হাতের লেখার বৈশিষ্ট্য দেখে ব্যক্তিত্ব বোঝার বিজ্ঞানকে বলে গ্রাফোলজি। এই বিজ্ঞানের চর্চা চলছে সেই অ্যারিস্টটলের সময় থেকে। বর্তমানে অসংখ্য প্রয়োজনে এর প্রয়োগ ঘটে। অপরাধী শনাক্তকরণ থেকে শুরু করে মানুষের স্বাস্থ্যগত তথ্য পেতেও এর ব্যবহার রয়েছে।
হাতের লেখা দেখে মানুষ চেনার উপায়
কালের কণ্ঠ অনলাইন

১. অক্ষর ও শব্দের আকার : ওপরের লেখায় বোঝা যায়, আপনি বুঝতে ও খেয়াল করতে চান।
২. হেলানো : ওপরের লেখার বোঝা যায়, আপনি হৃদয়কেন্দ্রিক, বন্ধুত্বপূর্ণ এবং বন্ধু ও পরিবারের মূল্যায়ন করে। মাঝখানের লেখায় বোঝা যায়, আপনি যুক্তি দিয়ে চলেন, আবেগ দিয়ে নয়।
৩. চাপ প্রয়োগ : ওপরের লেখায় বোঝা যায়, আপনার আবেগ অনেক গভীর এবং সবকিছু চরমভাবে অনুভব করেন। খুব বেশি প্রতিক্রিয়াশীল। নিচের লেখায় বোঝা যায়, আপনি বিভিন্ন স্থানে আপনি সহজ ও স্বাবলীল থাকেন।
৪. ওপরের অংশ : প্রথম লেখায় স্পষ্ট হয় যে, আপনি আশাবাদী এবং ভবিষ্যত নিয়ে স্বপ্ন দেখেন। দ্বিতীয় লেখায় বোঝা যায়, আপনি আপনার আশা ও স্বপ্ন চাপা দিতে পারেন। তৃতীয় লেখায় বোঝা যায়, সমালোচনায় স্পর্শকাতর আপনি। চতুর্থ লেখায় বোঝা যায়, আপনি কর্মী হিসাবে ভালো। গোছালো এবং আত্মনিয়ন্ত্রণ রয়েছে আপনার মাঝে।
৫. নিচের অংশ : প্রথম লেখা বলে, আপনি সত্যিকার বন্ধু বেছে নেওয়ার ক্ষেত্রে সাবধান। দ্বিতীয় লেখায় বোঝা যায়, আপনার বন্ধুমহল অনেক বড়। তৃতীয় লেখা বলছে, আপনি ভ্রমণপিয়াসী। আর চতুর্থ লেখায় স্পষ্ট হয়, আপনি নিজ বাসায় থাকতে পছন্দ করেন।
৬. অক্ষরের সংযোগ : ওপরের লেখায় বোঝা যায়, আপনি যৌক্তিক, পদ্ধতি অনুযায়ী চলে এবং সাবধানে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন। নিচের লেখায় স্পষ্ট হয়, আপনি বুদ্ধিমান ও স্বজ্ঞাত।
৭. ডটেড 'আই' : ওপরের লেখায় বোঝা যায়, আপনার আচরণ শিশুসুলভ। আপনি শৈল্পিক। নিচের লেখায় বোঝা যায়, আপনি এলোমেলো অবস্থা পছন্দ করেন না। বিস্তারিত দেখতে ভালো লাগে।
৮. 'টি' এর ক্রস : ওপরে অক্ষরে বোঝা যায়, আপনি উচ্চাকাঙ্ক্ষী এবং আত্মবিশ্বাসী। নিচের অক্ষর স্পষ্ট করে যে, আপনার লক্ষ্য শক্ত নয় এবং নিরাপত্তাহীনতায় ভোগেন।
৯. লাইনের মাঝের ফাঁকা অংশ : ওপরের লেখায় বোঝা যায়, সময়মতো কাজ করতে আপনি অদক্ষ। নিচের লেখা দেখে বোঝা যায়, সীমাবদ্ধতা নিয়ে আপনি সাবধান। সূত্র : বিজনেস ইনসাইডার

অসচ্ছল মেধাবী শিক্ষার্থীদের অর্থ সহায়তা দিল মথুরাপাড়া বছিরকাজী হাই স্কুল অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন
অনলাইন ডেস্ক

