চুল পড়া কমাতে ৯টি ঘরোয়া পদ্ধতি

কালের কণ্ঠ অনলাইন
কালের কণ্ঠ অনলাইন
শেয়ার
চুল পড়া কমাতে ৯টি ঘরোয়া পদ্ধতি

আমাদের মাথায় প্রায় ১০০,০০০ চুল রয়েছে। যার মধ্য়ে প্রতিদিন ৫০-১০০ টা চুল পরে যাওয়া একেবারে স্বাভাবিক ঘটনা। কিন্তু এর থেকে বেশি মাত্রায় পরতে শুরু করলেই চিন্তার বিষয়। এক্ষেত্রে যত শীঘ্র সম্ভব প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে, না হলে কিন্তু মাথা ফাঁকা হয়ে যেতে সময়ও লাগবে না।

নানা কারণে চুল পড়া বেড়ে যেতে পারে। যেমন ধরুন- পরিবেশ দূষণ, বয়স, স্ট্রেস, স্মোকিং, পুষ্টির অভাব, হরমোনাল ইমব্যালেন্স, জেনেটিক কারণ, স্কাল্প ইনফেকশন, হেয়ার প্রডাক্টের মাত্রাতিরিক্ত ব্যবহার, বেশ কিছু ওষধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার কারণে, থাইরয়েড, অটোইমিউন ডিজজ,পলিসিস্টিক ওভারিয়ান সিনড্রম, অ্যানিমিয়া প্রভৃতি।

আসুন জেনে নেওয়া এমন ৯টি ঘরোয়া পদ্ধতি সম্পর্কে যেগুলো চুল পড়া কমায়।

১. দই
২ চামচ দইয়ের সঙ্গে ১ চামচ মধু এবং ১ চামচ লেবুর রস নিয়ে ভাল করে মিশিয়ে নিন।

যখন দেখবেন প্রতিটি উপাদান ঠিক মতো মিশে গেছে, তখন মিশ্রনটা ভাল করে চুলে লাগিয়ে কম করে ৩০ মিনিট রেখে দিন। সময় হয়ে গেলে চুলটা ঠাণ্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এমনটা সপ্তাহে একবার করলেই দেখবেন চুল পড়ার হার কমতে শুরু করেছে।

২. নারকেল দুধ
এক কাপ নারকেল দুধ নিয়ে ধীরে ধীরে স্কাল্পে লাগান।

তারপর একটা টাওয়াল দিয়ে মাথাটা ডাকা দিয়ে কম করে ২০ মিনিট রেখে ভাল করে চুলটা ধুয়ে ফেলুন। এমনটা সপ্তাহে কয়েকবার করলেই দেখবেন চুল পড়া কমতে শুরু করবে। কারণ নারকেল দুধে উপস্থিত ভিটামিন ই, চুলের অন্দরে ময়েসশ্চারাইজারের ঘাটতি দূর করে। ফলে চুল পড়ার হার কমে যায়।

৩. পেঁয়াজের রস
এতে থাকা সালফার হেয়ার ফলিকেলসে রক্ত চলাচল বাড়িয়ে দিয়ে নিমেষে চুল পড়া কমিয়ে দেয়।

এখানেই শেষ নয়, পেঁয়াজের রসে রয়েছে বিপুল পরিমাণে অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল প্রপার্টিজ, যা স্কাল্পে ঘর বেঁধে থাকা জীবাণুদের মেরে ফেলে। ফলে স্কাল্প ইনফেকশনের সঙ্গে সঙ্গে চুল পড়ার অশঙ্কাও হ্রাস পায়।

কীভাবে চুলে লাগাবেন পেঁয়াজের রস? ১ টা পেয়াজ থেকে রস সংগ্রহ করে নিন। তারপর সেই রস সরাসরি মাথায় লাগিয়ে মাসাজ করুন। ৩০ মিনিট পরে শ্যাম্পু করে নিন। প্রসঙ্গত, সপ্তাহে ২-৩ বার এই পদ্ধতিতে চুলের পরিচর্যা করলে ফল পাবেন একেবারে হাতে-নাতে।

