টক দইয়ে রয়েছে অসংখ্য স্বাস্থ্য উপকারিতা। প্রতিদিন টক দই খেলে শরীর থেকে পালাবে অনেক রোগ। টক দই প্রো-বায়োটিকের কাজ করে। হজমপ্রক্রিয়া ও অন্ত্রের স্বাস্থ্য বজায় রাখার জন্য প্রো-বায়োটিক কার্যকরী।
টক দইয়ে রয়েছে অসংখ্য স্বাস্থ্য উপকারিতা। প্রতিদিন টক দই খেলে শরীর থেকে পালাবে অনেক রোগ। টক দই প্রো-বায়োটিকের কাজ করে। হজমপ্রক্রিয়া ও অন্ত্রের স্বাস্থ্য বজায় রাখার জন্য প্রো-বায়োটিক কার্যকরী।
ইফতারে টক দই খাওয়ার উপকারিতা
সতর্কতা
যেভাবে খাবেন
সম্পর্কিত খবর
পেটকে ভুঁড়িহীন ও নির্মেদ রাখার জন্য চেষ্টা করছেন অনেকেই। এটি অর্জনের জন্য লড়াইও করছেন। বিভিন্ন ডায়েট অনুসরণ এবং ব্যায়াম করার পরেও কাঙ্ক্ষিত ফলাফল পান না। এর জন্য দায়ী হতে পারে রাতের খাবার।
কিছু খাবার আছে, যেগুলো দিনের বেলা খাওয়ার জন্য বেশি উপযুক্ত এবং রাতে সেগুলো এড়িয়ে চললে আপনি আপনার লক্ষ্যে পৌঁছতে পারবেন। কোন খাবারগুলো এড়িয়ে চলবেন, তা জানতে পড়তে থাকুন এই প্রতিবেদন।
পুষ্টিবিদদের মতে, সন্ধ্যা ৬টার পর কিছু নির্দিষ্ট খাবার এড়িয়ে চলা উচিত। তাহলে তলপেটের অতিরিক্ত চর্বি সাফ হবে নিমেষে।
সন্ধ্যা ৬টার পর কেক, কুকিজ ও চকোলেটের মতো চিনিযুক্ত খাবার একেবারেই নিষিদ্ধ। ক্যালরি বেশি হওয়ায় এগুলো পেটে চর্বি জমাতে পারে, যার ফলে ওজন বেড়ে যেতে পারে। এই পরিবর্তনটি করা প্রথমে কিছুটা কঠিন হতে পারে, কিন্তু একবার করলে আর ফিরে যাওয়ার উপায় নেই।
পুষ্টিবিদরা রাতে ভারী প্রোটিন এড়িয়ে চলার পরামর্শও দেন।
আমরা সবাই জানি যে কার্বনেটেড পানীয় আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য ভালো নয়। সমতল পেট অর্জনের চেষ্টা করার সময় এগুলো সম্পূর্ণরূপে এড়িয়ে চলা অপরিহার্য।
সন্ধ্যা ৬টার পর দুগ্ধজাত দ্রব্য পরিহার করার পরামর্শও দেন পুষ্টিবিদরা। দুগ্ধজাত দ্রব্য পেটের জন্য বেশ ভারী এবং এর ফলে পেট ফাঁপা ও হজমের সমস্যা হতে পারে। দুধ, পনির, দই ও ক্রিম রাতের বেলায় না খেয়ে দিনের বেলায় খেতে পারেন।
রিফাইন্ড কার্বোহাইড্রেট এড়িয়ে চলার আরেকটি জিনিস। আপনি যদি সাদা ভাতপ্রেমী, পাস্তাপ্রেমী, অথবা রুটিপ্রেমী হোন— তাহলে আপনার রাতের খাবারে এগুলো অন্তর্ভুক্ত করা বন্ধ করুন। এগুলো খাওয়ার ফলে ইনসুলিনের স্পাইক ও পেটের চর্বি জমে যেতে পারে।
ফ্রেঞ্চ ফ্রাই, পাকোড়া, কচুরি ও সমুচার মতো ডিপ ফ্রায়েড খাবার খাওয়া থেকে বিরত থাকুন। এই খাবারগুলোতে ক্যালরি বেশি থাকে এবং বিপাক প্রক্রিয়া ধীর করে দিতে পারে, যার ফলে অতিরিক্ত চর্বি জমা হতে পারে।
