মহানায়িকা সুচিত্রা সেনের ৯৪তম জন্মদিন আজ। ১৯৩১ সালের ৬ এপ্রিল (আজকের এই দিনে) পাবনা সদরে সুচিত্রা সেন জন্মগ্রহণ করেন। পাবনা শহরের বাড়িতে কেটেছে তার শৈশব-কৈশোর। তবে ১৯৪৭ সালে দেশভাগের আগে পরিবারের সঙ্গে কলকাতায় চলে যান তিনি।
মহানায়িকা সুচিত্রা সেনের ৯৪তম জন্মদিন আজ। ১৯৩১ সালের ৬ এপ্রিল (আজকের এই দিনে) পাবনা সদরে সুচিত্রা সেন জন্মগ্রহণ করেন। পাবনা শহরের বাড়িতে কেটেছে তার শৈশব-কৈশোর। তবে ১৯৪৭ সালে দেশভাগের আগে পরিবারের সঙ্গে কলকাতায় চলে যান তিনি।
পরের বছর উত্তম কুমারের বিপরীতে ‘সাড়ে চুয়াত্তর’ সিনেমায় অভিনয় করেন তিনি। এরপর থেকে বাংলা সিনেমায় এই জুটি আজও আইডল। উত্তম-সুচিত্রা জুটির ৩০টি বাংলা সিনেমা সফলতার মুখে দেখে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য- ‘অগ্নিপরীক্ষা’, ‘সবার উপরে’, ‘পাপমোচন’, ‘শিল্পী’, ‘সাগরিকা’, ‘পথে হল দেরি’, ‘হারানো সুর’, ‘গৃহদাহ’, ‘প্রিয় বান্ধবী’ ইত্যাদি।
১৯৫৫ সালের ‘দেবদাস’ ছিল সুচিত্রা সেন অভিনীত প্রথম হিন্দি সিনেমা। এরপর অভিনয় করেন হিন্দি ‘আন্ধি’তে। এই সিনেমার জন্য ফিল্মফেয়ার শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী হিসেবে মনোনয়ন পেয়েছিলেন তিনি এবং তার স্বামী চরিত্রে অভিনয় করা সঞ্জীব কুমার শ্রেষ্ঠ অভিনেতার পুরস্কার জিতেছিলেন।
১৯৭৮ সালে সুদীর্ঘ ২৫ বছর অভিনয়ের পর লোকচক্ষুর আড়ালে চলে যান সুচিত্রা সেন। কোন এক অজানা কারণে প্রায় ৩৬ বছর কলকাতায় একাকী থাকতেন বালিগঞ্জের ফ্ল্যাটে।
ব্যক্তি জীবনে ১৯৪৮ সালে কলকাতার শিল্পপতি আদিনাথ সেন তনয় দিবানাথ সেনের সঙ্গে ঘর বাঁধেন সুচিত্রা সেন। তার একমাত্র মেয়ে মুনমুন সেন। দুই নাতনি রাইমা সেন ও রিয়া সেন।
সুচিত্রা সেনই প্রথম ভারতীয় অভিনেত্রী হিসেবে কোনো আর্ন্তজাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে পুরস্কার পান। ‘সাত পাকে বাঁধা’ সিনেমার জন্য মস্কো চলচ্চিত্র উৎসবে তিনি শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রীর পুরস্কার পান।
১৯৭২ সালে ভারতের রাষ্ট্রীয় সম্মাননা ‘পদ্মশ্রী’ পান সুচিত্রা সেন। এছাড়া ২০১২ সালে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের বাংলাবিভূষণ সম্মাননা দেওয়া হয় তাকে। ২০০৫ সালে দাদাসাহেব ফালকে পুরস্কারের জন্য সুচিত্রা সেন মনোনীত হয়েছিলেন। কিন্তু ভারতের প্রেসিডেন্টের কাছ থেকে সশরীরে পুরস্কার নিতে দিল্লী যাওয়ায় আপত্তি জানানোর কারণে তাকে পুরস্কার দেওয়া হয়নি।
২০১৪ সালের ১৭ জানুয়ারি কলকাতার বেল ভিউ হাসপাতালে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে ৮২ বছর বয়সে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন সুচিত্রা সেন।
সম্পর্কিত খবর
এবার শোবিজ দুনিয়ায় পা রাখছেন পর্তুগিজ ফুটবল তারকা ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো! তবে অভিনয়ে নয়, ব্যবসায়ী হিসেবে নতুন যাত্রা শুরু করলেন তিনি অর্থাৎ সিনেমা প্রযোজনা করবেন এই তারকা। ব্রিটিশ পরিচালক ম্যাথিউ ভন-এর সঙ্গে যৌথভাবে একটি স্বতন্ত্র চলচ্চিত্র প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান শুরু করেছেন রোনালদো, যেটির নাম — ইউআর-মার্ভ!
