কিডনি রোগ থেকে বাঁচতে মেনে চলুন এই ৯টি নিয়ম

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
কিডনি রোগ থেকে বাঁচতে মেনে চলুন এই ৯টি নিয়ম

আজকাল একটি অন্যতম সমস্যা হলো কিডনির রোগ। নিজের অজান্তেই শরীরের ক্ষতি করতে পারে এই রোগ। হাই ব্লাড প্রেসার, ডায়াবেটিস বা বংশগত রোগের প্রবণতা থাকলেও কিডনিতে একাধিক সমস্যা দেখা যায়। এতে করে মৃত্যুর আশঙ্কা বেড়ে যায়।

এ ক্ষেত্রে কিডনি সুস্থ রাখতে কয়েকটি সাধারণ বিষয় মাথায় রাখতে হবে।

ওষুধ ও অতিরিক্ত মাত্রায় পেইন কিলার থেকে দূরে থাকতে হবে :

অতিরিক্ত মাত্রায় পেইন কিলার খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে। কারণ এতে কিডনির ওপরে ক্ষতিকর প্রভাব পড়ে। এ ক্ষেত্রে কোনো বিকল্প চিকিৎসা নেওয়া যেতে পারে।

নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে ব্লাড সুগার  

অতিরিক্তি ব্লাড সুগার থাকলে অবশ্যই তা নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে। কারণ কিডনির ওপর এটির ক্ষতিকর প্রভাব পড়ে। এমনকি কিডনি ফেইলিওর হতে পারে। তাই ডায়াবেটিস রোগীদের সচেতন থাকতে হবে।

ব্লাড সুগারের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে।

হাইড্রেশন

এর কোনো বিকল্প নেই। তাই কিডনি ভালো রাখতে শরীরের জন্য একান্ত প্রয়োজন পানি। পানির পাশাপাশি জুস, স্যুপ লিকুইড খাবার খাওয়ার প্রতি জোর দিতে হবে। তবে অবশ্যই সোডাজাতীয় পানি এড়িয়ে যেতে হবে।

প্রতিদিন কমপক্ষে ৮-১০ গ্লাস জল পান করতে হবে। এতে কিডনি থেকে টক্সিন দূর হয়।

ওজন নিয়ন্ত্রণ

অতিরিক্ত মাত্রায় ওজন বাড়লে কিডনির ওপর ক্ষতিকর প্রভাব পড়ে। তাই ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখাও জরুরি। এ ক্ষেত্রে শরীরচর্চা ও ডায়েটের ওপর নজর দিতে হবে।

ধূমপান বাদ দেওয়া

ধূমপান ও মদ্যপান থেকে দূরে থাকতে হবে। কারণ এতে শরীরে টক্সিনের মাত্রা বেড়ে যায়। এর জেরে কোনো দীর্ঘমেয়াদি সমস্যাও হতে পারে।

রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ

রক্তচাপ তথা ব্লাড প্রেসার নিয়ে সচেতন থাকতে হবে। নিয়মিত ব্লাড প্রেসার চেক করাতে হবে। কারণ রক্তচাপের সমস্যা হলে কিডনির ওপরও এর প্রভাব পড়ে।

স্বাস্থ্যসম্মত খাওয়াদাওয়া

কিডনি ভালো রাখতে খাওয়াদাওয়ার ক্ষেত্রে জোর দিতে হবে। কাঁচা লবণ খাওয়ার অভ্যাস বাদ দিতে হবে। বাইরের খাবার, প্যাকেটজাত খাবার, জাঙ্ক ফুড খাওয়ার অভ্যাস বাদ দিতে হবে।  এর পাশাপাশি ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম ও সাইট্রিক অ্যাসিডসমৃদ্ধ খাবার খেতে হবে। অর্থাৎ লেবু, কমলালেবু, আঙুর, ব্লু-বেরি বা এ জাতীয় ফল খাওয়া যেতে পারে।

নিয়মিত শরীরচর্চা

নিয়মিত শরীরচর্চাও একটি উল্লেখযোগ্য বিষয়। এর সাহায্যে দ্রুত টক্সিন বের হয়ে যায় শরীর থেকে। বিশেষজ্ঞদের মতে, সপ্তাহে কমপক্ষে পাঁচবার শরীরচর্চা কিডনির স্বাস্থ্য ভালো রাখে। এ ক্ষেত্রে যোগ ব্যায়ামও অত্যন্ত উপকারী।

