শিশুর অবস্থা আশঙ্কাজনক হলে হাসপাতালে নিতে দেরি করবেন না
শীতকালে আগুন পোহানো শেষে গরম ছাইয়ের সংস্পর্শে আসার কারণে শিশুর ত্বক পুড়ে যেতে পারে। তাই এ সময় শিশুদের দিকে বিশেষ নজর দেওয়া উচিত। শিশুর ত্বক পুড়ে গেলে করণীয় সম্পর্কে বিস্তারিত জানিয়েছেন প্রফেসর ডা. প্রণব কুমার চৌধুরী,
সাবেক বিভাগীয় প্রধান, শিশুস্বাস্থ্য বিভাগ, চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল।
শীতকালে গরম পানিতে বা আগুনে কাপড় লেগে শিশুর ত্বক পুড়ে যেতে পারে।
সামান্য পুড়ে যাওয়ার বিষয় বাসায় সামাল দেওয়া যায়, কিন্তু কখনো কখনো তা প্রাণঘাতী হতে পারে। গুরুতর পরিস্থিতিতে শিশুকে দ্রুত জরুরি সেবা দিতে হবে।
করণীয়
* শিশু মারাত্মকভাবে পুড়ে গেলে সঙ্গে সঙ্গে অ্যাম্বুল্যান্সের ব্যবস্থা করতে হবে।
* হাসপাতালে নেওয়ার আগে পোড়া অংশ থেকে কাপড়-চোপড় সরিয়ে নিতে হবে।
তবে কাপড়ের কোনো অংশ পুড়ে যাওয়া ত্বকে লেগে থাকলে তা ছড়ানোর চেষ্টা করা যাবে না।
* ব্যথা উপশম না হওয়া পর্যন্ত ঠাণ্ডা পানির প্রবাহ (বরফ না) পোড়া অংশে ঢালতে হবে।
* পোড়া স্থান আলতোভাবে গজ-ব্যান্ডেজ দিয়ে ঢেকে দিতে হবে।
* শিশুর যদি জ্ঞান থাকে, তবে ব্যথা কমাতে প্যারাসিটামল খাওয়াতে হবে।
* পোড়াস্থানে কোনো মলম, ঘি বা অন্যান্য কিছু লাগানো যাবে না। তাতে পোড়া অংশ বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।
* ফোসকা দেখা দিলে, তা গলে না দেওয়া।
কখন জরুরি সেবা প্রয়োজন
* আগুন লেগে বা বৈদ্যুতিক তার কিংবা কেমিক্যাল থেকে শরীর পুড়ে গেলে।
* যদি মুখে, হাতে, পায়ে, জয়েন্টে বা যৌনাঙ্গ পুড়ে গেলে।
প্রতিরোধ
* মোমবাতি, হিটার কিংবা গরম ইস্ত্রি ব্যবহারে সতর্ক থাকা।
* গরম পানি ব্যবহারের সময় সতর্ক হওয়া।
* শিশুকে গোসল করানোর আগে বাথটাব বা বালতির পানি নিজে ছুঁয়ে পরীক্ষা করে নেওয়া।
* রান্নাবান্নার সময় রান্নাঘরে শিশুকে খেলতে না দেওয়া।
* আগুন লাগলে যাতে দ্রুত ঘর থেকে বের হওয়া যায়, সে রকম ব্যবস্থা রাখা।
* তাপ পোহানো শেষে ছাই ঠিকভাবে নেভানো হয়েছে কি না তা নিশ্চিত করা।
যা যা করবেন না
* আক্রান্ত স্থানে ফ্রিজের ঠাণ্ডা পানি বা বরফ লাগানো থেকে বিরত থাকবেন।
* টুথপেস্ট, স্যাভলন বা স্পিরিট জাতীয় কোনো কিছু লাগাবেন না।
* চিকিৎসকের পরামর্শ ব্যতীত কোনো মলম ব্যবহার করবেন না।
* শিশুর অবস্থা আশঙ্কাজনক হলে হাসপাতালে নিতে দেরি করবেন না।
