ঈদুল ফিতর উপলক্ষে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা টানা নয় দিনের ছুটি ভোগ করলেও সারা দেশের সব সরকারি হাসপাতাল, মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল এবং বিশেষায়িত হাসপাতালগুলো খোলা থাকবে। এসব হাসপাতালের রোগীরা জরুরি চিকিৎসা সেবা পাবেন।
হাসপাতাল সূত্র জানিয়েছে, ঈদে ছুটির দিনগুলোতেও হাসপাতালের কার্যক্রম চলমান থাকবে। সরকারি হাসপাতালের ইমার্জেন্সি বিভাগের সেবা ২৪ ঘণ্টাই চালু থাকবে।
তবে ঈদের দিন, ঈদের আগের এবং পরের দিন শুধুমাত্র আউটডোরে রোগী দেখার কার্যক্রম বন্ধ থাকবে। ছুটির দিনগুলোতে চিকিৎসক এবং নার্স রোস্টার অনুযায়ী দায়িত্ব পালন করবেন। পাশাপাশি ঈদের দিন রোগীদের জন্য বিশেষ খাবারের ব্যবস্থাও করা হবে।
ঈদের ছুটিতে হাসপাতালের সার্বিক ব্যবস্থাপনা প্রসঙ্গে জানতে চাইলে রাজধানীর শ্যামলীতে অবস্থিত ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট টিবি হাসপাতালের উপ পরিচালক ডা. আয়েশা আক্তার বলেন, হাসপাতালের জরুরি বিভাগ ২৪ ঘণ্টাই খোলা থাকে।
ঈদের ছুটিতেও জরুরি বিভাগ খোলা থাকবে। তিনদিন আউটডোর সেবা বন্ধ থাকবে। চিকিৎসকরা রোস্টার অনুযায়ী ডিউটি করবেন। এবার যদিও সরকারি ছুটি তিনদিন কিন্তু চিকিৎসকদের আসলে ছুটি নেই।
ঈদের দিনে রোগীর জন্য বিশেষ খাবারের ব্যবস্থা থাকবে উল্লেখ করে তিনি আরো বলেন, সকালে রোগীদের সেমাই ফিরনি খেতে দেওয়া হয়, এ ছাড়া দুপুরে পোলাও খাসির মাংস এবং ডিম দেওয়া হয়।
এ বিষয়ে সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ডা. মো. শফিউর রহমান বলেন, ঈদের আগের দিন, ঈদের দিন এবং পরের দিন আমাদের আউটডোর বন্ধ থাকবে। এর আগে পরে আউটডোরে রোগীরা চিকিৎসা পাবেন, সেই ব্যবস্থা করা আছে। এছাড়াও আমাদের হাসপাতালের ইমারজেন্সি বিভাগ ২৪ ঘণ্টাই খোলা থাকবে। অমুসলিম ডাক্তারদের দিয়ে পাঁচ দিনের রোস্টার করা আছে।
তিনি বলেন, জরুরি অপারেশন থিয়েটার, সার্জারি এবং গাইনি বিভাগের টিম রেডি আছে, চালু থাকবে। প্রত্যেকটা ওয়ার্ডের রোস্টার রেডি করা আছে, সেই অনুযায়ী ডিউটিতে থাকবে। আমাদের হাসপাতালের সব স্তরে চিকিৎসক আছে। এ ছাড়া তৃতীয় শ্রেণি, চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী এবং নার্স ডিউটিতে উপস্থিত থাকবে। ফলে, আশা করি কোনো অসুবিধা হবে না।
আরো পড়ুন
কেমন ছিল মহানবী (সা.)-এর যুগের ঈদ
উল্লেখ্য, ৩১ মার্চ পবিত্র ঈদুল ফিতর ধরে আগেই পাঁচ দিনের ছুটি ঘোষণা করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। সেই হিসাবে ২৯ মার্চ শুরু হয় ঈদুল ফিতরের ছুটি। কিন্তু নির্ধারিত ছুটি শুরুর আগের দিন ২৮ মার্চ (শুক্রবার) সাপ্তাহিক ছুটির দিন। একইসঙ্গে ছিল পবিত্র শবে কদরের ছুটি। ফলে বাস্তবে ২৮ মার্চ থেকেই ছুটি শুরু হয়।
পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী, ঈদের ছুটি শেষে অফিস খোলার কথা ছিল বৃহস্পতিবার (৩ এপ্রিল), তার পরের দুই দিন আবার সাপ্তাহিক ছুটির দিন শুক্র ও শনিবার। এখন ৩ এপ্রিলও নির্বাহী আদেশে ছুটি হওয়ায় ২৮ মার্চ থেকে ৫ এপ্রিল পর্যন্ত টানা নয় দিন ছুটি ভোগ করবেন সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।