ঢাকা, শনিবার ১২ এপ্রিল ২০২৫
২৮ চৈত্র ১৪৩১, ১২ শাওয়াল ১৪৪৬

ঢাকা, শনিবার ১২ এপ্রিল ২০২৫
২৮ চৈত্র ১৪৩১, ১২ শাওয়াল ১৪৪৬

পরিকল্পিত আবাসনের লক্ষ্য নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে দেশ

রেজাউল করিম সিদ্দিকী
রেজাউল করিম সিদ্দিকী
শেয়ার
পরিকল্পিত আবাসনের লক্ষ্য নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে দেশ

খাদ্য, বস্ত্র, বাসস্থান, চিকিৎসা ও শিক্ষা আমাদের মহান সংবিধান স্বীকৃত মৌলিক অধিকার। নাগরিকদের এসব মৌলিক অধিকার নিশ্চিত করতে সরকার সম্ভব সব পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে এবং করছে। দেশের প্রত্যেকটি নাগরিকের জন্য ন্যূনতম খাদ্য চাহিদা দুই হাজার ১২০ কিলোক্যালরি নিশ্চিত করতে যেমন সরকার খাদ্য নিরাপত্তাকে অগ্রাধিকার প্রদান করছে, তেমনি চিকিৎসা ও মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিতে সরকার শিক্ষাব্যবস্থায় প্রতিবছর বিনিয়োগ করছে বিশাল অঙ্কের টাকা। একই সঙ্গে প্রত্যেক নাগরিকের জন্য নিরাপদ, মানসম্মত ও সাশ্রয়ী মূল্যে বাসস্থানের ব্যবস্থা করতেও সরকার প্রতিবছর বাজেট বরাদ্দ বৃদ্ধি করছে আবাসন খাতে।

শহর ও শহরতলিতে নাগরিকদের আবাসন সমস্যা সমাধানে নিরন্তর কাজ করে যাচ্ছে গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় ও এর অধীন দপ্তর বা সংস্থাগুলো। এর অংশ হিসেবে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা ‘সবার জন্য আবাসন, কেউ থাকবে না গৃহহীন’ এবং টেকসই উন্নয়ন অভিলক্ষ্য সামনে রেখে গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করছে। এই মন্ত্রণালয়ের চলমান কার্যক্রম ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনার কিছু খণ্ডিত চিত্র অতিসংক্ষেপে আলোচনা করা যেতে পারে।  

গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় সারা দেশে অঞ্চলভিত্তিক উন্নয়ন মহাপরিকল্পনা প্রণয়ন, হালনাগাদকরণ ও সমন্বয় করে যাচ্ছে।

এ ছাড়া প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা, ‘গ্রামের মানুষকে শহরের সুবিধা প্রদান করা’ বাস্তবায়নের লক্ষ্যে  সারা দেশের বিভিন্ন জেলা-উপজেলার মাস্টারপ্ল্যান প্রণয়ন কার্যক্রম পরিচালনা করছে এই মন্ত্রণালয়।

