ঢাকা, শুক্রবার ২১ মার্চ ২০২৫
৭ চৈত্র ১৪৩১, ২০ রমজান ১৪৪৬

ঢাকা, শুক্রবার ২১ মার্চ ২০২৫
৭ চৈত্র ১৪৩১, ২০ রমজান ১৪৪৬

সিন্দাবাদ, বাস্তব নাকি কল্পনা?

শেয়ার
সিন্দাবাদ, বাস্তব নাকি কল্পনা?
সংগৃহীত ছবি

‘আমি সিন্দাবাদ, নাবিক, সমুদ্রই আমার জীবন!’ এই এক বাক্যেই প্রকাশ পায় এক দুঃসাহসী অভিযাত্রীর কাহিনি, যার নাম সিন্দাবাদ। মধ্যপ্রাচ্যের লোকগাথায় তিনি কেবল একজন নাবিক নন। বরং রোমাঞ্চ, বিপদ আর ভাগ্যের খেলায় এক কিংবদন্তি চরিত্র।

সিন্দাবাদের গল্প আরব্য রজনী (One Thousand and One Nights) গ্রন্থে পাওয়া যায়।

তবে বইটির প্রাচীন সংস্করণে গল্পগুলো ছিল না। পরে সংযোজন করা হয়েছে বলে মনে করা হয়। অনেক ইতিহাসবিদের মতে, সিন্দাবাদের চরিত্রটি আরব, পারস্য ও ভারতীয় নাবিকদের অভিজ্ঞতা থেকে অনুপ্রাণিত। ৮ম থেকে ৯ম শতাব্দীতে আরব নাবিকরা ভারত মহাসাগর, দক্ষিণ এশিয়া ও পূর্ব আফ্রিকার দিকে যাত্রা করতেন।
এসব নাবিকের মুখে মুখে প্রচলিত গল্প থেকেই সিন্দাবাদের জন্ম হতে পারে।

সিন্দাবাদের কাহিনি মূলত সাতটি ভিন্ন অভিযানের ওপর ভিত্তি করে রচিত। প্রতিটি অভিযানে তিনি নতুন এক রহস্যময় স্থানে পৌঁছান, অদ্ভুত সব প্রাণীর মুখোমুখি হন এবং ভাগ্যের জোরে সেখান থেকে প্রাণে বেঁচে ফিরে আসেন।

সিন্দাবাদ চরিত্রের প্রভাব

সিন্দাবাদের কাহিনি কেবল রূপকথা নয়।

বরং এটি মধ্যযুগীয় বাণিজ্য, সামুদ্রিক অভিযান এবং বিপদ-সাহসের প্রতিচিত্র। এই গল্প ইউরোপ, ভারত এবং চীনের সাহিত্য ও সংস্কৃতিতেও প্রভাব ফেলেছে। পরবর্তীতে সিনেমা, কার্টুন, উপন্যাস ও কমিক্সে সিন্দাবাদকে নিয়ে বহুবার নতুন করে গল্প বলা হয়েছে।

সিন্দাবাদের প্রভাব জনপ্রিয় সংস্কৃতিতে

সিন্দাবাদের কিংবদন্তি তার মূল সাহিত্যিক উৎস থেকে একটি বিশ্বজনীন সাংস্কৃতিক প্রতীক হয়ে উঠেছে। শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে সিন্দাবাদের কাহিনীগুলো বিভিন্ন রূপে পুনরায় বলা হয়েছে।

যার মধ্যে রয়েছে সিনেমা, টেলিভিশন শো এবং সাহিত্য। হলিউড সিনেমা থেকে শুরু করে অ্যানিমেটেড সিরিজ পর্যন্ত প্রতিটি তাদের নিজস্ব ব্যাখ্যা দিয়ে ঐতিহাসিক এ নাবিকের অভিযানের চিত্র তুলে ধরেছে। বিশেষভাবে ১৯৫৮ সালের ‘The 7th Voyage of Sinbad’ সিনেমা। যা ‘রে হ্যারি হাউসেন’ পরিচালিত ফ্যান্টাসি জনরায় একটি ক্লাসিক সিনেমা। পরিচালক সিন্দাবাদের চরিত্রকে নতুন প্রজন্মের ভক্তদের কাছে পরিচিত করে তোলে। 

