<p>আমি যখন একজন মিনিস্টার হিসেবে কূটনৈতিক দায়িত্ব নিয়ে বাংলাদেশের ওয়াশিংটন ডিসিতে দূতাবাসে কাজ করতে যাই, তখন ১৯৯৩ সালের শুরু। যুক্তরাষ্ট্রের ৪১তম প্রেসিডেন্ট জর্জ এইচ ডব্লিউ বুশের এক টার্মের প্রেসিডেন্সির শেষ সময়। প্রেসিডেন্ট বুশ ডেমোক্রেটিক দলের তরুণ, সুদর্শন ও মেধাবী প্রার্থী বিল ক্লিনটনের কাছে শোচনীয়ভাবে হেরে যান।</p> <p>বিল ক্লিনটন ছিলেন আরকানস রাজ্যের গভর্নর। তাঁর স্ত্রী হিলারি ক্লিনটন একজন তরুণ আইনজীবী হিসেবে তখনই অত্যন্ত জনপ্রিয়। সাবেক প্রেসিডেন্ট নিক্সনের বিরুদ্ধে আনীত ওয়াটার গেট মামলার একজন আইনজীবী হিসেবে কাজ করেছেন হিলারি। পরবর্তী পর্যায়ে তিনি রিপাবলিকান দলীয় প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে লড়েছিলেন। বিতর্কিত সে নির্বাচনে হিলারি ক্লিনটন হেরে গেলেও এর আগে তিনি ৪৪তম ডেমোক্রেটিক দলীয় প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার সময় যুক্তরাষ্ট্রের সেক্রেটারি অব স্টেট (পররাষ্ট্রমন্ত্রী) হিসেবে মোটামুটি দক্ষতার সঙ্গেই কাজ করেছিলেন।</p> <p>বাংলাদেশের বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস এর বহু আগে থেকেই বিল ক্লিনটন, হিলারি ক্লিনটন ও বারাক ওবামার সঙ্গে ব্যক্তিগতভাবে পরিচিত ছিলেন। কারণ অধ্যাপক ইউনূস ১৯৬৫ সালেই একজন ফুলব্রাইট স্কলার হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রে গিয়েছিলেন এবং ১৯৭১ সালে ভ্যানডারবিল্ট বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্থনীতিতে পিএইচডি করে মিডল টেনাসি স্টেট ইউনিভার্সিটিতে অধ্যাপনা শুরু করেছিলেন। সুতরাং তখন থেকেই প্রতিবেশী রাজ্য আরকানস (লিটলরক) কিংবা শিকাগো নগরীতে তাঁর আসা-যাওয়া ছিল। এবং তা থেকেই গণতন্ত্রমনা বিল ক্লিনটন, হিলারি কিংবা বারাক ওবামার সঙ্গে ক্রমে ক্রমে ড. ইউনূসের অন্তরঙ্গতা গড়ে ওঠে। তারপর বাংলাদেশ সরকার, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় এবং গ্রামীণ ব্যাংকের কাজে ব্যস্ত হয়ে পড়েন তিনি। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রে আসা-যাওয়া বন্ধ হয়নি, বরং বিভিন্ন কাজে সম্পৃক্ততার কারণে অনেক বেড়ে গিয়েছিল।</p> <p>ইউনূসকে জড়িয়ে ধরার সময় বাইডেনের অভিব্যক্তি তাঁর হৃদয় থেকে উৎসারিতসামরিক স্বৈরশাসক এরশাদের পতনের দাবিতে ১৯৯০-এর শেষের দিকে যখন বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে ছাত্র-জনতার আন্দোলন তুঙ্গে ওঠে, রাজনৈতিক কারণে তখন আমাকে ঘন ঘন ঢাকা-লন্ডন যেতে হতো। আমি তখন লন্ডনেই বসবাস করি এবং বাংলা ও ইংরেজিতে দুটি সাপ্তাহিক পত্রিকা সম্পাদনা করি এবং একটি প্রকাশনা সংস্থা চালাই। সে অবস্থায় ঢাকায় গেলে কোনো না কোনোভাবে অধ্যাপক ইউনূসের সঙ্গে দেখা ও আলাপ হয়েই যেত।