প্রথাগত চলচ্চিত্র নির্মাণের ভিতে দাঁড়িয়ে নতুন প্রযুক্তির সঙ্গে মিশ্রণ ঘটিয়ে চলচ্চিত্র শিল্পে পরিবর্তন আনা—এমনটাই লক্ষ্য প্রযোজনা সংস্থার।
রোনালদো ও ম্যাথিউ ভনের এই অংশীদারিত্ব ইতিমধ্যেই ফলপ্রসূ হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। তারা একসঙ্গে দুটি অ্যাকশন ফিল্ম প্রযোজনা করেছেন।
রোনালদো বলেন, ‘এটি আমার জন্য একটি উত্তেজনাপূর্ণ অধ্যায়, কারণ আমি নতুন ব্যবসায়িক সম্ভাবনার সন্ধানে আছি।’
কিকঅ্যাস এবং কিংসম্যান-এর মতো জনপ্রিয় সিনেমার পরিচালক ম্যাথিউ ভন। রোনালদোর সঙ্গে পথচলা নিয়ে ভীষণ উচ্ছ্বসিত এই নির্মাতা বলেন, ‘ক্রিশ্চিয়ানো মাঠে এমন সব গল্প তৈরি করেছেন, যা আমি কল্পনাও করতে পারিনি।
ফুটবলের বাইরেও রোনালদো তার প্রভাব ক্রমাগত বাড়িয়ে চলেছেন। ২০২৪ সালে তিনি ‘ইউআর ক্রিস্টিয়ানো’ নামে একটি ইউটিউব চ্যানেল চালু করেন এবং পর্তুগালের একটি বৃহৎ গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠান মিডিয়ালিভ্রে-এও বিনিয়োগ করেন। আর এর অন্যতম উদ্দেশ্য—বিনোদন জগতেও তার শক্ত অবস্থান তৈরী।
কৃষ ফ্র্যাঞ্চাইজির নতুন কিস্তি নিয়ে দর্শকের আগ্রহের শেষ নেই। ‘কৃষ ৪’ এ নতুন চমক নিয়ে ফিরবে টিম, যার জন্য কোনো কমতি রাখতে চাইছেন না তারা।
এরমধ্যেই খবর, ‘কৃষ ৪’-এ হৃত্বিক রোশনের সঙ্গে ফিরবেন রেখা, প্রীতি জিনতা, বিবেক ওবেরয় সবাই। শুধু তাই নয়, এবার জানা গেল, ফিরবেন প্রিয়াঙ্কা চোপড়াও।
ফ্র্যাঞ্চাইজির আগের গল্পগুলোয় দ্বৈত চরিত্রে ছিলেন হৃত্বিক, এবার তাকে একসঙ্গে তিনটি চরিত্রে দেখা যাবে। বিজ্ঞানী রোহিত, সুপারহিরো কৃষের পাশাপাশি এ পর্বে মূল খলনায়কও হৃত্বিক নিজে। অতীত, বর্তমান ও ভবিষ্যতে টাইম ট্রাভেল করবে গল্প।
কৃষের আগের পর্বগুলো পরিচালনা করেছিলেন রাকেশ রোশন।
এত কিছুতে পরিবর্তন এলেও নায়িকা বদল হয়নি। নায়িকা হিসেবে তিনি প্রিয়াঙ্কাকেই বেছে নিয়েছেন বলে জানিয়েছে একাধিক ভারতীয় সংবাদমাধ্যম।
জানা গেছে, হৃত্বিক বর্তমানে আছেন যুক্তরাষ্ট্রে। সেখানে তিনি প্রিয়াঙ্কার সঙ্গে দেখা করেছেন। কৃষের প্রেমিকা প্রিয়া মেহরার চরিত্রে তার অভিনয়ের বিষয়টি চূড়ান্ত হয়েছে সেখানে।
পিঙ্কভিলা জানিয়েছে, এবার যেহেতু হৃত্বিক নিজেই পরিচালকের আসনে, তাই এ প্রজেক্ট নিয়ে বেশি উৎসাহী প্রিয়াঙ্কা। কৃষ ফোর নিয়ে হৃত্বিকের ভাবনা শুনে মুগ্ধ হয়েছেন অভিনেত্রী।
২০২৫ সালের বিশ্বের শীর্ষ ধনকুবেরদের তালিকা প্রকাশ করেছে ফোর্বস। গত মাসে প্রকাশিত এই নতুন তালিকায় বিশ্বের প্রায় তিন হাজারের বেশি ডলার বিলিয়নিয়ারদের নাম রয়েছে, যার মধ্যে মিডিয়া ও বিনোদন জগতের মানুষও আছেন। এবারের তালিকায় বিশ্বের সবচেয়ে ধনী অভিনেতা হিসেবে জায়গা করে নিয়েছে এমন একটি নাম, যার কথা অনেকেই হয়তো ভাবেননি। তিনি টাইলার পেরি।
