দুধ দিয়ে গোসল করলে কি কলঙ্ক মোছে?

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
দুধ দিয়ে গোসল করলে কি কলঙ্ক মোছে?

দুধ দিয়ে গোসল করে রাজনীতি ছাড়ার হিড়িক পড়েছে দেশে। এই নেতা দুধ দিয়ে গোসল করে আওয়ামী লীগ ছাড়ছেন, তো আরেক নেতা নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ ছাড়ছেন। সকালে যুবলীগ ছাড়ছেন আরেকজন। কিন্তু দুধ দিয়ে গোসল কেন? বিশেষ দুধ দিয়ে গোসল করে আলোচনায় নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের অনেক নেতাকর্মী।

দুধ দিয়ে গোসল করলে কী হয়?
বিগত কয়েক বছরে এমন অনেক নেতা দুধ দিয়ে গোসল করে হয় রাজনীতি ছেড়েছেন, নয়তো দল পরিবর্তন করেছেন। কিন্তু এই খবরগুলোর আকর্ষণের জায়গা ছিলো দুধ দিয়ে গোসল। নাম প্রকাশ না করার শর্তে কয়েকজন জানান, রাজনীতির কলঙ্ক মুছতেই তারা গোসলে দুধের ব্যবহার করে পাক-পবিত্র হওয়ার চেষ্টা করেছেন।
 
আসলেই কি দুধ কলঙ্ক মোছে?
ভারতীয় উপমহাদেশে দুধ দিয়ে গোসলের মাধ্যমে পবিত্র হওয়ার ধারণা প্রাচীনকাল থেকে চলে এলেও আধুনিক বিজ্ঞানে যা ভিত্তিহীন।

দুধ দিয়ে গোসলের মাধ্যমে কলঙ্কমুক্ত হওয়ার কোনো তথ্য ধর্মীয়ভাবেও শোনা যায় না। তবে দুধ মিশ্রিত পানি দিয়ে গোসল করলে পাওয়া যায় কিছু স্বাস্থ্যগত উপকারিতা।

চিকিৎসাবিজ্ঞানে দুধ দিয়ে গোসলে কয়েকটি উপকারিতা পাওয়া যায়। তন্মধ্যে শুষ্ক ত্বকে আর্দ্রতা আনা, একজিমা দূর করা, চুলকানি দূর হওয়াসহ নানা উপকারের উল্লেখ রয়েছে।

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

কেমব্রিজের এপ্রিল ফুলে বোকা বনল বিশ্ব

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
কেমব্রিজের এপ্রিল ফুলে বোকা বনল বিশ্ব
সংগৃহীত ছবি

কেমব্রিজ ডিকশনারি কর্তৃপক্ষের এপ্রিল ফুলে বোকা বনে গেল বিশ্ব।

মঙ্গলবার (১ এপ্রিল) ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এক বিশেষ ঘোষণায় কেমব্রিজ ডিকশনারি কর্তৃপক্ষ জানায়, ইংরেজি বর্ণমালা থেকে কিউ (Q) বর্ণটি বাদ দেওয়া হচ্ছে।

ওই ঘোষণায় কেমব্রিজ ডিকশনারি কর্তৃপক্ষ বলছে, “আমাদের কমিউনিটির সদস্যরা সব সময় ইংরেজি বানান নিয়ে সমস্যায় পড়েন, বিশেষ করে ‘কিউ’ বর্ণ দিয়ে বানান করা শব্দগুলোর ক্ষেত্রে। তাই আমরা কেমব্রিজ ডিকশনারি থেকে ‘কিউ’ বর্ণটি সরিয়ে ফেলব।

তবে ‘কিউ’ বর্ণের পরিবর্তে অন্য কোন বর্ণ ব্যবহার করা হবে, সে বিষয়ে কেমব্রিজ ডিকশনারি কর্তৃপক্ষ বলছে, বর্তমানে ‘কিউইউ’ দিয়ে বানান করা সব শব্দের পরিবর্তে ‘কে’ অথবা ‘কেডব্লিউ’ দিয়ে বানান করা হবে। উদাহরণস্বরূপ, kwiet, ekwipment এবং antike।

তবে কেমব্রিজ ডিকশনারি কর্তৃপক্ষ ফেসবুক পোস্টের কমেন্টে ‘এপ্রিল ফুল ডে’ লেখা লিংক শেয়ার করেছেন। দেখতে এখানে ক্লিক করুন।

মন্তব্য

ওসমানীয় সাম্রাজ্যে ঈদ উৎসব কেমন ছিল?