রাজধানী ঢাকার বিদ্যমান ডিটেইল্ড এরিয়া প্ল্যান (ড্যাপ) রিভিউপূর্বক আরো বাস্তবসম্মত, সময়োপযোগী করে ২০১৬-২০৩৫ মেয়াদি একটি  পরিকল্পনার খসড়া অনুমোদিত হয়েছে। গণশুনানি করে এটি শিগগিরই চূড়ান্ত করা হবে। রাজশাহী মহানগরীর আওতাভুক্ত ৩৬৪ বর্গকিলোমিটার এলাকায় দুর্যোগ ঝুঁকিপূর্ণ সংবেদনশীল মাস্টারপ্ল্যান প্রণয়নের কাজ প্রায় সমাপ্ত।
নগর উন্নয়ন অধিদপ্তর কর্তৃক কুষ্টিয়া সদর উপজেলার ৩১৮.২৩ বর্গকিলোমিটার এলাকার মাস্টারপ্ল্যান ও চট্টগ্রামের মিরেরসরাইয়ের ৪৮২.৮৮ বর্গকিলোমিটার এলাকার মাস্টারপ্ল্যান প্রণয়নের কাজ সমাপ্তির পর্যায়ে রয়েছে। পটুয়াখালী ও বরগুনার মোট সাতটি উপজেলার ৩৩২২.৭৭ বর্গকিলোমিটার এলাকার উন্নয়ন পরিকল্পনা (মাস্টারপ্ল্যান) প্রণয়ন চলমান রয়েছে। পরিকল্পিত নগরায়ণের লক্ষ্যে এই মন্ত্রণালয়ে নগর ও অঞ্চল পরিকল্পনা আইন প্রণয়নের কাজ চলমান আছে।  জাইকার সহযোগিতায় আধুনিক ও পরিবেশবান্ধব ইটের বিকল্প ব্লক তৈরির জন্য ‘Verification survey with the private sector for  Disseminating Japanese  Technologies for Non-fired  Solidification Ad Brick Manufacturing process’ শীর্ষক প্রকল্পের কাজ সমাপ্ত হয়েছে। এর ফলে ২০২৫ সালের মধ্যে ইটের ব্যবহার শূন্যের কোঠায় হ্রাসের সরকারি নীতি বাস্তবায়ন ত্বরান্বিত হবে।
এ ছাড়া হাউজিং অ্যান্ড বিল্ডিং রিসার্চ ইনস্টিটিউট কর্তৃক পরিবেশবান্ধব Autoclave Aerated Concrete Panel তৈরির জন্য Pilot plant তৈরির কাজ চলমান রয়েছে।

রাজধানী ঢাকার জলাবদ্ধতা ও যানজট নিরসন এবং সৌন্দর্য বর্ধনের লক্ষ্যে লেক উন্নয়ন, খাল খনন, পার্ক বা উদ্যান স্থাপন ও উন্নয়ন, ফ্লাইওভার নির্মাণ কার্যক্রম চলমান রয়েছে। কার্যক্রমগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য কয়েকটি নিচে উল্লেখ করা হলো। 

কুড়িল-পূর্বাচল লিংক রোডের উভয় পাশে (কুড়িল থেকে বালু নদ) পর্যন্ত ১০০ ফুট চওড়া খাল খনন ও উন্নয়ন শীর্ষক প্রকল্পের ২.৫ মিটার গভীরতায় ১০০ ফুট চওড়া খালের মাটি খননকাজ সমাপ্ত হয়েছে। এ ছাড়া গুলশান-বনানী-বারিধারা লেক উন্নয়ন ও উত্তরা লেক উন্নয়ন প্রকল্পের কাজ চলমান রয়েছে। এ ছাড়া রমনা পার্কের সৌন্দর্য বৃদ্ধিকল্পে ‘ঢাকাস্থ রমনা পার্কের অবকাঠামোগত এবং রমনা লেকসহ সার্বিক সৌন্দর্য বৃদ্ধিকরণ’ শীর্ষক প্রকল্পের কাজ চলমান রয়েছে। ঢাকা শহরের জলাবদ্ধতা নিরসন ও সৌন্দর্য বৃদ্ধিকরণের লক্ষ্যে হাতিরঝিল, গুলশান, বনানী, উত্তরা, কুড়িল ও পূর্বাচল এলাকায় ৩৯.০০ কিলোমিটার খাল খনন করা হয়েছে। ভবিষ্যতে আরো ৫৫.০০ কিলোমিটার খাল খনন করা হবে। 

তুরাগ নদের বন্যাপ্রবাহ অঞ্চলের ৯১২৫.০০ একর এলাকার ৬২ শতাংশ জায়গা জলাধার হিসেবে সংরক্ষিত রেখে অবশিষ্ট এলাকায় কমপ্যাক্ট টাউনশিপ নির্মাণের পরিকল্পনা রয়েছে। পিপিপির আওতায় ১০.২০ কিলোমিটার ফ্লাইওভার ও মিরপুরে স্যাটেলাইট টাউন নির্মাণ করা হবে।