সিন্দাবাদ সত্যিকারের ব্যক্তি ছিলেন কিনা, তা নিশ্চিত করে বলা যায় না। তবে তাঁর গল্প আজো মানুষের কল্পনাকে উজ্জীবিত করে, যেমনটি করেছিল শত বছর আগে। বাস্তব হোক বা রূপকথা, সিন্দাবাদের কাহিনি প্রমাণ করে সাহস, ধৈর্য আর বুদ্ধি দিয়ে মানুষ যেকোনো বিপদ জয় করতে পারে।

সূত্র: রেভলক্স ডট কম

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

স্বরণ

'স্বোপার্জিত স্বাধীনতা'-এর ভাস্কর শামীম সিকদারের মৃত্যুবার্ষিকী আজ

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
'স্বোপার্জিত স্বাধীনতা'-এর ভাস্কর শামীম সিকদারের মৃত্যুবার্ষিকী আজ
সংগৃহীত ছবি

বাংলাদেশি ভাস্কর শামীম সিকদারের মৃত্যুবার্ষিকী আজ। ২০২৩ সালের ২১ মার্চ (আজকের দিনে) না ফেরার দেশে পাড়ি জমান তিনি। ঢাবির চারুকলা ইনস্টিটিউটের ভাস্কর্য বিভাগের একজন অধ্যাপক ছিলেন শামীম সিকদার। তিনি সিমেন্ট, ব্রোঞ্জ, কাঠ, প্লাস্টার অব প্যারিস, কাদা, কাগজ, স্টিল ও গ্লাস ফাইবার মাধ্যমে কাজ করতেন।

কমিউনিস্ট পন্থী নেতা সিরাজ সিকদার তার আপন বড় ভাই।

আরো পড়ুন
ওস্তাদ বিসমিল্লাহ খানের জন্মদিন আজ

ওস্তাদ বিসমিল্লাহ খানের জন্মদিন আজ

 

শামীম সিকদার ভাস্কর্যের ওপরে ঢাকার বুলবুল ললিতকলা একাডেমি থেকে ১৯৬৫ সাল থেকে ১৯৬৭ সাল পর্যন্ত ৩ বছরের একটি কোর্স সম্পন্ন করেন। এই কোর্সটির শিক্ষক ছিলেন মিস্টার সিভিস্কি, যিনি একজন বিখ্যাত ফরাসি ভাস্কর। লন্ডনের স্যার জন স্কুল অব কাস থেকে তিনি একটি সনদ অর্জন করেন ১৯৭৬ সালে।

১৯৯০ সালে চীনে মিস্টার লি ডুলি নামের একজন বিখ্যাত ভাস্করের সঙ্গে কাজ করেন এক বছরের মতো।

শামীম সিকদার ১৯৮০ সালে শিক্ষক হিসেবে কাজ শুরু করেন। ১৯৮৬ সালে সহকারী অধ্যাপকের দায়িত্ব লাভ করেন। সহযোগী অধ্যাপক হিসেবে দায়িত্ব পান ১৯৯৩ সালে।

এরপর ১৯৯৯ সালে অধ্যাপক হিসেবে পদোন্নতি লাভ করেন। এরপর ভাস্কর শামীম সিকদার চারুকলা ইনস্টিটিউটের শিক্ষকতা থেকে অবসর নিয়ে ইংল্যান্ড চলে যান।

১৯৮৮ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসিতে অবস্থিত স্বোপার্জিত স্বাধীনতা শিরোনামের ভাস্কর্য নির্মাণ করেন। তার সহকারী ছিলেন শিল্পী হিমাংশু রায়। ভাস্কর্যটির মূল বেদিতে আছে একাত্তরের বিভিন্ন ঘটনার চিত্র।

১৯৮৮ সালের ২৫শে মার্চ এটি স্থাপন করা হয়। 

স্বামী বিবেকানন্দের ভাস্কর্য নির্মাণ করেন ১৯৯৪ সালে যা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জগন্নাথ হলে অবস্থিত। ২০০০ সালে স্বাধীনতার সংগ্রাম ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাস্কর্য উদ্যানে বিভিন্ন বিখ্যাত ব্যক্তিদের ভাস্কর্য নির্মাণ করেন। ইস্কাটনে অবস্থিত জাতীয় ভাস্কর্য গ্যালারিতে নির্মাণ করেন তিনি যেখানে আছে বিশ্বের অন্যান্য ব্যক্তিদের ভাস্কর্য।

আরো পড়ুন
এলএনজি আনতে ৪২৭০ কোটি ঋণ নিচ্ছে সরকার, গ্যারান্টার বিশ্বব্যাংক

এলএনজি আনতে ৪২৭০ কোটি ঋণ নিচ্ছে সরকার, গ্যারান্টার বিশ্বব্যাংক

 