বডি চেক-আপ

নিয়ম মেনে কিছুদিন পরপর পুরো বডি চেক-আপ করিয়ে নিতে হবে। এর জেরে নিজের শরীর সম্পর্কে সচেতন থাকা যাবে। এ ক্ষেত্রে বছরে অন্তত দু-তিনবার চেক আপ করিয়ে নিতে হবে।

সূত্র : জি-নিউজ।

মন্তব্য

ঈদের আগে বাড়িতেই তৈরি করুন সুস্বাদু কিশমিশ

জীবনযাপন ডেস্ক
জীবনযাপন ডেস্ক
শেয়ার
ঈদের আগে বাড়িতেই তৈরি করুন সুস্বাদু কিশমিশ
সংগৃহীত ছবি

বাজারে এখন মিষ্টি ও তাজা আঙুর পাওয়া যায়। এই তাজা আঙুর দিয়ে আপনি চাইলে সহজেই ঘরে কিশমিশ তৈরি করতে পারেন। ঘরে তৈরি কিশমিশ খেতে খুবই সুস্বাদু। সামনে আসছে ঈদুল ফিতর।

এই ঈদে সবার ঘরের সেমাই, ফিরনি, পায়েশসহ বিভিন্ন মিষ্টান্নের আয়োজন করা হয়ে থাকে। আর এসবে ব্যবহার হয়ে থাকে কিশমিশ।

কালো বা সবুজ যেকোনো আঙুর থেকে কিশমিশ তৈরি করতে পারেন। ঘরে তৈরি কিশমিশ দীর্ঘদিন সংরক্ষণ করা যায়।

আজ আমরা আপনাদের জানাব কিভাবে বাড়িতেই তৈরি করবেন সুস্বাদু কিশমিশ। চলুন, জেনে নেওয়া যাক।

আরো পড়ুন
স্বাস্থ্যকর চিকেন সালাদ, রাখতে পারেন ইফতারে

স্বাস্থ্যকর চিকেন সালাদ, রাখতে পারেন ইফতারে

 

বাড়িতে আঙুর থেকে কিশমিশ তৈরির পদ্ধতি

প্রথম ধাপ: আঙুর থেকে কিশমিশ তৈরি করতে প্রথমে তাজা, রসালো ও মিষ্টি আঙুর বেছে নেওয়া উচিত। প্রথমে আঙুরগুলো পরিষ্কার পানি দিয়ে ২-৩ বার ভালো করে ধুয়ে নিন।

এবার আঙুরের সমস্ত ডাঁটা তুলে আলাদা করে নিন।

দ্বিতীয় ধাপ: এবার একটি পাত্রে কিছু পরিমাণ পানি ঢেলে গ্যাসে গরম করার জন্য রাখুন। পাত্রে যতটা সম্ভব আঙুর দিন। এবার ছাঁচটি কুকারে সেট করুন এবং আঙুরগুলোকে হালকা হলুদ ও নরম না হওয়া পর্যন্ত ভাপে রাখুন। এটি করতে আপনার ৫ মিনিট সময় লাগবে।

তৃতীয় ধাপ: এবার একটি পাত্রে সমস্ত আঙুর রাখুন। তারপর একটি পরিষ্কার কাপড় রোদে বিছিয়ে দিন। চাইলে কাপড়ের নিচে খবরের কাগজও রাখতে পারেন। এবার সব আঙুর একটু ফাঁক ফাঁক করে রোদে শুকাতে দিন।

আরো পড়ুন
আমলকী চায়ের যত গুণ

আমলকী চায়ের যত গুণ

 

চতুর্থ ধাপ: আঙুর শুকাতে সময় নেয়। আঙুর কিশমিশে পরিণত হতে প্রায় ২-৩ দিন সময় লাগে। প্রতিদিন উজ্জ্বল রোদে শুকাতে হবে। তিন দিনের মধ্যে একেবারে তাজা ও হলুদ কিশমিশ প্রস্তুত হয়ে যাবে। আপনি এই কিশমিশ এমনি খেতে পারেন বা যেকোনো খাবারে ব্যবহার করতে পারেন।

এভাবে সহজে বাড়িতেই আঙুর থেকে কিশমিশ তৈরি করতে পারেন। কম দামে ভাঙা আঙুর কিনুন, আর সেগুলোই তাজা কিশমিশ তৈরিতে ব্যবহার করুন। প্রস্তুত কিশমিশগুলো একটি কাঁচের জারে সংরক্ষণ করুন। এই কিশমিশগুলো বেশি দিন নষ্ট হবে না।

