গরমে সুতির পোশাক আরামদায়ক। এখন সুতি কাপড় ও সুতির সঙ্গে লিনেনের মিশ্রণে আরামদায়ক পোশাক তৈরি করছে ফ্যাশন হাউসগুলো। ডিজাইনারদের সঙ্গে কথা বলে বিস্তারিত লিখেছেন আতিফ আতাউর।
বাইরে এখন বেশ গরম।
বাইরে এখন বেশ গরম।
গরমে হালকা রঙের পোশাকের প্রাধান্য বেশি।
এই সময়ে সুতি
সুতি কাপড় শুরু থেকেই স্বস্তি দিয়ে আসছে মানুষকে। প্রযুক্তির উৎকর্ষের সঙ্গে সঙ্গে সুতির বুননেও যোগ হয়েছে আধুনিকতা। এখন আরো রেশমি ও মিহি করে সুতি কাপড় বোনা হচ্ছে।
লিনেন, ফ্লানেল, এন্ডির মিশ্রণ
সুতি কাপড়ের সঙ্গে এখন অন্যান্য উপাদানের মিশ্রণ ঘটানো হচ্ছে। এতে সুতির পোশাকে যোগ হচ্ছে নতুন নতুন বৈচিত্র্য। সুতির সঙ্গে প্রাকৃতিক ও রাসায়নিক উপাদানের মিশ্রণে লিনেন, ফ্লানেল, এন্ডির মতো আরামদায়ক কাপড়ও বোনা হচ্ছে। এতে সুতির পোশাক পাচ্ছে নতুন নতুন রূপ। অঞ্জন’সের স্বত্বাধিকারী শাহিন আহমেদ বললেন, ‘সুতির সঙ্গে এখন অন্যান্য উপাদানের মিশ্রণ ঘটানোর ফলে নতুন ধরনের কাপড় পাচ্ছি আমরা। এসব কাপড়ে তৈরি পোশাকগুলো আরো বেশি মসৃণ ও মজবুত হচ্ছে। পোশাকে নতুনত্ব আসছে। ব্যবহারেও আরাম ও বৈচিত্র্য যোগ হচ্ছে। ’
কেন পরবেন
সুতির পোশাক আরামদায়ক। সব ঋতুতেই সুতি কাপড়ের জুড়ি নেই। সুতি পোশাকের আরেকটি গুণ, এটি নারী-পুরুষ-ছোট-বড় নির্বিশেষে সবার মধ্যেই একটি মার্জিত ভাব প্রকাশ করে। সুতি কাপড়ের আরেকটি সুবিধা হচ্ছে সহজলভ্য। সাশ্রয়ী মূল্যে সুতি কাপড়ের পোশাক কেনা যায়। সুতির অন্য সব পোশাকের মতো সুতির শাড়িও দামে কম, আবার দেখতেও সুন্দর। ঊর্ধ্বমূল্যের এই সময়ে যখন নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিস কিনতেই হিমশিম খাচ্ছে মানুষ, তখন অর্থ বাঁচাতে সুতি কাপড়ের পোশাক কিনতে পারেন। গরমে সুতি কাপড়ের পোশাক পরলে শরীরে ঘাম কম হবে। অন্য সব কাপড়ে গরমে ঘাম বেশি হয়, শুকাতেও সময় লাগে। সুতি কাপড়ের বেলায় এই অসুবিধা পোহাতে হবে না। কারণ সুতি কাপড়ের পোশাক পাতলা হয়। এর মধ্যে সহজেই বাতাস চলাচল করতে পারে। ফলে ঘাম হলেও খুব দ্রুত তা শুকিয়ে যায়। শরীর সতেজ রাখে। ঘামাচি, র্যাশ, শরীরের জ্বালাপোড়া থেকে রক্ষা পাওয়া যায়।
