ঢাকা, শনিবার ১২ এপ্রিল ২০২৫
২৯ চৈত্র ১৪৩১, ১২ শাওয়াল ১৪৪৬

গর্ভাবস্থায় যেসব খাবার খেতে মানা

জীবনযাপন ডেস্ক
জীবনযাপন ডেস্ক
শেয়ার
গর্ভাবস্থায় যেসব খাবার খেতে মানা
সংগৃহীত ছবি

গর্ভাবস্থায় নারীদের অনেক সচেতন থাকতে হয়। কারণ এ সময়ে তার সঙ্গে জড়িত আরেকটি জীবন। তাই নিজের স্বাস্থ্যের সঙ্গে চিন্তা করতে হয় অনাগতেরও। এই সময়ে অতিরিক্ত তেল-চর্বি ও চিনিযুক্ত খাবার খাওয়া ঠিক নয়।

এগুলোতে প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদানের অভাব থাকে। অন্যদিকে এতে স্যাচুরেটেড বা ক্ষতিকর ফ্যাট থাকতে পারে।

এসব খাবার বেশি খেলে ওজন বেড়ে যাওয়ার পাশাপাশি হার্টের নানা ধরনের রোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনাও বেড়ে যায়। এ ছাড়া অতিরিক্ত চিনিজাতীয় খাবার খেলে দাঁত ক্ষয় হয়।

আরো পড়ুন
গর্ভাবস্থায় পেঁপে খেলে কি আসলেই ক্ষতি হয়?

গর্ভাবস্থায় পেঁপে খেলে কি আসলেই ক্ষতি হয়?

 

তাই এ সময় কিছু খাবার খাওয়া বন্ধ করতে হবে। সেগুলো হচ্ছে-

  • মাখন
  • ঘি-ডালডা
  • ক্রিম
  • চকোলেট
  • ভাজাপোড়া
  • চিপস
  • বিস্কুট
  • কেক
  • পেস্ট্রি
  • আইসক্রিম
  • পুডিং
  • কোমল পানীয়

এ ছাড়া এগুলো সাধারণত ক্যালরিবহুল হয়। ফলে একদিকে যেমন প্রয়োজনীয় পুষ্টির অভাব দেখা দিতে পারে, তেমনি অন্যদিকে ওজন বেড়ে গিয়ে গর্ভকালীন ডায়াবেটিসসহ আপনার ও গর্ভের শিশুর স্বাস্থ্যের মারাত্মক জটিলতা সৃষ্টি হতে পারে।

আরো পড়ুন
প্রেগন্যান্সিতে যে কারণে আদা এড়িয়ে যাবেন

প্রেগন্যান্সিতে যে কারণে আদা এড়িয়ে যাবেন

 

গর্ভাবস্থায় এই ধরনের খাবার যতটুকু না খেলেই নয়, ঠিক ততটুকুই খাবেন।

এগুলোর পরিবর্তে পর্যাপ্ত ফাইবার সমৃদ্ধ শর্করা বেছে নিন। যেমন : লাল আটার রুটি ও লাল চালের ভাত। সেই সঙ্গে খাবারের তালিকায় কিছু পরিমাণে স্বাস্থ্যকর তেলযুক্ত খাবার রাখবেন। যেমন : অলিভ অয়েল, বিভিন্ন ধরনের বাদাম এবং ইলিশ, পুঁটি ও চাপিলার মতো তৈলাক্ত মাছ।

আরো পড়ুন
প্রেগন্যান্সির সময় ডায়েটে রাখবেন যেসব খাবার

প্রেগন্যান্সির সময় ডায়েটে রাখবেন যেসব খাবার

 

