খুলনায় সিটি করপোরেশনের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ

খুলনা অফিস
খুলনা অফিস
শেয়ার
খুলনায় সিটি করপোরেশনের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ
অবৈধস্থাপনা উচ্ছেদ করছে খুলনা সিটি করপোরেশন

সড়ক ও ফুটপাত থেকে অবৈধ দখলদারদের উচ্ছেদে খুলনা সিটি করপোরেশনের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। বৃহস্পতিবার (১০ এপ্রিল) সংস্থাটি নগরীর দৌলতপুর ও খালিশপুর থানা এলাকায় অব্যাহত অভিযান পরিচালোনা করে।

সিটি করপোরেশনের জনসংযোগ দপ্তর জানিয়েছে, কেসিসির এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট জান্নাতুল আফরোজ স্বর্ণার নেতৃত্বে এ অপসারণ কার্যক্রম পরিচালিত হয়। 

আরো পড়ুন
মাদরাসা ছাত্রীদের আবাসিক কক্ষে সিসি ক্যামেরা, শিক্ষকের কক্ষে মনিটর

মাদরাসা ছাত্রীদের আবাসিক কক্ষে সিসি ক্যামেরা, শিক্ষকের কক্ষে মনিটর

 

অবৈধ দখল অপসারণকালে ফুটপাতের উপর ফ্রিজ ও জুস তৈরীর মেশিন রাখার অপরাধে যশোর রোডস্থ কোরিয়ান জুস এন্ড ফাস্টফুডের মালিক মাহী খানকে চার হাজার টাকা এবং হার্ডওয়্যার মালামাল ফুটপাতের উপর রেখে ব্যবসা পরিচালনার অপরাধে নিউ মোহাম্মাদিয়া হার্ডওয়্যারের মালিক মো. রহমতকে ৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

এছাড়া বিভিন্ন সড়ক ও ফুটপাত থেকে অবৈধ স্থাপনাও অপসারণ করা হয়। 

কেসিসি’র এস্টেট অফিসার গাজী সালাউদ্দিন বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের সহযোগিতায় অবৈধ দখলদারদের বিরুদ্ধে অভিযান চালানো হচ্ছে। জনস্বার্থে এ অপসারণ কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।


 

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

বরিশালে স্বামী-স্ত্রীর মরদেহ উদ্ধার, দোষীদের বিচার দাবিতে বিক্ষোভ

বরিশাল অফিস
বরিশাল অফিস
শেয়ার
বরিশালে স্বামী-স্ত্রীর মরদেহ উদ্ধার, দোষীদের বিচার দাবিতে বিক্ষোভ
সংগৃহীত ছবি

বরিশাল বন্দর থানাধীন চরকাউয়া ইউনিয়নের গৃহবধূ লামিয়া ও তার স্বামী অটোচালক রাহাতের মৃত্যুর রহস্য উদঘাটন ও দোষীদের বিচারের দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ করেছে এলাকাবাসী। মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) বিকেলে বরিশাল সদর উপজেলায় চরকাউয়া এলাকায় মানববন্ধন ও বিক্ষোভ হয়।

বিক্ষুব্ধরা জানায়, এক বছর আগে পারিবারিকভাবে রাহাত ও লামিয়ার বিয়ে হয়। তাদের মধ্যে কোনো ধরনের দ্বন্দ্ব ছিল না।

তবে শ্বশুর-শাশুড়ির সঙ্গে লামিয়ার দ্বন্দ্ব লেগেই থাকত। এ কারণে লামিয়ার ওপর শ্বশুড়-শাশুড়ি নির্যাতন চালাতেন। এমনকি তারা দুইজনই লামিয়াকে শারীরিকভাবে নির্যাতন করতেন।

আরো পড়ুন
পুকুরে নেমে পায়ের সঙ্গে ধাক্কা, মিলল ভাই-বোনের লাশ

পুকুরে নেমে পায়ের সঙ্গে ধাক্কা, মিলল ভাই-বোনের লাশ

 

এসব বিষয় নিয়ে সালিস বৈঠক হলেও শ্বশুর-শাশুড়ি কারণে-অকারণে লামিয়ার ওপর নির্যাতন চালিয়ে আসছিলেন।

মা-বাবা হওয়ায় রাহাতও তাদের কিছু বলতে পারত না। সবার ধারণা, এসব বিষয় নিয়ে দ্বন্দ্বের জের ধরে রাহাত ও তার স্ত্রীকে হত্যা করা হয়েছে। এ সময় দ্রুত দোষীদের আইনের আওতায় আনার দাবি জানায় তারা। 