আরো পড়ুন
আলু-পেঁয়াজ একসঙ্গে রাখলে কী ক্ষতি

আলু-পেঁয়াজ একসঙ্গে রাখলে কী ক্ষতি

 

সূত্র : আজতক বাংলা

মন্তব্য

যেভাবে সালাদ খেলে বিপদের ঝুঁকি

জীবনযাপন ডেস্ক
জীবনযাপন ডেস্ক
শেয়ার
যেভাবে সালাদ খেলে বিপদের ঝুঁকি
সংগৃহীত ছবি

রঙিন সালাদ মানেই পুষ্টিগুণে ভরপুর, তা কিন্তু নয়। পুষ্টিবিদরা বলছেন, সালাদ তৈরির নিয়ম, খাওয়ার সময় ও ধরন না জেনে খেলে শারীরিক নানা জটিলতা তৈরি হতে পারে। সালাদ একটি জনপ্রিয় মিশ্র খাবার, যা প্রধানত ফল এবং কাঁচা সবজি দিয়ে তৈরি করা হয়। বাংলাদেশে প্রধানত শসা, গাজর, টমেটো ইত্যাদি দিয়ে সালাদ তৈরি করা হলেও পৃথিবীজুড়ে সালাদের জন্য বিভিন্ন উপকরণ ব্যবহার করা হয়।

ভিটামিন, মিনারেল, পটাশিয়াম, ফাইবার ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ খাবার হিসেবে সালাদের জুড়ি নেই। নিয়মিত রঙিন সালাদ গ্রহণে হৃদ্‌রোগ, ডায়াবেটিস, ওজন ও উচ্চচাপ নিয়ন্ত্রণ, রক্তের কোলেস্টেরল হ্রাসসহ নানান উপকারিতা রয়েছে।
 
কিন্তু সামান্য কিছু ভুলের কারণে সালাদের উপকারিতা না পেয়ে বরং খারাপ ফল পাবেন। ডায়েটিশিয়ানরা বলছেন, কিছু বিষয় খেয়াল না রেখে সালাদ তৈরি করলে উপকারের চেয়ে বিপদের কারণ হয়ে ওঠে সালাদ।

যেমন—
 
১. প্রথমেই ডায়েটিশিয়ানরা গুরুত্ব দিয়েছেন সালাদ তৈরি করার বিষয়টিতে। কারণ, ঠিকমতো সালাদ তৈরি করতে না জানলে স্বাস্থ্যরক্ষার ক্ষেত্রে হিতে বিপরীত হতে পারে! এ বিষয়ে তারা বলেন, সালাদ তৈরির সময় অনেকেই মেয়োনিজ ও চিজ ব্যবহার করে থাকেন। এই দুই উপাদান খুব বেশি পরিমাণে খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য মোটেও ভালো নয়।
 
২. বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ফল, সবজি কিংবা মাছ, মাংস, ডিমের সঙ্গে মেয়োনিজ মিশিয়ে খাওয়া মানেই আপনার সালাদে স্বাস্থ্যহানির উপাদান প্রবেশ করছে।
তাই সালাদ তৈরিতে মেয়োনিজ পরিহার করুন। স্বাদ বাড়ানোর জন্য এ ক্ষেত্রে টকদই বা গ্রিক ইয়োগার্ট ব্যবহার করতে পারেন।
 
৩. এ ছাড়া সালাদে সাদা লবণ, গোলমরিচ, লেবুর রস মেশালে তার পরিমাণের দিকেও নজর রাখতে হবে। কেননা, সাদা লবণ মোটেও স্বাস্থ্যকর নয়। তাই সাদা লবণের পরিবর্তে বিটনুন ব্যবহার করাই ভালো।
সালাদের স্বাদ বাড়াতে অনেকেই বিভিন্ন রকম ড্রেসিং ব্যবহার করেন। অতিরিক্ত লবণ, চিনিযুক্ত সেসব ড্রেসিং-এ ঠিক কী পরিমাণে ব্যবহার করবেন সে বিষয় সতর্ক থাকুন।
 
