ঢাকা, শনিবার ২২ মার্চ ২০২৫
৭ চৈত্র ১৪৩১, ২১ রমজান ১৪৪৬

সাগর-রুনি হত্যা মামলা : রহস্য উদঘাটনে দুজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করবে পিবিআই

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
সাগর-রুনি হত্যা মামলা : রহস্য উদঘাটনে দুজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করবে পিবিআই
ফাইল ছবি

সাংবাদিক দম্পতি সাগর সারওয়ার ও মেহেরুন রুনি হত্যা মামলায় তদন্তের স্বার্থে জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে বহিষ্কৃত সেনা কর্মকর্তা মেজর জেনারেল জিয়াউল আহসান এবং ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের লালবাগ বিভাগের সাবেক উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মশিউর রহমানকে।

তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করলে মামলার রহস্য উদঘাটনে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া সম্ভাবনা রয়েছে বলে তদন্ত সংস্থা পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) আবেদনে উল্লেখ করেছে।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পিবিআইয়ের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আজিজুল হকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে গত ৮ জানুয়ারি ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ইমরান হোসেন তাদের জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দেন। আদালতের একাধিক কর্মকর্তার বরাতে রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা বাসস আজ সোমবার এ খবর জানিয়েছে।

আবেদনে তদন্তকারী কর্মকর্তা উল্লেখ করেন, সাংবাদিক দম্পতি সাগর সারওয়ার ও মেহেরুন রুনি হত্যা মামলার তদন্ত কাজের সঙ্গে তারা সম্পৃক্ত ছিলেন মর্মে তথ্য পাওয়া যায়। তদন্তাধীন সময় জিয়াউল র‍্যাবের এডিজি (অপারেশন) ও মশিউর ডিসি (লালবাগ) হিসেবে কর্মরত ছিলেন। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করলে মামলার রহস্য উদঘাটনে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া সম্ভাবনা রয়েছে।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পিবিআই অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আজিজুল হক বলেন, ‘সাগর-রুনি হত্যা মামলাটি গুরুত্ব সহকারে তদন্ত চলছে।

২০১২ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি মাছরাঙা টেলিভিশনের বার্তা সম্পাদক সাগর সারওয়ার ও এটিএন বাংলার জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক মেহেরুন রুনিকে হত্যা করা হয়। এরপর নিহত রুনির ভাই নওশের আলম রোমান শেরেবাংলানগর থানায় একটি হত্যা মামলা করেন।

গত বছরের ৩০ সেপ্টেম্বর সাংবাদিক দম্পতি সাগর সারওয়ার ও মেহেরুন রুনি হত্যা মামলার তদন্তের দায়িত্ব র‌্যাব থেকে সরিয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে গঠিত একটি উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন টাস্কফোর্সকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। বহুল আলোচিত সাগর-রুনি হত্যা মামলার তদন্ত চেয়ে আনা রিটের আদেশ মডিফিকেশন চেয়ে রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনে এ আদেশ দেন উচ্চ আদালত।

বিষয়টি নিয়ে শুনানিতে হাইকোর্ট বলেন, ‘আশা করি এবার ন্যায়বিচার নিশ্চিত হবে এবং তদন্তের জন্য দেওয়া এবারের ছয় মাস মানে ছয় মাস।’ এ বিষয়ে পরবর্তী আদেশের জন্য আগামী ৬ এপ্রিল দিন ধার্য রয়েছে হাইকোর্টে।

২০১২ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর পশ্চিম রাজাবাজারের ভাড়া করা বাসায় খুন হন সাংবাদিক দম্পতি সাগর ও রুনি। ঘটনার সময় বাসায় ছিল তাদের সাড়ে চার বছরের ছেলে শিশু মাহির সারওয়ার মেঘ।

সাগর বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল মাছরাঙা টিভিতে আর রুনি এটিএন বাংলায় কর্মরত ছিলেন।

নির্মম এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় রাজধানীর শেরেবাংলানগর থানায় মামলা করেন রুনির ভাই নওশের আলম। প্রথমে মামলাটি তদন্ত করছিল শেরেবাংলানগর থানার পুলিশ। পরবর্তীতে মামলার তদন্তভার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা বিভাগের (ডিবি) কাছে হস্তান্তর করা হয়। পরে র‌্যাব পায় তদন্তের দায়িত্ব।