চট্টগ্রাম শহরের জলাবদ্ধতা দূরীকরণ, পরিবেশ উন্নয়ন, চিত্তবিনোদন ও যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নের লক্ষ্যে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ্যের মাধ্যমে প্রায় ১৮ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে বিভিন্ন প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য কার্যক্রম ও তার অগ্রগতি নিম্নরূপ :

চট্টগ্রাম শহরের জলাবদ্ধতা নিরসনে ৩৫টি খাল পরিষ্কার ও পুনর্খননকাজ চলমান রয়েছে। ২৪টি খালের পারে রিটেইনিং ওয়ালের কাজ চলমান রয়েছে। ৫৪টি ব্রিজ ও কালভার্টের কাজ চলমান। চট্টগ্রামের মুরাদপুর থেকে লালখানবাজার পর্যন্ত ৬.২ কিলোমিটার ফ্লাইওভারের নির্মাণকাজ সম্পন্ন হয়েছে এবং লালখানবাজার থেকে  শাহ আমানত বিমানবন্দর পর্যন্ত ১৬.৫০ কিলোমিটার ফ্লাইওভার নির্মাণের কাজ চলমান। চট্টগ্রাম শহরের যানজট নিরসনের লক্ষ্যে ১৫.২০ কিলোমিটার রিংরোড নির্মাণ প্রকল্পের কাজও সমাপ্তির পর্যায়ে। 

গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়াধীন বিভিন্ন সংস্থার আওতায়   ঢাকা, চট্টগ্রাম মহানগরীসহ দেশের বিভিন্ন জেলা ও উপজেলা শহরে ৩৫ হাজার ৩৬৫টি প্লট উন্নয়ন এবং আট হাজার ৯১২টি ফ্ল্যাট নির্মাণের কাজ সম্পন্ন হয়েছে। এ ছাড়া গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন প্রকল্পের আওতায় ১৮ হাজার ১০৫টি প্লট উন্নয়ন এবং সাত হাজার ৯৬০টি ফ্ল্যাট নির্মাণের কাজ চলমান। জেলা ও উপজেলা পর্যায়েও প্লট ও ফ্ল্যাট উন্নয়নে প্রকল্প বাস্তবায়িত হচ্ছে। ভব্যিষতে সারা দেশে ১৮ হাজার ১৪৮টি প্লট উন্নয়ন ও এক লাখ ৪১ হাজার ৬৮৭টি ফ্ল্যাট নির্মাণের পরিকল্পনা রয়েছে সরকারের। 

প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে ঢাকায় বসবাসরত বস্তিবাসীদের জন্য ৫৩৩টি ভাড়াভিত্তিক ফ্ল্যাট নির্মাণের কাজও চলমান এবং আরো ১০ হাজার ৫৩০টি  ফ্ল্যাট নির্মাণের পরিকল্পনা রয়েছে। সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য ৯টি প্রকল্পের আওতায় তিন হাজার ৬৮টি ফ্ল্যাট নির্মাণের কাজ সমাপ্ত হয়েছে। ঢাকা মহানগরীতে সরকারি কর্মচারীদের আবাসন সুবিধা ৮ থেকে ৪০ শতাংশে উন্নীতকরণে ঢাকা মহানগরীতে ১৩টি চলমান প্রকল্পের আওতায় ছয় হাজার ৮৭৯টি ফ্ল্যাটের নির্মাণকাজ চলমান রয়েছে। ঢাকা মহানগরীর বাইরে চট্টগ্রাম ও নোয়াখালীতে চারটি প্রকল্পের দুই হাজার ৮৯৬টি ফ্ল্যাট নির্মাণের কাজও চলমান রয়েছে। আরো আটটি প্রকল্পের আওতায় মোট আট হাজার ৮৩৫টি ফ্ল্যাট নির্মাণের অনুমোদন প্রক্রিয়াধীন। 

