ঢাকা, বুধবার ১৬ এপ্রিল ২০২৫
৩ বৈশাখ ১৪৩২, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৬

ঢাকা, বুধবার ১৬ এপ্রিল ২০২৫
৩ বৈশাখ ১৪৩২, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৬

লকডাউনে রাতে অনেকেই ভয়ানক স্বপ্ন দেখছেন যে কারণে

কালের কণ্ঠ অনলাইন
কালের কণ্ঠ অনলাইন
শেয়ার
লকডাউনে রাতে অনেকেই ভয়ানক স্বপ্ন দেখছেন যে কারণে

করোনাভাইরাস মহামারি হিসাবে দেখা দেয়া এবং বিশ্ব জুড়ে লকডাউন শুরু হওয়ার পর গবেষকরা মানুষের স্বপ্নের তথ্য সংগ্রহ করতে শুরু করেন। ফিলিপিন্স থেকে যুক্তরাষ্ট্রের মানুষের ক্ষেত্রে দেখা গেছে, তারা অনেকেই অস্বাভাবিক গভীর আর অদ্ভুত স্বপ্ন দেখেছেন। লকডাউনে থাকার দুই সপ্তাহ পর থেকে ফিলিপিন্সের ১৯ বছর বয়সী একজন বাসিন্দা অদ্ভুত সব স্বপ্ন দেখতে শুরু করেন।

‘’আমি দেখলাম, মধ্যরাতে আমাকে একটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে এবং একজন চিকিৎসক আমার হাতে অপারেশন করছেন,’’ বলছেন, এলিসা অ্যাঞ্জেলিস।

"কয়েক মুহূর্ত পরে আমার মনে হতে লাগলো, আমার শুধু যেন একটি হাত আছে। এমনকি আমি দেখতে পেলাম, ডাক্তার আশেপাশে হাটাহাটি করছেন এবং আমার বিচ্ছিন্ন হাত নিয়ে খেলা করছেন। আমার মনে হচ্ছিল, আমার যেন সব শেষ হয়ে গেছে।"

পরের কয়েকদিন তিনি আরও কিছু হারানোর স্বপ্ন দেখতে শুরু করেন।

‘’হয়তো আমার টাকা হারিয়ে গেছে অথবা আমার ল্যাপটপ হারিয়ে গেছে।‘’

এরকম স্বপ্ন দেখা মানুষ এলিসা একাই নন। করোনাভাইরাসের কারণে সারা বিশ্বই রাতারাতি বদলে গেছে, তেমনিভাবে বদলে গেছে মানুষের স্বপ্নও। অনেক মানুষ জানিয়েছেন, ভাইরাসের বিস্তার আর লকডাউন শুরু হওয়ার পর থেকে তারা এখন অনেক বেশি গভীর আর বিচিত্র ধরণের স্বপ্ন দেখছেন।

উদ্বেগ এবং মানসিক চাপ :

হার্ভার্ড ইউনিভার্সিটির মনোবিদ্যা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডেইরড্রে ব্যারেট গত মার্চ মাস থেকে মানুষের স্বপ্নের তথ্য জোগাড় করতে শুরু করেছেন যে, এই মহামারির কারণে তা কতটা বদলেছে।

"যেকোনো বড় ধরণের চাপ তৈরি হলেই মানুষের অদ্ভুত, উদ্বেগের স্বপ্ন দেখার প্রবণতা বেড়ে যায়-আমার জরিপেও সেটাই ব্যাপকভাবে বেরিয়ে এসেছে," তিনি বলছেন।

অনেকে জানিয়েছেন, তাদের স্বপ্ন অনেক সময় করোনাভাইরাসের সঙ্গে জড়িয়ে থাকে। যেমন একজন বলেছেন, কন্টাজিয়ন সিনেমা দেখার পর তিনি স্বপ্নে দেখতে পান যে, তার কোভিড-১৯ হয়েছে।

"আমি যেন শারীরিকভাবে সেই কষ্ট টের পাচ্ছিলাম, শ্বাসকষ্ট হচ্ছিল, আমার দৃষ্টিশক্তি নষ্ট হয়ে যাচ্ছিল।