কে ক্র্যাফটের স্বত্বাধিকারী খালিদ মাহমুদ বলেন, ‘গ্রীষ্মের দাবদাহ ও গরমে সুতি কাপড়ের পোশাক শরীর ও মনে শান্তি ও স্বস্তি এনে দেয়। মন ভালো থাকে। সুতি কাপড় পরে এই সময় কাজ করেও শান্তি পাওয়া যায়। নরম ত্বকে সুতি কাপড়ের পোশাক আরামদায়ক ভাব এনে দেয়। ’ তা ছাড়া সুতি কাপড় ধুতে বেশি কষ্টও হয় না। এখন শাড়ি, পাঞ্জাবি, শার্ট, স্কার্ট, টপস, কাফতান, কুর্তি, প্যান্ট, ফতুয়া, সালোয়ার-কামিজ, টি-শার্টসহ সব ধরনের পোশাকই সুতি কাপড়ে তৈরি হচ্ছে। ফলে ফরমাল ও ক্যাজুয়াল দুইভাবেই সুতি কাপড়ের পোশাক বেছে নেওয়া সম্ভব। সুতি কাপড়ের পোশাক সব জায়গায়ই মানিয়ে যায়।
ঘর্মাক্ত পোশাক ভাঁজ করার আগে
ঘর্মাক্ত পোশাক ভাঁজ করা যাবে না। ঘর্মাক্ত পোশাক ভাঁজ করে আলমারিতে রাখা যাবে না বা ঘাম শুকিয়েও তুলে রাখা যাবে না। এতে পোশাকে দুর্গন্ধ তৈরি হওয়ার পাশাপাশি ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া, ফাঙ্গাস ও ছত্রাক জন্মাতে পারে। এ জন্য সুতি কাপড়ের পোশাক ঘেমে গেলে আগে ঘাম শুকাতে হবে। ভালোভাবে পরিষ্কার করতে হবে। রোদে শুকিয়ে তারপর উল্টো করে ইস্ত্রি করতে হবে।
সুতি কাপড়ের যত্ন
সৌমিক দাস জানান, ‘যে কাপড়ে যত বেশি ভ্যালু অ্যাড করা হয় সে কাপড়ের একটু আলাদা ও বেশি যত্ন নিতে হয়। সুতি কাপড় ড্রাই ওয়াশ বা মেশিনে ওয়াশ না করাই ভালো। ’
১ . সুতির পোশাক ধোয়ার সময় বেশি ঘষাঘষি করা যাবে না।
২ . বেশি ময়লা দূর করতে গরম পানি দিয়ে ধোয়া যাবে না।
৩. সুতি কাপড় ঘামে ভিজে গেলে বাসায় ফিরে ধুয়ে ফেলতে হবে।
৪. সাধারণ সাবান বা ডিটারজেন্ট পাউডার দিয়েই সুতির পোশাক পরিষ্কার করা যাবে।
৫. কাপড় মসৃণ ও সুন্দর রাখতে মাড় দেওয়া যেতে পারে।
৬. কাপড়ে দাগ লাগলে জায়গাটি পানিতে ঘণ্টা দুয়েক ভিজিয়ে রাখতে হবে। এরপর সাবান দিয়ে ধুলে দাগ উঠে যাবে।
৭. চড়া রোদে নয়, হালকা রোদ বা ছায়ায় উল্টো করে মেলে কাপড় শুকাতে হবে।
৮. সুতির পোশাক উল্টো দিক ইস্ত্রি করে নিতে হবে।
৯. সুতির পোশাক প্রতিদিন পরিষ্কার করতে হবে এমন নয়। ময়লা লাগলে, ঘামে ভিজে গেলে পোশাকটি সেদিনই ধুয়ে ফেলতে হবে।
এই সময়ে বাজারে অনেক ধরনের সবজি পাওয়া যায়, যা কেবল আমাদের খাবারের স্বাদই বদলে দেয় না, বরং স্বাস্থ্যের জন্যও দারুণ উপকারী। এ ছাড়া দামেও থাকে খুব কম। তবে খুব কম মানুষই এই সবজি খেতে পছন্দ করেন। বাচ্চারা তো সবজি খেতেই চায় না।
