আমার দ্বিতীয় লটের শুটিং হওয়ার কথা। দুই দিন আগে ফোন করে বলা হলো, আমার চরিত্রটা তারা রাখছে না।’
নেহার অভিযোগের সঙ্গে রাফীর ‘তাণ্ডব’ ছবির প্রসঙ্গে মিলে যায়। যদিও অভিনেত্রী কোনো ছবির নামই উল্লেখ করতে চাননি। আক্ষেপ প্রকাশ করে নেহা বলেন, ‘বারবার এভাবে একজন শিল্পীর মন ভাঙতে পারে না তারা। এখন বিভিন্ন জায়গায় কথা হচ্ছে, অভিনয় যদি ভালো না হয়, অডিশনে না টিকলে বাদ তো দেবেই। কিন্তু আমি তো অডিশনে পাস করে শুটিংও করলাম। আমি কেন, যে শিল্পী একদম আজই ইন্ডাস্ট্রিতে এসেছে, তাঁর সঙ্গেও তো এটা করা উচিত নয়।’
এসব ঘটনায় হতাশ হয়ে অভিনয় ছাড়ার কথাও ভাবছেন নেহা। তবে আপাতত হাতের কাজগুলো সম্পন্ন করতে চান। তাঁর কারণে যেন কারো ক্ষতি না হয়, সেদিকটা নিশ্চিত করতে চান। তবে নতুন করে কোনো কাজে যুক্ত হবেন কি না, সেটা এখনো ভাবেননি।