আমার মনে হচ্ছিল যে, আমি মারাই যাচ্ছি।"

"এরপর আমাকে কোন একটা ওষুধ দেয়া হলো আমি যেন অনেকটা সুস্থ হয়ে গেলাম।"

এর আগে বেশ কয়েকটি বড় উত্তেজনাকর ঘটনার প্রভাব নিয়ে গবেষণা করেছেন ডেইরড্রে। যেমন: আমেরিকার নাইন ইলেভেন, ইরাকের দখলের পর কুয়েতি নাগরিকদের ওপর প্রভাব এবং নাৎসি ক্যাম্পে বন্দী হওয়া ব্রিটিশ সৈনিকদের মানসিক অবস্থা। এক্ষেত্রে তার অভিজ্ঞতা হচ্ছে, যুদ্ধের সময়ে অনেক খণ্ড খণ্ড অদ্ভুত চিত্র মানুষের স্বপ্নের ভেতর আসে। তবে বর্তমান মহামারির চিত্র আলাদা।

অদৃশ্য শত্রু :

এটা একটা অদৃশ্য শত্রু এবং সেটি মানুষের মনোজগতে নানাভাবে ঘুরে ফিরে এসেছে, তিনি বলছেন।

"আমরা এমন অনেককে পেয়েছি যারা পোকার মধ্যে সাতার কাটা, সুনামি, হ্যারিকেন, টর্নেডো, ভূমিকম্পের মতো স্বপ্ন দেখেছেন।"

ইংল্যান্ডের উইল্টশায়ার কাউন্টির ২৪ বছরের চার্লি মাকড়শা নিয়ে ভীতিকর সব স্বপ্ন দেখেছেন।

"একটি স্বপ্নে দেখতে পেয়েছি, বিশাল একটা মাকড়শা নীচ থেকে গুড়ি মেরে আমার বিছানায় উঠে আসছে। সেটার আকৃতি একটা বিড়ালের মতো। আমি বিছানা থেকে লাফিয়ে নেমে সাহায্যের জন্য চিৎকার করছিলাম।"

এই স্বপ্ন বিভিন্ন সময়ে দেখেছেন চার্লি। যদিও মাকড়শার আকৃতি একেক সময় একেক রকম হয়েছে, কিন্তু তিনি স্বপ্নগুলো সবসময়েই দেখেছেন নিজের ঘরে।

"এটা আমার সবচেয়ে নিরাপদ জায়গা, বিশেষ করে আমার নিজের বিছানা। ফলে এটা আরও বেশি বাস্তব বলে মনে হচ্ছিল।"

ডেয়ারড্রে মনে করেন, নিজ বাড়িতে থাকার সময় অনেক মানুষ এসব স্বপ্ন দেখার কারণে তারা আরও ভালোভাবে নানা খুঁটিনাটি মনে করতে পারেন। এর একটি কারণ হতে পারে, মানুষ এখন বেশি সময় ধরে ঘুমাচ্ছে, অনেক সময় কোন অ্যালার্ম ঘড়ির ওঠার তাড়া ছাড়াই।

"যাদের অনেকেই লম্বা সময় ধরে কাজ করার কারণে বা সামাজিক ব্যস্ততার কারণে ঠিকভাবে ঘুমাতে পারতেন না, তারা এই সময়ে ঘুমের অভাব পুষিয়ে নিতে পারছেন।"

তার গবেষণার আরেকজন ব্যক্তি স্বপ্ন দেখেছেন যে, তিনি একটি পার্কে বসেছিলেন, সেই সময় কিছু খারাপ ঘটনা ঘটতে শুরু করে।

"আমি পার্কের একটি বেঞ্চে বলে বন্ধুদের সঙ্গে গল্প করছিলাম। হঠাৎ করে আমরা কিছু শব্দ শুনতে পাই এবং দেখতে পাই, বিশাল একটি রিভলভার আকাশ থেকে আমাদের তাক করে নেমে আসছে।"

সেটা দ্রুত নেমে এসে মানুষজনকে লক্ষ্য করে গুলি করতে শুরে করে।

"এটা আমার দিকে তাক করে এবং আমি ভয়ে দৌড়িয়ে লুকানোর চেষ্টা করি।"