এ সময়ে কিছু কিছু খাবার খাওয়া পুরোপুরিভাবে বাদ দিতে হবে।

কেননা এসব খাবার আপনার গর্ভের শিশুর ক্ষতি করতে পারে। যেমন—

  • গরু, ছাগল ও ভেড়ার অপাস্তুরিত দুধ
  • অপাস্তুরিত দুধ দিয়ে তৈরি সব ধরনের খাবার
  • কাঁচা অথবা ভালোভাবে সিদ্ধ না হওয়া মাছ, মাংস, ডিম ও দুধ
  • কাঁচা অথবা অর্ধসিদ্ধ সামুদ্রিক মাছ দিয়ে তৈরি খাবার।
  • ভালোভাবে সিদ্ধ না হওয়া ফ্রোজেন বা প্রক্রিয়াজাত মাংস। যেমন : সসেজ, সালামি ও পেপারনি
  • চা-কফি
  • এনার্জি ড্রিংক ও ক্যাফেইনযুক্ত কোমল পানীয়
  • অ্যালকোহল জাতীয় পানীয়
  • অ্যালার্জি হয় এমন কোনো খাবার। যেমন : চিনাবাদাম
  • হারবাল বা ভেষজ ওষুধ
আরো পড়ুন
সন্তানের মুখে ঘা, দূর করবেন যেভাবে

সন্তানের মুখে ঘা, দূর করবেন যেভাবে

 

চিকিৎসকদের মতে, গর্ভাবস্থায় বেশি কলিজা খাওয়া এড়িয়ে চলবেন। কেননা কলিজাতে অনেক ভিটামিন ‘এ’ থাকে। আর অতিরিক্ত ভিটামিন ‘এ’ গর্ভের শিশুর জন্য ক্ষতিকর। তবে মাঝেমধ্যে ৫০-৭০ গ্রাম রান্না করা কলিজা খাওয়া যেতে পারে। এই পরিমাণে কলিজা খাওয়া গর্ভের শিশুর জন্য তেমন ঝুঁকির কারণ নয়। কলিজা গর্ভাবস্থার জন্য গুরুত্বপূর্ণ ফলিক এসিড ও আয়রনের ভালো উৎস।

সূত্র : সহায়

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

এসি রুমে বসেই ধূমপান, হতে পারে যে বিপদ

জীবনযাপন ডেস্ক
জীবনযাপন ডেস্ক
শেয়ার
এসি রুমে বসেই ধূমপান, হতে পারে যে বিপদ
সংগৃহীত ছবি

দিন দিন তাপমাত্রা বাড়ছে। আবার যারা এসিতে থাকতে অভ্যস্ত তাদের এই গরমে বেশিক্ষণ এসি ছাড়া থাকাটাও মুশকিল। এদিকে ধূমপানে আসক্তদের জন্যও বিরক্তিকর এই সময়। ঠাণ্ডা ঘর ছেড়ে বাইরে গিয়ে বারবার ধূমপান করাটা শক্ত কাজ।

তাই এসি চালিয়ে ঘরে বসেই ধূমপান করছেন।

এই অভ্যাস মোটেও ভালো নয় বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। এতে ক্ষতি হচ্ছে আপনারই। কোন কোন ক্ষতি হতে পারে আপনার, তা জানাতেই আজকের প্রতিবেদন।

চলুন, জেনে নেওয়া যাক।

প্রথমত, আগুনের ফুলকি ছুটে গিয়ে যেকোনো সময়ে বিস্ফোরণ ঘটতে পারে। দ্বিতীয়ত, স্বাস্থ্যের জন্যও তা বিপজ্জনক হয়ে উঠতে পারে।

আরো পড়ুন
কিডনিতে পাথর হয়েছে বুঝবেন লক্ষণে

কিডনিতে পাথর হয়েছে বুঝবেন লক্ষণে

 

বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে, শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত ঘরে বসে ধূমপান করলে শরীর ঠাণ্ডা করার নিজস্ব যে ‘কুলিং প্রসেস’ আছে তা নষ্ট হয়।

ফলে সিগারেটের ধোঁয়ার সঙ্গে নির্গত তাপ শরীরের ভেতরে থেকে যায়। যা হার্ট, মস্তিষ্ক,ফুসফুস ও কিডনিতে প্রভাব ফেলে। ফলে ‘হিট স্ট্রোক’ সংক্রান্ত জটিলতা বেড়ে যেতে পারে।

যারা পরোক্ষভাবে সিগারেটের ধোঁয়া খাচ্ছেন তাদের জন্যও এই অভ্যাস মারাত্মক হয়ে উঠতে পারে। চিকিৎসকরা বলছেন, অতিরিক্ত ধূমপান করলে এমনিতেই ফুসফুস, গলা ও মুখের ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা থাকে।