৪. বিটরুট
এতে থাকা পটাশিয়াম, প্রোটিন, ভিটামিন বি এবং সি নানাভাবে চুল পড়া কমাতে সাহায্য করে থাকে। এক্ষেত্রে পরিমাণ মতো বিটরুট পাতা নিয়ে পানিতে ফেলে সেদ্ধ করে নিতে হবে। তারপর পাতাগুলিকে গুঁড়ো করে নিয়ে মেথির সঙ্গে মিশিয়ে স্কাল্পে লাগালেই কেল্লাফতে! কারণ এই মিশ্রনটি ২০ মিনিট মাথায় লাগিয়ে রাখলে চুল পড়ার হার একেবারে কমে যায়। প্রসঙ্গত, সপ্তাহে তিনবার এমনভাবে চুলের পরিচর্যা করতে হবে।

৫. মেথি
চুল পড়া আটকাতে মেথি দারুন কাজে আসে। আসলে এতে উপস্থিত বেশ কিছু উপাদান চুলের বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। তাই তো যখনই দেখবেন চুল পড়ার হার খুব বেড়ে গেছে, তখনই অল্প করে মেথি বীজ নিয়ে এক গ্লাস পানিতে এক রাত ভিজিয়ে রাখবেন। পরদিন বীজগুলি বেটে নিয়ে একটা পেস্ট বানাবেন। সেই পেস্টটা ভাল করে মাথায় লাগিয়ে ৪০ মিনিট রেখে দিয়ে ধুয়ে নেবেন। টানা একমাস, প্রতিদিন এই মিশ্রনটি মাথায় লাগালে চুল পড়া তো কমবেই, সেই সঙ্গে মাথা ভর্তি চুলের স্বপ্নও পূরণ হবে।

৬. নিম পাতা
এই প্রাকৃতিক উপাদানটিতে থাকা অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল প্রপার্টিজ চুলের গোড়ায় কোনো ধরনের সংক্রমণ হওয়ার আশঙ্কা যেমন কমায়, তেমনি খুশকির প্রকোপও হ্রাস করে। আর এমন ধরনের রোগের হাত থেকে যখন মুক্তি মেলে, তখন স্বাভাবিকভাবেই চুল পড়াও কমে যায়।

তাই যখনই দেখবেন বেশি মাত্রায় হেয়ার ফল হচ্ছে, তখনই ১০-১২ টা নিম পাতা নিয়ে জলে ফুটিয়ে নেবেন। তারপর সেই জল দিয়ে ভাল করে চুলটা ধুয়ে নিতে হবে। এমনটা করলেই দেখবেন উপকার মিলতে শুরু করেছে।

৭. তেল মাসাজ
চুল পড়া আটকাতে প্রতিদিন তেল মাসাজ করাটা জরুরি। এমনটা করলে স্কাল্পে রক্ত প্রবাহ খুব বেড়ে যায়। ফলে চুলের গোড়া আরও শক্তপোক্ত হয়। আর একবার চুলের গোড়া মজবুত হয়ে গেলে চুল পরাও স্বাভাবিক ভাবে কমে যায়। এক্ষেত্রে নারকেল তেল, বাদাম তেল, অলিভ অয়েল অথবা আমলার তেল ব্যবহার করতে পারেন।

৮. অ্যালো ভেরা
এতে রয়েছে এমন কিছু এনজাইম, যা চুলের বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে তাকে। ফলে চুল পরলেও মাথা ফাঁকা হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে না। অ্যালো ভেরার উপকারিতা কিন্তু এখানেই শেষ হয়ে যায় না। এতে উপস্থিত অ্যালকেলাইন প্রপার্টিজ স্কাল্পের পি এইচ লেভেল ঠিক রাখতে সাহায্য করে। ফলে চুল পরার হার কমে।

কীভাবে ব্যবহার করতে হবে এই প্রাকৃতিক উপাদানটিকে? পরিমাণ মতো অ্যালো ভেরা জেল নিয়ে স্কাস্পে লাগিয়ে ফেলুন। কিছু ঘন্টা অপেক্ষা করে হালকা গরম জলে ভাল করে মাথাটা ধুয়ে নিন। প্রসঙ্গত, সপ্তাহে ৩-৪ বার এই ভাবে অ্যালো বেরা জেল মাথায় লাগলে দারুন উপকার পাওয়া যায়।

৯. আমলকি
চুল পড়া আটকানোর পাশপাশি চুলের বৃদ্ধিতেও আমলকির কোনো বিকল্প হয় না বললেই চলে। কারণ এতে থাকা ভিটামিন সি চুলের পুষ্টি বৃদ্ধি করে, সেই সঙ্গে স্কাল্পের স্বাস্থ্যেরও উন্নতি ঘটায়। ফলে চুল পরার প্রবণতা কমে।