মানুষের মস্তিষ্কের সবচেয়ে রহস্যজনক বিষয়গুলোর একটি স্বপ্ন দেখার ব্যাপারটি, যা সবচেয়ে অদ্ভুত এবং সবচেয়ে কম ব্যাখ্যা করা সম্ভব হয়েছে।

তবে বিশ্বের লাখ লাখ মানুষ প্রতিদিনই নানা ধরণের স্বপ্ন দেখছেন।

আরইএম স্টেট

লুইগি ডে জেনারো, যিনি মহামারি শুরু হওয়ার পর আটকে থাকা ইটালিয়ানদের দুঃস্বপ্ন নিয়ে গবেষণা করে দেখতে পেয়েছেন, নিজেদের দেখা স্বপ্ন ঠিকঠাকভাবে মনে করতে পারার সক্ষমতা মানুষের রাতারাতি বেড়ে গেছে।

উদ্বেগের কারণে ভালো ঘুম না হলে এরকম দুঃস্বপ্ন দেখার প্রবণতা বাড়ে।

অনেক সময় রাতে মানুষের বারবার ঘুম ভেঙ্গে যাবার ফলে এ ঘটনা ঘটে।

আবার অনেক সময় তারা এমন একটি অবস্থায় থাকেন যাকে বলা হয় র‍্যাপিড আই মুভমেন্ট বা আরইএম।

আরইএম ঘুমে চোখ নড়তে থাকে, শ্বাস এবং রক্তপ্রবাহ দ্রুত হয়ে যায় এবং শরীর একটি অবশ অবস্থায় চলে যায়, যাকে বলা হয় অ্যাটোনিয়া।

ঘুমের মধ্যে ৯০ মিনিট পরপর এরকম ঘটতে পারে এবং সেরকম সময়ে আমাদের মস্তিষ্ক স্বপ্ন দেখতে শুরু করে।

সুতরাং কেউ যদি আরইএম পর্যায়ে ঘুম থেকে জেগে ওঠেন, তারা তাদের স্বপ্নগুলো বেশি ভালোভাবে মনে রাখতে পারেন।

"এই মহামারির ক্ষেত্রে স্বপ্ন একটি আবেগি প্রতিক্রিয়া বলা যেতে পারে," তিনি বলছেন।

"আমাদের হিসাবে দুঃস্বপ্ন দেখেছেন, এরকম তথ্য দেয়া মানুষের সংখ্যা সম্প্রতি অনেক বেড়ে গেছে।"

ডাবলিনের নিয়াম ডেভেরেক্স দেখতে পেয়েছেন, তিনি যখন বাসার একটি অনুষ্ঠানে ছিলেন,তখন বাগানে একটি নগ্ন ভুত ঘুরে বেড়াচ্ছে।

২৮ বছর বয়সী এই নারী বলছেন, "ভীতিকর নগ্ন এক ভুত আমাদের চারপাশে ঘুরছে, সেই সঙ্গে চারদিকে অনেক ভেড়াও ঘুরছে। আমি ভয়ে মরে যাচ্ছিলাম।"

বিশেষজ্ঞরা একমত হয়েছেন যে, আমাদের প্রত্যাহিক কাজের ধরণ স্বপ্নের ওপর বিশেষ প্রভাব ফেলে। মানসিকভাবে সেসব কাজের সঙ্গে যতটা সম্পৃক্ত থাকা হয়, স্বপ্নের ওপরও সেটাই ততো বেশি প্রভাব ফেলে। এটি মানুষকে দুঃস্বপ্নের প্রতি আরও বেশি নাজুক করে তোলে। সম্প্রতি ইতালি একটি ‘ইম্যুনি’ নামের একটি কন্ট্রাক্ট ট্রেসিং অ্যাপের অনুমোদন দিয়েছে, যা করোনাভাইরাসের বিস্তার ঠেকাতে সহায়তা করতে বলে আশা করা হচ্ছে। এই খবরটি টেলিভিশনে দেখার পর ইতালির বাসিন্দা কার্লোত্তার স্বপ্নেও চলে আসে।