প্রধানমন্ত্রীর প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী রাজধানী ঢাকার পার্শ্ববর্তী এলাকায় চারটি স্যাটেলাইট সিটি নির্মাণের প্রকল্প গ্রহণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া পদ্মা বহুমুখী সেতুর উভয় প্রান্তে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট সিটি নির্মাণের পরিকল্পনা রয়েছে সরকারের। ঢাকার পূর্বাচলে আধুনিক ও নান্দনিক স্থাপত্যশৈলীসম্পন্ন ১৪২ তলা আইকনিক টাওয়ার নির্মাণ করা হবে।  পূর্বাচল নতুন শহরে পিপিপি পদ্ধতিতে ৬০ হাজার ফ্ল্যাট নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। 

বর্তমান সরকার ভিশন : ২০২১, ভিশন : ২০৪১, টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা, সপ্তম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা, প্রেক্ষিত পরিকল্পনা। বদ্বীপ পরিকল্পনা ২১০০ এবং সর্বোপরি বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ার লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে। সরকারের সব পরিকল্পনাই জনগণের কল্যাণে এবং জনগণের সর্বাত্মক অংশগ্রহণই এসব পরিকল্পনা বাস্তবায়নের মূল হাতিয়ার। সরকারের লক্ষ্য বাস্তবায়নে তাই আমাদের প্রত্যেকের উচিত নিজ নিজ ক্ষেত্র থেকে দেশের কল্যাণে আত্মনিয়োগ করা এবং সরকারের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য বাস্তবায়নে ভূমিকা রাখা। আর তাতে সুফলভোগী হব আমরা- অর্থাৎ সাধারণ নাগরিকরাই। 

লেখক : জনসংযোগ কর্মকর্তা, গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়

মন্তব্য

আপনার পাসপোর্ট কতটা শক্তিশালী?

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার

প্রথমবারের মতো বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী পাসপোর্টধারী দেশের স্বীকৃতি পেয়েছে উত্তর ইউরোপের দ্বীপরাষ্ট্র আয়ারল্যান্ড। কর ও অভিবাসনবিষয়ক আন্তর্জাতিক পরামর্শক সংস্থা নোমাড ক্যাপিটালিস্টের হালনাগাদ সূচকে এ তথ্য জানানো হয়েছে। 

শক্তিশালী পাসপোর্টের এ সূচকে বিশ্বের ১৯৯টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের পাসপোর্টের অবস্থান কত?

বিস্তারিত ভিডিওতে... 

 

মন্তব্য
স্বরণ

শামসুন নাহার মাহমুদের মৃত্যুবার্ষিকী আজ

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
শামসুন নাহার মাহমুদের মৃত্যুবার্ষিকী আজ
সংগৃহীত ছবি

শামসুন নাহার মাহমুদের মৃত্যুবার্ষিকী আজ। তিনি ছিলেন এদেশের নারী মুক্তি আন্দোলনের অন্যতম নেত্রী, বিশিষ্ট সাহিত্যিক, শিক্ষাবিদ ও লেখক। ১৯০৮ সালের ফেনী (বৃহত্তর নোয়াখালী) জেলার গুথুমা গ্রামে তার জন্ম। তার পিতা মুহম্মদ নুরুল্লাহ ছিলেন মুন্সেফ।

খানবাহাদুর আব্দুল আজিজ তার মাতামহ এবং হাবীবুল্লাহ্ বাহার চৌধুরী ছিলেন সহোদর ভ্রাতা। 

শিক্ষাজীবনের শুরুতে তিনি চট্টগ্রামের খাস্তগীর গার্লস হাইস্কুলে ভর্তি হন, কিন্তু সামাজিক অনুশাসনের কারণে তার স্কুলে যাওয়া বন্ধ হয়ে যায়। পরে নিজ চেষ্টায় তিনি প্রাইভেট পরীক্ষা দিয়ে ম্যাট্রিক (১৯২৬) পাশ করেন। পরে ডাক্তার ওয়াহিদউদ্দীন মাহমুদের সঙ্গে বিয়ে হওয়ায় (১৯২৭) তিনি উচ্চশিক্ষার সুযোগ পান।