৪. অনেকেই সবজির সালাদ তৈরির সময় সিদ্ধ করে নেন কিংবা তেলে হালকা ভেজে নেন। এতে সালাদের স্বাদ বাড়লেও পুষ্টিগুণ নষ্ট হয়।
 
৫. সালাদের সঙ্গে অনেকেই টোস্ট খান। এতে সালাদের সঙ্গে অতিরিক্ত কার্বোহাইড্রেট যোগ হয়, যা না করাই ভালো। স্বাদ বাড়াতে সালাদে ভাজা তিল কিংবা কুমড়োর বীজ দিতে পারেন।
 
 ৬. সালাদের ড্রেসিংয়ে অলিভ অয়েল পরিমিত মাত্রায় ব্যবহার করুন। সালাদ সুস্বাদু করতে অতিরিক্ত অলিভ অয়েল ব্যবহার না করে এ ক্ষেত্রে বিভিন্ন রকম হার্বস ব্যবহার করতে পারেন।
 
৭. সালাদ নিয়ে অনেকেরই অনেক ভুল ধারণা থাকে। সব খাবারের সঙ্গে সব রকম সালাদ খাওয়া উচিত নয়। অতিরিক্ত তেল-মসলাযুক্ত খাবারের সঙ্গে সালাদ এড়িয়ে যাওয়াই ভালো।
 
 ৮.  দিনের কোন সময়ে সালাদ খাচ্ছেন সেটিও কিন্তু ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ এ ক্ষেত্রে। সালাদের পূর্ণ পুষ্টিগুণ পেতে সালাদ খাওয়ার উপযুক্ত সময় হলো দুপুরবেলা। তাই দুপুরের খাবারের সঙ্গেই সালাদ খাওয়ার অভ্যাস করতে পারেন।
 
৯. খাওয়ার অনেক আগে সালাদ তৈরি করে রাখবেন না। এতে সালাদে পানির পরিমাণ বেড়ে সালাদের খাদ্যগুণ নষ্ট হয়ে যায়। তাই চেষ্টা করুন খাওয়ার পাঁচ মিনিট আগে সালাদ তৈরি করার।

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

কাঁচা পেঁয়াজের যত গুণ

জীবনযাপন ডেস্ক
জীবনযাপন ডেস্ক
শেয়ার
কাঁচা পেঁয়াজের যত গুণ
সংগৃহীত ছবি

খাবারের স্বাদ বাড়াতে পেঁয়াজ অতুলনীয়। ভাজাপোড়া থেকে শুরু করে পান্তাভাত বা গরম ভাতসহ প্রায় খাবারের সঙ্গে অনেকে কাঁচা পেঁয়াজ খেয়ে থাকেন। এ ছাড়া মুড়ি মাখানো থেকে শুরু করে বিকেলের নাশতায় তৈরি খাবার যেমন পেঁয়াজু, পুরি, শিঙ্গাড়া- এই পেঁয়াজ ছাড়া অসম্ভব।

অনেকে আবার সালাদ হিসেবেও কাঁচা পেঁয়াজ খেয়ে থাকেন।

তবে এই পেঁয়াজ কেবল মুখরোচকই নয়। এটি আপনার স্বাস্থ্যর জন্যও বেশ ভালো। আপনার শরীরকে সুস্থ রাখতে পেঁয়াজ নানা ভাবে কাজ করে থাকে। চলুন, জেনে নিই পেঁয়াজের গুণাবলি।

পেঁয়াজে সোডিয়াম, পটাশিয়াম, ভিটামিন সি, ভিটামিন ই এবং ফোলেটের মতো উপাদান রয়েছে। তাই সালাদ হিসেবে পেঁয়াজ খেলে শরীরের নানা উপকার হয়। সেগুলো নিম্নে আলোচনা করা হলো—

আরো পড়ুন
স্বাস্থ্যকর চিকেন সালাদ, রাখতে পারেন ইফতারে

স্বাস্থ্যকর চিকেন সালাদ, রাখতে পারেন ইফতারে

 

হজম ভালো হয়

গ্রীষ্মকালে অনেক সময় গ্যাস ও কোষ্ঠকাঠিন্যের মতো হজমজনিত সমস্যা দেখা দিতে পারে। কাঁচা পেঁয়াজ হজমশক্তি উন্নত করে।

এতে প্রচুর পরিমাণে ডায়েটারি ফাইবার রয়েছে, যা পেট পরিষ্কার করে। এ ছাড়া যেকোনো ধরনের ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ থেকে পাকস্থলীকে রক্ষা করে এবং পরিপাকতন্ত্রকে শক্তিশালী করে।