বগুড়া জেলার সারিয়াকান্দি উপজেলার মথুরাপাড়া বছিরকাজী হাইস্কুল অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের কল্যাণ তহবিল থেকে গরীব, অসচ্ছল ও মেধাবী শিক্ষার্থীদের মাঝে অর্থ সহায়তা প্রদান করা হয়েছে। গত বুধবার (২ এপ্রিল) মথুরাপাড়া বছিরকাজী হাই স্কুল মাঠে সংগঠনটি শিক্ষার্থীদের মাঝে এ আর্থিক সহায়তা তুলে দেন।
অনুষ্ঠানে অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি কৃষিবিদ মো. মোজাফ্ফর রহমানের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা পরিবারের অন্যতম সদস্য বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও সমাজসেবক কাজী এরফানুর রহমান রেন্টু, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কাজী তোফায়েল আহমেদ এবং অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মো. সহিদুল ইসলাম। আরো উপস্থিত ছিলেন সংগঠনটির সহ সম্পাদক শিক্ষাবিদ মো. বেলাল হোসেন, বিদ্যালয়ের ১৯৭৯ ব্যাচের ছাত্র জিসকা ফার্মাসিটিকেলস সিনিয়র ম্যানেজার (রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট) আবেদ মওলা বাহলুল টিপু, একই ব্যাচের যুক্তরাষ্ট্রের বোস্টন বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনিয়র রিসার্চ সায়েন্টিস্ট ডা. মো. মোফাজ্জল হোসেন, অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের সাংগঠনিক সম্পাদক মো. নজরুল ইসলাম ডিজু ও রেডিসন ব্লু ঢাকা ওয়াটার গার্ডেনের পরিচালক শিল্পপতি বদিউজ্জামান ।
অনুষ্ঠানে কল্যাণমূলক কার্যক্রমের আওতায় দেশের বিভিন্ন পাবলিক ও প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়, মেডিক্যাল কলেজ এবং বিদ্যালয়ের বিভিন্ন শ্রেণিতে অধ্যয়নরত ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে আর্থিক অনুদান দেওয়া হয়। অনুষ্ঠানে অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য, বিদ্যালয়ের প্রাক্তন ছাত্র-ছাত্রী এবং সুধীজনের উপস্থিতি নতুন মাত্রা যোগ করে।

সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল জিবলি আর্ট আসলে কী?
অনলাইন ডেস্ক

সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় জিবলি আর্ট বেশ ট্রেন্ডিং হয়ে উঠেছে। যেখান এআই চ্যাট জিপিটি দিয়ে জিবলি স্টাইলে ছবি তৈরি হচ্ছে। কিন্তু অনেকেই জানেন না, জিবলি আসলে কী।
জিবলি হচ্ছে জাপানের বিখ্যাত অ্যানিমেশন স্টুডিও।
স্টুডিও জিবলির যাত্রা
১৯৮৫ সালে দুই কিংবদন্তি অ্যানিমেটর হায়াও মিয়াজাকি ও ইসাও তাকাহাতার হাত ধরে শুরু হয় স্টুডিও জিবলির যাত্রা। তাঁদের লক্ষ্য ছিল এমন একটি নতুন ধরনের অ্যানিমেশন তৈরি করা যেখানে জাপানের সংস্কৃতি, লোককথা, ইতিহাস ও আবেগ একসাথে প্রকাশ পাবে।
মিয়াজাকির অমর সৃষ্টি
স্টুডিও জিবলির অন্যতম প্রধান ব্যক্তিত্ব হায়াও মিয়াজাকি।
My Neighbor Totoro, Spirited Away, Howl’s Moving Castle, Princess Mononoke—এই চলচ্চিত্রগুলো সবই আলাদা আলাদা গল্প হলেও, প্রতিটি গল্পে সৌন্দর্য ও গভীরতার মেলবন্ধন রয়েছে। ২০০১ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত Spirited Away অস্কার জিতেছিল। জাপানে মিয়াজাকিকে কিংবদন্তি হিসেবে স্মরণ করা হয়।
জিবলি আর্ট কেন এত জনপ্রিয়?
স্টুডিও জিবলির অ্যানিমেশন চিত্রশৈলী বাস্তব ও কল্পনার এক মিশ্রণ।
মিয়াজাকি ও এআই
২০১৬ সালে মিয়াজাকি এআই এর মাধ্যমে ছবি আঁকার বিরুদ্ধে মত প্রকাশ করেছিলেন। তাঁর মতে, এটি দ্বারা জিবলির অ্যানিমেশন স্টাইল অনুকরণ করা মূলত শিল্পীদের কাজের অপমান। তিনি বলেছিলেন, ‘যারা এআই দিয়ে ছবি আঁকছে, তারা জানে না কষ্ট কী। আমার মতে, এটা হওয়া উচিত নয়; এটি দুঃখজনক।‘
জিবলির অ্যানিমেশন ও এর স্রষ্টার চিন্তা-ভাবনা সম্পর্কে একবার ভাবুন, যখন আপনি এই ট্রেন্ডে গা ভাসাচ্ছেন।
সূত্র : আজতক বাংলা