প্রসঙ্গত, দেহে ভিটামিন-সি-এর ঘাটতি দেখা দিলে চুল পরা বেড়ে যায়। তাই এই ভিটামনিটির ঘাটতি যেন কখনও না হয়, সেদিকে খেয়াল রাখাটা একান্ত প্রয়োজন। এক্ষেত্রে প্রথমে ১ চামচ আমলার রসের সঙ্গে ১ চামচ লেবুর রস মিশিয়ে নিতে হবে। তারপর সেই মিশ্রনটি ভাল করে চুলে লাগিয়ে সারা রাত রেখে দিয়ে পরদিন সকালে ধুয়ে ফেলতে হবে।

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

ত্বকের উজ্জ্বলতা ফেরাতে পারে সিদ্ধ ডিম

জীবনযাপন ডেস্ক
জীবনযাপন ডেস্ক
শেয়ার
ত্বকের উজ্জ্বলতা ফেরাতে পারে সিদ্ধ ডিম
সংগৃহীত ছবি

পুষ্টিকর খাবার ডিম শরীরের জন্য অনেক ভালো। পুষ্টিবিদদের মতে, প্রতিদিন একটি করে ডিম খেলে শরীরের অনেক উপকারে আসবে। তবে ডিম শুধু পুষ্টিগুণে সমৃদ্ধ নয়, ঝকঝকে, নিখুঁত ত্বকের জন্যও ডিমের জুড়ি মেলা ভার।

ডিমের সাদা অংশ ও কুসুম, দুই-ই রূপচর্চায় ব্যবহার করা যায়।

সাদা অংশ ত্বকে বলিরেখা আটকায়, ত্বক থাকে টানটান। আর কুসুমের গুণে ত্বকে আর্দ্রতা বজায় থাকে। আপনার ত্বকের জন্য কোন অংশ প্রয়োজন, তা ত্বকের ধরন অনুযায়ী বুঝতে হবে। কিভাবে ডিমের ফেসপ্যাক তৈরি করবেন, জেনে নিন।

পদ্ধতি-১

একটি সিদ্ধ ডিমের কুসুম আলাদা করে নিন। কুসুমটির সঙ্গে এক চামচ মধু, এক চামচ দুধ ও এক চামচ বেসন ভালো করে মিশিয়ে নিন। প্যাকটি ১০ থেকে ১৫ মিনিট লাগিয়ে পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। শুষ্ক ত্বকে এই ফেসপ্যাস ময়েশ্চারাইজ করে।

পদ্ধতি-২

মুখের ব্ল্যাকহেডস তুলতেও ডিম দারুণ কাজ করে। যার জন্য একটি ডিমের কুসুমকে ভালো করে ফেটিয়ে নিন। এরপর তা ব্রাশে করে নাকের চারপাশে লাগিয়ে নিন। একটি টিস্যু পেপার লাগিয়ে নিন নাকের ওপর। ডিমের প্রথম স্তরটি শুকিয়ে গেলে আরেকটি স্তর লাগান।

শুকিয়ে গেলে টিস্যুগুলোকে টেনে তুলে ফেলুন। টিস্যুর সঙ্গে সহজেই উঠে আসবে ব্ল্যাকহেডস।

আরো পড়ুন
স্কুলছাত্রের সন্ধানে মানববন্ধন শেষে থানা ভাঙচুর

স্কুলছাত্রের সন্ধানে মানববন্ধন শেষে থানা ভাঙচুর

 

পদ্ধতি-৩

একটি ডিমের কুসুম, এক চামচ মধু ও এক চামচ বাদাম তেল ভালো করে মিশিয়ে নিন। প্যাকটি ত্বকে ১৫ মিনিট লাগিয়ে হালকা গরম পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে নিন। তৈলাক্ত ত্বকে ব্রণ হওয়ার প্রবণতা থাকলে এই প্যাক দারুণ কাজে দেয়। 

পদ্ধতি-৪

একটি ডিমের কুসুম, এক চামচ ঘন ক্রিম ও এক চামচ গাজরের রস মিশিয়ে একটি প্যাক বানিয়ে নিন। এবার এই প্যাকটি ত্বকে লাগিয়ে ৫ থেকে ১০ মিনিট অপেক্ষা করুন। শুকিয়ে গেলে ঈষৎ গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। ত্বক উজ্জ্বল কার্যকরী ডিমের এই ফেসপ্যাক।

আরো পড়ুন
সন্তানের আত্মবিশ্বাস বাড়াবেন যেভাবে

সন্তানের আত্মবিশ্বাস বাড়াবেন যেভাবে

 