"আমি স্বপ্নে দেখছিলাম, যে ঘুম থেকে জেগে উঠেছি আর কিছু একটা যেন আমার মাথা জুড়ে রয়েছে। আমি টয়লেটে গিয়ে আয়নার সামনে দাঁড়ালাম। কপাল থেকে যখন আমি চুল সরালাম, দেখতে পেলাম সেখানে তিনটা বাটন রয়েছে।"

স্বপ্ন সংগ্রাহক :

তিনি তার এই স্বপ্নটি ক্যালিফোর্নিয়া ভিত্তিক একটি ওয়েবসাইট আইড্রিমঅফকোভিড নামের একটি ওয়েবসাইটে পোস্ট করেন। ক্যালিফোর্নিয়ার বাসিন্দা ইরিন গ্রাভলি এই ওয়েবসাইটটি চালু করেছেন। তিনি কোন বিজ্ঞানী বা গবেষক নন। তবে মানুষের সামাজিক দূরত্ব মেনে চলা দেখে তার মাথায় এই ওয়েবসাইটের আইডিয়া আসে।

‘’মানুষ একজনের কাছ থেকে আরেকজন ছয় ফিট দূরত্বে দাঁড়াচ্ছে, হাত মেলাচ্ছে না। আমি ভাবলাম, এই সংকট মানুষের স্বপ্নের ওপর কতটা প্রভাব ফেলছে?’’ একটি ইমেইল সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন।

এই ওয়েবসাইটে প্রতিটা স্বপ্ন পোস্ট করার আগে একটি চিত্র একে দেন তার বোন। এরিন আশা করছেন, তার এই প্রকল্পের মাধ্যমে মহামারির সময় মানুষের দেখা স্বপ্নের ধরণ চিহ্নিত করা সম্ভব হবে। তিনি বলছেন, ‘’এর ফলে নিশ্চিতভাবে বোঝা যাবে যে, এই সময়ে মানুষের স্বপ্ন কেমন ছিল।‘’

ইতিবাচক স্বপ্ন :

মনে হতে পারে যেন এই মহামারির সময়ে সবাই শুধুমাত্র নেতিবাচক স্বপ্নই দেখছেন। কিন্তু সেটা পুরোপুরি সত্যি নয়।

‘’শুনতে অবাক শোনাতে পারে, কিন্তু অনেক মানুষ এই সময়ে বেশ ইতিবাচক স্বপ্নও দেখছেন,’’ বলছেন ডেইরড্রে ব্যারেট।

‘’অনেক মানুষ স্বপ্নে ভবিষ্যৎ দেখতে পেয়েছেন, যেখানে বর্তমান দূষণ নেই অথবা কেউ কেউ স্বপ্নে করোনাভাইরাসের ওষুধ আবিষ্কার করেছেন।‘’

এই ইতিবাচক স্বপ্ন দেখাদের একজন ভারতের নিউ দিল্লির নেরু মালহোত্রা।

‘’লকডাউন শুরু হওয়ার পর, আমি চমৎকার সব হোটেল রুম স্বপ্নে দেখতে শুরু করলাম। এগুলো এর আগে আমি শুধু টেলিভিশন পর্দাতেই দেখেছি।‘’

‘’বিশাল বিশাল জানালার এই রুম থেকে সমুদ্র দেখা যায়, মাঝে মাঝে বিস্তৃত সবুজ দেখা যায়। আমার খুব ভালো লাগে। আশেপাশে খুব বেশি মানুষ থাকে না। পুরো দৃশ্য মোহিত করে তোলে।‘’

তবে আপনি যদি চিন্তা করে থাকেন যে, কীভাবে স্বপ্নকে আরও বেশি শান্তিপূর্ণ করে তোলা যায়, সে বিষয়ে ঘুম বিশেষজ্ঞদের কিছু উত্তর রয়েছে।

‘’যাকে আমরা ঘুমের চাষাবাদ বলে থাকি, আপনি যখন ঘুমিয়ে পড়তে শুরু করবেন, তখন আপনি নিজেকে নিজে পরামর্শ দিতে পারেন যে, কী ধরণের স্বপ্ন আপনি দেখতে চান,’’ বলছেন ডেইরড্রে ব্যারেট।