জীবনের প্রতিটি দিন নতুন কিছু সম্ভাবনা ও চ্যালেঞ্জ নিয়ে আসে আর প্রতিটি দিন আমাদের একটু একটু করে শিখতে ও বিকশিত হতে সাহায্য করে। আজ ৬ এপ্রিল, ২০২৫ দিনটি আপনার জন্য কেমন হতে পারে, কীভাবে সামলাবেন জীবন ও কাজের চ্যালেঞ্জগুলো, সেটি জানতে হলে পড়ুন আজকের রাশিফল।
মেষ (২১ মার্চ-২০ এপ্রিল): শুভ কোনো পরিবর্তন হতে পারে। কঠিন কোনো কাজ অনেক সহজ মনে হবে।
ভালো সময়কে কাজে লাগিয়ে লাভবান হতে পারেন। ভালো ব্যবহার দিয়ে কাজ আদায় করা সহজ হবে। প্রিয়জনের সমস্যায় কাছে থাকুন।
বৃষ (২১ এপ্রিল-২০ মে): ব্যক্তিগত কাজে সক্রিয় থাকতে পারেন।
নতুন পরিকল্পনার অগ্রগতি হবে। প্রিয় মানুষকে কাছে পেতে পারেন। দৈনন্দিন কাজকর্মে সাফল্য ও সুনাম বজায় থাকবে। বুদ্ধিমত্তার সঙ্গে সময় ও সুযোগের সদ্ব্যবহার করুন।
সুস্থ থাকুন।
মিথুন (২১ মে-২০ জুন): ভালো কোনো কাজের আশ্বাস পেতে পারেন। শুভযোগাযোগে ভালো কিছু হতে পারে। কোনো তথ্য আপনার কাজের সহায়ক হবে। আর্থিক লেনদেনে সতর্ক থাকতে হবে।
অগ্র-পশ্চাৎ ভেবে কাজে অগ্রসর হবেন।
কর্কট (২১ জুন-২০ জুলাই): নতুন কাজের অগ্রগতি হবে। আর্থিকভাবে লাভবান হতে পারেন। ব্যবসায় পুরনো জট খুলবে। নতুন চিন্তাধারায় আকৃষ্ট হতে পারেন। আপনি যে পরিবর্তনগুলোর জন্য লড়াই করছেন তার কোনো দিকনির্দেশনা পেতে পারেন।
আরো পড়ুন
বনে ফিরল খাঁচায় বন্দি হওয়া মেছো বিড়াল
সিংহ (২১ জুলাই-২১ আগস্ট): কোনো শুভ প্রচেষ্টার অগ্রগতি হতে পারে। নিজস্ব ভাবনাকে প্রতিষ্ঠিত করতে পারবেন। বুদ্ধিবলে বিরূপ পরিস্থিতিকেও অনুকূলে নিয়ে আসতে পারবেন। অতীত অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে সাফল্যের পথে অগ্রসর হবেন।
কন্যা (২২ আগস্ট-২২ সেপ্টেম্বর): আজ দিনের বেশির ভাগ সময় মানসিক দ্বিধাদ্বন্দ্বের মধ্যেই কাটবে। পুরনো পাওনা আদায়ে বিলম্ব হবে। ব্যয় বাড়বে। অবসাদে ভুগলেও দিনের শেষে উৎফুল্ল থাকবেন। কর্মস্থলে নিজের দক্ষতা প্রদর্শনের চেষ্টা অব্যাহত রাখুন।
তুলা (২৩ সেপ্টেম্বর-২২ অক্টোবর): প্রত্যাশিত প্রত্যাশিত কাজে অগ্রগতি হবে। আয়ের নতুন উৎস খুঁজে পাবেন। অর্থ উপার্জনের সুযোগ বাড়বে। গুরুত্বপূর্ণ কাজে গতি আসবে। অসমাপ্ত কাজ অনেকটা শেষ হবে। অনুকূল পরিস্থিতির সদ্ব্যবহার করুন। ভালো থাকুন।
আরো পড়ুন
একনজরে আজকের কালের কণ্ঠ (৬ এপ্রিল)
বৃশ্চিক (২৩ অক্টোবর-২১ নভেম্বর): কোনো পরিকল্পনায় পরিকল্প পরিবর্তন আনতে পারেন। কর্মক্ষেত্রে সুনাম বজায় থাকবে। ব্যবসার ক্ষেত্রে অর্থের জোগান ভালো হবে। আপনার দৃঢ়তা ও বিশ্বস্ততা অন্যের দৃষ্টি আকর্ষণ করবে। একটু পরিশ্রম করলেই ভালো ফল পেতে পারেন।