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
ওসমানীয় সাম্রাজ্যে ঈদ উৎসব কেমন ছিল?
সংগৃহীত ছবি

রমজান বায়রাম কিংবা সেকার বায়রাম, ওসমানীয় সাম্রাজ্যে এই নামেই ডাকা হতো ঈদকে। তুর্কি ‘বায়রাম’ শব্দের অর্থ উৎসব আর ‘সেকার’ শব্দের অর্থ মিষ্টি।

৬০০ বছর ধরে রাজত্ব করা সুবিশাল ওসমানীয় বা অটোমান সাম্রাজ্যের শাসকরা ছিলেন ইসলাম ধর্মের অনুসারী। ইসলামের অন্যতম বৃহৎ ধর্মীয় উৎসব ঈদুল ফিতর তাই রাজকীয় সমারোহে উদযাপিত হতো এই সাম্রাজ্যে।

ওসমানীয় সাম্রাজ্যে আনুষ্ঠানিকভাবে বায়রাম উদযাপনের শুরুটা হয়ে যেত চাঁদ দেখার সঙ্গে সঙ্গে। ঈদের চাঁদ দেখা গেলে দুটি ভিন্ন স্থান থেকে তিনবার করে তোপধ্বনির মাধ্যমে জানান দেওয়া হতো। তোপ দাগানোর রেয়াজ ছিল ঈদের সকালেও। নামাজের পর ইস্তাম্বুলের বিভিন্ন স্থান বিশেষ করে প্রাসাদসমূহের ফটক এবং অন্যান্য শহরে তোপধ্বনি করা হতো।

চাঁদরাতে মশাল দিয়ে আলোকিত করা হতো তোপকাপি প্রাসাদ।

আরো পড়ুন
ঈদের দিন বাবাকে খোঁজে নৌফা, দেখেনি রাইয়ান

ঈদের দিন বাবাকে খোঁজে নৌফা, দেখেনি রাইয়ান

 

‘ঈদের দিনে হুররাম সুলতানের মাথায় শোভা পেতো পান্না ও রুবি খচিত সোনার মুকুট। নিজের সবচেয়ে সুন্দর পোশাকটি পরতেন তিনি।’ ইতিহাসবিদ জন ফারলি অটোমান সম্রাট সুলতান সুলেমানের স্ত্রী হুররামের ঈদের সাজের বর্ণনা দিয়েছেন এভাবেই।

ইতিহাসবিদ লেসলি প্যারিসের মতে, অটোমান সুলতানদের স্ত্রীরা দরিদ্রদের মধ্যে খাবার ও পোশাক বিতরণ করতেন।

ঈদের দিন সুলতান কী করতেন?

সুলতান সকাল সকাল তার লোকবহর নিয়ে মিছিল বা শোভাযাত্রা করে মসজিদের উদ্দেশে বেরিয়ে পড়তেন। হায়া সোফিয়া কিংবা নীল মসজিদে যেতেন নামাজ পড়তে। প্রাসাদের ফটক থেকে শুরু হওয়া সেই মিছিল দেখতে পথের দু’ধারে সমবেত হতো ইস্তাম্বুলবাসী। প্রহরীদের সতর্ক উপস্থিতি থাকতো শোভাযাত্রা ঘিরে।

নামাজ শেষ করে বহর নিয়ে প্রাসাদে ফিরে আসতেন সম্রাট।

প্রাসাদে পৌঁছে সিংহাসনে বসতেন সুলতান। শুভেচ্ছা বিনিময় করতেন রাজপুত্র, রাজকর্মচারী ও হারেমের বাসিন্দাদের সাথে। আগতদের মিষ্টিমুখ করানো হতো। সোনা ও রুপার পাত্রে ঈদের বিশেষ মিষ্টান্ন পরিবেশন করা হতো তাদের। আহার শেষে, সুলতান সমুদ্রতীরের প্রাসাদে যেতেন। সেখানে নানান বিনোদনের ব্যবস্থা থাকত। কুস্তি, বন্দুক ও বর্শা দিয়ে লক্ষ্যভেদ ও তির-ধনুকের খেলা দেখাতেন দক্ষ ব্যক্তিরা।