উল্লেখ্য, সোমবার (১৪ এপ্রিল) সকালে কক্ষের দরজা না খোলায় দরজা ভেঙে বিছানার ওপর লামিয়া এবং ফ্যানের সঙ্গে রাহাতের ঝুলন্ত লাশ দেখতে পেয়ে পুলিশে খবর দেয় প্রতিবেশীরা।

পরে সেই দিন দুপুরে নিহতদের লাশ উদ্ধার করে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করা হয়।

আরো পড়ুন
‘হার্ভার্ড এইচএসআইএল হ্যাকাথন ২০২৫’ ইউআইইউতে অনুষ্ঠিত

‘হার্ভার্ড এইচএসআইএল হ্যাকাথন ২০২৫’ ইউআইইউতে অনুষ্ঠিত

 

বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের বন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম বলেন, পারিবারিক বিরোধীদের জের ধরেই এমন ঘটনাটি ঘটেছে। তবে তদন্ত ছাড়া নিশ্চিতভাবে কিছু বলা যাচ্ছে না। লাশ ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

তিনি আরো বলেন, এখন পর্যন্ত এ ঘটনায় কোনো অভিযোগ বা মামলা হয়নি।

অভিযোগ পেলে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট ও তদন্তের ভিত্তিতে দোষীদের আইনের আওতায় আনা হবে।

মন্তব্য

আদালতের এজলাসে পুলিশকে মারধর, বিএনপির ৬ নেতাকর্মী আটক

পাবনা প্রতিনিধি
পাবনা প্রতিনিধি
শেয়ার
আদালতের এজলাসে পুলিশকে মারধর, বিএনপির ৬ নেতাকর্মী আটক
ছবি : কালের কণ্ঠ

পাবনায় আদালতের ভেতরে শুনানি চলাকালে ভিডিও ধারণ করতে বাধা দেওয়ায় দায়িত্বরত পুলিশ সদস্যকে মারধরের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় বিএনপির ৬ নেতাকর্মীকে আটক করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) দুপুরে পাবনা জেলা ও দায়রা জজ আদালতে এ ঘটনা ঘটে।

আটকরা হলেন পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলা ফতে মোহাম্মদপুর নিউ কলোনী এলাকার আওয়াল কবির (৩৮), সরোয়ার জাহান শিশির (৩৩), কালাম খান (৪০),  রুবেল হোসেন (৩৩), সবুজ হোসেন (৩৫) এবং জহুরুল ইসলাম (৩৫)।

এদের মধ্যে আওয়াল কবির ঈশ্বরদী পৌর ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি ও বর্তমান পৌর স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক, সরোয়ার জাহান শিশির পৌর ছাত্রদলের সভাপতি পদ প্রত্যাশী। অন্যান্যরা বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ততার বিষয়টি নিশ্চিত করা গেলেও পদ নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, ২০২৩ সালের ১৫ নভেম্বর ঈশ্বরদীতে তৎকালীন আওয়ামী লীগের সময় নাশকতা একটি মামলার শুনানি ছিল। সেই মামলায় আটককৃতরা হাজিরা দিতে এসেছিলেন।

হাজিরা চলা অবস্থায় তারা এজলাসে দাঁড়িয়ে ছবি তুলতে থাকেন। এ সময় সেখানে থাকা পুলিশ সদস্য শাহ আলম তাদের ছবি তুলতে বাধা দেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে ওই পুলিশ‌ সদস্যকে মারধর করেন।

এ সময় আদালতের আইনজীবী ও উপস্থিত লোকজন তাকে উদ্ধার করেন এবং হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

পরে আদালতের শুনানি শেষে তাদের আটক করা হয়।

বিষয়টি নিশ্চিত করে পরিদর্শক (কোর্ট ইন্সপেক্টর)  রাশেদুল ইসলাম জানান, সঙ্গে সঙ্গে ৬ জনকে আটক করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে। 

এ বিষয়ে পাবনা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি ও জেলা বিএনপির সদস্যসচিব আইনজীবী মাসুদ খন্দকার বলেন, ‘আদালতের এজলাসে এ ধরনের ঘটনা মেনে নেওয়ার মতো নয়। বিএনপির কেউ যদি সত্যিই এমন ঘটনা ঘটিয়ে থাকে, তবে অবশ্যই তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

মন্তব্য

পুকুরে নেমে পায়ের সঙ্গে ধাক্কা, মিলল ভাই-বোনের লাশ

ফরিদপুর প্রতিনিধি
ফরিদপুর প্রতিনিধি
শেয়ার
পুকুরে নেমে পায়ের সঙ্গে ধাক্কা, মিলল ভাই-বোনের লাশ
ছবি : কালের কণ্ঠ