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা শক্তিশালী করে

কাঁচা পেঁয়াজ ভিটামিন সি সমৃদ্ধ। এটি শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা শক্তিশালী করতে সাহায্য করে। এর পাশাপাশি এটি ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ থেকে শরীরকে রক্ষা করে।

তাই সালাদে কাঁচা পেঁয়াজ রাখা সব সময় ভালো।

ত্বকের জন্য ভালো

যেহেতু পেঁয়াজে সালফার ও ভিটামিন সি থাকে, তাই তা ত্বকের জন্য উপকারী। ত্বকের জ্বালা কমাতে, ব্রণ হওয়া আটকাতে সহায়তা করে। গরমে অতিরিক্ত ঘাম ও দূষণের কারণে ত্বকের ক্ষতি হতে পারে। কাঁচা পেঁয়াজ খেলে তা ত্বক মেরামত করে।

আরো পড়ুন
আমলকী চায়ের যত গুণ

আমলকী চায়ের যত গুণ

 

ডায়াবেটিক রোগীদের জন্য ভালো

কাঁচা পেঁয়াজে ক্রোমিয়ামসহ অন্যান্য উপাদান রয়েছে, যা শরীরে সুগারের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে। এটি টাইপ-২ ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য বিশেষত উপকারী। কারণ এটি ইনসুলিন সংবেদনশীলতা বাড়ায়। এ ছাড়া পেঁয়াজ ডায়াবেটিসের পাশাপাশি ক্যান্সারও প্রতিরোধ করে। তাই ক্যান্সার রোগীদের জন্য পেঁয়াজ অত্যন্ত উপকারী।

হার্টের সমস্যা সমাধানে

যাদের হার্টের সমস্যা আছে তাদের জন্য পেঁয়াজ অত্যন্ত উপকারী। খাবারে পেঁয়াজের ব্যবহার উচ্চ রক্তচাপ কমায় ও হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি কমায়। এটি রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা কমাতেও সাহায্য করে। এ ছাড়া যাদের বাতের ব্যথার সমস্যা আছে তাদের জন্য পেঁয়াজ উপকারী।

ঘা শুকাতে

পেঁয়াজে রয়েছে অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল উপাদান। তাই ফোঁড়া বা ঘা হলে তাতে পেঁয়াজের রস ক্ষত স্থানে লাগালে ক্ষত  তাড়াতাড়ি সেরে যায়। নিয়মিত পেঁয়াজ খেলে শরীর থেকে অতিরিক্ত ইউরিক এসিড বের হয়ে যায়।

আরো পড়ুন
আলু-পেঁয়াজ একসঙ্গে রাখলে কী ক্ষতি

আলু-পেঁয়াজ একসঙ্গে রাখলে কী ক্ষতি

 

সর্দি-কাশি দূর করতে 

কফযুক্ত কাশিতে পেঁয়াজের রসের সঙ্গে সমপরিমাণ মধু মিশিয়ে খেলে কিছুদিনের মধ্যেই তার ভালো ফলাফল পাওয়া যায়। এ ছাড়া হেঁচকি বন্ধ করতেও পেঁয়াজের রস অত্যন্ত কার্যকর। পোকা কামড়ালে সেই স্থানে পেঁয়াজের রস লাগালে তাতে আর চুলকানি কিংবা জ্বালাপোড়া হয় না।

মাথা ব্যথা

যাদের ঠাণ্ডা কিংবা সাইনাসের কারণে মাথা ব্যথা আছে তারা এক চা চামচ পেঁয়াজের রসের সঙ্গে দুই চা চামচ পানি মিশিয়ে খান, ব্যথা দ্রুত কমে যাবে।

হিট স্ট্রোক থেকে বাঁচায়

এই গরমে প্রায় অনেকেই হিট স্ট্রোকের সম্মুখীন হয়েছেন। যাদের এই সমস্যা আছে তাদের হিট স্ট্রোক হলে পায়ের ওপর ও ঘাড়ের পেছনে পেঁয়াজ বেঁটে দিলে শরীরে ঠাণ্ডা প্রভাব ফেলে, যা স্ট্রোক থেকে রক্ষা করে। এ ছাড়া এটি চুল পড়া রোধ করতেও সাহায্য করে। যাদের চুল পড়ার সমস্যা আছে তারা পেঁয়াজের রস সপ্তাহে দুই বার করে চুলে লাগালে উপকার পাবেন।

আরো পড়ুন
ওয়াই-ফাইয়ের তরঙ্গ কি স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর?