ঈদ উপলক্ষে কখনো কখনো বড় বড় ভোজের আয়োজন করতেন অটোমান শাসকরা। শহরের বিশেষ বিশেষ স্থানে প্যাভিলিয়ন (তাবু) করা হতো। সুলতান এবং বড় বড় কর্মকর্তাদের বসার ব্যবস্থা থাকত সেখানে। সুসজ্জিত করা হতো পথঘাট। ছোট-বড় সবার জন্য দোলনার ব্যবস্থা থাকত।

খাবার, শোভাযাত্রা, নানান শারীরিক কসরত প্রদর্শন থেকে শুরু করে বই বাঁধাইয়ের মতো আয়োজনের পসরা দেখা যেত। জায়গাটা জাল দিয়ে ঘেরা থাকত বলে প্রাসাদ থেকে নারীরাও সেখানকার আয়োজন দেখতে পেতেন। শোভাযাত্রা শেষে সুলতানের তরফ থেকে ঈদ উপহার দেওয়া হতো সবাইকে।

সুলতান সুলেমানের রাজত্বকালে ঈদ উদযাপনের বর্ণনা দিয়ে অটোমান ইতিহাসবিদ মুস্তাফা আলী বলেন, ‘সুলতান তার কর্মকর্তা ও প্রজাদের কাছ থেকে অভিনন্দন গ্রহণ করতেন এবং দরিদ্রদের মধ্যে উপহার বিতরণ করতেন।’

জোহরের নামাজের পর কবরস্থানে গিয়ে পরিবারের সদস্যদের জন্য প্রার্থনার রীতি তখনো ছিল। শহরে ২৪ ঘণ্টাই বিনোদন ও ক্রীড়ার অনুমতি দিতেন সুলতান। আনন্দমুখর সময় কাটাতে দুই বা তিন আকচে (মুদ্রা) ছিল যথেষ্ট। নগরজুড়ে উৎসবের আয়োজন দেখতে বিদেশিরাও আসতেন ইস্তাম্বুলে।

শেষ অটোমান খলিফা দ্বিতীয় আব্দুল হামিদের রাজত্বকালে, নাট্য পরিবেশনাও ঈদ উৎসবের অংশ হয়ে ওঠে। ইস্তাম্বুলে নিযুক্ত বিভিন্ন দেশের প্রতিনিধিরাও আমন্ত্রণ পেতেন নাটক দেখার। এমন নানা আয়োজনে জাঁকজমকপূর্ণভাবে অটোমানদের প্রজন্মের পর প্রজন্ম রমজান বায়রাম তথা ঈদুল ফিতর উদযাপন করে এসেছে।

১৩ শতকে ওসমান গাজীর হাত ধরে এই সাম্রাজ্যে যাত্রা শুরু হয়েছিল। ছয় শতাব্দী পার করে সাম্রাজ্যের পতন হয় ১০০ বছর আগে ১৯২৪ সালে। নির্বাসনে পাঠানো হয় দ্বিতীয় আব্দুল হামিদকে।

মন্তব্য

এপ্রিল ফুল, কেন এদিন মানুষকে বোকা বানানো হয়

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
এপ্রিল ফুল, কেন এদিন মানুষকে বোকা বানানো হয়
সংগৃহীত ছবি

পয়লা এপ্রিল। মানুষকে বোকা বানানোর দিন।  বছরের পর বছর ধরে এদিন বন্ধু-বান্ধব, ভাইবোন, কাছের মানুষ এবং সহকর্মীদের বোকা বানানো হয়। সহজ কথায় বলা যায়, নিরলস হাস্যরস উদযাপনের জন্য বরাদ্দ একটা দিন।

জীবনে অন্তত একবার বোধ হয় আমরা সবাই ‘এপ্রিল ফুল’ হয়েছি। মজার বিষয় হলো, এদিন বোকা হওয়ার পরেও কেউ রাগ করেন না, বরং নিজেই সেই খেলায় জড়িয়ে পড়েন। 

আনন্দ, মজা, হাসিঠাট্টার মধ্য দিয়ে পালিত হতো এপ্রিল ফুল বলে। এদিন যেকোনো বয়সের মানুষ উৎসাহের সঙ্গে একে অপরকে বোকা বানানোর খেলায় অংশ নেয়।