হার্টের সমস্যা থাকলে তা আরো জটিল আকার ধারণ করতে পারে।

আরো পড়ুন
বৈশাখে বাড়িতে রান্না করতে পারেন কয়েক পদের ইলিশ

বৈশাখে বাড়িতে রান্না করতে পারেন কয়েক পদের ইলিশ

 

এসি চলাকালে বদ্ধ ঘরের মধ্যে সিগারেট খেলে সেই ধোঁয়া শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ করার যন্ত্রের মাধ্যমে নির্দিষ্ট জায়গার মধ্যেই আবর্তিত হতে থাকে। শ্বাস-প্রশ্বাসের মাধ্যমে সিগারেটের ধোঁয়া যেমন শরীরে প্রবেশ করে, তেমন ঘরের অশুদ্ধ বায়ুও ফুসফুসে যায়। ফলে শ্বাসযন্ত্রের ক্ষতির পরিমাণও বৃদ্ধি পেতে পারে।

সূত্র : টিভি নাইন বাংলা

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

ডিমের কুসুমে দাগ থাকলে কি খাওয়া যায়?

জীবনযাপন ডেস্ক
জীবনযাপন ডেস্ক
শেয়ার
ডিমের কুসুমে দাগ থাকলে কি খাওয়া যায়?
সংগৃহীত ছবি

ডিম খাওয়া আমাদের শরীরে জন্য খুবই উপকারী। সকালের নাশতায় কিংবা শরীরে প্রোটিনের সহজ জোগান হলো ডিম। দিনে একাধিক ডিমও অনেকে খেয়ে থাকেন। বিভিন্নভাবে ডিম খাওয়া যায়, যেমন— ডিমের পোচ, ডিমের অমলেট, ডিম সেদ্ধ।

ডিম ভাঙার পর কখনো কখনো কুসুমে লাল রক্তের দাগ দেখা যায়, অনেক সময় মাংসের টুকরোও লক্ষ্য করা যায়। এমন ডিম যদি খেয়েও ফেলেন তাহলে কী হয় শরীরে? তা জানাতেই আজকের প্রতিবেদন। চলুন, জেনে নেওয়া যাক।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ডিমের কুসুমে রক্তের দাগ থাকলে তা শরীরের পক্ষে ক্ষতিকারক নয়, যদি সেটি ভালো করে রান্না করা হয়।

অর্থাৎ সঠিক সময় ধরে যদি সেটি ভাজা বা সিদ্ধ করা হয়, তাহলে সেই ডিম খেলে কোনো ক্ষতি হয় না। অনেকে আবার রক্তের অংশটি চামচ দিয়ে তুলে নিয়ে রান্না করেন, তাতেও কোনো ক্ষতি নেই।

আরো পড়ুন
ডিমের কুসুম কি কোলেস্টেরল বাড়ায়?

ডিমের কুসুম কি কোলেস্টেরল বাড়ায়?

 

অনেকের মতে, ডিম্বনালি দিয়ে ডিম যাওয়ার সময় অনেক সময়ই তাতে মাংসের টুকরো বা রক্ত মিশে যায়। এতে শরীরে ক্ষতি করার মতো কিছু থাকে না।

তবে যদি ডিমের সাদা অংশটি কখনো গোলাপি, লাল বা সবুজ রঙের হয়, তাহলে কিন্তু সেই ডিম শরীরের ব্যাপক ক্ষতি করবে। সিউডোমোনাস ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণের ফলে এমন হয় বলে এ ধরনের ডিম খাওয়া উচিত নয়। এ ছাড়া সবুজ ডিমেও সিউডোমোনাস ব্যাকটেরিয়ার থাকে বলে এই ধরনের ডিম খাওয়াও উচিত নয়। কিছু জীবাণু সবুজাভ, উজ্জ্বল ও পানিতে দ্রবণীয় রঞ্জক উৎপন্ন করে, যা মানুষের জন্য ক্ষতিকর।

বিশেষজ্ঞদের মতে, এসব ডিমে বিষাক্ত ব্যাকটেরিয়ার প্রভাবের ফলেই সেটির রং বদলে যায়।

এক্ষেত্রে এমন ডিম না খেয়ে ফেলে দিতে হবে। সাধারণত ১ শতাংশ ডিমের কুসুমে এমন রক্তের দাগ দেখা যায়। ডিম বাজারে আসার আগে সেটি ক্যান্ডলিং পদ্ধতিতে পরীক্ষা হয়। জোরালো আলো দিয়ে কুসুমের ভেতরটি দেখা হয়, সেখানেই রক্তের দাগযুক্ত ডিম বাতিল হয়ে যায়। ফলে খুব কম সময়ই এমন ডিম আমাদের হাতে পড়ে।

