<p style="text-align:justify">বাংলাদেশে বর্তমানে যে সংবিধান আছে সেটি কি আদৌ সংবিধান এখন? আমি মনে করি, বাংলাদেশে এখন যেটা আছে সেটা সংবিধান নামে শেখ হাসিনার গার্বেজ। শেখ হাসিনার গার্বেজ ছাড়া আমি এই সংবিধানকে আর কিছু মনে করি না। কারণ এই সংবিধানকে বিভিন্নভাবে বিকৃত করে এটিকে একটি ফ্যাসিবাদী দলিলে রূপান্তরিত করা হয়েছে। এখন এই ফ্যাসিবাদী দলিল থেকে কোনো দিনও একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠিত হতে পারে না। </p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="কাঁঠালিয়ায় ‘দানা’র প্রভাবে বিধ্বস্ত ঘরবাড়ি, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান" height="66" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/2024/10/25/1729844297-27f4d8a87e310f6cfa31ba1103ca9a7e.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>কাঁঠালিয়ায় ‘দানা’র প্রভাবে বিধ্বস্ত ঘরবাড়ি, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/country-news/2024/10/25/1439018" target="_blank"> </a></div> </div> <p style="text-align:justify">আজ শুক্রবার জাতীয় প্রেসক্লাবের জহুর হোসেন হলে সংস্কার সংঘের আয়োজিত 'সংবিধান সংস্কার যাত্রায় সেকেন্ড রিপাবলিকের খোঁজে' শীর্ষক জাতীয় সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন দৈনিক আমার দেশ পত্রিকার সম্পাদক মাহমুদুর রহমান।</p> <p style="text-align:justify">এ সময় তিনি বলেন, 'আমরা যদি বাহত্তরের সংবিধানেও ফিরে যাই, এটা কি বাংলাদেশের জনগণের আশা-আকাঙ্খাকে প্রতিফলিত করেছিল? এটা একটা বড় প্রশ্ন। এই প্রশ্নের জবাব কিন্তু জনগণের কাছ থেকে খোঁজার কখনো চেষ্টা করা হয়নি। যদিও আমরা বলে থাকি ড. কামাল হোসেন নাকি সংবিধানটি রচনা করেছিলেন, কিন্তু জনশ্রুতি আছে যে, সংবিধানটি ভারত থেকে তৈরি করে দেওয়া হয়েছিল এবং বাংলাদেশের তৎকালীন পার্লামেন্ট এটাকে রাবার স্ট্যাম্পের মতো করে একটা স্ট্যাম্প দিয়েছিল। </p> <p style="text-align:justify">এ ছিল বাংলাদেশের সংবিধান। আমাদের জিজ্ঞাসা করা হয়নি, জনগণের সঙ্গে কোনো পরামর্শ করা হয়নি। কিছুই করা হয়নি। এটা ছিল সেই সংবিধানের যাত্রা। সেই যাত্রার পর থেকে এটাকে বিকৃত করার কাজটা তৎকালীন যিনি রাষ্ট্রপতি ছিলেন, যিনি স্বৈরাচারী শাসনব্যবস্থা বাকশাল কায়েম করেছিলেন তিনি করেছিলেন। কারণ ওই সংবিধানে কোথাও একদলীয় শাসনব্যবস্থা ছিল না। যেটা পঁচাত্তরের সংশোধনীর মাধ্যমে করা হয়েছিল।'</p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="১২ ঘণ্টা পর ঢাকা থেকে ট্রেন চলাচল শুরু, শিডিউল বিপর্যয়ে ভোগান্তি" height="66" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/2024/10/25/1729843311-e8a91362f58aad79ba0c1005d0833cbe.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>১২ ঘণ্টা পর ঢাকা থেকে ট্রেন চলাচল শুরু, শিডিউল বিপর্যয়ে ভোগান্তি</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/national/2024/10/25/1439015" target="_blank"> </a></div> </div> <p style="text-align:justify">তিনি আরো বলেন, 'বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ শুরু হয়েছিল প্রধানতম গণতান্ত্রিক অধিকারের জন্য, যখন পাকিস্তানী শাসকরা বাংলাদেশের জনগণের অভিপ্রায়কে অস্বীকার করল। সেটাকে কেন্দ্র করেই মুক্তিযুদ্ধ শুরু হয়েছিল। সেই গণতন্ত্রকে ধ্বংস করেছিলেন শেখ মুজিবুর রহমান। কাজেই গণতন্ত্রকে ধ্বংস করে শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশে একটি স্বৈরাচারী শাসনব্যবস্থা তৈরি করেছিলেন এবং ওই অবস্থায় সংবিধানকে রেখে গিয়েছিলেন। </p> <p style="text-align:justify">তারপর সংবিধানের আরো সংশোধন হয়েছে। জিয়াউর রহমান সাহেব এসে সেটাতে বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম এনেছেন। তারপরে আল্লাহর প্রতি আস্থা এনেছিলেন, যেটাকে পরে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু কোনো অবস্থাতেই জনগণের কোনো মতামত নেওয়া হয়নি। জনগণের কোনো রেফারেন্ডম নেওয়া হয়নি এই সংবিধানের ব্যাপারে।'</p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="মিয়ানমার: প্রায় এক মাস ধরে পিনলাউং শহরে চলছে তীব্র লড়াই" height="66" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/2024/10/25/1729844249-5a32696612a54098f2f0d9ff3ec7e163.gif" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>মিয়ানমার: প্রায় এক মাস ধরে পিনলাউং শহরে চলছে তীব্র লড়াই</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/world/2024/10/25/1439017" target="_blank"> </a></div> </div> <p style="text-align:justify">সেমিনারে মাহমুদুর রহমান বলেন, 'যে দলিলে জনগণের কোনো মতামত নেওয়া হয়নি, জনগণের কোনো রেফারেন্ডম নেওয়া হয়নি, বর্তমান সংবিধান এমনভাবে করা হয়েছে, যে এই সংবিধান সংশোধন করতে রেফারেন্ডমের যে অংশ ছিল সেটাকে পর্যন্ত বাদ দেওয়া হয়েছে। </p> <p style="text-align:justify">অর্থাৎ, এখন যে গার্বেজটি আছে সংবিধানের নামে সেখানে জনগণের কোনো অধিকার নেই। কাজেই আমি মনে করি এই সংবিধানের মাধ্যমে, এই সংবিধানকে রেখে কোনো গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র নির্মাণ সম্ভব নয়। এটা আমার ব্যক্তিগত মতামত। কাজেই এই সংবিধান সংশোধন কিংবা পরিবর্তন যেটাই করুক না কেন এটি একটি নির্বাচিত পার্লামেন্ট ঠিক করবে। কিন্তু অবশ্যই এটাকে সংশোধন কিংবা পরিবর্তন জরুরি। আমি মনে করি, এটাকে পরিবর্তন করা উচিত।'</p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="খাদ্যদ্রব্যে ভেজালকারীদের মৃত্যুদণ্ডের দাবি আহমাদুল্লাহর" height="66" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/2024/10/25/1729842600-8441f6063ce64eef263cacadeaa799f0.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>খাদ্যদ্রব্যে ভেজালকারীদের মৃত্যুদণ্ডের দাবি আহমাদুল্লাহর</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/campus-online/2024/10/25/1439013" target="_blank"> </a></div> </div> <p style="text-align:justify">কলামিস্ট ও শিক্ষাবিদ ড. আবদুল ওয়াহিদের সভাপতিত্বে সেমিনারে প্রধান আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি ড. আবদুল লতিফ মাসুম। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজনীতি বিভাগের শিক্ষক ড. তারেক ফজলে।</p>