তাই সন্ধ্যা ৬টার পর যে খাবারগুলো এড়িয়ে চলা উচিত, সেগুলো আপনার খাদ্যতালিকা থেকে বাদ দিন। একবার এটি করা শুরু করলে আপনি আপনার স্বাস্থ্যের পরিবর্তন লক্ষ্য করবেন।
সূত্র : নিউজ ১৮
যেকোনো সম্পর্কেই তৃতীয় ব্যক্তির প্রবেশ খারাপ কিছু বয়ে আনে। তৈরি করে নানাবিধ সমস্যা। দুজনের মধ্যে বিচ্ছেদের কারণও হয় তৃতীয় ব্যক্তি। আধুনিক যুগে সম্পর্কে তিন নম্বর ব্যক্তি হয়ে উঠেছে মোবাইল ফোন।
একে-অন্যের সঙ্গে সময় কাটানোর পরিবর্তে ফোনে বুঁদ হয়ে থাকে বেশিরভাগ মানুষ। সম্পর্কের মধ্যে দূরত্ব তৈরি করছে এই ফোন। জেন জি-দের ভাষায় এই সমস্যার নাম হয়েছে ‘ফাবিং’। যেখানে সঙ্গীকে সময় দেওয়ার বদলে মানুষ নিজের স্মার্টফোনকে বেশি গুরুত্ব দেয়।
বিশেষজ্ঞদের মতে, সম্পর্ককে সুন্দর করে তুলতে হলে কমাতে হবে স্ক্রিনটাইম এবং দরকার ডিজিটাল ডিটক্স। মোবাইল ফোনের সঙ্গ ত্যাগ করে একে-অন্যের কাছে আসবেন কিভাবে, রইল সেই টিপস। চলুন, জেনে নেওয়া যাক।
সময় কাটানো
ব্যস্ত জীবনের মাঝে একে-অন্যের সঙ্গে সময় কাটানোর সুযোগ হয় না।
ছুটির দিন উপভোগ করুন
সারা সপ্তাহ যখন একে-অন্যকে সময় দিতে পারেন না, তখন ছুটির দিনগুলো একসঙ্গে থাকার চেষ্টা করুন।
একসঙ্গে বেড়াতে যান
সম্পর্কের জন্য এবং নিজের জন্য ডিজিটাল ডিটক্স ভীষণ জরুরি। মাঝে মাঝে ব্যস্ত জীবন থেকে ছুটি নিয়ে বেড়াতে যান। এমন জায়গা বেছে নিন যেখানে মোবাইলে নেটওয়ার্ক নেই। এতে স্মার্টফোনে নোটিফিকেশন ঢুকবে না এবং আপনিও ঘন ঘন মোবাইল ঘাঁটবেন না। সঙ্গীকে বেশি সময় দিতে পারবেন এবং সম্পর্ককে আরো সুন্দর কিভাবে করা যায়, সেই চেষ্টাই করবেন।
সূত্র : এই সময়
জীবনের প্রতিটি দিন নতুন কিছু সম্ভাবনা ও চ্যালেঞ্জ নিয়ে আসে আর প্রতিটি দিন আমাদের একটু একটু করে শিখতে ও বিকশিত হতে সাহায্য করে। আজ ৩০ মার্চ, ২০২৫ দিনটি আপনার জন্য কেমন হতে পারে, কীভাবে সামলাবেন জীবন ও কাজের চ্যালেঞ্জগুলো, সেটি জানতে হলে পড়ুন আজকের রাশিফল।
মেষ (২১ মার্চ-২০ এপ্রিল): আপনার সিদ্ধান্ত অন্যদের কাছে গ্রহণযোগ্য হবে। কাজকর্মে উন্নতির যোগ প্রবল।
বৃষ (২১ এপ্রিল-২০ মে): কাজে দায়িত্ব বাড়বে। সংসারে ব্যয় বাড়তে পারে। কাছের মানুষদের সহযোগিতা পাবেন। ধর্মীয় কাজে আগ্রহ বাড়বে।
মিথুন (২১ মে-২০ জুন): কাজে অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করতে হতে পারে। কিছু অর্থ অপচয় হওয়ার আশঙ্কা।
কর্কট (২১ জুন-২০ জুলাই): কোনো ভালো কাজে অবদান রাখতে পারবেন। আটকে থাকা টাকা হাতে আসতে পারে। ব্যবসায় ভালো উপার্জন হওয়ার সম্ভাবনা। আপনার হাতে যদি একাধিক কাজ থাকে, সেখান থেকে একটি কাজ বেছে নিন।