ফরিদপুরের সদরপুরে পুকুরে গোসল করতে গিয়ে ভাই-বোনের মৃত্যু হয়েছে। ভুক্তভোগী তাফসান ফকির (৬) ও লামিম (১৩) সম্পর্কের চাচাতো ভাই-বোন।

আজ মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) বিকেলের দিকে উপজেলার বিষ্ণুপুর ইউনিয়নের সাদের খার গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

পুনিতে ডুবে যাওয়া তাফসান ফকির (৬) সাদের খার গ্রামের মুকুল ফকিরের ছেলে ও লামিম (১৩) একই গ্রামের জামাল ফকিরের মেঝ মেয়ে।

লামিম লোহারটেক উচ্চ বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী ছিলেন।

এলাকাবাসী ও পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার দুপুর দেড়টার দিকে দুই চাচাতো ভাই বোন বাড়ি হতে ৩০০ মিটার দূরে একটি পুকুরের গোসল করতে যায়। তাদের কেউই সাঁতার জনতো না। বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে এক ব্যক্তি গোসল করতে গেলে তার পায়ে মানুষের শরীর ঠেকলে তিনি ভয়ে উঠে যান এবং এলাকাবাসীকে বিষয়টি জানান।

তাফসানের মা এ খবর পেয়ে পুকুর পাড়ে এসে ছেলের পোশাক দেখতে পান। পরে স্থানীয়দের সহায়তায় প্রথমে তার ছেলে ও পরে লামিয়াকে উদ্ধার করে তাদের দ্রুত চরভদ্রাসন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের মৃত বলে ঘোষণা করেন।

এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত বিষ্ণুপুর ইউপি চেয়ারম্যান মো. মোয়াজ্জেম হোসেন বলেন, দুপুরে সবার অজান্তে ওই দুটি শিশু পুকুরে নেমে পানিতে ডুবে মারা যায়।

এ ব্যাপারে সদরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল মোতালেব বলেন, ‘বিষয়টি আমাদের কেউ জানায়নি।

এ ব্যাপারে খোঁজ নেওয়া হচ্ছে।’

মন্তব্য
আশুলিয়া

ছাত্র-জনতা হত্যা মামলায় যুবলীগ নেতা গ্রেপ্তার

সাভার (ঢাকা) প্রতিনিধি
সাভার (ঢাকা) প্রতিনিধি
শেয়ার
ছাত্র-জনতা হত্যা মামলায় যুবলীগ নেতা গ্রেপ্তার
সংগৃহীত ছবি

ঢাকার আশুলিয়ায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে নির্বিচারে গুলি চালিয়ে হত্যা ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগে এরশাদ হোসেন (৩৮) নামের এক যুবলীগ নেতাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) দুপুরে তাকে আদালতে পাঠানো হয়েছে। 

এর আগে সোমবার রাতে আশুলিয়ার পানধোয়া বাজার এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। 

গ্রেপ্তার মো. এরশাদ হোসেন ঢাকা জেলার আশুলিয়া থানাধীন পানধোয়া এলাকার মো. কালু মিয়ার ছেলে।

তিনি আশুলিয়ার পাথালিয়া ইউনিয়ন ৫ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। এ ছাড়া তিনি আওয়ামী লীগের প্রভাব বিস্তার করে এলাকায় ডিস ব্যবসা দখলসহ বিভিন্ন ধরনের আইনবিরোধী কার্যক্রমে জড়িত ছিলেন। তার বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

পুলিশ জানায়, গত জুলাই-আগস্টের আন্দোলনে সাভার ও আশুলিয়ায় ছাত্র-জনতার ওপর হামলা ও নির্বিচারে গুলি চালায় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী এবং তাদের দোসররা।

এ ঘটনায় প্রায় শতাধিক ছাত্র-জনতা গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যায়। পরে তাদের পরিবারের সদস্যরা হত্যা ও হত্যাচেষ্টার মামলা করেন। সেই মামলায় জড়িত থাকার অভিযোগে রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আশুলিয়ার পানধোয়া বাজার এলাকায় অভিযান চালিয়ে এরশাদকে গ্রেপ্তার করা হয়। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে সরকার পতনের পর থেকেই তিনি আত্মগোপনে ছিলেন।

আশুলিয়া থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. মাহমুদুল হাসান জানান, ছাত্র-জনতার ওপর হামলা মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে মঙ্গলবার দুপুরে এরশাদকে আদালতে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় আইনানুগ কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন।

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