এই হত্যা মামলার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য হাইকোর্টে রিট করেছিলেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মনজিল মোরসেদ। ঘটনার দুই মাস পরেও মামলার তদন্তে কোনো অগ্রগতি না হওয়ায় তিনি মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পরিবর্তনের জন্য আদালতের কাছে আবেদন করেছিলেন। ইতোমধ্যে এক যুগ পার হলেও মামলার তদন্তে উল্লেখযোগ্য কোনো প্রতিবেদন দাখিল করতে পারেননি তদন্তকারী কর্মকর্তা। সর্বশেষ গত ২৩ ডিসেম্বর মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য দিন ধার্য ছিল।

তদন্ত সংস্থা প্রতিবেদন দাখিল না করায় ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শরীফুর রহমান প্রতিবেদন দাখিলের জন্য ২৭ জানুয়ারি প্রতিবেদন দাখিলের জন্য নতুন দিন ধার্য করেন। এ পর্যন্ত তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলে ১১৪ বার সময় নেওয়া হয়েছে।

নির্মম এই হত্যাকাণ্ডের পর তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যেই খুনীদের ধরা হবে বলে সময় বেঁধে দিয়েছিলেন। তা শুধু কথার কথা হিসেবেই ছিল। সাগর রুনি হত্যার তদন্ত প্রতিবেদন এবং জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক সাজার দাবিতে ডিইউজে, বিএফইউজে, ডিআরইউসহ বিভিন্ন সাংবাদিক সংগঠন দাবি জানিয়ে আসছে।

উল্লেখ্য, র‌্যাব এই মামলার তদন্তে নেমে গ্রেপ্তারকৃত আট আসামি, নিহত সাগর-রুনি এবং স্বজনসহ ২৫ জনের ডিএনএ নমুনা পরীক্ষার জন্য যুক্তরাষ্ট্রে পাঠায়। যুক্তরাষ্ট্রের পরীক্ষাগার থেকে পরীক্ষার রিপোর্টগুলো হাতে পাওয়ার পর অপরাধ চিত্রের প্রতিবেদন (ক্রাইম সিন রিপোর্ট) পর্যালোচনা করে দুইজনের ডিএনএর পূর্ণাঙ্গ প্রোফাইল পেয়েছে। তবে তাতে সন্দেহভাজন খুনী শনাক্ত হয়নি বলে সূত্র জানায়।

প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদ গত ২১ সেপ্টেম্বর সারা দেশের বিচারকদের উদ্দেশে দেওয়া তার অভিভাষণে বলেন, ‘আমরা দেখেছি চাঞ্চল্যকর সাগর-রুনি হত্যাকাণ্ডের তদন্ত রিপোর্ট দেওয়ার জন্য ইতোমধ্যে শতাধিকবার সময় নেওয়া হয়েছে। এটা কিছুতেই কাম্য হতে পারে না। তদন্ত কাজেই যদি একাধিক বছর সময় লেগে যায়, সে মামলার বিচারকাজ পরিচালনা অনেক কঠিন হয়ে পড়ে। কেননা সময়ের আবর্তে মামলার অনেক সাক্ষী ও সাক্ষ্য হারিয়ে যায়।’

সাগর-রুনি হত্যা মামলায় এক যুগ পর বাদীপক্ষে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনিরকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। মামলার বাদী মেহেরুন রুনির ভাই নওশের রোমান আইনজীবী নিয়োগের বিষয়টি সাংবাদিকদের জানান। আইনজীবী শিশির মনির সাংবাদিকদের বলেন, আমরা সাগর-রুনি হত্যার রহস্য উন্মোচনে কাজ শুরু করেছি।

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

বাংলাদেশ থেকে ৩ ধরনের ফল আমদানি করবে চীন : প্রেসসচিব

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
বাংলাদেশ থেকে ৩ ধরনের ফল আমদানি করবে চীন : প্রেসসচিব
সংগৃহীত ছবি

বাংলাদেশ থেকে আম, পেয়ারা ও কাঁঠাল আমদানি করবে চীন। বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনা রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন সম্প্রতি ঢাকায় প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে এক বৈঠকে তার সরকারের এই আগ্রহের কথা জানিয়েছেন।