সিংহ (২১ জুলাই-২১ আগস্ট): আজকের দিনটি আপনার জন্য শুভ ফলদায়ক হতে পারে। কাজে অন্যের সহযোগিতা পাবেন। অর্থাভাবে আটকে থাকা ব্যাবসায়িক কর্মকাণ্ডে অর্থের জোগান পাওয়া সহজ হবে। বুদ্ধিবলে কঠিন সমস্যা সমাধান করতে পারবেন।
কন্যা (২২ আগস্ট-২২ সেপ্টেম্বর): কাজে উৎসাহ পাবেন। প্রিয়জনের জন্য মানসিক চাপ থাকতে পারে। পেশাগত লক্ষ্য পূরণে সতর্ক থাকতে হবে। অবস্থা বুঝে যেকোনো কাজে অগ্রসর হবেন। ইতিবাচক মনোভাব নিয়ে প্রেম সম্পর্কিত সমস্যাগুলো নিষ্পত্তি করুন।
তুলা (২৩ সেপ্টেম্বর-২২ অক্টোবর): নতুন কোনো উদ্যোগ ফলপ্রসূ হতে পারে। সম্মিলিত চেষ্টায় কোনো কাজের অগ্রগতি হবে। মানসিক অস্থিরতা অনেকটা কমবে। পারিপার্শ্বিক পরিবেশ পক্ষে থাকবে। হঠাৎ কোনো সুযোগ আসতে পারে, যা ভবিষ্যতের জন্য ভালো ফল দেবে।
বৃশ্চিক (২৩ অক্টোবর-২১ নভেম্বর): কোনো প্রচেষ্টায় বাধা আসতে পারে। উদ্বেগের মধ্যেই কোনো সুযোগ লাভহবে। মানসিক অস্থিরতা থাকলে তা সামলে নিন। কাজে সেরা পারফরম্যান্স দেওয়ার চেষ্টা করুন। একটি স্বাস্থ্যকর জীবনধারা বজায় রাখুন।
ধনু (২২ নভেম্বর-২০ ডিসেম্বর): কোনো কাজের জন্য প্রশংসা পাবেন। প্রত্যাশিত কিছু অর্থ হাতে আসতে পারে। প্রতিকূল পরিস্থিতি হঠাৎ পরিবর্তনের ইঙ্গিত রয়েছে। আর্থিক ব্যাপারে সচেতন থাকুন। সাহসী পদক্ষেপে পরিকল্পনা বাস্তবায়নের চেষ্টা করুন।
মকর (২১ ডিসেম্বর-১৯ জানুয়ারি): নিজ পরিবারের সদস্যদের প্রয়োজন আজ আপনার কাছে অগ্রাধিকার পাবে। কোনো কাজে মানসিক শান্তি পেতে পারেন। নিজের দুর্বলতা অন্যকে না বলাই ভালো। কাজ নিরলসভাবে করুন। সঠিক প্রচেষ্টায় ভালো ফল পাবেন।
কুম্ভ (২০ জানুয়ারি-১৮ ফেব্রুয়ারি): সামাজিক যোগাযোগ বৃদ্ধি পাবে। কোনো আত্মীয় মানসিক অস্থিরতার কারণ হতে পারে। ব্যবসায়ীদের ব্যবসায় অগ্রগতি হবে। অর্থাগমের সুযোগ আসতে পারে। সঠিক প্রচেষ্ঠায় পরিবর্তন সম্ভব। নিজেকে সংযত রাখুন।
মীন (১৯ ফেব্রুয়ারি-২০ মার্চ): আজ সময় ভালো কাটবে। অর্থযোগ ভালো। ব্যবসায় উন্নতির সম্ভাবনা। পাওনা আদায়ে অগ্রগতি হবে। পরিকল্পনা বাস্তবায়নে কঠোর মনোভাব বজায় রাখুন। ব্যবসায় অপ্রয়োজনীয় পরিবর্তন এড়িয়ে চলুন।
আহমেদ মাসুদ, বিশিষ্ট অকাল্ট সাধক, আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন জ্যোতিষী, ফেংশুই ও বাস্তু বিশেষজ্ঞ। যোগাযোগ: ০১৭১১০৫৭৩৭৭ই-মেইল: amasud9995@gmail.com www.astrologerahmedmasud.com
শিশুদের শাসন করা প্রতিটি মা-বাবার জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ। কিন্তু এর অর্থ এই নয় যে তাদের তিরস্কার করে বা কঠোর শাস্তি দিয়ে শাসন করা উচিত। সঠিক উপায়ে শৃঙ্খলা শেখানোর মাধ্যমে শিশুরা কেবল দায়িত্বশীল হয় না, বরং তাদের আত্মবিশ্বাসও বৃদ্ধি পায়।
