কেয়া পায়েল

এই আফসোস মৃত্যুর আগ পর্যন্ত থেকে যাবে

ইমরুল নূর
ইমরুল নূর
শেয়ার
এই আফসোস মৃত্যুর আগ পর্যন্ত থেকে যাবে
সংগৃহীত ছবি

শুরুটা মডেলিং দিয়ে হলেও অভিনয় দিয়েই জনপ্রিয়তা পেয়েছেন। চার বছরেই হয়ে উঠেছেন দর্শকদের প্রিয়। উপহার দিয়েছেন বহু দর্শকনন্দিত নাটক। তবে এখনও ঘটা করে ওটিটি কিংবা সিনেমায় পাওয়া যায়নি কেয়া পায়েলকে।

অভিনয় সামলে এরমধ্যে তিনি আইন বিষয়ে স্নাতক শেষ করেছেন। অভিনয়, পড়াশোনা, ক্যারিয়ার ও স্বপ্ন নিয়ে তার সঙ্গে কথা বলেছেন ইমরুল নূর

সদ্যই গ্র্যাজুয়েট হলেন। কেমন লাগছে? 

অনেক ভালো লাগছে। ভীষণ আনন্দিত।

পরিবার থেকে শুরু করে, বন্ধু-বান্ধব, আমার বিশ্ববিদ্যালয়ের ( সাউথইস্ট বিশ্ববিদ্যালয়) শিক্ষকরাও আনন্দিত। রেজাল্টের বিষয়টি বলতে চাই না। যতটুকু যা পেয়েছি তাতেই আমি খুশি। অনেক ভালোও না, আবার অনেক খারাপও না।
তবে আরো বেশি খুশি লাগছে একজন অভিনয়শিল্পী হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয়টি থেকে আমাকে বিশেষ সম্মাননাও দেওয়া হয়।

পড়াশোনা এবং অভিনয় দুটো একইসঙ্গে চালিয়ে যাওয়া বেশ কষ্টসাধ্য ছিল নিশ্চয়?

কষ্ট হয়েছে অনেক। অভিনয় ক্যারিয়ার আর পড়াশোনা দুটোকে আমি সবসময় আলাদা রেখেছি। কাজের জন্য বা কোনো কিছুর জন্যই পড়াশোনায় কোনো বিরতি দেইনি। কোভিডের সময়ও না, তখনও আমি অনলাইনে ক্লাস করতাম।

পড়াশোনার জায়গাটা সবসময় ঠিক রেখেছি। পড়াশোনায় কখনও ক্ষতি হোক, সেটা কখনোই চাইনি। কষ্ট হলেও দুটোই ব্যালেন্স করে চালিয়ে গিয়েছি। যখন চাপ অনুভব হতো তখন কাজ একটু কমিয়ে দিতাম। এলএলবি-তে ক্রেডিটও বেশি ছিল, ১৫৬ ক্রেডিট। তারপরেও চার বছরে খুব বেশি রিটেক দিতে হয়নি আমার, একটা কিংবা দুইটা দিতে হয়েছে মাত্র। একদম সুন্দরভাবে শেষ করেছি। 

No photo description available.

ভবিষ্যত পরিকল্পনা কী? 

ব্যারিস্টারি পড়ার ইচ্ছে আছে। গ্র্যাজুয়েশন শেষ করলাম, এখন বার কাউন্সিলে পরীক্ষা দিতে হবে। বার অ্যাট ল করতে হবে। লাইসেন্স পাবার পর ‘ল’ প্র্যাক্টিস শুরু করব। এর পর চেম্বার নিয়ে বসব। এই আফসোস মৃত্যুর আগ পর্যন্ত থেকে যাবে। যত সময় যাবে ততই আমার জন্য ভালো।

অভিনয়ের ব্যস্ততা...

সামনেই তো ঈদ। আগামী ২ ফেব্রুয়ারি থেকে ঈদের একটি নাটকের শুটিং শুরু করব। মিফতাহ আনান পরিচালিত এই নাটকে আমার সঙ্গে থাকবেন তৌসিফ মাহবুব। আরো কিছু কাজ করা হবে। তা ছাড়া ভালোবাসা দিবসের অনেক কাজই তো রিলিজ হয়নি। সেগুলো ঈদে আসবে। 

No photo description available.

অভিনেত্রীর বাইরে আপনি এখন ব্যবসায়ীও...