</p> <p>তা ছাড়া তাঁর ছোট ভাই মুহাম্মদ জাহাঙ্গীর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নকালে পূর্ব পাকিস্তান ছাত্র ইউনিয়ন এবং পরবর্তীকালে বাংলা ছাত্র ইউনিয়নগতভাবে আমার ভাবশিষ্য ছিল। তদুপরি দুজনই সাংবাদিকতা করেছি একসঙ্গে। আমি মুক্তিযুদ্ধকালে ছাত্র ইউনিয়নের (বাংলা) ভারপ্রাপ্ত সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছি। সেসব কারণে ইউনূস ভাইয়ের সঙ্গে একটা সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এরশাদ সরকারের পতনের পর ক্ষমতাসীন হয় খালেদা জিয়ার নেতৃত্বাধীন বিএনপি।</p> <p>বহু কিছুর পর অর্থাৎ ঘটনা ঘটার পর খালেদা জিয়া সিদ্ধান্ত নেন যে তিনি আমাকে যুক্তরাষ্ট্রে পাঠাবেন, বিশেষ করে গণমাধ্যমের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্কোন্নয়নের লক্ষ্যে। আমাকে সে দায়িত্ব দেওয়ার মূল কারণ হচ্ছে, ম্যাডাম মনে করতেন আমি দীর্ঘদিন লন্ডনের ফ্লিট স্ট্রিটে কাজ করেছি। সুতরাং আমাকে দিয়ে তাঁর কাজটা হয়তো হতেও পারে। ম্যাডামের সে সিদ্ধান্তের পর দেখা করলাম ইউনূস ভাইয়ের সঙ্গে, সঙ্গে ছিল জাহাঙ্গীর। সব কিছু শুনে তিনি (ইউনূস ভাই) খুশিই হলেন। বললেন, আপনি গিয়ে যোগ দিন, আমি কিছুদিনের মধ্যে আসছি।</p> <p>হোয়াইট হাউসে তখন হিলারি রডহ্যামসহ বিল ক্লিনটন মাত্র থিতু হয়েছেন। হঠাৎ খবর পেলাম অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস আসছেন শিগগিরই। দূতাবাসে ফোন পেলাম। কিন্তু আমি তখনো ধারণাই করতে পারিনি হিলারি ক্লিনটন ও বিল ক্লিনটনের সঙ্গে ড. ইউনূসের সম্পর্ক এতটা ঘনিষ্ঠ। ওয়াশিংটনের ডালেস ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্টে নেমে তাঁর জন্য নির্ধারিত হোটেলে এসেছিলেন তিনি। কিন্তু আমি আমার কূটনৈতিক নাম্বার প্লেটধারী কালো লিমুজিন নিয়ে তাঁকে না ধরতে পারলাম এয়ারপোর্টে, না হোটেলে। আমাদের তৎকালীন দূতাবাসের কাছেই ছিল ইউনূস ভাইয়ের ব্রিস্টল হোটেলটি।</p> <p>কথাবার্তার পর রিসেপশনিস্ট জানালেন, হোয়াইট হাউস থেকে গাড়ি এসে তুলে নিয়ে গেছে তাঁকে। কখন ফিরবেন তার কোনো ঠিক নেই। পরে ইউনূস ভাইয়ের কথাবার্তা থেকে জানতে পারলাম যে সারাটা বিকেল ও সন্ধ্যা তাঁরা (হিলারি ও বিল) হোয়াইট হাউসের পারিবারিক ডাইনিং রুমে বিভিন্ন কথাবার্তা ও অন্তরঙ্গভাব বিনিময়ে করে কাটিয়ে দিয়েছেন। লাঞ্চ, কফি ও ডিনার সেরেছেন। এর দুই দিন পর ওয়াশিংটনের এক বিশাল কনভেনশন হলে ভাষণ দিচ্ছিলেন ইউনূস ভাই। সরকারি অনুষ্ঠান, সেখানে উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা, কংগ্রেসম্যান ও ব্যবসায়ী থেকে শুরু করে কে নেই? সে অনুষ্ঠানে ক্ষুদ্রঋণ ও গ্রামীণ কৃষি শিল্প ব্যবস্থায় অবদানের জন্য তাঁকে পুরস্কৃত করা হলো। তখন থেকে হিলারি ক্লিনটনের সঙ্গে শিকাগো এবং মিডওয়েস্টের গ্রামীণ ব্যাংকের বন্ধকিমুক্ত ক্ষুদ্রঋণ বিতরণের পরিকল্পনা নেন তাঁরা।</p> <p>এই পরিকল্পনার সঙ্গে হিলারির মা ব্যক্তিগতভাবে জড়িত ছিলেন। তবে ওয়াশিংটন ডিসির মতো একটি সম্মেলনকক্ষে আমি যে গুরুত্বপূর্ণ মানুষের সমাবেশ সেদিন দেখেছিলাম, তাতে আমার আর বুঝতে বাকি থাকেনি, অধ্যাপক ইউনূসের জনপ্রিয়তা শুধু বাংলাদেশে নয়, যুক্তরাষ্ট্রেও কতটা ছড়িয়ে পড়েছে। এ কথা ঠিক যে ড. ইউনূস হিলারি ক্লিনটন, বিল ক্লিনটন ও বারাক ওবামার কারণে শুধু ডেমোক্রেটিক পার্টির রাজনৈতিক মহলে নয়, বিশ্বব্যাংক ও জাতিসংঘ পর্যায়েও কতটা সম্মান, জনপ্রিয়তা ও মর্যাদা আদায় করে নিয়েছেন।