তিনি ব্যাখ্যা করে বলছেন, ‘’আপনার প্রিয় কোন মানুষকে নিয়ে ভাবুন, কোন প্রিয় স্থান অথবা কোন পুরনো ভালো স্বপ্নের কথা ভাবুন। যখন আপনি ঘুমিয়ে পড়তে থাকবেন, তখন বারবার মনে করুন যে, আপনি কি স্বপ্ন দেখতে চান।‘’

‘’আপনি যখন ঘুমিয়ে পড়তে থাকবেন,তখন এই কৌশল এক আরামদায়ক অনুভূতি তৈরি করবে এবং আপনার ঘুমন্ত মন আপনার সেই অনুরোধ রাখার চেষ্টা করবে।

সূত্র : বিবিসি বাংলা

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

গরমে সুস্থ থাকতে পাকা পেঁপে

জীবনযাপন ডেস্ক
জীবনযাপন ডেস্ক
শেয়ার
গরমে সুস্থ থাকতে পাকা পেঁপে
সংগৃহীত ছবি

গরমকালে ডিহাইড্রেশন, হজমের সমস্যা, ত্বকের নানা রকম সমস্যা—সব মিলিয়ে শরীরকে ঠিক রাখতে বেশ ঝক্কি পোহাতে হয়। শুধু পানি পান করে বা হালকা খাবার খেলেই যে সুস্থ থাকা যায়, তা নয়। গ্রীষ্মকালীন ফলের মধ্যে এমন কিছু উপাদান থাকে যা শরীরকে ভেতর থেকে সুস্থ রাখে। এমনই এক উপকারী ফল হল পাকা পেঁপে।

পুষ্টিবিদদের মতে, গরমকালের জন্য আদর্শ ফল পাকা পেঁপে। এটি শরীর হাইড্রেট রাখে, হজমের সমস্যা দূর করে ও ত্বকের পরিচর্যাতেও সাহায্য করে। নিয়মিত খেলে ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকে এবং নানা রকম অসুখের ঝুঁকিও কমে যায়। চলুন দেখে নেওয়া যাক, সকালে নাশতায় পাকা পেঁপে রাখলে কী কী উপকার পাওয়া যায়।

শরীর হাইড্রেটেড থাকে
পাকা পেঁপেতে প্রায় ৮৮% পানি থাকে, যা শরীরকে গরমে হাইড্রেট রাখতে সাহায্য করে। ঘামে যে পানি ও ইলেক্ট্রোলাইট বেরিয়ে যায়, তা পূরণে পেঁপে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেয়। শরীরের তাপমাত্রা স্বাভাবিক রাখতেও সহায়তা করে।

হজমের সমস্যা দূর করে
গরমে হজম শক্তি কমে যায়, তাই হালকা ও সহজপাচ্য খাবারই উপযুক্ত।

পাকা পেঁপেতে থাকা পেপেইন নামক এনজাইম হজমে সাহায্য করে। এটি বদহজম, কোষ্ঠকাঠিন্য ও পেট ফাঁপার সমস্যা কমাতে কার্যকর।

ত্বকের যত্নে সহায়ক
পেঁপেতে আছে বিটা-ক্যারোটিন, ভিটামিন এ ও নানারকম অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, যা ত্বককে সূর্যের ক্ষতিকর রশ্মি থেকে রক্ষা করে। এটি ত্বকের বয়সের ছাপ কমায় ও স্বাভাবিক উজ্জ্বলতা ধরে রাখে।

ওজন কমাতে সাহায্য করে
লো-ক্যালোরি ও ফাইবার সমৃদ্ধ হওয়ায় পাকা পেঁপে খেলে অনেকক্ষণ পেট ভর্তি থাকে।

এতে ভিটামিন বি, সি ও অন্যান্য পুষ্টিগুণও রয়েছে, যা ওজন কমাতে সহায়ক।

সূত্র : এই সময়

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

প্রতিদিন কয় চামচ চিনি খাওয়া নিরাপদ?