মাসে অন অ্যাভারেজ পনেরো দিন শুটিং করা হয়। মাঝেমধ্যে তারও বেশি। এর বাইরে চেষ্টা করি আমার ব্যবসায়ে (পিয়ার্ল বাই পায়েল) সময় দিতে। যেহেতু নিজের ব্যবসা তাই একটু সময় দেওয়াই লাগে।

নাটকের প্রায় সবাইকেই ইতিমধ্যে ওটিটি প্লাটফর্মে দেখা গেছে। আপনাকে এখনও কেন পাওয়া যায়নি?

আমি নাটকেই বেশি নিয়মিত। এখানেই আমি বেশি ডেডিকেটেড। নাটকের কারণেই আমি আজকের কেয়া পায়েল হতে পেরেছি, এটাই আমার ফার্স্ট প্রায়োরিটি। তবে অবশ্যই ওটিটিতে কাজ করব। তবে শুধু করার জন্য কিংবা করতে হবে এজন্য কোনো কাজ করব না। করলে একটাই করব, ভালো কিছু করব। যে গল্প কিংবা চরিত্রের অভিনয় দেখে দর্শক বলবে যে, এতদিন নাটকে যে পায়েলকে দেখেছি সেখান থেকে এই পায়েল একদমই ভিন্ন। এরকম কিছু যখন পাব তখনই করব। সবাই করছে বলে আমাকেও করতে হবে, সেই তাড়াহুড়ো নেই।  

No photo description available.

বড় পর্দায় কবে দেখা যাবে?

সিনেমার জন্যও সেইম কথা। প্রস্তাব তো আসে। কিন্তু যেরকম গল্প কিংবা চরিত্র আমি করতে চাই তেমন পাচ্ছি না বলেই এখনো সিনেমা করা হচ্ছে না। যখন পাব সঙ্গে সঙ্গেই করে ফেলব।
 

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

নিজেদের ভুল বুঝতে রাজা চার্লসকে ‘কেসারি ২’ দেখার আহ্বান অক্ষয়ের

বিনোদন ডেস্ক
বিনোদন ডেস্ক
শেয়ার
নিজেদের ভুল বুঝতে রাজা চার্লসকে ‘কেসারি ২’ দেখার আহ্বান অক্ষয়ের
রাজা তৃতীয় চার্লস ও অক্ষয় কুমার

আগামী ১৮ এপ্রিল মুক্তি পেতে যাচ্ছে বলিউড অভিনেতা অক্ষয় কুমারের নতুন ছবি ‘কেসারি : চ্যাপ্টার টু’। দেশাত্মবোধক ঘরনার ছবিটির ট্রেলার প্রকাশের পর থেকেই দর্শকদের মধ্যে নিয়ে শুরু হয়েছে উন্মাদনা। এরই মধ্যে ছবিটির প্রচারণা নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন অক্ষয়। সেখানে জানান, ছবিটি ব্রিটিশ সরকার ও রাজা তৃতীয় চার্লসের দেখা উচিত।

আরো পড়ুন
অন্তরঙ্গ দৃশ্যের আগে প্রেমিকের অনুমতি নেন কৌশানি

অন্তরঙ্গ দৃশ্যের আগে প্রেমিকের অনুমতি নেন কৌশানি

 

শুক্রবার প্রচারণায় অংশ নিয়ে সাংবাদিকদের সাথে কথা বলেন অক্ষয় ‍কুমার। ১৯১৯ সালের ১৩ এপ্রিল জালিয়ানওয়ালাবাগ গণহত্যার অপ্রকাশিত ঘটনার ওপর ভিত্তি করে নির্মিত সিনেমাটি নিয়ে আশাবাদী অক্ষয় মনে করেন, নিজেদের ভুল বোঝার জন্য ব্রিটিশ সরকার ও কিং চার্লসের এই ছবিটি দেখা উচিত। সাংবাদিকদের অক্ষয় বলেন, ‘তাদের দুঃখিত বলা উচিত এমন কিছু বলার জন্য আমি এখানে আসিনি। আমি চাই তারা অন্তত এই সিনেমাটি দেখুক এবং নিজেদের ভুল বুঝতে পারুক।