</p> <p>দারিদ্র্য বিমোচনের লক্ষ্যে বাংলাদেশে ১৯৮৩ সালের দিকে গ্রামীণ ব্যাংকের কার্যক্রম শুরু করেছিলেন ড. ইউনূস। কিন্তু দরিদ্র মানুষের প্রতি ভালোবাসার কারণে হোক অথবা তাঁর অক্লান্ত পরিশ্রমের কারণেই হোক, ১৯৯৩ সালের মধ্যেই অর্থাৎ ১০ বছরের মধ্যেই যুক্তরাষ্ট্রসহ সারা বিশ্বের মানবতাবাদী জনগোষ্ঠীর কাছে অত্যন্ত জনপ্রিয় হয়ে উঠেছিলেন ড. ইউনূস। তার পরই ড. ইউনূসকে নোবেল পুরস্কার প্রদানের জন্য সুপারিশ করেন যুক্তরাষ্ট্রের তৎকালীন প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটন। এবং তাঁর পক্ষে পর্যায়ক্রমে সাবেক প্রেসিডেন্ট জিমি কার্টার ও সাবেক প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামাও সস্ত্রীক বহু কথাবার্তা বলেছেন। তাঁকে শুধু বন্ধু হিসেবে নয়, একজন মানবহিতৈষী হিসেবেও স্থান দিয়েছেন তাঁদের অন্তরে। সে কারণে শুধু ২০০৬ সালে নোবেল পুরস্কারই নয়, ২০০৯ সালে ইউএস প্রেসিডেনশিয়াল গোল্ড মেডেল এবং ২০১০ সালে কংগ্রেশনাল গোল্ড মেডেলও লাভ করেন অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।</p> <p>বহু আগে থেকে যুক্তরাষ্ট্রব্যাপী দরিদ্র জনগোষ্ঠীর জন্য বন্ধকিমুক্ত ক্ষুদ্রঋণ ব্যবস্থা প্রচলনের উদ্যোগ গ্রহণ করা হলেও ২০০৮ সালে নিউইয়র্কে প্রথম গ্রামীণ আমেরিকা নামে ব্যাংক স্থাপন করা হয়েছিল। সে অলাভজনক ক্ষুদ্রঋণ ব্যবস্থা এখন শুধু নিউইয়র্কে নয়, ছড়িয়ে পড়েছে উমাহা, নেবরাস্কা, ইন্ডিয়ানাপোলিস, শার্লট, নর্থ ক্যারোলাইনা, সান ফ্রান্সিসকো, লস অ্যাঞ্জেলেস, সানজোস, ক্যালিফোর্নিয়া, অস্টিন, টেক্সাস, ইউনিয়ন সিটি, নিউজার্সি, বোস্টন, ম্যাসাচুসেটস, মায়ামি, সমগ্র ফ্লোরিডাসহ বিশাল যুক্তরাষ্ট্রের অন্যান্য অঞ্চলে। সে সমস্ত শহরাঞ্চলে দরিদ্র কিংবা শ্রমজীবী দরিদ্র মানুষ এখন বন্ধকি ছাড়াই ৫০০ ডলার থেকে আড়াই হাজার ডলার ঋণ নিতে পারে।</p> <p>এতে স্থানীয়ভাবে অর্থনীতি চাঙ্গা হয়েছে এবং বেকার গৃহবধূদের ন্যূনতমভাবে হলেও হিল্লা হচ্ছে। তারাও বাংলাদেশের গ্রামাঞ্চলের মানুষের মতো হাঁস-মুরগি পালন থেকে শুরু করে ক্ষুদ্র ব্যবসায় হাত দিয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রই হচ্ছে বিশ্বের উন্নত দেশগুলোর মধ্যে একমাত্র স্থান, যেখানে গ্রামীণ আমেরিকা ক্ষুদ্রঋণ ব্যবস্থা চালু করেছে। উল্লেখ্য যে ২০০৮ থেকে গ্রামীণ ও অন্যান্য স্থাপনা প্রায় সাড়ে সাত বিলিয়ন মার্কিন ডলার পুঁজি সংগ্রহ (জমা) করেছে। গ্রামীণ আমেরিকা ২০২৩ সাল পর্যন্ত তিন বিলিয়ন মার্কিন ডলার বিতরণ করেছে ঋণ হিসেবে।