দিনাজপুরের বিরামপুরে শাশুড়ির গায়ে পেট্রল দিয়ে আগুন দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে জামাতা মেহেদুল ইসলামের বিরুদ্ধে। পরে মূমুর্ষ অবস্থায় অগ্নিদগ্ধ শাশুড়িকে রংপুর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। আজ বুধবার (২ এপ্রিল) পৌরশহরের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের পুবপাড়া মহল্লায় এ ঘটনা ঘটে।
বিরামপুর থানা পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) আতাউর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
অভিযুক্ত উপজেলা হাবিবপুর এলাকার আজিবর রহমানের ছেলে।
আরো পড়ুন
বেকহামের পার্টিতে রোমান্টিক লুকে মেসি-রোকুজ্জু
পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, পূর্বপাড়া মহল্লার আফজাল হোসেন ও বুলি বেগম দম্পতির মেয়ে শিল্পী বেগমের সঙ্গে উপজেলার হাবিবপুর গ্রামের আজিবর রহমানের ছেলে মেহেদুলের প্রায় ১০ বছর আগে বিয়ে হয়। তাদের ঘরে তিনটি সন্তান রয়েছে। জামাতা মেহেদুল তার স্ত্রীর এক ভাইয়ের অটোরিকশা ভাড়ায় চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করতেন।
সম্প্রতি সেই অটোরিকশা ভেঙে শ্বশুরবাড়িতে দিয়ে যান তিনি। অটোরিকশার মালিক সেটি মেরামত করে অন্য চালকের নিকট ভাড়া দিলে তার সঙ্গে শ্বশুরবাড়ির লোকজনের মতবিরোধ দেখা দেয়। এর মাঝেই গতরাতে শাশুড়ির টেবিলের ওপর খারা নাক ফুল হারানোর দোষ পড়ে তার ওপর। বিষয়গুলো নিয়ে শাশুড়ির ওপর ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন তিনি।
আজ বুধবার (২ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ৭টার দিকে জামাতা মেহেদুল তার শাশুড়িকে মোবাইল ফোনে বাড়ির বাইরে পাকা রাস্তার ওপর ডেকে নিয়ে তার গায়ে পেট্রল ঢেলে দিয়ে আগুন ধরিয়ে দিয়ে পালিয়ে যান।
বিরামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত চিকিৎসক মশিউর রহমান জানান, আগুনের ঘটনায় ওই নারীর সর্বাঙ্গ, অর্থাৎ মাথা ও মুখমণ্ডল ব্যতিত সর্ব শরীর ঝলসে গেছে। উন্নত চিকিৎসার জন্য দিনাজপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে।
আরো পড়ুন
সন্তানের চোখের জলে ভেসে গেছে ঈদের আনন্দ
বিরামপুর থানা পুলিশের পরিদর্শক (তদন্ত) আতাউর রহমান জানান, অগ্নিদগ্ধ ওই নারীকে উদ্ধার করা হয়েছে। উন্নত চিকিৎসার জন্য রংপুর পাঠানো হয়েছে।
এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ ও আসামিকে আটকের জন্য অভিযান চলছে।