বৃহস্পতিবার রাজধানীর ফরেন সার্ভিসে একাডেমিতে এক মিডিয়া ব্রিফিংয়ে প্রধান উপদেষ্টার প্রেসসচিব শফিকুল আলম এ তথ্য জানান। 

শফিকুল আলম বলেন, ‘বাংলাদেশ থেকে আম, পেয়ারা ও কাঁঠাল আমদানি করার বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টা আগেই চীন সরকারকে অনুরোধ করেছিলেন।

এখন চীন সরকার এই তিন ধরনের ফল আমদানি করতে খুবই আগ্রহী। এর মধ্যে দিয়ে চীনে আমাদের রপ্তানির নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।’

আরো পড়ুন
সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামানের জনসংযোগ কর্মকর্তা পুলিশ হেফাজতে

সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামানের জনসংযোগ কর্মকর্তা পুলিশ হেফাজতে

 

প্রেসসচিব বলেন, ‘আমরা দেশটিতে কাঁঠাল বৃহৎ পরিসরে রপ্তানি করতে পারব। আর চীনারা বাংলাদেশের আম পছন্দ করছেন।

এর ফলে দেশটিতে বৃহৎ আকারে আম রপ্তানিরও সুযোগ তৈরি হয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘আম রপ্তানির ক্ষেত্রে কিছু স্ট্যান্ডার্ড পরিপালন করতে হয়, সে ক্ষেত্রে বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি (ডব্লিউএফও) আমাদের চার মিলিয়ন মার্কিন ডলারের কারিগরি সহায়তা দিচ্ছে।’

শফিকুল আলম বলেন, ‘আশা করছি, প্রধান উপদেষ্টার চীন সফরের মধ্যে দিয়ে দুই দেশের বাণিজ্যিক সম্পর্ক অনেক গভীর হবে।’

উল্লেখ্য, প্রধান উপদেষ্টা আগামী ২৬ মার্চ চার দিনের জন্য চীন সফরে যাচ্ছেন।

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

প্রথমবারের মতো ঈদে অনুষ্ঠান করছে শিল্পকলা একাডেমি!

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
প্রথমবারের মতো ঈদে অনুষ্ঠান করছে শিল্পকলা একাডেমি!
সংগৃহীত ছবি

বাংলাদেশের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো ঈদ উপলক্ষে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে শিল্পকলা একাডেমি।

আগামী ৩০ মার্চ সন্ধ্যা ৭টায় বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির নন্দন মঞ্চে এ অনুষ্ঠান পরিবেশিত হবে।

আরো পড়ুন
নতুন রাজনৈতিক দলের আত্মপ্রকাশ, স্লোগান ‘ইনসাফ জিন্দাবাদ’

নতুন রাজনৈতিক দলের আত্মপ্রকাশ, স্লোগান ‘ইনসাফ জিন্দাবাদ’

 

বৃহস্পতিবার রাতে অনুষ্ঠানের একটি ফটোকার্ড নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক আইডিতে পোস্ট করেছেন প্রেসসচিব শফিকুল আলম।

তিনি বলেছেন, বাংলাদেশের ইতিহাসে এই প্রথম ঈদ উপলক্ষে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজন করছে শিল্পকলা একাডেমি।

মন্তব্য

সাংবাদিকদের কাজ সমাজের প্রকৃত চিত্র তুলে ধরা : কাদের গনি চৌধুরী

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
শেয়ার
সাংবাদিকদের কাজ সমাজের প্রকৃত চিত্র তুলে ধরা : কাদের গনি চৌধুরী
ছবি : কালের কণ্ঠ

বিএফইউজে মহাসচিব ও বাংলাদেশ সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের সদস্যসচিব কাদের গনি চৌধুরী বলেছেন, ‘প্রতিটি দিন দুটি সূর্য উদিত হয়, একটি হচ্ছে প্রভাত সূর্য, অন্যটি হচ্ছে সংবাদ। সূর্যের আলোতে আমরা দেখি আর সংবাদমাধ্যম আমাদের বিশ্ব দেখায় বা জানায়। একজন সাংবাদিকের কাজ সমাজের প্রকৃত চিত্র তুলে ধরা।’