সূত্র : আজকাল

মন্তব্য

ডায়েটে যেসব সবজি রাখলে দূর হবে কোষ্ঠকাঠিন্য

জীবনযাপন ডেস্ক
জীবনযাপন ডেস্ক
শেয়ার
ডায়েটে যেসব সবজি রাখলে দূর হবে কোষ্ঠকাঠিন্য
সংগৃহীত ছবি

বর্তমান সময়ে কোষ্ঠকাঠিন্য একটি সাধারণ সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। আর কখনো কখনো এই সমস্যা এতটাই তীব্র আকার ধারণ করে যে তা অত্যন্ত কষ্টকর হয়ে ওঠে। এমনকি অনেক বড় রোগের ঝুঁকিও তৈরি হয়। 

অনেক সময় দেখা যায়, গরম পানি বা গরম চা পান করেও কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে উপশম লাভ করা যায় না।

কিন্তু অনেকেই হয়তো জানেন না, এমন কিছু বিশেষ সবজি রয়েছে, যা নিয়মিত খাবার তালিকায় রাখলে কোষ্ঠকাঠিন্যের জ্বালা থেকে মুক্তি পাওয়া যেতে পারে। কী সেই সবজি, চলুন জেনে নেওয়া যাক।

আর্টিচোক

আর্টিচোক এক ধরনের সবজি। অনেকটা বাঁধাকপির মতো দেখতে।

সবুজ রঙা এই সবজি কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে দারুণ সাহায্য করে। এর মধ্যে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকে, যা হজমশক্তি উন্নত করে। এটি সিদ্ধ করে বা স্যুপে মিশিয়ে খাওয়া যেতে পারে।

আরো পড়ুন
অপরূপ সৌন্দর্যে ঘেরা দ্বীপ মনপুরা, যেভাবে যাবেন

অপরূপ সৌন্দর্যে ঘেরা দ্বীপ মনপুরা, যেভাবে যাবেন

 

ফুলকপি

ফুলকপি অত্যন্ত সুস্বাদু সবজি।

শীতের দিনে প্রচুর পরিমাণে পাওয়া গেলেও আজকাল সারা বছরই মোটামুটি মেলে এই সবজি। হজমশক্তি উন্নত করে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে মুক্তি দিতে সাহায্য করে ফুলকপি। এর মধ্যে ফাইবার ও ভিটামিন সি রয়েছে, যা অন্ত্রকে সুস্থ রাখে। এটি নানাভাবে রান্না করে তরকারি হিসেবে কিংবা আচার হিসেবে খাওয়া যেতে পারে। 

পালং শাক

পালং শাক ফাইবারের একটি ভালো উৎস, যা পাচনতন্ত্রকে সুস্থ রাখে।

এটি কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা হ্রাস করে এবং শরীরে শক্তি সরবরাহ করে। পালং শাক দিয়ে স্যুপ, তরকারি রান্না করা যেতে পারে। অথবা শাক এমনি ভেজেও খাওয়া যায়।

ব্রকলি

ব্রকলির মধ্যে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট ও ফাইবার থাকে, যা অন্ত্রের পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখে। এটি হজমশক্তি বৃদ্ধি করে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে সাহায্য করে। এটি সবজি হিসেবে সিদ্ধ করে অথবা সালাদে মিশিয়ে খাওয়া যেতে পারে।

আরো পড়ুন
শীতের শেষদিকে তৈরি করতে পারেন মাংসের কিমা পিঠা

শীতের শেষদিকে তৈরি করতে পারেন মাংসের কিমা পিঠা

 

মটরশুঁটি

কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে সহায়ক এই সবজি। এতে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার ও প্রোটিন রয়েছে, যা অন্ত্রকে সচল রাখে। এটি সিদ্ধ করে অথবা সবজি হিসেবেও খাওয়া যেতে পারে। 

ফাইবারসমৃদ্ধ সবজি অন্ত্রের কার্যকারিতা বজায় রাখে এবং পাচনতন্ত্রকে সুস্থ করে তোলে। এই সবজিগুলো খাদ্যতালিকায় অন্তর্ভুক্ত করলে হজমশক্তি উন্নত করা যায়।

কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করার ক্ষেত্রে উষ্ণ পানি ও ভেষজ চা অত্যন্ত সহায়ক। এগুলো অন্ত্রকে শিথিল করে এবং হজমপ্রক্রিয়া সক্রিয় রাখে। সকালে খালি পেটে অথবা রাতে ঘুমানোর আগে সেবন করা যেতে পারে ঈষদুষ্ণ পানি অথবা ভেষজ চা।

