রেলে ১ টাকা আয় করতে আড়াই টাকা খরচ : রেলপথ উপদেষ্টা

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
রেলে ১ টাকা আয় করতে আড়াই টাকা খরচ : রেলপথ উপদেষ্টা
সংগৃহীত ছবি

রেলপথ উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান বলেছেন, রেলওয়ে একটি লোকসানের প্রতিষ্ঠান। এখানে এক টাকা আয় করার জন্য আড়াই টাকার মতো খরচ। তিনি বলেন, রেলওয়ের লোকসানের বড় কারণ দুর্নীতি ও অপচয়। দুর্নীতি যাতে কমে এবং অপচয় যাতে বন্ধ হয় সেজন্য আমরা কার্যকর ব্যবস্থা নিচ্ছি।

 

বুধবার (২৬ মার্চ) ঢাকা রেলওয়ে স্টেশনের ভিআইপি লাউঞ্জের সামনে ঢাকা-ভৈরববাজার-ঢাকা রুটের নতুন এক জোড়া কমিউটার ট্রেন উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ মন্তব্য করেন। এর আগে সকাল ৯টা ৫ মিনিটের নতুন ট্রেনটি ভৈরববাজার থেকে এসে তিন নম্বর প্লাটফর্মে থামে। এ সময় ট্রেনের যাত্রীদের ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান এবং কুশল বিনিময় করেন রেলপথ উপদেষ্টা। 

মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান বলেন, অন্তর্বর্তী সরকার ঢাকা ও বড় শহরের বাইরের শহরগুলোর দিকে নজর দিয়েছে।

শহরের বাইরের মানুষের যে প্রয়োজন সেগুলো বোঝার চেষ্টা করছি ও মেটানোর চেষ্টা করছি।

তিনি বলেন, এছাড়া বিনা টিকিটে অনেক রেলে সেবা নিয়ে থাকে। রেল সেবার মূল্য তুলনামূলকভাবে অনেক কম। এরপরেও কিছু কিছু এলাকার যাত্রীরা আছেন যারা ভাড়া দেন না।

এভাবে চলতে থাকলে রেলওয়ে সার্ভিস বন্ধ হয়ে যাবে। আপনার যদি দেখেন কেউ ভাড়া দিচ্ছে না তাহলে তাকে আমাদের নজরে আনবেন। যদি রেলের লোকসান আরো হয় তাহলে এটাকে মোকাবিলা করার জন্য আমাদের রেলের সেবা কমানো ছাড়া কোনো বিকল্প থাকবে না।

নরসিংদীর বাসিন্দারা আন্তঃনগর ট্রেনের স্টপেজ চাইলে রেলপথ উপদেষ্টা বলেন, সবাই নিজের বাড়ির কাছে স্টপেজ চায়। প্রত্যেকটা স্টপেজে দাঁড়াতে ছাড়তে ৫/১০ মিনিট সময় লাগে।

এখন যদি একটা আন্তঃনগর ট্রেনে দশটা স্টপেজ বাড়ানো হয় তাহলে এক ঘণ্টা সময় বেশি লাগবে। এক্ষেত্রে ট্রেনের যাত্রীরা বিরক্ত হবেন। এই জন্য আমরা একটা মিশ্রণ করব। আন্তঃনগর ট্রেনের স্টপেজের সংখ্যা কম থাকবে। লোকাল কম্পিউটার ট্রেনে স্টপেজের সংখ্যা বেশি থাকবে। 

তিনি বলেন, রেলওয়ে কোচ ও ইঞ্জিন সংকট রয়েছে। যেগুলো এখন আছে সেগুলো দিয়ে আমরা চালানোর চেষ্টা করছি। আমরা কোচ ও লোকোমোটিভ সংগ্রহ করার চেষ্টা করছি। আজকেই ড. ইউনূসের নেতৃত্বে বাংলাদেশ সরকারের একটি দল গণচীনে যাবে। সেখানে আমরা আমাদের কোচ ও লোকোমোটিভ সংকট নিয়ে আলোচনা করব।

তিনি আরও বলেন, দুর্নীতির বিষয়ের সচিব ও রেলের মহাপরিচালককে টার্গেট দেওয়া হয়েছে। তাদেরকে বলা হয়েছে এক টাকা আয় করতে আমাদের আসলে কত টাকা ব্যয় হয়, সেটা বের করতে।

এ সময় রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. ফাহিমুল ইসলাম, বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক মো. আফজাল হোসেন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