 

তিনি ১৯৪২ সালে এমএ পাশ করেন। বিএ পাশ করার পর বেগম রোকেয়া সাখাওয়াত মেমোরিয়াল হাইস্কুল থেকে তাকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়। পরে তিনি বেগম রোকেয়ার নারীশিক্ষা ও নারীমুক্তি আন্দোলনে যুক্ত হন।

শামসুন্নাহার লেডি ব্রাবোর্ন কলেজে বাংলা বিভাগের অধ্যাপক হিসাবে কর্মজীবন শুরু করেন।

কলকাতায় থাকাকালে কবি কাজী নজরুল ইসলামের সঙ্গে তার বহুবার সাক্ষাৎ হয়েছে। নজরুল তাকে সাহিত্যচর্চায় উদ্বুদ্ধ করেন। শামসুন্নাহার নিয়মিত বঙ্গীয় মুসলমান সাহিত্য সম্মেলনে যোগ দিতেন। 

১৯৫২ সালে তিনি পূর্ব পাকিস্তানের পক্ষ থেকে তুরস্ক ও মধ্যপ্রাচ্য সফর করেন। তিনি কলম্বোয় অনুষ্ঠিত ইন্টারন্যাশনাল কাউন্সিল অব উইমেন দলের নেতৃত্ব দেন এবং সমগ্র এশিয়ার জন্য এই আন্তর্জাতিক মৈত্রী সংঘের আঞ্চলিক পরিচালক পদে নিয়োজিত হন।

এ ধরনের কাজের প্রয়োজনে তিনি বিভিন্ন সময়ে যুক্তরাষ্ট্র, ইংল্যান্ড, ইতালি, ফ্রান্স-এসব দেশ ভ্রমণ করেন। ১৯৬২ সালে তিনি জাতীয় পরিষদের সদস্য নির্বাচিত হন।

তার প্রথম লেখা কবিতা প্রকাশিত হয় কিশোরদের ‘আঙ্গুর’ নামক মাসিক পত্রিকায়। আইএ পড়ার সময় তিনি ‘নওরোজ ও আত্মশক্তি’ পত্রিকার মহিলা বিভাগ সম্পাদনা করতেন। কলকাতা থেকে প্রকাশিত ‘বুলবুল’ (১৯৩৩) পত্রিকা হবীবুল্লাহ্ বাহার ও শামসুন্নাহার যুগ্মভাবে সম্পাদনা করেছেন। 

তার উল্লেখযোগ্য কয়েকটি গ্রন্থ-পুণ্যময়ী (১৯২৫), ফুলবাগিচা (১৯৩৫), বেগম মহল (১৯৩৬), রোকেয়া জীবনী (১৯৩৭), শিশুর শিক্ষা (১৯৩৯), আমার দেখা তুরস্ক (১৯৫৫), নজরুলকে যেমন দেখেছি (১৯৫৮) ইত্যাদি। 

১৯৬৪ সালের ১০ এপ্রিল (আজকের দিনে) ঢাকায় তার মৃত্যু হয়।

মন্তব্য

সব সময় আমরা চাঁদের এক দিকই দেখি কেন?

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
সব সময় আমরা চাঁদের এক দিকই দেখি কেন?
সংগৃহীত ছবি

আমরা পৃথিবী থেকে চাঁদকে যেভাবে দেখি, তাতে সব সময় চাঁদের একই দিক চোখে পড়ে। চাঁদের রূপ পূর্ণিমা বা অমাবস্যায় বদলালেও, তার গায়ে থাকা গর্ত বা দাগগুলো সব সময় একই রকম দেখা যায়।

চাঁদ নিজে ঘোরে, আর একই সঙ্গে পৃথিবীর চারপাশেও ঘোরে। চাঁদ নিজের অক্ষের চারপাশে একবার ঘুরতে সময় নেয় ২৭.৩ দিন।

