<p>সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রায় তিন বছর শিক্ষক বদলি বন্ধ থাকার পর সম্প্রতি শিক্ষক বদলির নীতিমালা প্রকাশ করা হয়। তবে নীতিমালায় আরোপিত শর্তের জটিলতায় শিক্ষকদের মধ্যে হতাশা দেখা দেয়। সংশ্লিষ্টদের আপত্তির মুখে পুনরায় সংশোধন করা হয়েছে বদলি নীতিমালা।</p> <p>১১ সেপ্টেম্বর প্রকাশিত সমন্বিত বদলি নীতিমালা-২০২২-এ বলা হয়, শিক্ষকদের বদলির আবেদনের ক্ষেত্রে শিক্ষক-শিক্ষার্থীর উপস্থিতি ১:৪০ হতে হবে। দীর্ঘদিন নিয়োগ বন্ধ থাকা এবং অবসরে চলে যাওয়ার কারণে বিদ্যালয়গুলোতে শিক্ষক ঘাটতি দেখা যায়। শর্তের বেড়াজালে অনেকেই আবেদন করতে পারেননি। বারবার সময় বাড়ানোর পরও কাঙ্ক্ষিত আবেদন জমা পড়েনি। এরই মধ্যে শিক্ষকদের পক্ষ থেকে নীতিমালা সংশোধনের দাবি ওঠে।</p> <p>সংশোধিত নীতিমালায় বলা হয়, এ ধরনের বিদ্যালয়ের শিক্ষকরাও বদলির আবেদন করতে পারবেন। তবে আবেদনের ক্ষেত্রে নতুন শিক্ষক পদায়ন বা প্রতিস্থাপন করতে হবে।</p> <p>এ ছাড়া শিক্ষক-শিক্ষার্থী অনুপাত ১:৪০-এর ক্ষেত্রে বিদ্যালয়ের মোট শিক্ষার্থী নয় বরং দুই শিফটের ক্ষেত্রে যে শিফটে শিক্ষার্থী সংখ্যা বেশি সেই শিফটের শিক্ষার্থীর হিসাব অনুযায়ী হিসাব করতে হবে। আগের নীতিমালায় আন্তঃজেলা বা উপজেলায় বদলির ক্ষেত্রে যে জটিলতা দেখা দিয়েছিল তাও সংশোধন করা হয়েছে।</p> <p>সংশোধিত নীতিমালায় শিক্ষকদের সংকট কাটবে বলে জানিয়েছেন সরকারি প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি আমিনুল ইসলাম চৌধুরী। তিনি বলেন, সংশোধনের উদ্যোগ নেওয়ায় অনেক শিক্ষক বদলির আবেদন করতে পারবেন। তবে বেসরকারি চাকরিজীবীদের স্বামী-স্ত্রীর যেকোনো একজন সরকারি চাকরিজীবী হলে বদলির সুযোগ রাখা উচিত ছিল। এ ব্যবস্থা না থাকায় অনেকের সাংসারিক ঝামেলা তৈরি হতে পারে।</p>