আরো পড়ুন
স্কুলছাত্রের সন্ধানে মানববন্ধন শেষে থানা ভাঙচুর

স্কুলছাত্রের সন্ধানে মানববন্ধন শেষে থানা ভাঙচুর

 

তবে মনে রাখতে হবে, ফাইবারসমৃদ্ধ খাবার কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে সাহায্য করলেও অতিরিক্ত ফাইবারসমৃদ্ধ খাবার খেলে পেটের স্বাস্থ্য খারাপ হয়ে যেতে পারে। তাই সবচেয়ে ভালো হয় একজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে তারপর এসব খাবার খাওয়া।

সূত্র : নিউজ ১৮

মন্তব্য

দাঁতে শিরশির দূর করবে ঘরোয়া যে উপায়

জীবনযাপন ডেস্ক
জীবনযাপন ডেস্ক
শেয়ার
দাঁতে শিরশির দূর করবে ঘরোয়া যে উপায়
সংগৃহীত ছবি

যেকোনো জিনিসই যত্নের অভাবে নষ্ট হয়ে যায়। আমাদের শরীরের অন্যতম প্রয়োজনীয় একটি অঙ্গ দাঁতও তেমনই। দাঁতের যত্ন না নিলে অনেক অসুবিধায় পড়তেই হয়। আর দাঁতে ব্যথা ঠিক কতটা কষ্টকর তা যার হয়েছে তিনিই কেবল জানেন।

কিন্তু দাঁতের সমস্যা মানেই তো শুধু যন্ত্রণা নয়। আরো একাধিক সমস্যা দেখা দেয় দাঁতে। যেমন- দাঁতে শিরশিরানি অনুভূত হওয়া। মূলত দাঁতের এনামেল ক্ষয়ে গেলে এই সমস্যা তীব্রভাবে দেখা যায়।

শুধু ঠাণ্ডা খাবার খেলেই যে দাঁতে শিরশিরানি হবে তা কিন্তু নয়। গরম খাবারেও হতে পারে। আর দাঁতের এনামেল যদি বেশি ক্ষয়ে যায় তাহলে যা কিছু খাবেন, তখনই দাঁত শিরশির করবে। এই সমস্যা একেবারেই অবহেলা করা উচিত নয়।

আরো পড়ুন
যেসব নিয়ম মানলে কমবে চুল পড়া

যেসব নিয়ম মানলে কমবে চুল পড়া

 

তবে বেশ কিছু ঘরোয়া টোটকার মাধ্যমেও দাঁতের শিরশিরানির সমস্যা কমানো সম্ভব। কী সেই টোটকা, চলুন দেখে নেওয়া যাক—

হাল্কা গরম পানিতে সামান্য লবণ দিয়ে মুখ কুলকুচি করার অভ্যাস রাখুন। দিনে অন্তত তিন থেকে চারবার। তবে খাবার খাওয়ার পরেই করবেন না। তাহলে বমি হয়ে যেতে পারে কিংবা গা-গোলাতে পারে।

 

দাঁতে ব্যবহার করতে পারেন নারকেল তেল। দিনে দুই বার নারকেল তেল দিয়ে দাঁতে আলতো হাতে মালিশ করে নিন। তারপর ব্রাশ করে ভালোভাবে মুখ ধুয়ে নিতে হবে।

আরো পড়ুন
সন্তানের আত্মবিশ্বাস বাড়াবেন যেভাবে

সন্তানের আত্মবিশ্বাস বাড়াবেন যেভাবে

 

দাঁতের জন্য লবঙ্গ তেলও খুবই ভালো। তাই যাদের দাঁতে ব্যথা ও শিরশিরানির সমস্যা রয়েছে তারা লবঙ্গ তেল দিয়ে মালিশ করতে পারেন, যে অংশে সমস্যা হচ্ছে সেখানে। উপকার পাবেন। তবে নিয়মিত ব্যবহার করতে হবে। 

পেয়ারা পাতা চিবালে দাঁতের অনেক সমস্যা দূর হয়। যদি দাঁতে সহ্য করার মতো ব্যথা থাকে তাহলে পেইনকিলার খাওয়ার আগে একবার পেয়ারা পাতা চিবিয়ে দেখতে পারেন। ব্যথা কমবে। দাঁতের শিরশিরানিও কমে পেয়ারা পাতা চিবিয়ে নিলে। আর দাঁতে ব্যথা কিংবা অন্যান্য যেকোনো সমস্যাতেই ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া একেবারেই ওষুধ খাবেন না। এতে হিতে বিপরীত হতে পারে। 