বৃহস্পতিবার (২০ মার্চ) সন্ধ্যায় জেলা পরিষদ মিলনায়তনে সাংবাদিক ইউনিয়ন গাজীপুর আয়োজিত আলোচনাসভা ও ইফতার মাহফিলে তিনি এসব কথা বলেন।

কাদের গনি চৌধুরী বলেন, ‘সাংবাদিকদের সমাজের দর্পণ বলা হয়। সাংবাদিকরা সমাজের ওয়াচডগ করেন। এই দর্পণে প্রতিবিম্বিত হয় সমাজের প্রতিচিত্র। অন্যায়, অনিয়ম, নিগ্রহ, শোষণ-বঞ্চনা ও অধিকার হরণের বিরুদ্ধে সব সময় একজন সাংবাদিককে সোচ্চার থাকতে হয়।

চোখ রাঙানোকে তোয়াক্কা না করে নির্ভীক ও নিরলসভাবে কাজ করতে হয়। প্রচলিত সমাজব্যবস্থার চিত্র প্রত্যক্ষ করতে হয়। মানুষের সমস্যার কথা তুলে ধরার দায়িত্ব পালন করতে হয়। অনেক বাধা-বিপত্তির মধ্যে তাদের দিন যায়।
ক্ষমতাধরদের রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে সাহসিকতার সঙ্গে এগিয়ে যেতে হয়।’

তিনি বলেন, ‘সাংবাদিকদের হতে হবে সাহসী। কিন্তু রাষ্ট্রের সহযোগিতা না পেয়ে সাহসী সাংবাদিকতা ও অনুসন্ধানী সাংবাদিক অনেকটা বিলীন হতে চলেছে।’

কাদের গনি চৌধুরী বলেন, ‘কথায় কথায় সাংবাদিককে হত্যা করা হয়, নিগৃহীত করা হয়, ভয় দেখানো হয়। সাংবাদিকদের কণ্ঠরোধ করতে, কাজ ব্যাহত করতে অহরহ দমন-পীড়ন চালানো হয়।

পুলিশ লেলিয়ে দেওয়া, রাজনৈতিক নেতাদের হুমকি, দুর্নীতিগ্রস্ত আমলাদের অত্যাচার, প্রভাবশালী ব্যবসায়ীদের আক্রমণ- এ সব কিছু সাংবাদিকদের সহ্য করে সামনে এগিয়ে যেতে হয়। তার ওপর রয়েছে নিপীড়নমূলক আইন। নানা রকম হয়রানি এড়িয়ে যেতে সাংবাদিকরা যখন সেলফ সেন্সরশিপের আশ্রয় নেন, তখন গণমাধ্যম আর স্বাধীন থাকে না। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে সাংবাদিকরা প্রভাবশালী মহলের চাপে পড়ে সেলফ সেন্সরশিপ অবলম্বন করেন। অনেক সময় চাকরি হারানোর ভয়ে অফিসের উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে যাদের যোগাযোগ বেশি, তাদের বিষয়গুলো এড়িয়ে যান। এভাবে সত্যনিষ্ঠ সাংবাদিকতা মারা পড়ছে।’

তিনি আরো বলেন, ‘ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট নামক গণমাধ্যমের স্বাধীনতাবিরোধী আইনের সদ্যবিলুপ্ত ৫৭ ধারায় করা মামলায় হয়রানির শিকার হয়েছেন, এমন সাংবাদিকরা মামলা হওয়ার পর নানা সময়ে জটিল বিষয়গুলোতে প্রতিবেদন প্রস্তুত করতে গেলে আগে নিজের বিপদ এড়ানোর কথা ভাবেন বারবার। ফলে অনেক সময় অনেক তথ্য জেনেও চুপ করে থাকেন। কেননা, বিপদে পড়লে অফিস বা নেতাদের কাছ থেকে খুব বেশি সমর্থন পাওয়া যায় না।’

কাদের গনি চৌধুরী বলেন, ‘আরেকটা বিষয়ে না বললেই নয়, বাংলাদেশে মুক্ত গণমাধ্যম বিষয়টি কোনো অর্থ বহন করে না। কেননা, বাস্তবতা হলো এখানে সাংবাদিকরা সেলফ সেন্সর্ড। যে কজন সাংবাদিক এই পরিস্থিতির বাইরে থেকে পেশাদারির সঙ্গে সাংবাদিকতা করতে চান, তারা নানা হয়রানির শিকার হন। তাদের নিয়ন্ত্রণের যে প্রক্রিয়া সেটি তাকে সাহসী হতে বাধা দেয়।’ 

