রেভিনিউ শেয়ারিংয়ের ওপর প্রায় ৪২ কোটি টাকা ভ্যাট পরিশোধ করেনি বাংলালিংক। দেশের বেসরকারি মোবাইল অপারেটরটির বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ উঠেছে। আদালতের নির্দেশনা থাকার পরেও কম্পানিটি এক যুগ আগের সেই ভ্যাট পরিশোধ করছে না। এমনকি ভ্যাট পরিশোধে সময় বেঁধে দিলেও বিটিআরসিকে পাত্তা দিচ্ছে না প্রতিষ্ঠানটি।
এই গুরুতর অভিযোগসহ সিমটির সেবা নিয়ে গ্রাহকদের ক্ষোভ দীর্ঘদিনের। নানা সেবার কথা বলে অতিরিক্ত অর্থ কেটে রাখা, নেটওয়ার্ক দুর্বলতাসহ সিমটির সামগ্রিক সেবা নিয়ে ক্ষুব্ধ গ্রাহকরা।
বাংলালিংক ডিজিটাল নামের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে গতকাল মাইবিএল অ্যাপের বিভিন্ন সেবা নিয়ে পোস্ট করে প্রতিষ্ঠানটি। সেই পোস্টের নিচে অনেক গ্রাহক সিমটির সেবা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।
এ ছাড়া অনেককে সিমটি বয়কটের ডাক দিতে দেখা গেছে।
ওই পোস্টের কমেন্টে অনিন্দা অনির্বান নামের একজন লিখেছেন, ‘রিচার্জের মেয়াদ শেষ হওয়ার পরে যে টাকাগুলো নিজের দাদার সম্পত্তি মনে করে কেটে রাখছেন, সেই টাকা ফেরত পাওয়ার জন্য কোথায় ভিজিট করতে হবে? কত নম্বরে ডায়াল করতে হবে? টাকা ফেরত দেন। #boycott_Banglalink #thief_Banglalink। তিনি আরো লিখেছেন, ‘রিচার্জ পরে করব আগে আমার টাকা ফেরত দেন।
ওই টাকা আমার উপার্জনের টাকা, আপনার বাপ দাদার রেখে যাওয়া জমিদারি সম্পত্তি না। #boycott_Banglalink#thief_Banglalink।’
বাংলালিংক ডিজিটালের করা ওই পোস্টে আব্দুল আওয়াল নামের আরেকজন লিখেছেন, ‘এই যে হুটহাট করে একটা আজাইরা কিছু চালু করে দিয়ে টাকা কেটে নেন এই অপরাধের জন্য আপনাদের কি প্রতিকার আছে, আর কাস্টমার কনসার্ন ছাড়া টাকা কাটা অপরাধ কিনা?
এদিকে গত ১ এপ্রিল বাংলালিংক ডিজাটালের করা পোস্টের কমেন্টে মুকুল ইসলাম নামের একজন লিখেছেন, ‘২০২৫ সালে এসেও যে বাংলালিংক নেটওয়ার্কের দিক থেকে এতটা পিছিয়ে আছে বলার বাইরে। যেখানে অন্যান্য অপারেটর যথেষ্ট ভালো সার্ভিস দেয়, সেখানে বাংলালিংক ৪জি নেট ২-১ দাগ পায়, পায় না, আর স্পিড তো একেবারেই বাজে। খালি লোডিং আর লোডিং।
অভিযোগ করাতে বলেছে সিম প্রথম স্লটে নিন এবং এপিএন সেট করে রিস্টার্ট করুন। সবই করেছি, কোনও উন্নতি নেই।’
একই পোস্টে নাজমুল জাহিদ খান লিখেছেন, ‘আপনাদের সিমে টাকা রিচার্জ করলে টাকা অ্যাকাউন্টে এড না করে মিনিট/এমবি ধরাইয়া দেন কেনো। আমি এক দরকারে টাকা রিচার্জ করলাম আপনারা দিয়া দিলেন অন্য কিছু। টাকার কোন দাম নাই। কাস্টমারের কোনো পারমিশন ছাড়াই অফার ধরাইয়া দেন। আপনাদের বিরুদ্ধে মামলা করা দরকার ।
জিসান মাহমুদ নামের আরেক গ্রাহক লিখেছেন, ‘ভাই নিজেদের দাবি করেন দেশের এক নাম্বার নেটওয়ার্ক অথচ বেশিরভাগ সময়ই ইন্টারনেট পায় না। বার বার এয়ারপ্লেন মোড অন অফ করার পর একটু চালানো যায় একটু পর আবার চলা বন্ধ হয়ে যায়। অন্য কোনো কাজ তো দূরের কথা ফেসবুক লাইটই চালানো যায় না। ফোন 4G সাথে দুই পাশে দুইটা বাংলালিংকের টাওয়ার আছে। এখন কি বাহানা দিবেন ভাই? যারা কমপ্লেইন করতেছেন তাদের সমস্যা সমাধান না করে হুদাই রিপ্লাই এর মাধ্যমে আজে বাজে বকতেছেন। পারলে সমস্যার সমাধান কইরেন। নাহলে দেশে আরো অন্যান্য অপারেটর আছে ব্যবহার করার জন্য। তাদের সার্ভিস আপনাদের থেকেও ভালো। হুদাই আজে বাজে না বকে প্রব্লেম সলভ করেন।’