বিচারপতি সৈয়দ মাহবুব মোর্শেদের মৃত্যুবার্ষিকী আজ
অনলাইন ডেস্ক

আইনজ্ঞ, চিন্তাবিদ, নির্ভীক প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহবুব মোর্শেদের মৃত্যুবার্ষিকী আজ। তিনি ১৯৭৯ সালের ৩ এপ্রিল ইন্তেকাল করেন। ১৯১১ খ্রিষ্টাব্দের ১১ ফেব্রুয়ারি পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদে জন্মগ্রহণ করেন। মাহবুব মোর্শেদ কলকাতা প্রেসিডেন্সি কলেজ থেকে ১৯৩১ খ্রিষ্টাব্দে অর্থনীতিতে বিএ (অনার্স), কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৩২ খ্রিষ্টাব্দে এমএ এবং ১৯৩৩ খ্রিষ্টাব্দে এলএলবি ডিগ্রি লাভ করেন।
লন্ডনের লিংকন্স ইন থেকে ব্যারিস্টারি পাস করে তিনি কলকাতা হাইকোর্টে আইনব্যবসা শুরু করেন। ১৯৫১ খ্রিষ্টাব্দে তিনি ঢাকা হাইকোর্ট বারে যোগ দেন। ১৯৫৫ খ্রিষ্টাব্দে মাহবুব মোর্শেদ হাইকোর্টের বিচারপতি নিযুক্ত হন। ১৯৬২-৬৩ খ্রিষ্টাব্দে তিনি পাকিস্তান সুপ্রিম কোর্টের বিচারক ছিলেন।
সৈয়দ মাহবুব মোর্শেদ বায়ান্নর ভাষা আন্দোলনে সক্রিয় ভূমিকা পালনের পাশাপাশি ১৯৫৪ খ্রিষ্টাব্দে যুক্তফ্রন্ট গঠনে তাৎপর্যপূর্ণ অবদান রাখেন।
রবীন্দ্র শতবার্ষিকী উদযাপন প্রস্তুতি কমিটির সভাপতি হিসেবে ১৯৬১ খ্রিষ্টাব্দে প্রতিকূল পরিস্থিতিতে তিনি ঢাকায় রবীন্দ্র জন্মশতবার্ষিকী পালনে উদ্যোগী ভূমিকা গ্রহণ করেন। আইয়ুব খানের শাসনকালে গণতান্ত্রিক অধিকার যখন বাধাগ্রস্ত, তখন মানুষের মৌলিক অধিকার ও আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার জন্য আদালতের আসন থেকেই তিনি সংগ্রাম করেছিলেন।
১৯৬৯-এর আইয়ুববিরোধী গণআন্দোলনে তার সক্রিয় ভূমিকা ছিল। তিনি ছাত্র সমাজের ১১-দফার প্রতি সমর্থন জ্ঞাপন করেন এবং শেখ মুজিবুর রহমানের মুক্তি ও আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা প্রত্যাহারের জন্য সরকারের ওপর চাপ প্রয়োগ করেন। ওই বছরই আইয়ুব খান আহূত গোলটেবিল বৈঠকে তিনি পূর্ব বাংলার ছয়দফা ভিত্তিক স্বায়ত্তশাসন ও সংসদীয় গণতন্ত্রের দাবি জানিয়ে বক্তব্য পেশ করেন। উপরোন্তু, প্রাদেশিক গভর্নর মোনায়েম খানের প্রশাসনের সঙ্গে তার সংঘাতের কথা তখন সুবিদিত ছিল। ১৯৭১ খ্রিষ্টাব্দের স্বাধীনতা সংগ্রামে পাকিস্তানি শাসকচক্রের জুলুম-নির্যাতনের প্রতিবাদ করে তিনি মুক্তিযুদ্ধের পক্ষাবলম্বন করেন।
আইনজীবী হিসেবে যথেষ্ট সুনাম অর্জন করলেও দক্ষ বিচারক হিসেবেই মাহবুব মোর্শেদের খ্যাতি সুদূর প্রসারিত। বিচারপতির মর্যাদা ও নিরপেক্ষতা বজায় রাখার জন্য তিনি কঠোর প্রয়াস চালিয়েছেন।
‘মন্ত্রীর মামলা’, ‘কর্নেল ভট্টাচার্যের মামলা’ ও ‘পানের মামলা’-য় তার ঐতিহাসিক রায় একজন অকুতোভয় বিচারকের ন্যায়নিষ্ঠার উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত।