ধনু (২২ নভেম্বর-২০ ডিসেম্বর): দিনটি আনন্দের মধ্যে কাটবে। বিদেশ থেকে শুভসংবাদ পেতে পারেন। কর্মক্ষেত্রে উন্নতির যোগ আছে। পাওনা আদায়ে কিছুটা অগ্রগতি হবে। ব্যবসায় লাভজনক কোনো সুযোগ আসতে পারে। পরিবেশ নিয়ন্ত্রণে রাখুন।
মকর (২১ ডিসেম্বর-১৯ জানুয়ারি): ভালো কোনো কাজের আশ্বাস পেতে পারেন। কারো • অসুস্থতায় কিছুটা উদ্বেগ থাকতে পারে। শুভও স্থিতিহীন ভাবাবেগ ক্ষতির কারণ হতে পারে। কাজে বাধা এলেও দীর্ঘস্থায়ী হবে না। পরিবেশের সঙ্গে খাপ খাইয়ে চলুন।
আরো পড়ুন
আরাফাত রহমান কোকোর শাশুড়ি মারা গেছেন
কুম্ভ (২০ জানুয়ারি-১৮ ফেব্রুয়ারি): আজ ব্যক্তিগত দায়-দায়িত্ব বাড়তে পারে। সম্মিলিত কাজে অগ্রগতির সম্ভাবনা। বন্ধুস্থানীয় ব্যক্তির সাহচর্য আনন্দ দেবে। নতুন পরিকল্পনা মাথায় আসবে। উপযুক্ত কাজ করার জন্য শক্তি সঞ্চয় করুন।
মীন (১৯ ফেব্রুয়ারি-২০ মার্চ): সম্ভাবনাময় কিছু কাজ নিয়ে ভাবতে পারেন। বেকারদের চাকরিসংক্রান্ত কাজে অগ্রগতি হবে। প্রত্যাশিত কাজে বাধা এলে তা অতিক্রম করতে হবে। ধীরগতিতে চলা কাজে গতি বাড়ানোর চেষ্টা করুন।
আহমেদ মাসুদ, বিশিষ্ট অকাল্ট সাধক, আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন জ্যোতিষী, ফেংশুই ও বাস্তু বিশেষজ্ঞ। যোগাযোগ: ০১৭১১০৫৭৩৭৭ই-মেইল: amasud9995@gmail.com www.astrologerahmedmasud.com
ছোট বা মাঝারি কাটা-ছেঁড়ার চিকিৎসায় ব্যান্ডেজ অত্যন্ত কার্যকর। ব্যান্ড এইডের পাশাপাশি সঙ্গে রাখুন মেডিক্যাল গজ ও টেপ।
ইনস্ট্যান্ট আইস প্যাক
দুর্ঘটনায় আঘাতপ্রাপ্ত হলে, ব্যথা প্রশমনে আইস প্যাকের জুড়ি নেই।
প্রয়োজনীয় ওষুধ
নিজের প্রেসক্রিপশন অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ওষুধের পাশাপাশি সঙ্গে রাখুন ব্যথানাশক, বমি নিরোধক, মাথা ব্যথা ও পেটের অসুখের ওষুধ।
ওরাল স্যালাইনও রাখা উচিত।
তুলা ও অ্যালকোহল প্যাড
আঘাতের স্থান পরিষ্কার করা ও গজের সঙ্গে মিলিয়ে ব্যান্ডেজ করার জন্য মেডিক্যাল গ্রেড তুলা রাখুন। চামড়া দ্রুত জীবাণুমুক্ত করার জন্য অ্যালকোহল প্যাড খুবই কাজের।
জাফরান, যার আরেকটি নাম লাল সোনা। বিশ্বের সবচেয়ে দামি মসলাগুলোর মধ্যে একটি হলো জাফরান। কথিত আছে, প্রাচীন গ্রিসের মিনোয়ানরা প্রায় ১৭০০ খ্রিস্টপূর্বাব্দে প্রথমবার জাফরান ব্যবহার করেছিল। রান্না, পোশাকের রং ও সৌন্দর্যচর্চায় এটি ব্যবহৃত হতো।
মিসরের রানি ক্লিওপেট্রা নিজেকে আরো সুন্দর করতে জাফরান মিশ্রিত দুধে গোসল করতেন।
কেন এত ব্যয়বহুল জাফরান?