পৃথিবীকে ঘিরে চাঁদের আবর্তনও হয় একই সময়ের মধ্যে। এ কারণে চাঁদ যতই ঘুরুক, আমাদের দিক থেকে সবসময় এটির একদিকই দেখা যায়।

তবে পুরোপুরি একপাশই যে দেখা যায়, সেটাও ঠিক না। চাঁদের হালকা দুলুনি (যার নাম লুনার লাইব্রেশন) থাকার কারণে আমরা একটু বেশি অংশ দেখতে পাই, মোটামুটি ৫৯% পর্যন্ত চাঁদের মুখ দেখা যায়।

এই ঘটনাকে বলা হয় টাইডাল লকিং। চাঁদ পৃথিবীর সঙ্গে টাইডালি লকড বা আকর্ষণ বলের কারণে একইভাবে আটকে গেছে। এটি সিনক্রোনাস রোটেশন নামেও পরিচিত।

চাঁদ যেভাবে টাইডালি লকড হলো
প্রায় ৪.৫ বিলিয়ন বছর আগে যখন চাঁদ নতুন তৈরি হচ্ছিল, তখন সেটি অনেক দ্রুত ঘুরছিল।

কিন্তু পৃথিবীর মহাকর্ষ বল চাঁদের ওপর আকর্ষণ তৈরি করে। যার ফলে চাঁদের ঘোরা ধীরে ধীরে কমে যায়। এক সময় চাঁদের নিজস্ব অক্ষপথে ঘোরার গতি আর পৃথিবীকে একবার ঘুরে আসার সময় এক হয়ে যায়। তখন থেকেই চাঁদ পৃথিবীর দিকে একই দিক ধরে রাখে।
 
তাহলে চাঁদের আলো কম-বেশি লাগে কেন?
যদিও আমরা সবসময় চাঁদের একদিক দেখি, সেই অংশের সবটাই কিন্তু একসঙ্গে সূর্যের আলো পায় না।
সেটা নির্ভর করে চাঁদ কোথায় আছে এবং সূর্য থেকে আলো কিভাবে পড়ছে তার ওপর। এই পরিবর্তনকে বলা হয় চাঁদের রূপ পরিবর্তন বা ফেজ। চাঁদের রূপ বা ফেজ বদলের পুরো একটা চক্র থাকে— নতুন চাঁদ (অমাবস্যা) থেকে পূর্ণ চাঁদ, আবার নতুন চাঁদে ফিরে আসা পর্যন্ত। এই পুরো চক্র শেষ হতে সময় লাগে প্রায় ২৯.৫ দিন।
কখনো অর্ধেক চাঁদ দেখা যায়, কখনো একটু বেশি মাত্রায়, কখনো আবার পুরোটা (পূর্ণিমা) আবার কখনো একেবারেই দেখা যায় না (অমাবস্যা)। মনে রাখা জরুরি যে চাঁদের অর্ধেক অংশ সব সময় সূর্যের আলোয় ভাসে। কিন্তু আমরা সব সময় সেই অংশটুকুই দেখতে পাই না।

অনেকে চাঁদের যেদিক আমরা দেখতে পাই না, তাকে ডার্ক সাইড বলেন। কিন্তু সেটি সব সময় অন্ধকার থাকে না। তাই জ্যোতির্বিদরা সেটাকে ফার সাইড অব দ্য মুন বা চাঁদের দূরের দিক বলেন।

সূত্র : বিবিসি

মন্তব্য

প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ

গত ৭ ও ৮ এপ্রিল কালের কণ্ঠের পত্রিকার প্রিন্ট এবং অনলাইন ভার্সনে ‘ক্লিনিকের জমি দখলে বাধা দেওয়ায় ইউপি সদস্যসহ ৫ জনকে কুপিয়ে জখম’ ও ‘পাঁচজনকে কুপিয়ে কমিউনিটি ক্লিনিকের জমি দখল’ শিরোনামে প্রকাশিত প্রতিবেদন দুটিতে প্রতিবাদ জানিয়েছেন মো. আল আমিন ভূঁইয়া।