তাদের মুখ থেকে অন্যান্য কথা নিজে থেকে বেরিয়ে আসবে। আমি চাই ব্রিটিশ সরকার এবং রাজা চার্লস এই ছবিটি দেখুক। তাদের দেখা উচিত কী ঘটিয়েছিল ব্রিটিশরা। বাকিরা আপনাআপনি তাদের অনুসরণ করবে।

পাশাপাশি ছবিটি ঘিরে রাজনৈতিক বিতর্ক নিয়েও নিজের বক্তব্য তুলে ধরেন বলিউডের খিলাড়ি খ্যাত এই অভিনেতা। রাজনৈতিক বিতর্কে না গিয়েই অক্ষয় কুমার জানান, তিনি একজন অভিনেতা এবং এই বিষয়ে কে কী বলছে তাতে তিনি জড়াবেন না।  তিনি উল্লেখ করেন যে, তিনি ছবিটি তৈরি করেছেন যাতে মানুষ বুঝতে পারে যে আসলে সেদিন কী ঘটেছিল।

আরো পড়ুন
গায়েব আয়োজক, ঢাকায় গাওয়া হলো না পাকিস্তানি গায়কের

গায়েব আয়োজক, ঢাকায় গাওয়া হলো না পাকিস্তানি গায়কের

 

১৯১৯ সালে ঘটে যাওয়া জালিয়ানওয়ালা বাগ কাণ্ড ভারতের বুকে এক কালো দিন। নিরপরাধ ভারতীদের এই দিন নৃশংস ভাবে হত্যা করে তৎকালীন ব্রিটিশ সরকার।

গুলি করে ঝাঁঝরা করে দেয় তাদের। এই মর্মান্তিক ঘটনার পর ব্রিটিশদের থেকে পাওয়া ‘নাইট’ উপাধি ফিরিয়ে দিয়েছিলেন স্বয়ং রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর।

করণ সিং ত্যাগীর পরিচালনায় ‘কেসারি : চ্যাপ্টার টু’তে সি. শঙ্করন নায়ারের চরিত্রে দেখা যাবে অক্ষয় কুমারকে। অক্ষয়ের সাথে সিনেমাটিতে আরও আছেন আর মাধবান ও অনন্যা পাণ্ডে। ১৮ এপ্রিল মুক্তি পাবে এটি।

মন্তব্য

বৈশাখের বিশেষ পাঁচফোড়ন, থাকছেন দিনার-বিজরী

বিনোদন প্রতিবেদক
বিনোদন প্রতিবেদক
শেয়ার
বৈশাখের বিশেষ পাঁচফোড়ন, থাকছেন দিনার-বিজরী
সংগৃহীত ছবি

প্রতিবারের মত এবারও পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে বৈশাখের বিশেষ পাঁচফোড়ন নিয়ে আসছে ফাগুন অডিও ভিশন। এর প্রতিটি আইটেম উপস্থাপন করা হয় নাটকীয়ভাবে। দেশের বিভিন্ন তারকা শিল্পীরা বিভিন্ন আঙ্গিকে বিষয় ভিত্তিক এই অনুষ্ঠানের উপস্থাপনা করে থাকেন।

বৈশাখী পাঁচফোড়নের এবারের পর্বে দেখা যাবে পহেলা বৈশাখের দিনে এক দম্পতি পহেলা বৈশাখ নিয়ে তাদের স্মৃতির ঝাঁপি খুলে বসে।

পহেলা বৈশাখ নিয়ে তাদের বিভিন্ন কথোপকথনের ফাঁকে ফাঁকেই আসতে থাকে গান, নাটক ও বিভিন্ন বিষয়ের উপর চমৎকার সব রিপোটিং। এবারের পাঁচফোড়নে স্বামী-স্ত্রীর ভূমিকায় অভিনয় করেছেন তারকা দম্পতি বিজরী বরকতউল্লাহ ও ইন্তেখাব দিনার।

বাংলা বর্ষবরণ নিয়ে এবারের পাঁচফোড়নে ‘নবীনের ডাক এসো’ শিরোনামে একটি গান গেয়েছেন শ্রোতাপ্রিয় সংগীতশিল্পী রবি চৌধুরী। গানটির কথা লিখেছেন প্রখ্যাত গীতিকবি মোহাম্মদ রফিকউজ্জামান।