জাফরান এত দামি হওয়ার কারণ এর উৎপাদন প্রক্রিয়া অত্যন্ত সময়সাপেক্ষ ও কঠিন। এক কেজি জাফরান তৈরি করতে প্রায় ১৫০,০০০টি ক্রোকাস ফুলের প্রয়োজন। এই ফুলের তিনটি অংশ : লাল স্টিগমা, পুংকেশর ও পাপড়ি।
শুধু লাল স্টিগমা সংগ্রহ করা হয়, যা খুব সতর্কতার সঙ্গে হাতে বাছাই করতে হয়। তারপর এটি ২০ দিন রোদে শুকানো হয়। এই প্রক্রিয়া প্রায় ৩৭০ থেকে ৪৭০ ঘণ্টা সময় নেয়, যার ফলে জাফরান এত ব্যয়বহুল। এক কেজি জাফরানের দাম প্রায় ১০,০০০ ডলার বা ৮ লাখ ৫৪ হাজার ৮০০ টাকা।
কোথায় চাষ করা হয় জাফরান?
বিশ্বের সবচেয়ে বড় জাফরান উৎপাদক দেশ হলো ইরান। যা বিশ্বের প্রায় ৯০% জাফরান উৎপাদন করে। ইরানের খোরাসান অঞ্চল উচ্চমানের জাফরানের জন্য পরিচিত। এ ছাড়া ভারতের কাশ্মীর ও আফগানিস্তানে জাফরান চাষ হয়।
ভালো মানের জাফরান কিভাবে চিনবেন?
উচ্চ মানের জাফরান উজ্জ্বল লাল ও কিছুটা কমলা রঙের হয়।
এর গন্ধ খুবই তীব্র ও মনোরম। নিম্নমানের জাফরান সাধারণত মলিন বা হালকা লাল রঙের হয়। গন্ধ তেমন ভালো হয় না এবং আঠালো বা আর্দ্র অনুভূত হতে পারে।
জাফরানের স্বাস্থ্য উপকারিতা
শুধু রান্নায় নয়, স্বাস্থ্যেও জাফরানের উপকারিতা রয়েছে। এটি মস্তিষ্কের রাসায়নিক পদার্থ সেরোটোনিন ও ডোপামিনের মাত্রা প্রভাবিত করে। এ ছাড়া এটি হৃদরোগের জন্য ভালো। রক্তচাপ কমাতে ও কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে জাফরান কাজ করে।
নিয়মিত চোখে কাজল ব্যবহার করছেন? জেনে নিন কী হতে পারে
জীবনযাপন ডেস্ক
জীবনযাপন ডেস্ক
শেয়ার
সংগৃহীত ছবি
মেয়েদের মেকআপে ন্যূনতম কিছু পরিবর্তন মানেই চোখে কাজল ও হালকা লিপস্টিক। কাজল ছাড়া অনেকের সাজের ভাব পূর্ণ হয় না। বিশেষ করে বাঙালি মেয়েরা মনে করেন, কাজল চোখে থাকলে সৌন্দর্য আরো বাড়ে। কিন্তু আপনি কি জানেন, প্রতিদিন কাজল ব্যবহার করার ফলে আপনার চোখের কি ক্ষতি হতে পারে? চলুন, জেনে নিই।
আগে বাড়িতে তৈরি কাজল ব্যবহার করা হলেও এখন বাজারে প্রচুর দামি ব্র্যান্ডের কাজল পাওয়া যায়। তবে সেগুলোর মধ্যে রাসায়নিক উপাদান থাকতে পারে, যা চোখের জন্য ক্ষতিকারক হতে পারে। এখানে কিছু ক্ষতির কথা উল্লেখ করা হল, যা অতিরিক্ত কাজল ব্যবহারের ফলে হতে পারে।
১) বেশিরভাগ ব্র্যান্ডের কাজলে রাসায়নিক উপাদান থাকে।
যা চোখে এলার্জির সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে।
২) প্রতিদিন কাজল ব্যবহার করলে চোখ শুকিয়ে যেতে পারে। ফলে শুষ্ক চোখের সমস্যা হতে পারে।
৩) অনেক কাজলে পারদ, সিসা ও প্যারাবেনের মতো উপাদান থাকে, যা কনজাংটিভাইটিসের কারণ হতে পারে এবং চোখ লাল হয়ে যেতে পারে।
৪) দীর্ঘদিন কাজল ব্যবহারে কর্নিয়ার আলসার বা চোখে অস্বস্তি দেখা দিতে পারে।
৫) অতিরিক্ত কাজল ব্যবহারে চোখ ফুলে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে, যা দীর্ঘমেয়াদে সমস্যায় পরিণত হতে পারে।
যদি আপনি প্রতিদিন কাজল ব্যবহার করেন, তাহলে বাড়িতে তৈরি কাজল ব্যবহার করাই ভালো। কারণ তা চোখের জন্য নিরাপদ এবং দীর্ঘদিন ব্যবহারের পরেও কোনো ক্ষতি হয় না।