জীবনযাপন ডেস্ক
জীবনযাপন ডেস্ক
শেয়ার
প্রতিদিন কয় চামচ চিনি খাওয়া নিরাপদ?
সংগৃহীত ছবি

চা, কফি বা মিষ্টি খাবার—চিনি ছাড়া যেন ভাবাই যায় না। কিন্তু আমরা অনেকেই জানি, অতিরিক্ত চিনি শরীরের নানা রকম সমস্যার কারণ হতে পারে। তাহলে প্রশ্ন উঠছে, দিনে কতটুকু চিনি খাওয়া নিরাপদ?

পুষ্টিবিদদের মতে, চিনির একটা নির্দিষ্ট মাত্রা আছে, যা পেরিয়ে গেলে স্বাস্থ্যের ঝুঁকি বেড়ে যায়। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, একজন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের দৈনিক চিনি গ্রহণের পরিমাণ ২৫ গ্রাম বা প্রায় ৬ চামচের মধ্যে রাখাই নিরাপদ।

এর বেশি চিনি খেলে শরীরে বাড়তি ক্যালোরি জমে, ওজন বাড়ে ও ডায়াবেটিস, হৃদরোগ ও দাঁতের সমস্যা হওয়ার আশঙ্কা বেড়ে যায়।

বিশেষত যারা অতিরিক্ত ওজন, উচ্চ রক্তচাপ বা ডায়াবেটিসে ভুগছেন, তাদের জন্য চিনির পরিমাণ আরো বেশি নিয়ন্ত্রণে রাখা জরুরি। এমন ক্ষেত্রে দিনে ৩-৪ চামচের বেশি চিনি না খাওয়াই ভালো।

চিনির মূল কাজ হল শরীরে তৎক্ষণাৎ শক্তি জোগানো।

তবে এই শক্তি প্রয়োজনের চেয়ে বেশি হলে তা ফ্যাট হিসেবে জমে যায়। এভাবেই বাড়তে থাকে ওজন, দেখা দেয় ইনসুলিন রেজিস্ট্যান্স এবং শেষ পর্যন্ত টাইপ-২ ডায়াবেটিসের ঝুঁকি তৈরি হয়।

অনেকে মনে করেন চায়ে একটু কম চিনি দিলেই যথেষ্ট, কিন্তু বাস্তবে চিনি শুধু মিষ্টি খাবারেই সীমাবদ্ধ নয়। প্রসেসড খাবার, সফট ড্রিঙ্কস, সস, এমনকি পাউরুটির মধ্যেও ‘হিডেন সুগার’ থাকে, যা অজান্তেই শরীরে ঢুকে পড়ে।

তাই সচেতন থাকা জরুরি।

পুষ্টিবিদদের পরামর্শ, স্বাদ থেকে একেবারে চিনি বাদ না দিয়ে বরং তার পরিমাণ কমিয়ে খাওয়াই ভালো। প্রাকৃতিক বিকল্প যেমন খেজুর গুড়, মধু  ব্যবহার করা যেতে পারে, তবে সেগুলো সীমিত মাত্রায় খাওয়া উচিত।

সংক্ষেপে বললে, দৈনিক ২৫ গ্রাম বা ৬ চামচ চিনির মধ্যে থাকাই ভালো। স্বাস্থ্য ভালো রাখতে হলে প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় ভারসাম্য রাখতেই হবে, আর সেই তালিকায় চিনিও এর ব্যতিক্রম নয়।

সূত্র : আজতক বাংলা

মন্তব্য

গ্যাস্ট্রিকের ঘরোয়া সমাধান রান্নাতেই

জীবনযাপন ডেস্ক
জীবনযাপন ডেস্ক
শেয়ার
গ্যাস্ট্রিকের ঘরোয়া সমাধান রান্নাতেই
সংগৃহীত ছবি

সারাদিন বাড়ির বাইরে থাকলে, চাইলেও অনেক সময় ফাস্টফুড খেতে হয়, আর তার ফলেই দেখা যায় গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা। নানা রকম ওষুধ খাওয়া সত্ত্বেও এই সমস্যা বারবার ফিরে আসে। একমাত্র উপায়, বাইরের খাবার পুরোপুরি এড়িয়ে চলা। কিন্তু তা সবসময় সম্ভব হয় না।

