<p>সাবেক সাংসদ গোলাম মাওলা রনির মালিকানাধীন আশুলিয়ায় একটি কারখানায় দুই কোটি টাকার মালামাল চুরির ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। এ ছাড়া কারখানাটিতে কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতির অভিযোগ করা হয়।</p> <p>মঙ্গলবার (২৫ জুলাই) রাতে এ অভিযোগের ব্যাপারে নিশ্চিত করেন আশুলিয়া থানার উপপরিদর্শক (এসআই) সোহেল মোল্লা। এর আগে সোমবার আশুলিয়া থানায় মামলা দায়ের করেন গোলাম মাওলা রনির মালিকানাধীন সেবোল্ট টেক্স লিমিটেড কারখানার ব্যবস্থাপক মো. খাইরুল বাশার।</p> <p>এ ঘটনায় অভিযুক্ত হলেন গাজীপুরের টঙ্গী এলাকার ইউনিয়ন স্পোর্টসওয়্যার লিমিটেড কারখানার ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. মেজবাহ উদ্দিন খান। তার গ্রামের বাড়ি ফেনীর সোনাগাজীতে।</p> <p>মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, আশুলিয়ার বাইপাইলে সেবোল্ট টেক্স কারখানাটি ২০১২ সালে ইউনিয়ন স্পোর্টস কারখানাকে ১০ বছরের চুক্তিতে ভাড়া দেওয়া হয়। চুক্তি শেষে তারা ছেড়ে যাওয়ার সময় কারখানার কাঠের দরজা, পানির ট্যাংক, ডিবি বোর্ড, সকেট, ওয়্যারিং তার, ১৮টি কেচি গেট, বৈদ্যুতিক সাবস্টেশন ও জেনারেটরের যন্ত্রাংশসহ বিভিন্ন মালামাল নিয়ে যায়। যার আনুমানিক মূল্য দুই কোটি টাকা। এ ছাড়া জেনারেটর, সাবস্টেশন ও বন্ড হাউস ভেঙে ফেলায় কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে।</p> <p>এজাহারে আরো বলা হয়, গত বছরের ২৫ অক্টোবর থেকে এ বছরের ১৮ জুন পর্যন্ত সময়ের মধ্যে এই মালামাল চুরি করেছেন অভিযুক্তরা। পরে বিজিএমইএর মাধ্যমে মীমাংসার চেষ্টা সফল না হলে আশুলিয়া থানায় মামলা দায়ের করেন ভুক্তভোগীরা।</p> <p>মামলার বাদী ও সেবোল্ট টেক্স লিমিটেডের কারখানার ব্যবস্থাপক মো. খাইরুল বাশার বলেন, ‘আমরা মেশিনারিজসহ তাদের কাছে কারখানা ভাড়া দিয়েছিলাম। পরে তারা কারখানার অনেক মালামাল নিয়ে চলে যায়। গোলাম মাওলা রনি সাহেব অভিযুক্ত মেজবাহ সাহেবের সাথে মীমাংসার চেষ্টা করেছেন এবং একাধিকবার তাদের মধ্যে মেইল চালাচালি হয়েছে; কিন্তু কোনো সমাধান হয়নি।’</p> <p>এ বিষয়ে গোলাম মাওলা রনির সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।</p> <p>এ বিষয়ে অভিযুক্ত প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. মেজবাহ উদ্দিন খানের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করলে তিনি সংযোগ কেটে দেন।</p> <p>মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আশুলিয়া থানার এসআই সোহেল মোল্লা বলেন, এ বিষয়ে থানায় মামলা হয়েছে। ঘটনাস্থল পরিদর্শন ও তদন্ত করে বিস্তারিত পরে জানানো হবে।</p>