বিশেষজ্ঞদের মতে, শাক-সবজি খাওয়া শরীরের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এটি শরীরকে প্রয়োজনীয় পুষ্টি সরবরাহ করে, কিন্তু সবাই শাক-সবজি খেতে পছন্দ করেন না। যদি আপনার বাচ্চারাও সবজি খেতে না চায়, তাহলে কিছু উপায়ে তাদের খাদ্যতালিকায় অন্তর্ভুক্ত করতে পারেন। চলুন, জেনে নিই উপায়গুলো।
সালাদ
খাদ্যতালিকায় শাক-সবজি অন্তর্ভুক্ত করার সবচেয়ে সহজ ও স্বাস্থ্যকর উপায় হলো সালাদ। শসা, টমেটো, পেঁয়াজ, গাজর, বাঁধাকপির মতো সবজি এবং অঙ্কুরিত ফল দিয়ে লবণ ও চাট মশলা দিয়ে সালাদ তৈরি করে খাওয়ান। এটি খেতে খুবই সুস্বাদু, বাচ্চারাও মজা করে খাবে।
স্মুদি বা স্যুপ
সবজি অনেক বাচ্চাই খেতে চায় না।
পিউরি
পালং শাক, বিট, কুমড়া ইত্যাদি সবজির পিউরি তৈরি করতে পারেন এবং যেকোনো তরকারিতে বেস হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন।
ভেজিটেবল স্যান্ডউইচ
সবজি রুটি খেতে স্বাদহীন মনে হতে পারে। কিন্তু একই সবজি দিয়ে যদি স্যান্ডউইচে টিক্কি তৈরি করা হয় অথবা সস, চাটনি ও ক্রিমের সঙ্গে রোল করে দেওয়া হয় তাহলে এটি বাচ্চা খেতে পছন্দ করবে। এ ছাড়া এটি স্বাস্থ্যকরও হবে।
রোস্ট
কিছু সবজি ভেজে তার ওপর লেবু ও চাট মশলা ছিটিয়ে খেলে তা মুচমুচে ও সুস্বাদু হয়ে ওঠে। মিষ্টি আলু, গাজর, পনির ও ক্যাপসিকামের মতো সবজি ভেজে খেলে এর স্বাদ বেড়ে যায়।
ভাত ও পাস্তার সঙ্গে
বাচ্চাদের সবজি খাওয়ানোর আরো একটি উল্লেখযোগ্য উপায় হলো ফ্রাইড রাইসের মতো ভাত ও পাস্তাতে মিশিয়ে খাওয়া। এভাবে খেলে সুস্বাদু লাগবে এবং স্বাস্থ্যকরও হবে।
সূত্র : ইটিভি
বৈশাখ উপলক্ষে বাড়িতে অনেকে অনেক পদের রান্না করেন। আর যা কিছু থাকুক আর না থাকুক ইলিশ কিন্তু থাকবেই। বৈশাখের সঙ্গে পান্তা-ইলিশ যেন ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে আছে। তবে এটি কবে থেকে শুরু হয় তার সঠিক তথ্য জানা যায়নি।
বৈশাখের সঙ্গে ইলিশের সম্পর্ক নিয়ে তর্ক-বিতর্ক থাকবেই, তাই বলে তো খাওয়া বন্ধ থাকবে না। তাই এবারের বৈশাখে বাড়িতে রান্না করতে পারেন কয়েক পদের ইলিশ রান্না। চলুন, জেনে নেওয়া যাক কিভাবে রান্না করবেন ইলিশ।
ইলিশ পোলাও
উপকরণ
প্রণালী
প্রথমে ইলিশ মাছটি ভালো করে ধুয়ে নিতে হবে। দই ভালো করে ফেটিয়ে নিতে হবে। এবার দইয়ে পেঁয়াজবাটা, রসুনবাটা, মরিচের গুঁড়া, পরিমাণমতো লবণ ও আধা কাপ নারকেল দুধ ভালো করে মিশিয়ে এর মধ্যে মাছ দিয়ে ম্যারিনেট করে ৩০ মিনিট রেখে দিন। ৩০ মিনিট পর কড়াইয়ে উপকরণের অর্ধেক তেল ও অর্ধেক ঘি দিয়ে আস্তে করে ম্যারিনেট করা মাছগুলো ছেড়ে দিতে হবে।