তাই বরং রান্নার ধরণটাই একটু বদলে ফেলুন।

বিশেষজ্ঞদের মতে, গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা নিয়ন্ত্রণে রাখতে দারুণ কার্যকর হতে পারে রসুন, জোয়ান ও গোলমরিচ। তাই প্রতিদিনের রান্নায় এই উপাদানগুলো ব্যবহার করার চেষ্টা করুন। এতে খাবারের স্বাদ যেমন বাড়বে তেমনি শরীরও ভালো থাকবে।

রসুন ও গোলমরিচ শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়, আর জোয়ান হজমশক্তি উন্নত করতে সাহায্য করে। এই তিনটি উপাদান একসাথে রান্নায় যোগ করলে গ্যাস্ট্রিক হওয়ার আশঙ্কা অনেকটাই কমে যায়।

সূত্র : টিভি নাইন বাংলা

মন্তব্য
রাশিফল

আজ ১৬ এপ্রিল, দিনটি কেমন যাবে আপনার?

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
আজ ১৬ এপ্রিল, দিনটি কেমন যাবে আপনার?

জীবনের প্রতিটি দিন নতুন কিছু সম্ভাবনা ও চ্যালেঞ্জ নিয়ে আসে আর প্রতিটি দিন আমাদের একটু একটু করে শিখতে ও বিকশিত হতে সাহায্য করে। আজ ১৬ এপ্রিল, ২০২৫ দিনটি আপনার জন্য কেমন হতে পারে, কীভাবে সামলাবেন জীবন ও কাজের চ্যালেঞ্জগুলো, সেটি জানতে হলে পড়ুন আজকের রাশিফল।

মেষ (২১ মার্চ-২০ এপ্রিল): কাজে দায়িত্ব বাড়বে। ঘনিষ্ঠ কারো সহযোগিতা পাবেন।

প্রিয়জনের জন্য অর্থ ব্যয় হতে পারে। আপনার অনুভূতিগুলো সততার সঙ্গে প্রকাশ করুন এবং আপনার সঙ্গীর প্রয়োজনগুলোও শুনুন।

আরো পড়ুন
নোয়াখালীতে যুবককে আটকে চাঁদা দাবি, সমন্বয়কসহ গ্রেপ্তার ৫

নোয়াখালীতে যুবককে আটকে চাঁদা দাবি, সমন্বয়কসহ গ্রেপ্তার ৫

 

বৃষ (২১ এপ্রিল-২০ মে): কাজে উন্নতির যোগ প্রবল। পরিকল্পনা বাস্তবায়নে অন্যকে প্রভাবিত করতে পারবেন।

সামান্য বুদ্ধি প্রয়োগ করলেই শুভ ফলের আশা। বাস্তবতার নিরিখে সিদ্ধান্ত নিলে সুফল পাবেন।

মিথুন (২১ মে-২০ জুন): বিশেষ প্রচেষ্টায় সাফল্যের যোগ রয়েছে। কর্মপ্রার্থীদের কাজের সুযোগ আসতে পারে।

ব্যবসায় বাড়তি চাপ আসতে পারে। অর্থপ্রাপ্তিতে বিলম্ব হবে। পেশাজীবীরা অপছন্দের কাজ থেকে বিরত থাকুন।

কর্কট (২১ জুন-২০ জুলাই): সামাজিক কাজে সম্মান বাড়বে। বিনোদনের জন্য ভালো দিন।

প্রিয়জনের জন্য অর্থ ব্যয় হতে পারে। সৃজনশীল কাজে আনন্দ পাবেন। সামান্য বুদ্ধি প্রয়োগ করলেই শুভফলের আশা। রোমান্স শুভ।

সিংহ (২১ জুলাই-২১ আগস্ট): কোনো শুভ প্রচেষ্টার জন্য দিনটি শুভ। বর্তমান পরিস্থিতি পরিবর্তনের সুযোগ আসবে। সমস্যা সমাধানে অন্যের সহযোগিতা পাবেন। পরিবারের মানুষের কাছে আপনার সততার পরিচয় দিতে পারবেন।