নিতান্তই নির্মল আনন্দ উপভোগ করতে দিনটি নিয়ে মশকরার মধ্য দিয়ে কেটে যেত। সারা বিশ্বে এটি পালিত হলেও বাংলাদেশে এখন খুব একটা দেখা যায় না। কারণ এই বোকা বানানোর দিবসটির জন্মই বিদেশে।

আরো পড়ুন
ঈদ সালামির প্রচলন কবে থেকে

ঈদ সালামির প্রচলন কবে থেকে

 

এপ্রিল ফুলের ইতিহাস

‘এপ্রিল ফুলস ডে’র সূচনা ও ইতিহাস নিয়ে অনেক কাহিনি ও নানা মতভেদ প্রচলিত আছে।

উনিশ শতক থেকে জনপ্রিয় এপ্রিল ফুলস ডে-র উৎস নিয়ে জিওফ্রে চসারের ‘ক্যানটারবেরি টেলস’-এ ব্যাখ্যা পাওয়া যায়।  

কিভাবে শুরু হলো এপ্রিল ফুলস ডে

ক্যালেন্ডারের ৩২ মার্চ  

কথিত আছে যে ১৩৮১ সাল থেকে এই দিনটি উদযাপন শুরু হয়। আসলে ইংল্যান্ডের রাজা দ্বিতীয় রিচার্ড ও বোহেমিয়ার রানি অ্যান বাগদানের ঘোষণা করেন। বাগদানের তারিখ রাখা হয়েছিল ৩২ মার্চ। মানুষ উদযাপন শুরু করেন।

পরে তারা বুঝতে পারেন যে ক্যালেন্ডারে ৩২ মার্চ কোনো তারিখ নেই। তখন তাদের বুঝতে অসুবিধা হয়নি যে তারা বোকা হয়েছেন। এর পর থেকে এপ্রিল ফুলস ডে উদযাপন শুরু হয়।

ঠাট্টা-বিদ্রূপ শুরু 

এই দিনটি ঘিরে আরো একটি বিশ্বাসও রয়েছে, আগে ফ্রান্সে এপ্রিলেই নববর্ষ উদযাপিত হতো। ১৫৮২ সালে চার্লস পোপ গ্রেগরি দ্বাদশ ফ্রান্সে পুরনো ক্যালেন্ডার পরিবর্তন করে গ্রেগরিয়ান ক্যালেন্ডার চালু করেন। তা সত্ত্বেও অনেকে পুরনো ক্যালেন্ডার অনুসরণ করতে থাকেন। এর পর থেকে ১ জানুয়ারিতে নতুন বছরের সূচনার দিন হিসেবে পালন হওয়া শুরু হয়।

আরো পড়ুন
মাথা ব্যথা মানেই কি মাইগ্রেনের সমস্যা?

মাথা ব্যথা মানেই কি মাইগ্রেনের সমস্যা?

 

তবে অনেকে এটি মানতে অস্বীকার করেন এবং এপ্রিল মাসেই বর্ষারম্ভের দিন পালন করতে থাকেন। যারা নতুন ক্যালেন্ডারকে সমর্থন করেছেন তারা এপ্রিলে নতুন বছর সমর্থনকারীদের ঠাট্টা-বিদ্রূপ করা শুরু করেছিলেন। এই ব্যক্তিদের ‘এপ্রিল ফুল’ বলা শুরু হয় এবং এ জন্য এপ্রিলের প্রথম দিনেই ‘এপ্রিল ফুলস ডে’ হিসেবে প্রচলিত হয়।

রোমান উৎসব হিলারিয়া

কিছু মানুষ আবার এই দিনটিকে প্রাচীন রোমান উৎসব ‘হিলারিয়া’র সঙ্গে সংযুক্ত করেন। যেটি একটি হাসি ও মজার উৎসব। এমনকি এই উৎসবে সবাই অন্যকে বোকা বানানোর জন্য এবং বসন্ত উপভোগ করতে ছদ্মবেশে থাকতেন। 