হাল্কা গরম পানিতে অল্প মধু মিশিয়ে খেতে পারেন। এই পানীয় দাঁত ও মাড়ির খেয়াল রাখে। ব্যথা, শিরশিরানি কমায়। মুখের ভেতর কোনো ঘা হলে এই পানীয় খেলে সহজে কমে যায়।

আরো পড়ুন
দাঁতের যত্নে নারকেল তেল

দাঁতের যত্নে নারকেল তেল

 

যখন যা খাবেন (পানি ছাড়া) তারপর অবশ্যই মুখ ধুয়ে নিন কুলকুচি করে। চা খেলেও মুখে ধুয়ে নেওয়া উচিত। দিনে অন্তত দুই বার মাউথ ফ্রেশনার ব্যবহার করুন। এ বিষয়ে ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে নিন। এ ছাড়া দাঁতের এনামেল যাতে ঠিকভাবে বজায় থাকে, তাই বিশেষ টুথপেস্ট ব্যবহার করতে পারেন। তবে ডাক্তারের সঙ্গে কথা বলে তারপর। 

সূত্র : এবিপি লাইভ

মন্তব্য

যে ভুলে ফ্রিজে রাখা খাবারও নষ্ট হতে পারে

জীবনযাপন ডেস্ক
জীবনযাপন ডেস্ক
শেয়ার
যে ভুলে ফ্রিজে রাখা খাবারও নষ্ট হতে পারে
সংগৃহীত ছবি

মাসের শুরুতে প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র পর্যাপ্ত পরিমাণে কিনে নেন অনেকেই। শাক-সবজি, কাঁচা মাছ-মাংসসহ বিভিন্ন কিছু নষ্ট হওয়ার ভয়ে ফ্রিজে রাখেন তারা। আবার অনেকে রান্না করা খাবারও ফ্রিজে রাখেন।

বাজার থেকে কিনে আনার পর ফ্রিজে সব কিছু গুছিয়ে রাখলেই নিশ্চিন্ত।

তবে ফ্রিজে রাখলেও খাবার নষ্ট হতে পারে। ফ্রিজে রাখা খাবার নষ্ট হয়ে যাওয়ার অন্যতম একটি কারণ সঠিকভাবে গুছিয়ে না রাখা। কোন ভুলে ফ্রিজে রাখলেও খাবার পচে যেতে পারে, চলুন জেনে নিই।

যে ভুলে নষ্ট হতে পারে ফ্রিজের খাবার

সময় ও শ্রম বাঁচাতে অনেকেই একই জায়গায় কাঁচা মাছ, মাংস ধুয়ে রেখে দেন।

এতে খাবার নষ্ট হয়ে যাওয়ার ঝুঁকি থাকে। তাই একই জিপলক ব্যাগে না রেখে আলাদা আলাদা ব্যাগে রাখুন।

আরো পড়ুন
শীতের শেষদিকে তৈরি করতে পারেন মাংসের কিমা পিঠা

শীতের শেষদিকে তৈরি করতে পারেন মাংসের কিমা পিঠা

 

ফ্রিজ থেকে বের করে রান্নার আগে অনেকক্ষণ বাইরে রাখতে হয় মাছ-মাংস। কারণ বরফ জমে থাকার কারণে মাছ-মাংস আলাদা করা যায় না।

তারপর প্রয়োজনমতো রেখে বাকিটা ফ্রিজে তুলে রাখতে হয়। এর ফলে মাছ-মাংসে ব্যাক্টেরিয়া বাসা বাঁধতে পারে। তাপমাত্রার হেরফেরের কারণে এমন হয়।

শুধু কাঁচা মাছ-মাংস নয়, ফ্রিজে রাখা রান্না করা খাবারও বার বার বের করলে খাবার খারাপ হয়ে যাওয়ার ঝুঁকি থাকে। তাই রান্না করা খাবারের ক্ষেত্রেও একটু সতর্ক থাকা জরুরি।

আরো পড়ুন
অপরূপ সৌন্দর্যে ঘেরা দ্বীপ মনপুরা, যেভাবে যাবেন

অপরূপ সৌন্দর্যে ঘেরা দ্বীপ মনপুরা, যেভাবে যাবেন

 

সূত্র : এই সময়

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