</p> <p>বিশ্বব্যাপী এখন গ্রামীণের ঋণ বিতরণের পরিমাণ প্রায় ৩৯ বিলিয়ন ডলার, যা প্রায় ১১ মিলিয়ন গ্রহীতার মধ্যে করা হয়েছে। এটা থেকে কিছুটা ধারণা করা যায় শুধু বাংলাদেশে নয়, যুক্তরাষ্ট্রের মতো সমৃদ্ধ দেশেও এ অবস্থায় যেতে ড. ইউনূসকে কতটা শ্রম দিতে হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের বাংলাদেশ দূতাবাসে কর্মরত অবস্থায় এবং তার পরও আরো বছর দুয়েক সেখানে থাকার কারণে নব্বইয়ের দশকে আমি ড. ইউনূসের কর্মতৎপরতা কিছু দেখতে পেয়েছি। বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় পড়েছি যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে গরিবের জন্য বন্ধকি মুক্ত ক্ষুদ্রঋণ ব্যবস্থা নিয়ে কথা বলতে।</p> <p>গরিবের ব্যাংকের সফল গল্পের কথা শুনতে এসে যুক্তরাষ্ট্রের ছাত্র-ছাত্রী ও সাধারণ মানুষ তাঁর মুখে বাংলাদেশের কথা শুনেছে। তাদের চোখের সামনে ভেসে উঠেছে দূর বাংলাদেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষের দৈনন্দিন জীবনসংগ্রামের এক অকল্পনীয় কিংবা অদেখা দৃশ্যাবলি। সহানুভূতি থেকেই হোক কিংবা সহমর্মিতা থেকেই হোক, তারা সে খেটে খাওয়া মানুষকে ভালোবেসে ফেলেছে, ভালোবেসে ফেলেছে বাংলাদেশের সাধারণ মানুষের জীবনসংগ্রামের গল্প বলা ইউনূস স্যারকে, বাংলাদেশকে।</p> <p>বাংলাদেশের সাফল্য যদি কোনো ক্ষেত্রে কিছু থেকে থাকে, তাহলে প্রকৃত অর্থে তা সম্ভব হয়েছে অধ্যাপক ড. ইউনূসের মতো কিছু কঠোর পরিশ্রমী, সৎ ও স্বার্থহীন মানুষের কারণে। সে কারণেই যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটন কিংবা তাঁর স্ত্রী হিলারি ক্লিনটন, সাবেক প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা কিংবা নবতিপর বৃদ্ধ সাবেক প্রেসিডেন্ট জিমি কার্টার থেকে শুরু করে কৃষ্ণাঙ্গ শ্রমজীবী মানুষ কিংবা বিশ্ববিদ্যালয়ের মানবতাবাদী ছাত্র-ছাত্রীরা দূর বাংলাদেশের এক স্বপ্নের ফেরিওয়ালা ইউনূসকে এত ভালোবাসে। তারা আরো ভালোবাসে যখন ইউনূস বলেন, ‘আসুন, পৃথিবী থেকে দারিদ্র্য, বেকারত্ব ও দূষণকে বিদায় জানাই।’</p> <p>সে কারণেই যুক্তরাষ্ট্রের বর্তমান প্রবীণ প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের কাছে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের এত সম্মান। দেখা হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে জাতিসংঘের সভাকক্ষে তাই পরম মমতায় বুকে জড়িয়ে ধরেছিলেন ইউনূসকে। ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে তিনি প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটনের সময় থেকেই চেনেন। ঘনিষ্ঠভাবে দেখেছেন ওবামার ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসেবে কাজ করার সময়। তা ছাড়া তাঁর নিজস্ব প্রেসিডেন্সির সময়ও জো বাইডেন ড. ইউনূসকে গভীরভাবে দেখার সুযোগ পেয়েছেন। সুতরাং ইউনূসকে জাতিসংঘের সভাকক্ষে জড়িয়ে ধরার সময় বাইডেনের চেহারায় যে অভিব্যক্তি প্রকাশিত হয়েছে, তা তাঁর হৃদয় থেকে উৎসারিত, লোক-দেখানো নয়।</p> <p><em>লেখক : বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থার (বাসস) সাবেক প্রধান সম্পাদক ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক</em></p> <p><em>gaziulhkhan@gmail</em><br />  </p>