আপনি যদি ভালোবাসা, ধৈর্য সহকারে বাচ্চাদের সঠিক পথ দেখান, তাহলে তারা সব কিছু বুঝতে পারবে এবং মেনে চলবে।
আগে থেকেই নিয়ম বুঝিয়ে দিন
আপনি যদি চান যে শিশু কোনো ভুল না করুক, তাহলে তাকে আগে থেকেই স্পষ্ট করে বলুন কোনটা ঠিক আর কোনটা ভুল। বারবার তিরস্কার করার পরিবর্তে শুরু থেকেই বিষয়গুলো পরিষ্কার করে দেওয়া ভালো।
ভালো কাজের প্রশংসা করুন
যদি শিশু ভালো কিছু করে, তাহলে তার প্রশংসা করুন। উদাহরণস্বরূপ, যদি সে নিজেই তার খেলনা সংগ্রহ করে অথবা সময়মতো তার বাড়ির কাজ করে, তাহলে তাকে বাহবা দিন অথবা হালকা আলিঙ্গন করুন। এটি তাকে আরো ভালো করার জন্য অনুপ্রাণিত করবে।
কিছু পছন্দ করতে দিন
সন্তানের ওপর সব কিছু চাপিয়ে দেওয়ার পরিবর্তে তাকে কিছু বিকল্প দেওয়া ভালো।
ভুলের প্রভাব অনুভব করান
শাস্তি দেওয়ার পরিবর্তে, একটি বুদ্ধিমান পদ্ধতি অবলম্বন করুন - শিশুকে তার ভুলের প্রভাব অনুভব করান। উদাহরণস্বরূপ, যদি সে তার খেলনা সংগ্রহ না করে, তাহলে পরের দিন তাকে কম খেলনা দিয়ে খেলতে দিন। এতে সে বুঝতে পারবে যে যখন সে গোলমাল করবে তখন কী হবে।
যেমন আশা করেন তেমন আচরণ করুন
শিশুর কাছ থেকে যেমনটা আশা করা যায় তেমন আচরণ করুন। আপনি যদি চান যে শিশু রাগে চিৎকার না করুক, তাহলে নিজে তার ওপর চিৎকার করা এড়িয়ে চলুন। শিশুরা যা দেখে, তাই শেখে।
ভুল থেকে শিক্ষা নিতে দিন
প্রতিবার বাধা দেওয়ার চেয়ে শিশুকে চিন্তা করার সুযোগ দেওয়া ভালো। তাকে জিজ্ঞাসা করুন, ‘তুমি যদি এটা করো তাহলে কী হবে?’ এতে সে নিজে চিন্তা করবে এবং তার ভুল সংশোধন করবে।
মনোযোগ সহকারে কথা শুনুন
যদি শিশুটি রাগের বশে কিছু বলে, তাহলে তাকে চুপ করিয়ে দেওয়ার পরিবর্তে প্রথমে তার কথা শোনা ভালো। যখন সে অনুভব করবে যে তার কথার গুরুত্ব আছে, তখন সে আপনার কথাও শুনবে।
প্রতিদিনের রুটিন ঠিক করুন
আপনার সন্তানের ঘুম, খেলাধুলা ও পড়াশোনার সময় ঠিক করুন। এইভাবে সে সবকিছুতে অভ্যস্ত হয়ে যাবে এবং তাকে বারবার বাধা দেওয়ার প্রয়োজন হবে না।
মনোযোগ অন্যদিকে ঘুরিয়ে দিন
যদি শিশুটি কোনো ভুলের ওপর অটল থাকে তাহলে তাকে তিরস্কার করার পরিবর্তে তার মনোযোগ অন্য কোনো দিকে ঘুরিয়ে দেওয়া ভালো।
ব্যাখ্যা করুন
শিশুকে শাসন করার সর্বোত্তম উপায় হলো শান্ত ও ধৈর্যশীল হওয়া। রাগের বশে চিৎকার করলে শিশুটিও একগুঁয়ে হয়ে উঠবে। যদি এই ছোট ছোট বিষয়গুলোর যত্ন নেওয়া হয় তাহলে খুব বেশি কঠোরতা ছাড়াই শিশুরা ভালোভাবে শৃঙ্খলা শিখতে পারবে এবং নিজেরাই দায়িত্বশীল হয়ে উঠতে পারবে।
সূত্র : আজতক বাংলা