মাঝারি জ্বালে ৬ মিনিট রাখার পর চুলা বন্ধ করুন। আরেকটি পাত্রে বাকি তেল ও ঘি দিয়ে অবশিষ্ট পেঁয়াজকুচি দিয়ে দিন। পেঁয়াজ হালকা লাল হলেই চাল দিয়ে দিন এবং ভালোভাবে চালটা ভেজে ভেজে নিন।
চালে বলক এলে ৬-৭টি সবুজ ও লাল মরিচ দিয়ে দিন। এরপর পাত্রটি ঢেকে দিন, জ্বাল কমিয়ে ২০ মিনিট চুলায় রেখে দিন। ২০ মিনিট পর পোলাও হয়ে গেলে এর ওপর রান্না করা ইলিশ মাছগুলো এমনভাবে সাজিয়ে দিন যেন ভাতের মধ্যে ডুবে থাকে। মাছের ঘন ঝোল পোলাওয়ের ওপর ছড়িয়ে দিন। সবশেষে বেরেস্তা ছিটিয়ে ১০ মিনিট দমে রাখুন।
এবার একটি ছড়ানো পাত্রে খুব সাবধানে প্রথমে পোলাও, পরে মাছগুলো সাজিয়ে পরিবেশন করুন।
লেবুপাতায় ইলিশ ভুনা
উপকরণ
প্রণালী
তেল গরম করে পেঁয়াজ ভাজতে হবে। পেঁয়াজ নরম হলে সমস্ত মসলা কষিয়ে টমেটো সস দিয়ে মাছ দিয়ে কিছুক্ষণ কষিয়ে ১ কাপ পানি দিতে হবে। ঝোল কমে এলে চিনি, লেবুর রস, কাঁচা মরিচ, লেবুপাতা পর্যায়ক্রমে দিয়ে নামাতে হবে। ব্যস, তৈরি হয়ে গেল লেবুপাতায় ইলিশ ভুনা।
গ্রীষ্মের গরমে ত্বকের জন্য সানস্ক্রিন খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কড়া রোদের হাত থেকে ত্বককে রক্ষা করতে এটি খুবই উপকারে আসে। মাঝে মাঝে আমরা সানস্ক্রিন লাগাতে ভুলে যাই। কিন্তু যখন শরীরে ইউভি রশ্মির ক্ষতিকারক প্রভাব সম্পর্কে জানতে পারি, তখন সানস্ক্রিন না লাগানো ঠিক নয়।
অনেকেই তীব্র সূর্যের রশ্মি থেকে রক্ষা পেতে ‘ওরাল সানস্ক্রিন’ বা সাপ্লিমেন্ট বেছে নিচ্ছেন। কিন্তু এগুলো কি সানস্ক্রিনের মতো কার্যকর? অনেকেই মনে করেন সাপ্লিমেন্টগুলো অনেক বেশি ঝামেলামুক্ত।
সানস্ক্রিন পিলগুলো কী কী
বিশেষজ্ঞরা ব্যাখ্যা করেন, ওরাল সানস্ক্রিন পিলগুলোতে সাধারণত ভিটামিন, খনিজ, ক্যারোটিনয়েড নামক রঙিন যৌগ ও পলিফেনল নামে পরিচিত উদ্ভিদ-ভিত্তিক পদার্থের মিশ্রণ থাকে। এই পিলগুলোর মধ্যে পলিপোডিয়াম লিউকোটোমোস (পি. লিউকোটোমোস) নামক ফার্ন উদ্ভিদের নির্যাস থাকে।
এই নির্যাস ছাড়াও নিকোটিনামাইড (এক ধরনের ভিটামিন বি৩ যা ইউভি রশ্মি সম্পর্কিত ক্ষতি মেরামত করতে সাহায্য করতে পারে), লাইকোপিন (যা সূর্যের বিরুদ্ধে ত্বকের প্রাকৃতিক প্রতিরক্ষায় সাহায্য করতে পারে) এর মতো উপাদানও থাকে।
এগুলো কি ঠিকঠাক কাজ করে
