পাঁচ বছর তদন্তের পর বলিউডের প্রয়াত অভিনেতা সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যু মামলার চূড়ান্ত রিপোর্ট জমা দিয়েছে সিবিআই। সম্প্রতি জমা দেওয়া রিপোর্টে সুশান্তের সাবেক প্রেমিকা ও অভিনেত্রী রিয়া চক্রবর্তী এবং তাঁর ভাই শৌভিক চক্রবর্তীর উপর থেকে যাবতীয় চার্জশিট তুলে নেওয়া হয়। অভিনেতার মৃত্যুর পর দুজনকেই নানারকম আইনি সমস্যার মুখে পড়তে হয়েছে। সুশান্ত সিংহ রাজপুতকে নাকি আত্মহত্যায় প্ররোচনা দিয়েছিলেন রিয়া চক্রবর্তী, অভিনেতার মৃত্যুর পর এমনই দাবি করেন তার অনুরাগীরা।
সেই ঘটনার পর রিয়াকে দিনের পর দিন জেলেও কাটাতে হয়েছে।
আরো পড়ুন
‘এখনই ছেড়ে দিন’, বর্ষার অভিনয় ছাড়া প্রসঙ্গে পরীমনি
২০২০ সালে ২৭ দিন জেলে কাটিয়েছিলেন রিয়া। সেই কঠিন সময়ের স্মৃতি আজও তাকে তাড়া করে। হিউম্যানস অফ বোম্বের সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে অভিনেত্রী বলেন, ‘জেল এক অচেনা পৃথিবী, যেখানে সমাজ বলে কিছু নেই, সবাই শুধুই একটি সংখ্যা মাত্র।
’ তিনি দাবি করেন, ‘জেলে যারা থাকেন, তাঁদের মধ্যে অন্তত ৮০ শতাংশ নির্দোষ। আমার দেখা অনেকেই বলেছিলেন, তারা কোনও অপরাধ করেননি। যারা স্বীকার করেছেন, তারাও বলেছিলেন আত্মরক্ষার জন্য বা বিশেষ পরিস্থিতির চাপে পড়েই তা করেছিলেন।’
জেলের দিনগুলোর বর্ণনা দিতে গিয়ে রিয়া বলেন, ‘সেখানে প্রতিটি মুহূর্ত লড়াই।
যেহেতু তেমন কোনও কাজ থাকে না, তাই দিন পার করাটাই কঠিন হয়ে ওঠে। একটা দিন যেন এক বছরের সমান লাগে। যারা জেলে যান, তারা প্রথমে বিশ্বাসই করতে পারেন না যে এটাই তাঁদের নতুন বাস্তবতা।
আরো পড়ুন
‘বলদের মতো কথাবার্তা না বললেই নয়?’, প্রশ্ন স্বস্তিকার
ভারতের বিচার ব্যবস্থা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন রিয়া। অভিনেত্রী বলেন, ‘যদি কেউ দোষী হয়, তাকে তা প্রমাণ করতেই চার বছর কেটে যায়।
তারপর শুরু হয় শাস্তির মেয়াদ। আর যারা নির্দোষ, তাঁদের মধ্যে কেউ সাত, কেউ আট, কেউ আবার দশ বছর ধরে জেলে রয়েছেন।’
সুশান্তের মৃত্যুর পর বলিউডের অন্ধকার দিক জনসমক্ষে আসে। নানা বিতর্ক, ষড়যন্ত্র তত্ত্ব, রাজনৈতিক টানাপোড়েন—সব মিলিয়ে পাঁচ বছর ধরে চলেছে জল্পনা। অবশেষে আদালতের রায় আসে যে খুন নয়, আত্মহত্যাই করেছিলেন সুশান্ত। রিয়া চক্রবর্তীর জীবন বদলে দিয়েছিল সেই ঘটনা। তবে পাঁচ বছর পর ক্লিন চিট পেলেন তিনি ও তার পরিবার।