<p>আন্দোলনরত আমলাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম। তিনি বলেছেন, ‘যাঁরা আন্দোলনের নামে চাকরিবিধি লঙ্ঘন করছেন, তাঁদের বিরুদ্ধে অবশ্যই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’ গতকাল শুক্রবার ঢাকায় খামারবাড়ি কৃষিবিদ ইনস্টিটিউটে ফোরাম ফর বাংলাদেশ স্টাডিজ আয়োজিত ঐক্য, সংস্কার ও নির্বাচন শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে তিনি এ কথা বলেন।</p> <p>সরকারের ব্যাপক জনসমর্থন থাকলেও সরকারের প্রশাসনিক সীমাবদ্ধতা রয়েছে বলে জানিয়ে নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘আমরা সামপ্রতিক সময়ে আমলাদের বক্তব্য শুনতে পারছি। তাঁরা এক ধরনের হুমকি দিচ্ছেন। এটার সাহস তাঁরা পেয়েছেন বিগত সরকারের সময়ে। সেই সময় দেখেছি আমলাতন্ত্রকে শক্তিশালী করা হয়েছে। আমলাতন্ত্র নির্ভরতাকে কাজে লাগিয়ে ফ্যাসিজম তৈরি করা হয়েছে।’</p> <p>এ সময় সঞ্চালক সাইয়েদ আবদুল্লাহ প্রশ্ন করে বলেন, অভিযুক্ত আমলাদের বিরুদ্ধে সরকার দৃশ্যমান ব্যবস্থা নিয়েছে কি না?</p> <p>জবাবে তথ্য উপদেষ্টা বলেন, ‘এটা নিয়ে আজকেও (শুক্রবার) বৈঠক করেছি। আগামী সপ্তাহে কঠোর পদক্ষেপ আসবে। যাঁরা আন্দোলনের নামে চাকরি বিধি লঙ্ঘন করছেন, তাঁদের বিরুদ্ধে অবশ্যই ব্যবস্থা নেওয়া হবে এবং আমলাদের বলছি এখন সময় জনগণকে সেবা দেওয়ার। গণতান্ত্রিক ট্রানজিশনটা সঠিকভাবে করার সহযোগিতা করার। আন্দোলন আন্দোলন খেলা কিংবা গোষ্ঠীস্বার্থ রক্ষার জন্য এত মানুষ জীবন দেয় নাই।’</p> <p>তিনি বলেন, ‘রাষ্ট্রের সংস্কার হলে সবাই ন্যায়বিচার পাবেন। সংস্কারে তাঁদেরও মত থাকবে, তাঁদের কথা শোনা হবে। সংস্কার সুপারিশে তাঁদের প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছেন, এটা তাঁদের নৈতিকভাবে ঠিক হয়নি। তাঁরা বিধিগতভাবেও লঙ্ঘন করেছেন। বিগত রেজিমের আমলারা নানাভাবে লুকিয়ে আছেন, তাঁদের চিহ্নিত করেছি। তাঁদের বিরুদ্ধেও দ্রুত ব্যবস্থা নেব।’</p> <p>তথ্য উপদেষ্টা বলেন, ‘রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সরকারের ইতিবাচক সৌহার্দ্য ও ঐকমত্য আছে। পাশাপাশি সরকারের ভুল ও সীমাবদ্ধতা নিয়ে তারা সমালোচনা করছে। সেগুলো আমরা সামলানোর চেষ্টা করছি।’</p> <p>তিনি বলেন, গণ-অভ্যুত্থানের পর যে ধরনের সরকার গঠন হয়েছে তা সংজ্ঞায়িত করা যাচ্ছে না। এক অর্থে সরকার সাংবিধানিক সরকারও নয়, আরেক অর্থে বিপ্লবী সরকারও নয়। অন্তর্বর্তী সরকার অন্তর্বর্তী সময় পার করছে।</p>