জনপ্রিয় সংগীত শিল্পী পান্থ কানাই কণ্ঠ দিয়েছেন ‘পঞ্জিকাটা বদলে গেল’ শিরোনামে আর একটি গানে। গানটির কথা লিখেছেন গীতিকবি লিটন অধিকারী রিন্টু। দুটি গানেরই সুর ও সংগীত পরিচালনা করেছেন সুমন কল্যাণ। 

পাঁচফোড়ন যেহেতু বিশেষ দিন উপলক্ষে নির্মিত হয় তাই বিশেষ দিনকে নিয়েই বিভিন্ন ধরনের নাট্যাংশ করা হয়।

এবারও বৈশাখের উপর বেশ ক’টি ব্যঙ্গাত্মক এবং রসাত্মক নাট্যাংশ রয়েছে। এতে অভিনয় করেছেন সুভাশিষ ভৌমিক, আব্দুল আজিজ, কাজী আসাদ, মোহাম্মদ বারী, শাহেদ আলী, সুজাত শিমুল, আনোয়ার শাহী, আনোয়ারুল আলম সজল, নজরুল ইসলাম, সুর্বনা মজুমদার, জাহিদ শিকদার, জাহিদ চৌধুরী, মতিউর রহমান, বাহার, রতন খান, পুতুল, রেশমা, আলভীসহ আরো অনেকেই।

অনুষ্ঠানটি এটিএন বাংলায় প্রচারিত হবে ১৪ এপ্রিল (১লা বৈশাখ), সোমবার-রাত ০৭:৫০ মিনিটে।
 

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

‘দুর্দান্ত ট্রানজিশন, সজল একা হাতেই টেনেছেন পুরো সিনেমা’

বিনোদন প্রতিবেদক
বিনোদন প্রতিবেদক
শেয়ার
‘দুর্দান্ত ট্রানজিশন, সজল একা হাতেই টেনেছেন পুরো সিনেমা’
আব্দুন নূর সজল

দুই যুগেরও বেশি সময় ধরে পর্দায় দর্শকদের বিনোদিত করে আসছেন তিনি। একটা সময়ে শুধু রোমান্টিক চরিত্রেই তাকে দেখা যেত, যার দরুণ ‘চকলেট বয়’ আখ্যাও পেয়েছিলেন। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে নিজেকে ভেঙ্গে এখন ভার্সেটাইল হয়ে উঠছেন আব্দুন নূর সজল। নানামাত্রিক চরিত্রে হাজির হয়ে প্রশংসাও কুড়ান জনপ্রিয় এই অভিনেতা।

 

এবারের ঈদে মুক্তি পেয়েছে তার অভিনীত সিনেমা ‘জ্বীন ৩’, যা তিন বছর আগে নির্মিত ‘জ্বীন’ ফ্র্যাঞ্চাইজির তৃতীয় কিস্তি। সিনেমাটি মুক্তির আগে অন্তর্জালে আসা এর গান ‘কন্যা’ রীতিমতো দর্শক মনে আলোড়ন তৈরি করে। প্রায় তিন সপ্তাহ পেরিয়ে গেলেও এখনও গানটি রয়েছেন ইউটিউব ট্রেন্ডিংয়ে। 

গানটি নিয়ে তুমুল প্রশংসা কুড়ালেও সিনেমাটি মুক্তির পর দর্শকদের মিশ্র প্রতিক্রিয়া পেয়েছে।

তবে আলাদা করে প্রশংসা কুড়িয়েছে এর কেন্দ্রীয় চরিত্রে অভিনয় করা সজল। সিনেমাটিতে তাকে একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক হিসেবে দেখা যায়। এখানে তার বিপরীতে অভিনয় করেছেন নুসরাত ফারিয়া।

সিনেমাটি দেখে কনটেন্ট ক্রিয়েটর রবিন রাফান জানান যে, তিনি হতাশ হননি।

এক ফেসবুক স্ট্যাটাসে তিনি লিখেন, ‘‘জ্বীন ১’, ‘জ্বীন ২’ না দেখলেও ‘জ্বীন ৩’ দেখে আমি হতাশ হইনি। বিশেষ করে রোমান্টিক সিন থেকে ডেভিল ট্রানজিশন বেশ ভালো লেগেছে। সজল ভাইয়া, জাস্ট ফাটিয়ে দিয়েছো। বাংলদেশে হরর মুভির এই ফ্র্যাঞ্চাইজির সাহস আছে বলতে হয়। অনেক চেষ্টা করেছে বেস্ট আউট পুট দেয়ার সেটা প্রতিটি দৃশ্যে বুঝা গেছে।