আরো পড়ুন
কালো রঙের প্লাস্টিক দেহের জন্য ক্ষতিকর কেন

কালো রঙের প্লাস্টিক দেহের জন্য ক্ষতিকর কেন

 

তবে সাদা খোলের চেয়ে খয়েরি রঙের খোলযুক্ত ডিমে রক্তের দাগযুক্ত কুসুম বেশি পাওয়া যায়। কারণ খয়েরি খোলের রং অনেক সময়ই সেই দাগকে ঢেকে দেয়। ফলে পরীক্ষার সময় সেটি ধরা পড়ে না। বাজারে চলে আসে। তবে অনেক সময় ডিমের সাদা অংশেও রক্তের দাগ দেখা যায়। এতেও শরীরে কোনো ক্ষতি হয় না বলেই মত বিশেষজ্ঞদের।

ডিমের মধ্যে ব্লাড স্পট বা অন্য কোনো অস্বাভাবিকতা নির্ণয়ের জন্য কোনো খাবার তৈরির সময় এর সঙ্গে ডিম যোগ করার আগে একটি আলাদা পাত্রে একটি একটি করে ডিম ভাঙ্গা উচিত।

আরো পড়ুন
আম তো খাবেনই, এর পাতারও রয়েছে নানা উপকারিতা

আম তো খাবেনই, এর পাতারও রয়েছে নানা উপকারিতা

 

এতে আপনার পুরো রেসিপিটি নষ্ট হওয়ার ভয় থাকেনা এবং ডিমের খোসা মিশে যাওয়ারও ভয় থাকেনা। ইচ্ছে করলে পরিষ্কার একটি ছুরি দিয়ে ডিমের কুসুমের রক্তের চিহ্নটি সরিয়ে তারপর রান্না করতে পারেন। এটিসহ রান্না করলেও কোনো সমস্যা নেই।

সূত্র : নিউজ ১৮

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

থাইরয়েড রোগীদের যেসব খাবার এড়িয়ে যাওয়া ভালো

জীবনযাপন ডেস্ক
জীবনযাপন ডেস্ক
শেয়ার
থাইরয়েড রোগীদের যেসব খাবার এড়িয়ে যাওয়া ভালো
সংগৃহীত ছবি

থাইরয়েড এখন খুবই সাধারণ একটি সমস্যা, যা তরুণ-তরুণী থেকে শুরু করে সব বয়সের মানুষকে প্রভাবিত করছে। এই রোগ পুরোপুরি নিরাময় না হলেও সঠিক ওষুধ, নিয়মিত ব্যায়াম ও স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাসের মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব। তবে কিছু খাবার আছে, যেগুলো থাইরয়েড রোগীদের এড়িয়ে চলা ভালো। কারণ এসব খাবার হরমোনের ভারসাম্য নষ্ট করে ও থাইরয়েড গ্রন্থির ক্ষতি করে।

চলুন, জেনে নিই কোন কোন খাবারগুলো এড়িয়ে চলা জরুরি।

সয়াবিন ও সয়া পণ্য
সয়াবিনে থাকে ফাইটোস্ট্রোজেন ও জেনিস্টাইন। যা থাইরয়েড হরমোনের কাজে বিঘ্ন ঘটায় এবং শরীরে আয়োডিনের ঘাটতি সৃষ্টি করতে পারে।
থাইরয়েড রোগীদের খুব কম পরিমাণে সয়াবিন খাওয়া যেতে পারে, তবে নিয়মিত নয়।

কিছু সবজি—যেমন ব্রকলি, বাঁধাকপি, মিষ্টি আলু ও মুলা
এসব সবজিতে থাকে গয়ট্রোজেন নামক এক উপাদান। যা থাইরয়েড গ্রন্থিকে প্রভাবিত করে এবং হরমোনের ভারসাম্য নষ্ট করে।
এসব সবজি পরিমাণমতো ও মাঝে মাঝে রান্না করে খাওয়া যেতে পারে।