পিরামিডের গাণিতিক রহস্য, প্রকৌশল না কি অলৌকিকতা?

প্রাচীন মিশরের স্থাপত্যশৈলীর নিদর্শন হওয়ার পাশাপাশি পিরামিড বিস্ময়কর গাণিতিক রহস্যও বহন করে। হাজার বছর আগে আধুনিক প্রযুক্তির অনুপস্থিতিতেও কীভাবে মিশরীয়রা এত নিখুঁত গাণিতিক হিসাবের মাধ্যমে পিরামিড নির্মাণ করেছিল, তা আজও গবেষকদের ভাবিয়ে তোলে। চলুন, জেনে নিই পিরামিডের কিছু চমকপ্রদ গাণিতিক রহস্য।
‘পাই’ ও ‘ফাই’এর উপস্থিতি
গ্রেট পিরামিডের উচ্চতা ও পরিধির অনুপাত প্রায় ৩.১৪১।
পৃথিবীর মাত্রা ও পিরামিড
গ্রেট পিরামিডের উচ্চতা ১৪৬.৬ মিটার।
সূর্য ও জ্যোতির্বিজ্ঞান
পিরামিডের নকশায় সূর্যের অবস্থান, নক্ষত্রের চলাচল ও ঋতুর পরিবর্তনকে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। কিছু গবেষক দাবি করেন, এটি জ্যোতির্বিদ্যার জ্ঞানকে কাজে লাগিয়ে তৈরি করা হয়েছিল।
গণিতের নিখুঁত ব্যবহার
গ্রেট পিরামিডের প্রতিটি পাথরের ওজন প্রায় ২.৫ টন। পুরো পিরামিডে প্রায় ২৩ লাখ পাথর ব্যবহার করা হয়েছে। যদি প্রতিদিন ১০টি পাথর বসানো হতো, তাহলে পুরো পিরামিড তৈরি হতে ৬৩ বছর লাগত। এটি কীভাবে মাত্র ২০ বছরের মধ্যে সম্পন্ন করা হয়েছিল, তা এক বিশাল প্রশ্ন।
জ্যামিতিক নিখুঁত গঠন
পিরামিডের প্রতিটি কোণ প্রায় ৫১.৮৪ ডিগ্রি। যা প্রকৌশলগতভাবে স্থিতিশীল একটি কাঠামো গঠনের জন্য আদর্শ। আশ্চর্যের বিষয় হলো, আজকের আধুনিক স্থাপত্যশাস্ত্রেও এই কোণটি ব্যবহৃত হয়।
পিরামিড শুধু রাজাদের সমাধি নয়, বরং এটি এক গাণিতিক বিস্ময়। প্রাচীন মিশরীয়রা কীভাবে এত নিখুঁত গণনা করতে পারত, তা এখনো রহস্য। এটি কি শুধুই গণিত ও প্রকৌশলের ফল, নাকি এর পেছনে আরো গভীর কোনো গোপন রহস্য লুকিয়ে আছে? গবেষকরা এখনো এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজছেন।
সূত্র : ব্রিটানিকা