May be an image of 1 person, beard, smiling and boat

সজলের অভিনয়ের প্রশংসা করে রুম্মান রশীদ খান লিখেন, ‘সজল ছোট পর্দার জনপ্রিয় অভিনেতা। কেন জানি বড় পর্দায় তাকে সেভাবে এতদিন পাইনি। পেলেও অনিয়মিতভাবে। ‘মা: জ্বীন ৩’ সিনেমায় চরিত্র অনুযায়ী তার অভিনয় ছিল ভীষণ বিশ্বাসযোগ্য। সজলকে বড় পর্দায় আরো নিয়মিত চাই।’

ইমতিয়াজ ইমতু নামের এক দর্শক তার অনুভূতি জানাতে গিয়ে লিখেন, ‘কন্যা গানটির জন্যই সিনেমাটি দেখতে যাওয়া। যাবার পর গল্প বলার ধরণে আটকে গেলাম পুরো ছবিতে। ছবিটি এক ধাক্কায় শেষ হওয়ার মতো ছবি। সবচেয়ে বেশি ভালো লেগেছে সজল নূরের অভিনয়। বিশেষ করে নুসরাত ফারিয়াকে কিলিংয়ের দৃশ্যে। সজল-ফারিয়া দুজনেই এই দৃশ্যটিতে ভালো করেছেন। রোমান্টিক থেকে একটা ডেভিল রূপ চলে আসে সজলের ওপর, ট্রানজিশনটা তিনি দুর্দান্ত করেছেন এবং সংলাপগুলোও মনে ধরেছে।’

সাদিকুর নাঈম নামের একজন লিখেন, ‘গল্পটা বাংলাদেশের প্রান্তিক প্রেক্ষাপটে বেশ রিয়েলিস্টিক মনে হয়েছে। গল্পের উপস্থাপনও বেশ প্রাসঙ্গিক লেগেছে। সজলের অভিনয় ছিল অনবদ্য ও উপভোগ্য। একের পর এক চোখ ধাঁধানো দৃশ্য।’

ফারহান সোহেল নামের এক দর্শক লিখেন, ‘সজল ভাই, অসাধারণ আপনি। কি যে করলেন আপনি, পুরো সিনেমাতে বসিয়ে রাখলেন। অনেক দিন মনে থাকবে আপনার পারফরম্যান্স।’

May be an image of 1 person, beard and smiling

চলচ্চিত্র গ্রুপে আরেকজন দর্শক লিখেন, ‘সজল নূরের অভিনয় চোখে পড়ার মতো।তার ডায়লগ ডেলিভারি, লুক সেট, বডি ল্যাঙ্গুয়েজ, এক্সপেশন চোখ ধাঁধানো। সজলকে যে অদৃশ্য শক্তি আক্রমণ করে সেই সিনগুলো ভয়ংকর।’

আফফান মিতুল লিখেন, ‘অভিনয়ের ইন্সটিটিউট বলা যেতেই পারে সজল ভাইকে। পুরো সিনেমাটা একা এক হাতে টেনেছেন সজল ভাই, এরপর বাচ্চা ছেলেটা। এছাড়া বাকি সবাই ছিলেন শো-পিস।’

আরেকজন দর্শক লিখেন, ‘সবচেয়ে বেশি ভালো লেগেছে তানিয়া আহমেদ ও সজল নূরের অভিনয়। তাদের চমৎকার পারফরম্যান্স এর জন্য চোখ সরানো যাচ্ছিলো না। বিশেষ করে শেষ দৃশ্যে তানিয়া আহমেদের অভিনয় চমৎকার ছিল। একজন মা তার ছেলেকে বাঁচানোর জন্য কি না করতে পারে! আর সজল নূর আপনি একটা জিনিস। ছবির দ্বিতীয়ার্ধে আপনার অভিনয় মনে হয় গায়ে কাঁটা দিচ্ছিল। অসাধারণ! সজল নূর, স্যালুট আপনাকে!’ 

