সকালের নাশতায় আমরা বিভিন্ন আইটেম রাখি। খেয়ে থাকি আটা বা ময়দার রুটি। তবে মাঝেমধ্যে চাইলে তৈরি করতে পারেন লাচ্ছা পরোটা।
এ ছাড়া যেকোনো উপলক্ষকে সামনে নিয়েও এই নাশতা তৈরি করতে পারেন।
সকালের নাশতায় আমরা বিভিন্ন আইটেম রাখি। খেয়ে থাকি আটা বা ময়দার রুটি। তবে মাঝেমধ্যে চাইলে তৈরি করতে পারেন লাচ্ছা পরোটা।
এ ছাড়া যেকোনো উপলক্ষকে সামনে নিয়েও এই নাশতা তৈরি করতে পারেন।
এই বিশেষ পরোটায় অনেকগুলো স্তর থাকে। মাংস বা সেমাইয়ের সঙ্গে এর স্বাদ একেবারে আলাদাই। জেনে নিন সহজে বাড়িতে কিভাবে বানাবেন।
উপকরণ (৫ জনের জন্য)
প্রণালী
প্রথমে ময়দাতে লবণ, চিনি ও ২ টেবিল চামচ সাদা তেল ও ২টি ডিম ভেঙে ভালোভাবে মিশিয়ে নিন। ১ ঘণ্টা ঢেকে রাখুন। এরপর লেচি কেটে নিন। থালায় তেল মাখিয়ে লেচি নিয়ে হাতের সাহায্যে বাড়াতে হবে।
লেচিগুলো আবার তেল মাখিয়ে ৩০ মিনিট রেখে দিন। এরপর থালায় তেল মাখিয়ে হাতের সাহায্যে সাবধানে পরোটা বাড়িয়ে নিন। তেল গরম করে ছাঁকা তেলে পরোটা ভেজে তুলে নিন।
সূত্র : আজতক বাংলা
সম্পর্কিত খবর
দেশে দিন দিন গ্যাসের সংকট বৃদ্ধি পাচ্ছে। সম্প্রতি বাণিজ্যিক খাতে বৃদ্ধি পেয়েছে গ্যাসের দাম। যেকোনো সময় আবাসিক খাতে বৃদ্ধি পেতে পারে। এ ছাড়া সিলিন্ডারের দামও ভোক্তার নাগালের বাইরে।
তবে আপনি চাইলে গ্যাস ব্যবহারে সাশ্রয় করতে পারেন। এতে গ্যাসের খরচ কিছুটা হলেও কমবে বলে আশা করা যায়।
রান্নার সময় ঢাকনা ব্যবহার : যখন আপনি কোনো খাবার রান্না করছেন, তখন পাত্রের ওপর ঢাকনা দিয়ে রাখুন। ঢাকনা ব্যবহার করলে ভেতরের তাপ বাইরে বের হতে পারে না, ফলে খাবার দ্রুত সিদ্ধ হয় এবং গ্যাসের ব্যবহার কমে।
ডাল ও শস্য ভিজিয়ে রাখুন : ডাল ও শস্য রান্নার আগে কয়েক ঘণ্টা ভিজিয়ে রাখলে তা নরম হয়ে যায়। এর ফলে রান্নার সময় কম লাগে এবং গ্যাসের সাশ্রয় হয়। বিশেষ করে শুকনো ডাল ও মটরশুঁটি রান্নার আগে ভিজিয়ে রাখাটা খুব জরুরি।
একসঙ্গে একাধিক খাবার রান্না : যদি সম্ভব হয়, একই সময়ে একাধিক খাবার রান্না করার চেষ্টা করুন। যেমন, একটি বার্নারে তরকারি এবং অন্যটিতে ভাত বা রুটি তৈরি করা যেতে পারে।
সঠিক আকারের বার্নার ব্যবহার : রান্নার পাত্রের আকারের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে বার্নার ব্যবহার করুন। ছোট পাত্রের জন্য বড় বার্নার ব্যবহার করলে গ্যাসের অপচয় হয়। তাই পাত্রের আকারের সঙ্গে মানানসই বার্নার ব্যবহার করে গ্যাসের খরচ কমানো যায়।
বার্নার পরিষ্কার রাখুন : নিয়মিত গ্যাসের বার্নার পরিষ্কার করুন। বার্নারের ছিদ্রগুলোতে ময়লা জমলে আগুনের শিখা সঠিকভাবে বের হতে পারে না। ফলে রান্না করতে বেশি সময় লাগে এবং গ্যাসও বেশি খরচ হয়। বার্নার পরিষ্কার রাখলে গ্যাসের কার্যকারিতা বাড়ে।
সূত্র : আজকাল
বয়স যত বাড়তে থাকবে, ততই চেহারায় বার্ধক্যের ছাপ পড়তে থাকবে। এটাই প্রকৃতির নিয়ম। তবে সময়ের আগে যদি বার্ধক্য এসে যায়, তবে সেটি মোটেই সুখকর নয়।
কয়েক বছর আগেও কম বয়সীদের ত্বকে বার্ধক্যের ছাপ পড়ার সমস্যাটি খুব একটা দেখা যেত না।
তবে প্রতিদিনে কয়েকটি অভ্যাসের মাধ্যমে আপনি চাইলে ত্বকের যৌবন ধরে রাখতে পারেন। কী সেই অভ্যাসগুলো, তা জানুন এই প্রতিবেদনে।
সূত্র : আজকাল