উপমহাদেশ উদযাপন শুরু

কিছু প্রতিবেদন অনুসারে, ব্রিটিশরা ভারতে ১৯ শতকে এই দিনটি উদযাপন শুরু করে। যদিও গত কয়েক বছরে এটি উদযাপনের উন্মাদনা বেড়েছে। এমনকি সোশ্যাল মিডিয়ায় এই সম্পর্কিত মিম মারাত্মকভাবে ভাইরাল হয়। তবে মজা করার সময় মাথায় রাখা জরুরি, আপনার কোনো কথা যেন অপর মানুষটিকে আঘাত না করে।

আরো পড়ুন
অতিথি আপ্যায়নে রাখুন ভিন্ন স্বাদের কিছু মিষ্টান্ন

অতিথি আপ্যায়নে রাখুন ভিন্ন স্বাদের কিছু মিষ্টান্ন

 

সূত্র : আজতক বাংলা

মন্তব্য

মেডুসা, গ্রিক পুরাণের এক অভিশপ্ত রূপসী

শেয়ার
মেডুসা, গ্রিক পুরাণের এক অভিশপ্ত রূপসী
সংগৃহীত ছবি

গ্রিক পুরাণের এক রহস্যময় চরিত্র মেডুসা। তার সৌন্দর্য একসময় দেবতাদের পর্যন্ত মুগ্ধ করেছিল। কিন্তু এক ভয়ংকর অভিশাপের কারণে তিনি পরিণত হন এক দানবীতে। যার চোখে তাকালেই মানুষ পাথরে পরিণত হয়।

মেডুসা মূলত একজন অসাধারণ সুন্দরী মানবী ছিলেন। তার সৌন্দর্যে বিমোহিত হন সমুদ্রের দেবতা পসেইডন। কিছু কাহিনিতে বলা হয়, পসেইডন তাকে এথেনার মন্দিরে শারীরিকভাবে হেনস্তা করেন। কিন্তু ভাগ্যের নির্মম পরিহাসে দেবী এথেনা এতে রুষ্ট হয়ে মেডুসাকে শাস্তি দেন।

মেডুসার সুন্দর চুল পরিণত হয় ভয়ংকর সাপের ঝাঁকে। তাঁর দৃষ্টিতে কেউ তাকালে সে পাথরে পরিণত হয়।

গ্রিক পুরাণে মেডুসার ভূমিকা
মেডুসার গল্প শুধু অভিশাপের নয়, প্রতিশোধ ও ক্ষমতারও। বহু বীর মেডুসাকে পরাজিত করার চেষ্টা করে ব্যর্থ হন।

কিন্তু পারসিয়াস, অলিম্পাসের দেবতাদের সহায়তা নিয়ে অবশেষে মেডুসাকে বধ করেন।
পারসিয়াস মেডুসার মাথা কেটে ফেলে এবং সেটি একটি থলেতে করে নিয়ে যান। এই মাথা পরবর্তীতে বিভিন্ন যুদ্ধে ব্যবহার করা হয়, কারণ এটি তখনো পাথরে পরিণত করার ক্ষমতা ধরে রেখেছিল।

মেডুসার প্রতীকী গুরুত্ব
আজকের সমাজে মেডুসার গল্প নারীদের শক্তি, অবমাননার বিরুদ্ধে প্রতিরোধ ও পুরুষতান্ত্রিক ব্যবস্থার বিরুদ্ধে প্রতীকি প্রতিবাদের প্রতিচ্ছবি হিসেবে ব্যবহৃত হয়। একসময় তাকে শুধু ভয়ংকর দানবী হিসেবে দেখা হলেও এখন অনেকেই মেডুসাকে এক নির্যাতিত নারীর প্রতিচ্ছবি হিসেবে দেখেন।

যিনি সমাজের অন্যায়ের শিকার হয়েছিলেন।

সংস্কৃতিতে মেডুসা
শিল্পকলা ও ভাস্কর্যে মেডুসার মুখ দেখা যায়, বিশেষ করে রেনেসাঁ যুগের চিত্রকলায়। ফ্যাশন ডিজাইনাররা মেডুসার প্রতীক ব্যবহার করেছেন। বিখ্যাত ব্র্যান্ড ভার্সাচির লোগোতে মেডুসার মাথা রয়েছে। অনেক সাহিত্য, সিনেমা ও ভিডিও গেমে মেডুসা চরিত্রটি এসেছে, যেখানে তাকে ভয়ংকর দানবী বা শক্তিশালী নারীর প্রতীক হিসেবে দেখানো হয়েছে।

সূত্র : ব্রিটানিকা

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