প্রসঙ্গত, জাজ মাল্টিমিডিয়া প্রযোজিত ‘মা: জ্বীন ৩’ সিনেমাটি পরিচালনা করেছেন কামরুজ্জামান রোমান।

মন্তব্য

অন্তরঙ্গ দৃশ্যের আগে প্রেমিকের অনুমতি নেন কৌশানি

বিনোদন ডেস্ক
বিনোদন ডেস্ক
শেয়ার
অন্তরঙ্গ দৃশ্যের আগে প্রেমিকের অনুমতি নেন কৌশানি
কৌশানি ও বনি

আজ ওপার বাংলায় মুক্তি পেয়েছে সৃজিত মুখার্জির নতুন সিনেমা ‘কিলবিল সোসাইটি’। এতে পরমব্রত চট্টোপাধ্যায় ও কৌশানি মুখার্জি অভিনয় করেছেন। সিনেমাটিতে দুজনের ঘনিষ্ঠ দৃশ্য নিয়ে বিস্তর চর্চা হয়েছে। এ প্রসঙ্গে পশ্চিমবঙ্গের এক সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বিস্তারিত কথা বলেছেন কৌশানি মুখার্জি।

আরো পড়ুন
গায়েব আয়োজক, ঢাকায় গাওয়া হলো না পাকিস্তানি গায়কের

গায়েব আয়োজক, ঢাকায় গাওয়া হলো না পাকিস্তানি গায়কের

 

কৌশানী জানান, নির্মাতা সৃজিত সিনেমাটিতে ঘনিষ্ঠ দৃশ্য শুট করা নিয়ে যথেষ্ট সচেতন ছিলেন। দৃশ্যটি যেন ঠিকঠাক শুট করা যায়, ছবির পাত্র–পাত্রীরা যেন অস্বস্তিতে না ভোগেন এ জন্য মুম্বাই থেকে আস্থা নামে একজন ইন্টিমেসি কো-অর্ডিনেটর নিয়ে আসা হয়। ছবির পরিচালকসহ অভিনয়শিল্পীরা এ নিয়ে সেশন করেছিলেন। তবে ঘনিষ্ঠ দৃশ্যের আগে নিজের প্রেমিক ও পরিবারের সঙ্গেও আলোচনা করে নেন কৌশানি।

সাক্ষাৎকারে কৌশানির প্রেমিক অভিনেতা বনিকে নিয়েও আলোচনা হয়। তখনই এসব কথা জানান নায়িকা। কৌশানি জানান, শুধু বনিই নন, পরিবারের সবাই কৌশানীর পাশে রয়েছে।

5
বনির সঙ্গে কৌশানি

এরপরই প্রসঙ্গ ওঠে, চুম্বন দৃশ্যের আগে বনির সঙ্গে আলোচনা করেছিলেন কি না কৌশানি।

উত্তরে নায়িকা বলেন, ‘অবশ্যই। সব স্বাস্থ‌্যকর সম্পর্কেই এটা দরকার। আমার পার্টনারের মতামত গুরুত্বপূর্ণ। তবে শেষপর্যন্ত সিদ্ধান্ত নিজেরই হয়, কাজের ক্ষেত্রে। ওর যা বলার ও বলেছিল।
আগে আমাদের সিদ্ধান্ত ছিল, এরকম কোনো দৃশ‌্য আমরা করব না।’

আরো পড়ুন
আমি খারাপ অভিনয়শিল্পী নই

আমি খারাপ অভিনয়শিল্পী নই

 

নায়িকা আরও বলেন, ‘আমরা দুইজনে সম্পর্কে থাকার পর এটাই প্রথম ‘আইস-ব্রেক’ মোমেন্ট। আগে বনির ‘বরবাদ’-এ একটা লিপ কিস ছিল। কিন্তু তখন আমি ওর জীবনে ছিলাম না। তবে এটা প্রথম তেমন দৃশ‌্য যখন আমি ওর জীবনে রয়েছি। ফলে একটু সময় লেগেছিল। তবে চরিত্রের জন‌্য এটা অ‌্যাকসেপটেবল’- স্পষ্ট উত্তর অভিনেত্রীর।

২০১২ সালে মুক্তি পেয়েছিল ‘হেমলক সোসাইটি’। এতে অভিনয় করেছেন পরমব্রত ও কোয়েল মল্লিক। দর্শকদের কাছে প্রশংসা কুড়ায় সিনেমাটি। দীর্ঘ বিরতির পর সেই সিনেমারই সিকুয়েল ‘কিলবিল সোসাইটি’ বানিয়েছেন সৃজিত।

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