উচ্চ রক্তচাপ অনেক সময় নীরব ঘাতকের মতো কাজ করে। সাম্প্রতিক সময়ে কম বয়সীদের মধ্যেও হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি আশঙ্কাজনক হারে বেড়েছে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই এর মূল কারণ হিসেবে দেখা যাচ্ছে হঠাৎ করে বেড়ে যাওয়া রক্তচাপ। তাই সময় থাকতেই রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখা অত্যন্ত জরুরি।
বিশ্বজুড়ে এই সমস্যা নিয়ে গবেষণা চললেও সম্প্রতি কানাডার ইউনিভার্সিটি অফ ওয়াটারলুর একদল গবেষক এমন দুইটি খাবারের কথা বলেছেন, যা নিয়ম করে খেলে উচ্চ রক্তচাপের ঝুঁকি অনেকটাই কমানো যেতে পারে। তাদের দাবি—কলা ও ব্রকলি উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে সহায়ক হতে পারে। এই দুই খাবারে রয়েছে পর্যাপ্ত পরিমাণে পটাশিয়াম ও সোডিয়াম। যা শরীরের খনিজ লবণের ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করে।
এই গবেষণাটি প্রকাশিত হয়েছে আমেরিকান জার্নাল অফ ফিজিওলজিতে। গবেষকদের মতে, যারা উচ্চ রক্তচাপের সমস্যায় ভুগছেন, তাদের ক্ষেত্রে সোডিয়াম কমিয়ে পটাশিয়ামযুক্ত খাবার খাওয়া অত্যন্ত উপকারী। কারণ পটাশিয়াম রক্তনালিকে শিথিল করে এবং শরীর থেকে অতিরিক্ত সোডিয়াম বের করে দিয়ে রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে।
গবেষণায় দেখা গেছে, উচ্চ রক্তচাপের রোগীদের নিয়মিত ব্রকলির স্যুপ ও কলা খাওয়ানোর পর ৭২ শতাংশ রোগীর রক্তচাপ স্বাভাবিক মাত্রায় নেমে এসেছে।
বিজ্ঞানীরা আরো জানিয়েছেন, পটাশিয়াম ও সোডিয়ামের অনুপাত রক্তচাপের উপর কীভাবে প্রভাব ফেলে, তা নিয়েও একটি গাণিতিক মডেল তৈরি করা হয়েছে। তবে গবেষণা এখনো চলমান, তাই আরো বড় পরিসরে পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষ হলে তবেই এই পদ্ধতিকে পুরোপুরি কার্যকর বলা যাবে।
তবে আপাতত বলা যায়, প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় কলা ও ব্রকলির মতো স্বাস্থ্যকর খাবার রাখলে উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখা অনেকটাই সহজ হতে পারে।
সূত্র : আনন্দবাজার পত্রিকা
হৃদরোগ প্রতিরোধে সচেতন জীবনযাপনের গুরুত্ব নিয়ে অনেকেই কথা বলেন। ধূমপান ও অ্যালকোহল থেকে দূরে থাকা, ফাস্টফুড এড়িয়ে চলা ও নিয়মিত শরীরচর্চা করার পরামর্শ দেন চিকিৎসকরা। তবে একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় অনেকেই এড়িয়ে যান—আর সেটা হলো ঘুম।
চিকিৎসকদের মতে, ঘুমের অভাব শুধু ক্লান্তি এনে দেয় না বরং সরাসরি হৃদযন্ত্রের ওপর চাপ ফেলে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, দিনে যদি মানসিক চাপ বেশি থাকে, তাহলে রাতে ঘুমও কম হয়। এর প্রভাব শুধু হার্টে নয়, মস্তিষ্ক ও হজমতন্ত্রেও পড়ে। মানসিক চাপ থেকে শরীরে কর্টিসল নামক স্ট্রেস হরমোন বাড়ে, যা ঘুমের ব্যাঘাত ঘটায়, হজমে সমস্যা তৈরি উচ্চ রক্তচাপের ঝুঁকি বাড়ায়।
ঘুমের সময় নিয়ে একেকজনের চাহিদা ভিন্ন হতে পারে। কারো ৯ ঘণ্টা ঘুম প্রয়োজন হয়, আবার কেউ ৫ ঘণ্টার ঘুমেই সুস্থ থাকেন।
অনেকে মনে করেন, সারা সপ্তাহ কম ঘুমিয়ে ছুটির দিনে অনেকক্ষণ ঘুমিয়ে ঘাটতি পুষিয়ে নেওয়া যায়। কিন্তু এই ধারণা একেবারেই ভুল। একদিনের ঘুমের ঘাটতি অন্যদিন পুষিয়ে নেওয়া যায় না।
সূত্র : এই সময়