গ্লুটেন জাতীয় খাবার
যাদের গ্লুটেন সংবেদনশীলতা আছে বা হ্যাশিমোটো থাইরয়েডিটিস আছে, তাদের জন্য গ্লুটেন খাওয়া ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে।

এক্ষেত্রে গ্লুটেন-মুক্ত খাদ্য বেছে নেওয়া ভালো।

প্রক্রিয়াজাত খাবার ও অতিরিক্ত চিনি
বার্গার, পিৎজা, প্যাকেটজাত খাবার ইত্যাদি শরীরে ক্যালোরি বাড়ায় ও হরমোনের ভারসাম্য নষ্ট করে।  এগুলোর বদলে খেতে পারেন তাজা ফল, সবজি ও শস্যদানা জাতীয় খাবার।

ক্যাফেইন ও অ্যালকোহল
এই উপাদানগুলো থাইরয়েডের কাজকে ব্যাহত করে, রক্তচাপ ও হৃদ্স্পন্দন বাড়িয়ে দেয়, ঘুমের ব্যাঘাত ঘটায়। কফির পরিবর্তে ভেষজ চা বা ফলের রস খেতে পারেন।

আর মদ্যপান একেবারেই পরিহার করা ভালো।

কেউ যদি আগে থেকেই থাইরয়েড সমস্যায় ভুগে থাকেন বা অন্য রোগে আক্রান্ত থাকেন, তবে যেকোনো খাদ্য পরিবর্তনের আগে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া ভালো।

সূত্র : ওয়ান ইন্ডিয়া বাংলা

মন্তব্য

চিনি কম খেলে যেসব উপকার পেতে পারেন

জীবনযাপন ডেস্ক
জীবনযাপন ডেস্ক
শেয়ার
চিনি কম খেলে যেসব উপকার পেতে পারেন
সংগৃহীত ছবি

চিনি আমাদের খাবারের স্বাদ বাড়ায় ঠিকই, কিন্তু অতিরিক্ত চিনি শরীরের জন্য মোটেও ভালো নয়। তাই সুস্থ থাকতে চাইলে চিনির পরিমাণ কমানো স্বাস্থ্যের জন্য ভালো। তবে মনে রাখা দরকার, সব ধরনের চিনি খারাপ না। যেমন—ফল, দুধ ও কিছু শাকসবজিতে থাকা প্রাকৃতিক চিনি শরীরের জন্য ক্ষতিকর নয়।

কারণ এই খাবারগুলোতে থাকে ফাইবার, ভিটামিন ও মিনারেল, যা শরীরের উপকারে আসে। চলুন জেনে নিই, চিনি কম খেলে কী কী উপকার পাওয়া যেতে পারে।

ওজন কমাতে সাহায্য করে
চিনিযুক্ত খাবার বাদ দিলে শরীরে ক্যালোরির পরিমাণ কমে যায়। ফলে ওজন কমানো ও তা নিয়ন্ত্রণে রাখা সহজ হয়।


গবেষণায় দেখা গেছে, অতিরিক্ত চিনি খাওয়ার সঙ্গে স্থূলতা ও অতিরিক্ত ওজনের সরাসরি সম্পর্ক রয়েছে।

টাইপ ২ ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমে
বিশেষ করে সফট ড্রিংক বা মিষ্টি পানীয় বেশি খেলে টাইপ ২ ডায়াবেটিসের সম্ভাবনা বেড়ে যায়। কারণ, অতিরিক্ত চিনি রক্তে শর্করার ভারসাম্য নষ্ট করে এবং ইনসুলিনের কার্যকারিতা কমিয়ে দেয়, যা ডায়াবেটিসের দিকে নিয়ে যেতে পারে। চিনি কম খেলে এই ঝুঁকি অনেকটাই কমানো যায়।

ত্বকের বার্ধক্য ধীর হয়
চিনিযুক্ত খাবার বেশি খেলে শরীরে কিছু ক্ষতিকর উপাদান তৈরি হয়, যা ত্বকের বয়স বাড়িয়ে দেয়। চিনি কম খেলে ত্বক অনেকদিন তার তারুণ্য ধরে রাখতে পারে। আর যদি প্রচুর ফল ও শাকসবজি খাওয়া হয়, তবে ত্বক আরও সুস্থ ও উজ্জ্বল থাকে।

সূত্র : আজতক বাংলা

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