আরো পড়ুন
ভয় ধরিয়ে দিয়েও বার্সালোনার শেষ চার ঠেকাতে পারল না ডর্টমুন্ড

ভয় ধরিয়ে দিয়েও বার্সালোনার শেষ চার ঠেকাতে পারল না ডর্টমুন্ড

 

কন্যা (২২ আগস্ট-২২ সেপ্টেম্বর): কোনো কাজে আর্থিকভাবে লাভবান হতে পারবেন। প্রত্যাশিত কাজে অগ্রগতি হবে। কল্যাণমূলক কাজে অগ্রগতি হবে। দিনটিকে ভালো করতে আপনি আপনার লুকানো গুণাবলি ব্যবহার করুন।

তুলা (২৩ সেপ্টেম্বর-২২ অক্টোবর): আপনার কাজে অন্যদের সমর্থন পাবেন। বিরূপ পরিস্থিতিকেও অনুকূলে নিয়ে আসতে পারবেন। সম্ভাব্য ক্ষেত্রে ঋণ গ্রহণের প্রচেষ্টায় অগ্রগতি হবে। আটকে থাকা ব্যাবসায়িক কর্মকাণ্ডে অর্থের জোগান পাওয়া সহজ হবে।

বৃশ্চিক (২৩ অক্টোবর-২১ নভেম্বর): বিশেষ প্রচেষ্টায় সাফল্যের যোগ রয়েছে। নিজের কাজে অন্যকে খুশি করতে পারবেন। পুরনো সমস্যা সমাধানের পথ পাবেন। সাফল্য লাভের জন্য সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা অনুসারে অগ্রসর হতে হবে। বিতর্ক এড়িয়ে চলুন।

ধনু (২২ নভেম্বর-২০ ডিসেম্বর): কোনো গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তের অগ্রগতি হবে। সামাজিক কাজে অন্যদের সমর্থন পাবেন। আপনার চারপাশে কী ঘটছে, তার প্রতি নজর রাখুন। অপ্রয়োজনীয় ব্যয় থেকে বিরত থাকুন। সময়ের সদ্ব্যবহার করুন।

আরো পড়ুন
সিলেটে ছুরিকাহত তরুণের লাশ উদ্ধার

সিলেটে ছুরিকাহত তরুণের লাশ উদ্ধার

 

মকর (২১ ডিসেম্বর-১৯ জানুয়ারি) : কাজে উন্নতির যোগ আছে। ব্যবসায়ীদের অর্থভাগ্যের কিছুটা পরিবর্তন হবে। পাওনা আদায়ে অগ্রগতি হবে। তাড়াহুড়া করে কোনো বড় সিদ্ধান্ত নেবেন না। সব কাজ বিচক্ষণতার সঙ্গে করতে হবে।

কুম্ভ (২০ জানুয়ারি-১৮ ফেব্রুয়ারি): নতুন যোগাযোগে সুদূরপ্রসারী লক্ষ্য নিয়ে এগোতে পারেন। ব্যবসায় ভালো সুযোগ আসতে পারে। সাহসী পদক্ষেপে পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করুন। শুভ সময়ের সদ্ব্যবহার করুন। আনন্দে থাকুন।

মীন (১৯ ফেব্রুয়ারি-২০ মার্চ): কর্মক্ষেত্রে কিছুটা চাপ থাকলেও কিছু ইতিবাচক সংবাদ পাবেন। কোনো প্রচেষ্টায় অযথা বিলম্ব হবে। গুরুদায়িত্ব গ্রহণে অনীহা আসতে পারে। কারো সহায়তায় সাময়িক সমস্যার সমাধান হতে পারে।

আহমেদ মাসুদ, বিশিষ্ট অকাল্ট সাধক, আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন জ্যোতিষী, ফেংশুই ও বাস্তু বিশেষজ্ঞ। যোগাযোগ: ০১৭১১০৫৭৩৭৭ই-মেইল: amasud9995@gmail.com www.astrologerahmedmasud.com

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