তিনি আরো বলেন, মুদ্রার অন্য পিঠও আছে। সাংবাদিকতার বিনিময়ে কিছু প্রত্যাশা করলে সঠিক সাংবাদিকতা করা যায় না। সাংবাদিকতার সঙ্গে যু্ক্তরা যখন হয় কোনো কিছু প্রত্যাশা করেন, নানা হিসাব-নিকাশের মধ্যে পড়ে যান, তখন তিনি মুক্ত সাংবাদিকতা করতে পারবেন না। বিগত সরকারের সময় এই প্রবণতা বেড়েছে। সাংবাদিকদের প্লট, ফ্ল্যাট অর্থসহ নানা সুযোগ-সুবিধা দিয়ে তাদের বিবেককে কিনে নেওয়া হয়েছিল। ফলে ওই সাংবাদিকরা সত্যিকারের সাংবাদিকতা ছেড়ে দিয়ে ক্ষমতামুখী সাংবাদিকতার দিকে ধাবিত হন। দালালি করে শত শত কোটি টাকার মালিক বনে যান। কোনো কোনো সাংবাদিকের অ্যাকাউন্টে হাজার কোটি টাকা লেনদেনের খবর জাতিকে বিস্মিত করেছে। সঠিক সাংবাদিকতা ছেড়ে কিছু কিছু সাংবাদিক দলদাসে পরিণত হন। যার ফলে সাংবাদিকতার বড় ক্ষতি হয়ে গেছে।’

সাংবাদিকদের এ নেতা বলেন, ‘সাংবাদিক কোনো দলের নন, কারো স্বার্থের নন, এমনকি দল-মতের ঊর্ধ্বে থেকে সঠিক ও নিরপেক্ষ সংবাদ পরিবেশন করবেন–এটাই প্রকৃত সাংবাদিকের কাজ।’

সাংবাদিক ইউনিয়ন গাজীপুরের সভাপতি দেলোয়ার হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনাসভায় বক্তব্য দেন বিএফইউজের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ওবায়দুর রহমান শাহীন, বাংলাদেশ সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের গাজীপুর জেলা শাখার সভাপতি অধ্যাপক নজরুল ইসলাম, জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সভাপতি অ্যাডভোকেট শহিদুজ্জামান, গাজীপুর জেলা বিএনপির সভাপতি শওকত হোসেন সরকার, জামায়াতে ইসলামীর আমির প্রফেসর জামাল উদ্দিন, গাজীপুরের পুলিশ সুপার ড. চৌধুরী জাবেদ সাবের বিএফইউজে নেতা আবু হানিফ।

অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন সাংবাদিক ইউনিয়ন গাজীপুরের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ হেদায়েত উল্লাহ।

মন্তব্য

মিথ্যা তথ্য দিয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থায় চাকরি, পুতুলের নামে মামলা

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
মিথ্যা তথ্য দিয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থায় চাকরি, পুতুলের নামে মামলা

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার আঞ্চলিক পরিচালক পদে নিয়োগের ক্ষেত্রে জীবনবৃত্তান্তে মিথ্যা ও ভুয়া যোগ্যতা দেখানোর অভিযোগে সায়মা ওয়াজেদ পুতুলের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কন্যা সায়মা ওয়াজেদ পুতুলের বিরুদ্ধে এটিসহ দুটি মামলা করা হয়েছে। 

বৃহস্পতিবার (২০ মার্চ) দুদকের উপপরিচালক তাহাসিন মুনোবীল হক বাদী হয়ে মামলা দু্টি করেন।

অন্য মামলাটিতে তার বিরুদ্ধে সিএসআর খাত থেকে সূচনা ফাউন্ডেশনের নামে ৩৩ কোটি টাকা সহায়তার নামে আত্মসাতের অভিযোগ আনা হয়েছে।

এই মামলায় এক্সিম ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম মজুমদারকেও অভিযুক্ত করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন।

বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকস ভুক্ত ব্যাংকগুলোর জন্য এই সিএসআর খাত কাজ করে।

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