হিন্দুস্তান টাইমসের প্রতিবেদন অনুসারে, ফোর্বসের তালিকায় অভিনেতা, পরিচালক, লেখক ও প্রযোজক টাইলার পেরির মোট সম্পদের পরিমাণ বর্তমানে ১.৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। এই সম্পদ নিয়ে তিনি পিছনে ফেলেছেন টম ক্রুজ (৮০০ মিলিয়ন), শাহরুখ খান (৭৭০ মিলিয়ন), ডোয়াইন ‘দ্য রক’ জনসন (৭০০ মিলিয়ন) এবং এমনকি জনপ্রিয় কমেডিয়ান জেরি সাইনফেল্ডকেও (১.১ বিলিয়ন)।
টাইলার পেরি মূলত জনপ্রিয় ‘মাদিয়া’ ফ্র্যাঞ্চাইজির জন্য পরিচিত।
টাইলার পেরি ২০১৯ সালে তিনি প্রতিষ্ঠা করেন তার নামের স্টুডিস, যেটা যুক্তরাষ্ট্রের জর্জিয়ার আটলান্টায় ৩৩০ একর জায়গাজুড়ে বিস্তৃত। এখানে রয়েছে ১২টি সাউন্ডস্টেজ এবং এমনকি একটি হোয়াইট হাউজের স্কেল মডেলও। অন্যদিকে, টাইলার পেরি সাত বছর ধরে ওপ্রাহ উইনফ্রের ‘ওয়ন’ টিভি চ্যানেলের জন্য কনটেন্ট তৈরি করেছেন। এরপর ২০১৯ সালে তিনি ভায়াকমের সঙ্গে একটি বড় চুক্তি করেন, যার মাধ্যমে তিনি বিট প্লাস স্ট্রিমিং সার্ভিসের ২৫% মালিকানায় অংশ নেন। এসব কৌশল ও বিনিয়োগই তাকে নিয়ে এসেছে বিলিয়ন ডলারের ক্লাবে।
ফোর্বসের প্রকাশিত তিন হাজারেরও বেশি বিলিয়নিয়ারের তালিকায় টাইলার পেরি আছেন যৌথভাবে ২৩৫৬তম স্থানে। জনপ্রিয়তা বা সিনেমার বক্স অফিস হিট নয়, বরং পরিকল্পিত কনটেন্ট মালিকানা ও ব্যবসায়িক দূরদর্শিতাই তাকে নিয়ে এসেছে এই উচ্চতায়।
দ্বিতীয় বারের মতো স্তন ক্যানসার থাবা বসিয়েছে তার শরীরে। ভেঙ্গে পড়েননি, বরং এবারও লড়াইয়ের জন্য প্রস্তুত আয়ুষ্মান খুরানার স্ত্রী তাহিরা কাশ্যপ। হাতে সূর্যমুখী ফুল নিয়ে বার্তা দিয়েছেন, ‘আমি সেরে উঠছি’। তার মধ্যেই তাহিরার আরও একটি বার্তা মন খারাপ করে দিয়েছে তার অনুরাগীদের।
সম্প্রতি চিকিৎসার কারণে হাসপাতালে নিয়ে যেতে হয়েছিল তাহিরাকে। সেখানে শাহরুখ খান অভিনীত ‘কাল হো না হো’ সিনেমার শীর্ষসঙ্গীত বাজছিল। তাহিরা সাময়িকভাবে নাকি সেই গান শুনে ভয়ে কেঁপে উঠেছিলেন। এরপর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে গানটি বন্ধ করে দেওয়ার অনুরোধও জানান তিনি।
পেশায় পরিচালক-লেখক তাহিরা জানান, সাত বছর পরে আবারও ক্যান্সার ফিরে এসেছে। তার ফের চিকিৎসা শুরু হয়েছে। যার জন্য হাসপাতালে নিয়ে যেতে হচ্ছে তাকে।
গানটি কানে আসামাত্র তাহিরা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ করেন, ‘দয়া করে এখনই গানটি বন্ধ করে দিন।’ গানের কথা, সুর তাকে এতটাই ছুঁয়ে গিয়েছিল বলেই কি তিনি সাময়িক মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছিলেন? মৃত্যুভয় দেখা দিয়েছিল তার মনে? এর উত্তর অবশ্য তাহিরা দেননি।
তবে নিজের অসুস্থতার খবর প্রকাশ্যে আনার সঙ্গে সঙ্গে স্ত্রীকে সাহস জুগিয়েছেন স্বয়ং আয়ুষ্মান। সমাজমাধ্যমে লিখেছেন, ‘দ্বিতীয়বারও তোমার পাশে আছি।’
উল্লেখ্য, ২০১৮ সালে প্রথম ক্যানসারে আক্রান্ত হন তাহিরা।