ওয়াই-ফাইয়ের তরঙ্গ কি স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর?

 

তবে যেকোনো জিনিস অতিরিক্ত ভালো নয়। তাই অতিরিক্ত কাঁচা পেঁয়াজ খাওয়া থেকে দূরে থাকবেন।

মন্তব্য

মাটির পাত্রে খাবার খেলে কী উপকার

জীবনযাপন ডেস্ক
জীবনযাপন ডেস্ক
শেয়ার
মাটির পাত্রে খাবার খেলে কী উপকার
সংগৃহীত ছবি

একটা সময় গ্রাম কিংবা শহরের প্রায় প্রতিটি বাড়িতেই ব্যবহার হতো মাটির পাতিল, ঢাকনা, থালা, গ্লাস, কলস, পানির জগ ও মগসহ নানা পণ্য। কিন্তু সেটি এখন প্রায় হারিয়ে গেছে। ঐতিহ্যবাহী এসব মাটির পাত্র দেখতে যেমন সুন্দর তেমনি এর রয়েছে স্বাস্থ্যগত উপকারও।

তাপমাত্রার ওপর ভিত্তি করে পোড়ামাটির এসব পাত্র দুই ধরনের হয়।

কিছু পাত্র উচ্চ তাপমাত্রায় তৈরি করা হয়। এগুলো সরাসরি রান্নার কাজে ব্যবহার করা হয়। আবার কিছু পাত্র তুলনামূলক নিম্ন তাপমাত্রায় তৈরি হয়। এগুলো খাবার পরিবেশনে ও পানি সংরক্ষণে ব্যবহৃত হয়।
যেমন বাসন, ঘটি, বাটি ইত্যাদি।

আবার পাত্রের গায়ের প্রলেপের ওপর ভিত্তি করে দুই ধরনের বাসনকোসন পাওয়া যায়। কিছু পাত্র চকচকে প্রলেপযুক্ত। এই প্রলেপ পোড়ামাটির ছিদ্রযুক্ত পৃষ্ঠকে সিল করে দেয়।

চকচকে ও মসৃণ হওয়ায় ব্যবহারের আগে এটি ‘সিজনিং’ করতে হয় না। এগুলো সমানভাবে তাপ শোষণ করে, পরিষ্কার করাও সহজ।

আরো পড়ুন
আলু-পেঁয়াজ একসঙ্গে রাখলে কী ক্ষতি

আলু-পেঁয়াজ একসঙ্গে রাখলে কী ক্ষতি

 

আরেক ধরনের পোড়ামাটির পাত্র আছে, যার পৃষ্ঠদেশ চকচকে নয় অর্থাৎ আনগ্লেজড। স্বাস্থ্যসচেতন ক্রেতাদের মধ্যে বর্তমানে আনগ্লেজড পোড়ামাটির পাত্রের চাহিদা বাড়ছে। কারণ, এ ধরনের পাত্রে মাটির প্রাকৃতিক বৈশিষ্ট্য বজায় থাকে।