১৯৭৫ সালে চারুকলা ইনন্সটিটিউটে শামীম সিকদারের একক প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হয়। ১৯৭৬ সালে লন্ডনের কমনওয়েলথ ইনস্টিটিউটে, ১৯৮২ সালে প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁ হোটেলে এবং ঐ বছরই শিল্পকলা একাডেমিতে তার ভাস্কর্যের প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হয়। এছাড়াও তার অনেক একক প্রদর্শনী হয়েছে বিভিন্ন বাণিজ্যিক শিল্প গ্যালারিতে। তার ভাস্কর্যের দলগত প্রদর্শনী হয়েছে বিভিন্ন স্থানে নানা সময়ে।

শামীম সিকদারের স্বামীর নাম কবি জাকারিয়া চৌধুরী। তাদের এক ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে। তিনি ভাস্কর্যের পাশাপাশি ছবি আঁকা, জুডো, কারাতে, শ্যুটিং, বাগান করা ও গাড়ি চালাতে পারতেন। শামীম সিকদার কবিতা, সংগীত ও নাটকের ব্যাপারে আগ্রহ বোধ করেন। তিনি ইংল্যান্ড, ইতালি এবং চীন সফর করেছেন বিভিন্ন সময়ে।

ইনস্টিটিউট অব ফাইন আর্টস পুরস্কার অর্জন করেন ১৯৬৯, ১৯৭০, ১৯৭৩ এবং ১৯৭৪ সালে। ১৯৭৩ সালে অর্জন করেন সিলভার জুবলি অ্যাডওয়ার্ড অব ফাইন আর্ট পুরস্কার। ১৯৭৪ সালে ভাস্কর্যের ওপর প্রধানমন্ত্রী পুরস্কার জিতে নেন। ২০০০ সালে একুশে পদক লাভ করেন।

২০২৩ সালের ২১ মার্চ বিকাল সাড়ে ৪টায় ঢাকার ইউনাইটেড হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।

মন্তব্য

ক্লিওপেট্রা, ক্ষমতা ও রহস্যের রানি

শেয়ার
ক্লিওপেট্রা, ক্ষমতা ও রহস্যের রানি
সংগৃহীত ছবি

ক্লিওপেট্রা, নামটি শুনলেই আমাদের চোখের সামনে ভেসে ওঠে একজন রহস্যময়, বুদ্ধিমতী ও শক্তিশালী নারীর প্রতিচ্ছবি। তিনি শুধু মিশরের রানি ছিলেন না, ছিলেন এক কৌশলী কূটনীতিক, দক্ষ শাসক ও ইতিহাসের অন্যতম প্রভাবশালী নারী।

উত্থান ও ক্ষমতা

ক্লিওপেট্রার জন্ম খ্রিস্টপূর্ব ৬৯ সালে। তখন মিশরে টলেমিক রাজবংশের শাসন চলছিল।

রাজপরিবারটি ছিল গ্রিক বংশোদ্ভূত কিন্তু ক্লিওপেট্রা ছিলেন ব্যতিক্রম। তিনি মিশরীয় ভাষা শেখেন এবং নিজেকে প্রকৃত মিশরীয় হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেন। তার বাবার মৃত্যুর পরে মাত্র ১৮ বছর বয়সে তিনি তার ছোট ভাই টলেমি অষ্টমের সঙ্গে রাজত্ব শুরু করেন। ভাইয়ের সঙ্গে মতবিরোধের ফলে ক্লিওপেট্রাকে নির্বাসনে যেতে হয়।

জুলিয়াস সিজার ও ক্ষমতা পুনরুদ্ধার

ক্লিওপেট্রা বুঝতে পারেন, রোমান সাম্রাজ্যের সহায়তা ছাড়া তিনি তার সিংহাসন ফিরে পাবেন না। তাই তিনি কৌশল অবলম্বন করেন। একজন দাসীর মতো নিজেকে গুটিয়ে একটি কার্পেটে মুড়ে রোমান সেনাপতি জুলিয়াস সিজারের সামনে হাজির হন। তাঁর বুদ্ধিমত্তা, সৌন্দর্য ও ব্যক্তিত্বে মুগ্ধ হয়ে সিজার তাকে সাহায্য করেন।