এ বিষয়ে এখনো খুব বেশি গবেষণা হয়নি, তবে বিশেষজ্ঞদের মতে এই ট্যাবলেটগুলো সানস্ক্রিনের পরিবর্তে ব্যবহার করা উচিত নয়। ২০১৫ সালে মার্কিন খাদ্য ও ওষুধ সংস্থা (এফডিএ) এই বিষয়ে একটি বিবৃতি জারি করে। সংস্থাটি বলেছিল, এখনো পর্যন্ত সানস্ক্রিন বিকল্প হিসেবে কোনো ট্যাবলেট বা ক্যাপসুল নেই।
ওরাল সানস্ক্রিনের মধ্যে থাকা পলিপোডিয়াম লিউকোটোমোস ত্বককে সূর্যের ক্ষতির বিরুদ্ধে লড়াই করতে সাহায্য করে, যা নিয়মিত সানস্ক্রিন করে না। জার্নাল অব ক্লিনিক্যাল অ্যান্ড অ্যাসথেটিক ডার্মাটোলজিতে প্রকাশিত একটি গবেষণায় দেখা গেছে, পিল গ্রহণকারী ব্যক্তিদের ট্যান কম হচ্ছে। তবে বিশেষজ্ঞদের দাবি, এই ট্যাবলেটগুলোকে ভালোভাবে জানতে আরো গবেষণার প্রয়োজন।
এগুলো খাওয়ার আগে যেসব বিষয় জানা উচিত
আপনি যদি কোনো সাপ্লিমেন্ট ব্যবহারের সিদ্ধান্ত নেন, তাহলেও নিয়মিত সানস্ক্রিন লোশন ব্যবহার করা সত্যিই গুরুত্বপূর্ণ।
বিশেষজ্ঞরা কমপক্ষে ৩০ SPF-যুক্ত সানস্ক্রিন ব্যবহার করার পরামর্শ দেন।
ত্বক সংবেদনশীল হলে সানস্ক্রিন পিল ব্যবহারের আগে ত্বক বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন। অন্তঃসত্ত্বা বা সদ্য মা হয়েছেন যারা, তারা অবশ্য বিশেষজ্ঞের মতামত নিন। অ্যালার্জির প্রবণতা থাকলে অথবা অ্যান্টিবায়োটিকসহ নির্দিষ্ট কিছু ওষুধ খেলে এই পিল এড়িয়ে চলুন।
যেহেতু এফডিএ এই পিলগুলোকে অনুমোদন দেয় না, তাই এর কোনো গ্যারান্টি নেই যে এগুলি নিরাপদে কাজ করে।
সূত্র : সংবাদ প্রতিদিন
অনেক সাধ করে অনেকেই সুন্দর সুন্দর চায়ের কাপ, কফি মগ কিনেন। কিন্তু অল্প দিন যেতে না যেতেই চায়ের কাপে চা-কফির বাজে দাগ পড়ে যায়। হাজার চেষ্টার পরও কোনোভাবেই উঠছে না। কী করবেন তাহলে? চিন্তা নেই।
চা-কপির দাগ দূর করার উপায়
চা বা কফির কাপ ব্যবহারের পর অন্তত ১৫ মিনিট গরম পানিতে ভিজিয়ে রাখুন। তারমধ্যে ঢেলে দিন কিছুটা পরিমাণ থালা-বাসন মাজার তরল সাবান। এরপর হালকা করে ঘষে নিন।
কাপ, কফি মগ পরিষ্কার করতে ভিনিগারের সাহায্য নিন। পানির সঙ্গে ১ চামচ ভিনিগার মিশিয়ে ভালো করে ফুটিয়ে নিন। তারপর ভিনিগারের মিশ্রণটি দিয়ে কাপগুলো মেজে নিন। দেখবেন ঝটপট দাগ উঠে যাবে।
সপ্তাহে অন্তত একটা দিন চায়ের কাপ, ডিশ, কফি মগকে ডিটারজেন্টে ভিজিয়ে রাখুন। তারপর ভালো করে ঘষে নিন এতে কাপ ঝকঝকে থাকবে বহুদিন।
সূত্র : টিভি নাইন বাংলা