এগুলোতে কোনো রাসায়নিক পদার্থ ব্যবহৃত হয় না।

ঐতিহ্যবাহী এসব পাত্রের উপকারিতা জানাতেই আজকের প্রতিবেদন। চলুন, জেনে নেওয়া যাক—

  • পোড়ামাটির পাত্রের অনন্য বৈশিষ্ট্য হচ্ছে এটি খাবারের টক্সিন (জীব ও উদ্ভিদ শরীরে উৎপন্ন বিষ) অপসারণ করে পুষ্টি ধরে রাখতে সাহায্য করে। পোড়ামাটির পাত্রের ক্ষুদ্র ছিদ্র আর্দ্রতা অপসারণ ও দীর্ঘ সময় খাবার সংরক্ষণ করতে সাহায্য করে।
  • মাটির পাত্র তৈরিতে ব্যবহৃত কাদামাটি প্রকৃতিতে ক্ষারীয় বলে পরিচিত, যা খাবারের অ্যাসিডের সঙ্গে মিথস্ক্রিয়া করে এবং পিএইচ স্তরকে নিরপেক্ষ করে। এই গুণের কারণে মাটির পাত্রে খেলে খাবার অনেক দ্রুত হজম হয়।
  • মাটির ছিদ্রযুক্ত প্রকৃতি তাপকে সমানভাবে সঞ্চালন, খাবারের স্বাদ বৃদ্ধি ও পুষ্টি ধরে রাখতে সাহায্য করে। মাটির ক্ষারীয় প্রকৃতি খাবারের অম্লতার সঙ্গে মিথস্ক্রিয়া করে এদের নিরপেক্ষতা বজায় রাখে। তাপপ্রতিরোধক এবং ধীরে রান্নার কারণে তেলের ব্যবহার কম হয়। তা ছাড়া পোড়ামাটি খাবারের সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ পুষ্টি যোগ করে যেমন ক্যালসিয়াম, ফসফরাস, আয়রন ও ম্যাগনেশিয়াম।
আরো পড়ুন
ওয়াই-ফাইয়ের তরঙ্গ কি স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর?

ওয়াই-ফাইয়ের তরঙ্গ কি স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর?

 
  • খনিজ উপাদান এবং ইলেকট্রোম্যাগনেটিক শক্তিতে সমৃদ্ধ থাকে কাদামাটি। তাই মাটির পাত্রে পানি সংরক্ষণ করা হলে তা পানির আরোগ্য ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে।
  • প্লাস্টিকের পরিবর্তে মাটির গ্লাস বা পাত্রে পানি পান করা হলে তা টেস্টোস্টেরনের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে। মাটি প্রাকৃতিকভাবে পানি ঠান্ডা রাখে। ফলে তা শরীরের বিপাক বাড়াতে সাহায্য করে।
  • মাটির পাত্রে অসংখ্য আণুবীক্ষণিক ছিদ্র থাকে। এই ছিদ্রগুলো দিয়ে অল্প পরিমাণ পানি চুঁইয়ে বাইরের পৃষ্ঠে আসে ও বাষ্পীভূত হয়। পানি বাষ্পীভূত হওয়ার সময় কিছুটা তাপ শোষণ করে। ফলে ঠান্ডা থাকে পাত্র।
  • মাটির পাত্রে পানি রাখলে পানিতে হরেক রকমের খনিজ পদার্থ মেশে। ফলে দেহে প্রয়োজনীয় খনিজ উপাদানগুলোর অভাব হয় না। ভালো থাকে বিপাক প্রক্রিয়াও।
  • খাবারের পুষ্টিমান, স্বাদ ও গন্ধ বজায় রাখতে অন্যান্য উপাদানের তৈজসপত্র থেকে মাটির পাত্র সবচেয়ে বেশি কার্যকর।
আরো পড়ুন
স্বাস্থ্যকর চিকেন সালাদ, রাখতে পারেন ইফতারে

স্বাস্থ্যকর চিকেন সালাদ, রাখতে পারেন ইফতারে

 
  • মাটির পাত্রে যদি রান্না করার অভ্যাস করতে পারেন তবে সবচেয়ে কিন্তু আপনি লাভবান হবেন। কারণ মাটির পাত্র ধীরগতিতে রান্না ও তাপ নিরোধক হওয়ায় এটি খাবারের প্রাকৃতিক তেল ও আর্দ্রতা বজায় রাখতে সাহায্য করে। যার কারণে রান্নায় তেল কম লাগে।
  • বেশির ভাগ মাটির পাত্রই মাইক্রোওয়েভে ব্যবহার করা যায়। মাইক্রোওয়েভে মাটির পাত্র রাখলে উচ্চ তাপমাত্রার সংস্পর্শে এলে এ থেকে কোনো ক্ষতিকর গ্যাস বের হয় না, যা প্লাস্টিকের ক্ষেত্রে ঘটে।
  • মাটির পাত্রে খাবার ঢেকে রাখলে দীর্ঘ সময় খাবার গরম থাকে। রান্না করা খাবারের স্বাদ বাড়াতেও মাটির পাত্র সবচেয়ে সেরা।
  • মাটির পাত্র দুধ ও দুগ্ধজাত খাবার সংরক্ষণের জন্য খুবই নিরাপদ। এর কারণ হলো মাটির একটি শীতল প্রভাব রয়েছে এবং এটি দুধকে টক হতে বাধা দেয়।
আরো পড়ুন
আমলকী চায়ের যত গুণ

আমলকী চায়ের যত গুণ

 
মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