ক্লিওপেট্রা পুনরায় মিশরের রানির আসন ফিরে পান।

মার্ক অ্যান্টনি ও ক্লিওপেট্রার প্রেমকাহিনি

সিজারের মৃত্যুর পর ক্লিওপেট্রা মার্ক অ্যান্টনির সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে তোলেন। অ্যান্টনি ছিলেন একজন প্রভাবশালী রোমান সেনাপতি। তাঁরা প্রেমে পড়েন এবং একসঙ্গে রোমান সাম্রাজ্যের বিরুদ্ধে শক্তি গঠনের চেষ্টা করেন। কিন্তু এই সম্পর্ক রোমের জন্য হুমকি হয়ে ওঠে।

যার ফলে অগাস্টাস (অক্টাভিয়ান) তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেন।

শেষ পরিণতি

খ্রিস্টপূর্ব ৩১ সালে অক্টাভিয়ান ও অ্যান্টনির মধ্যে সংঘটিত অ্যাক্টিয়ামের যুদ্ধে অ্যান্টনি পরাজিত হন। পরবর্তীতে অ্যান্টনি আত্মহত্যা করেন। ক্লিওপেট্রা পরাজয়ের শোক ও ভবিষ্যতের অনিশ্চয়তা সহ্য করতে না পেরে কিংবদন্তি মতে বিষধর সাপের কামড়ে আত্মহত্যা করেন। কথিত আছে এই সাপ তার কাছে ডুমুরের ঝুড়িতে লুকিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। অনেকের মতে, তিনি আত্মহত্যা করেননি বরং খুন হয়েছিলেন। ইতিহাসবিদদের মতামত ভিন্ন হলেও তাঁর যে করুণ পরিণতি হয়েছিল, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। তার মৃত্যু দিয়ে মিশরের স্বাধীন রাজত্বেরও সমাপ্তি ঘটে এবং এটি রোমান সাম্রাজ্যের অংশ হয়ে যায়। 

কেন তিনি আজো গুরুত্বপূর্ণ?

ক্লিওপেট্রা শুধু তার সৌন্দর্যের জন্য বিখ্যাত নন। তিনি ছিলেন একাধারে একজন বুদ্ধিমান কৌশলী, বহু ভাষাবিদ এবং দক্ষ শাসক। তার জীবন ও প্রেমকাহিনি যুগে যুগে সাহিত্য, নাটক ও সিনেমায় স্থান পেয়েছে। শেক্সপিয়রের নাটক ‘অ্যান্টনি ও ক্লিওপেট্রা’ থেকে শুরু করে আধুনিক হলিউডের সিনেমা সব জায়গায় তিনি এক রহস্যময় ও শক্তিশালী নারী হিসেবে চিত্রিত হয়েছেন।

সূত্র : হিস্টোরি হিট

মন্তব্য

বিশ্ব চড়ুই পাখি দিবস আজ

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
বিশ্ব চড়ুই পাখি দিবস আজ
সংগৃহীত ছবি

প্রতিবছর প্রতিমাসের নির্দিষ্ট কিছুদিনে বিভিন্ন দেশেই কিছু দিবস পালিত হয়ে থাকে। এই নির্দিষ্ট দিনে অতীতের কোনো গুরুত্বপূর্ণ ঘটনাকে স্মরণ করা বা গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে জনসচেতনতা তৈরি করতেই এই সমস্ত দিবস পালিত হয়ে থাকে। বিশ্বে পালনীয় সেই সমস্ত দিবসগুলির মধ্যে একটি হল বিশ্ব চড়ুই পাখি দিবস। প্রতি বছর ২০ মার্চ সারা পৃথিবী জুড়ে বিশ্ব চড়ুই পাখি দিবস পালিত হয়।

ভারতে নেচার ফরএভার সোসাইটি (এনএফএস) বিশ্ব চড়ুই দিবস উদযাপনের জন্য একটি উদ্যোগ নেয়। তারপর এই সোসাইটি ফ্রান্সের ইকো-সিস অ্যাকশন ফাউন্ডেশনের সঙ্গে সহযোগিতায় ২০১০ সালে ২০ মার্চ দিনটিকে বিশ্ব চড়ুই পাখি দিবস হিসেবে পালন করে। তারপর থেকে প্রতি বছর ২০ মার্চ বিশ্বজুড়ে ক্রমশঃ কমতে থাকা চড়ুইপাখিদের প্রতি মানুষের সচেতনতা বাড়ানোর জন্য দিনটি পালিত হয়ে আসছে।

আরো পড়ুন

লিচুর বাগানে মৌ চাষ, উভয় পক্ষই লাভবান

লিচুর বাগানে মৌ চাষ, উভয় পক্ষই লাভবান

 