প্রতিবাদলিপিতে বলা হয়, প্রকাশিত প্রতিবেদনটি মিথ্যা তথ্যের ভিত্তিতে এবং শব্দের ভুল চয়ন ও ব্যবহারের কারণে জনমনে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করেছে এবং আমার নাম ও অবস্থান ভুলভাবে উপস্থাপিত হয়েছে। প্রকাশিত সংবাদটি সম্পূর্ণ ভুয়া, বানোয়াট ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত এবং আমাকে সামাজিক ও দাপ্তরিকভাবে হেয়প্রতিপন্ন করার জন্য স্থানীয় নূর মোহাম্মদ মেম্বার ষড়যন্ত্র করছেন।

আরো পড়ুন
সালমান আর নাসির ছাড়া তেমন কোনো পুরুষ আমি দেখতে পাইনি

সালমান আর নাসির ছাড়া তেমন কোনো পুরুষ আমি দেখতে পাইনি

 

প্রকৃত ঘটনা হচ্ছে, বোড়ারচর কমিউনিটি ক্লিনিকের সাথেই আমাদের ক্রয়কৃত জায়গা বিদ্যমান রয়েছে।

উক্ত জায়গায় আমার সহোদর ভাই একটি দোকান নির্মাণ করতে যাওয়ায় স্থানীয় ইউপি সদস্য ও থানা পুলিশ বাধা প্রদান করলে কাজ বন্ধ রেখে পরের দিন রবিবার স্থানীয় মুরাদনগর থানায় আমিসহ আমার ভাই ওসির সাথে সরাসরি সাক্ষাৎ করি। ওসির সাথে স্পষ্টতই আমরা বলি যে, হাসপাতালের জন্য বরাদ্দকৃত জায়গা ৫ শতক। অথচ স্থানীয় ইউপি সদস্য নূর মোহাম্মদ মেম্বার অত্যন্ত কৌশলে ও তার হীন স্বার্থ চরিতার্থ করার জন্য মুরাদনগর উপজেলা হাসপাতালের প্রধান ডা. সিরাজুল ইসলাম মানিক কর্তৃক স্বাক্ষরিত একটি পত্রে হাসপাতালের বরাদ্দকৃত জায়গা ৫ শতকের স্থলে ৬ শতক দেখিয়ে আমাকে সরেজমিন দখলকারী হিসেবে একটি মিথ্যা ও বানোয়াট অভিযোগ স্থানীয় থানায় দেওয়া হয়, যেখানে আমি ওই দিন ঢাকায় সশরীরে উপস্থিত ছিলাম। পুলিশ অভিযোগের ভিত্তিতে শনিবার বোড়ারচর বাজারে গিয়ে নির্মাণকাজে বাধা প্রদান করলে আমার ভাই মো. কামাল কাজ সম্পূর্ণভাবে বন্ধ রাখেন।
শনিবার নুর মোহাম্মদ মেম্বারের সাথে কোনো ধরনের মারামারি সংঘটিত হয়নি। এমনকি এই জায়গা দখল নিয়ে কোনো ধরনের মামলাও হয়নি।

প্রতিবাদে আরো বলা হয়, প্রকৃতভাবে নূর মোহাম্মদ মেম্বার হাসপাতাল সংলগ্ন সরকারি প্রাইমারি স্কুলের রাস্তার (হালটে) উপরে অবৈধভাবে ৭/৮টি দোকান নির্মাণ করে দীর্ঘ অনেক বছর যাবত ভোগ দখল করে আসছে যার প্রতিবাদ করলে রবিবার মো. কামাল ভূঁইয়া কে নূর মোহাম্মদ মেম্বারসহ তার দলবল আক্রমণ করে  আমার ভাইকে মাথায় গভীর ক্ষত সৃষ্টি করে। সংবাদে আমাকে আসামি দেখালেও আমার নামে কোন মামলা নেই এবং মারামারির সাথে আমার কোন সংশ্লিষ্টতাই ছিল না।

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