বিশ্বে চড়ুই একসময় বাড়ির কাছাকাছি সবচেয়ে বেশি দেখতে পাওয়া যেত, কিন্তু বিগত কয়েক বছরে, এই পাখিটির সংখ্যা শহর ও গ্রাম উভয় জায়গা থেকেই অনেকাংশে হ্রাস পাচ্ছে।

চড়ুই পাখির সংখ্যা ক্রমশই কমতে থাকার মূল কারণগুলি হলো, কৃষির জন্য ব্যাপক হারে কীটনাশকের প্রয়োগ, মোবাইল ও টিভি টাওয়ার থেকে ক্ষতিকারক রেডিয়েশন, গ্রীষ্মে প্রবল জলকষ্ট ইত্যাদি। 

চড়ুইয়ের সংখ্যা কমে যাওয়া আমাদের জন্যও সতর্কতা। পরিবেশের কী মাত্রায় পরিবর্তন হলে একটা প্রজাতি ধীরে ধীরে কমে যায়, চড়ুইয়ের কমে যাওয়া সেদিকেই নির্দেশ করে। তাই বিশ্ব চড়ুই পাখি দিবস-এর উদ্দেশ্য হলো সাধারণ মানুষের মধ্যে সচেতনতা গড়ে তুলে এই পাখিগুলিকে বিলুপ্তির হাত থেকে বাঁচানো।

আরো পড়ুন

ঘুষ গ্রহণের মামলায় তারেক রহমানসহ সব আসামি খালাস

ঘুষ গ্রহণের মামলায় তারেক রহমানসহ সব আসামি খালাস

 

বিভিন্ন শিক্ষামূলক এবং প্রচারমূলক কাজের মাধ্যমে দিনটিকে পালন করা হয়। ছোটদের এই দিবস এবং চড়ুইপাখির গুরুত্ব বোঝানো হয় যাতে তারা আগামী দিনে এই ব্যাপারে সতর্ক থাকে। পাশাপাশি সারাবছর ধরেই যেন পাখিদের জন্য কিছু করা হয় সেই শিক্ষা দেওয়া। যেমন প্রবল গ্রীষ্মে জলকষ্টে যাতে চড়ুই ও অন্যান্য পাখি মারা না যায় সে জন্যে ঘরের ছাদে বা বারান্দায় বাটিতে করে জল রাখলে পাখিদের কিছু সুরাহা হতে পারে, সঙ্গে পাখিদের উপযুক্ত কিছু খাবার রাখা। এই দিবসের একটি নির্দিষ্ট থিম বা প্রতিপাদ্য আছে।

আরো পড়ুন

শয়তানের প্ররোচনা থেকে মুক্তির দোয়া

শয়তানের প্ররোচনা থেকে মুক্তির দোয়া

 

প্রতিবছর সেই প্রতিপাদ্যকে কেন্দ্র করে এই দিনটি উদযাপন করা হয়। প্রতিপাদ্যটি হলো- ‘আমি চড়ুই ভালোবাসি’ (I LOVE Sparrows)। প্রতিপাদ্যটি মানুষ এবং চড়ুইয়ের মধ্যেকার সম্পর্ককে মনে করে বানানো হয়েছে। 

মানুষ এবং প্রাণী উভয়ই এই প্রকৃতির অবিচ্ছেদ্য অংশ, তাই একে অপরকে ভালবাসতে হবে।

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

বিশ্ব শিশু ও যুব থিয়েটার দিবস আজ

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
বিশ্ব শিশু ও যুব থিয়েটার দিবস আজ
প্রতীকী ছবি

বিশ্ব শিশু ও যুব থিয়েটার দিবস আজ ২০ মার্চ। প্রতি বছর এই দিনে বিশ্বের প্রতিটি দেশে শিশুদের নিয়ে পালিত হয় দিবসটি। ২০০১ সালে আন্তর্জাতিকভাবে এ দিনটিকে বিশ্ব শিশু-কিশোর ও যুব নাট্য দিবস হিসেবে ঘোষণা করা হয়। 

এরপর থেকেই বাংলাদেশে পিপলস থিয়েটার অ্যাসোসিয়েশনের (পিটিএ) উদ্যোগে সারা দেশে দিবসটি পালিত হয়ে আসছে।

শিল্পকলা একাডেমির সহযোগিতায় বর্ণিল অনুষ্ঠানে দিবসটি উদ্‌যাপিত হয়ে আসছে।

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