চীন সফরে ড. ইউনূসের ৫ অর্জন

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
চীন সফরে ড. ইউনূসের ৫ অর্জন
সংগৃহীত ছবি

চীনে চার দিনের সরকারি সফর শেষে দেশে পৌঁছেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। শনিবার (২৯ মার্চ) রাত ৮টা ১০ মিনিটের দিকে ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে তাকে বহনকারী বিমানটি অবতরণ করে।

এর আগে শনিবার বাংলাদেশ সময় দুপুর আড়াইটার দিকে তিনি বেইজিং থেকে ঢাকার উদ্দেশে রওনা হন। বিমানবন্দরে তাকে বিদায় জানিয়েছেন চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সহকারী মন্ত্রী ও প্রেসিডেন্ট শি চিনপিংয়ের চিফ প্রটোকল অফিসার হং লেই।

প্রধান উপদেষ্টার চীন সফরে বাংলাদেশের অর্জন বহুমুখী। বিশেষজ্ঞদের মতে, সফল একটি সফর শেষ করলেন অর্তবর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। এ সফরে বেশ বড় ধরনের চমক দেখিয়েছেন তিনি। চীনের কাছ থেকে বিশাল অংকের বিনিয়োগ, ঋণ ও অনুদানের প্রতিশ্রুতি নিয়ে এসেছেন।

একই সঙ্গে তিস্তা প্রকল্প বাস্তবায়নেও মিলেছে প্রতিশ্রুতি। 

আরো পড়ুন
দেশে পৌঁছেছেন প্রধান উপদেষ্টা

দেশে পৌঁছেছেন প্রধান উপদেষ্টা

 

এই সফরের মধ্যে দিয়ে দেশে চীনা বিনিয়োগ আরো বাড়বে বলে প্রত্যাশা করা হচ্ছে। এ ছাড়া প্রধান উপদেষ্টার সফরের মধ্যে দিয়ে ২০২৮ সাল পর্যন্ত চীনে কোটা ও শুল্ক সুবিধা পাবে বাংলাদেশ।

প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ইউনূস সফরকালে দেশটির প্রেসিডেন্ট শি চিনপিংয়ের সঙ্গে বৈঠক করেন।

বৈঠকে দুই দেশের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা বাড়াতে ঐকমত্য পোষণ করেছেন উভয় দেশের শীর্ষ দুই নেতা। একই সঙ্গে ‘এক চীন নীতি’তে বাংলাদেশ তার অবস্থান আবারও স্পষ্ট করেছে চীনের কাছে। ফলে চীনের পক্ষ থেকে সন্তোষ প্রকাশ করা হয়েছে।

চীন সফরে যা পেল বাংলাদেশ 

এক. ২১০ কোটি ডলারের প্রতিশ্রুতি : প্রধান উপদেষ্টার চীন সফরে সেদেশের সরকার ও চীনা কম্পানিগুলোর কাছ থেকে ২১০ কোটি মার্কিন ডলারের বিনিয়োগ, ঋণ ও অনুদানের প্রতিশ্রুতি পেয়েছে বাংলাদেশ। এর মধ্যে দেশটির প্রায় ৩০টি কম্পানি বাংলাদেশের বিশেষ চীনা শিল্প অর্থনৈতিক অঞ্চলে এক বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগের অঙ্গীকার করেছে।

এ ছাড়া মোংলা বন্দর আধুনিকীকরণ প্রকল্পে প্রায় ৪০০ মিলিয়ন ডলার ঋণ দেবে চীন। চীনা শিল্প অর্থনৈতিক অঞ্চলের উন্নয়নে ৩৫০ মিলিয়ন ডলার এবং প্রযুক্তিগত সহায়তা হিসেবে আরো ১৫০ মিলিয়ন ডলার বরাদ্দ দেওয়ার পরিকল্পনা করেছে। অনুদান ও অন্যান্য ঋণ সহায়তা হিসেবে আসবে বাকি অর্থ।

দুই. ২০২৮ সাল পর্যন্ত চীনে কোটা ও শুল্ক সুবিধা : বাংলাদেশের বিদ্যমান শুল্ক ও কোটামুক্ত রপ্তানি সুবিধা আরো দুই বছর বহাল রাখার ঘোষণা দিয়েছে চীন। এর আগে চীনা বাজারে ২০২৬ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশের জন্য এই সুবিধা ছিল। প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে চীনা উপ প্রধানমন্ত্রী ডিং জুয়েশিয়াংয়ের এক বৈঠক হয়। বৈঠক শেষে চীনা উপ প্রধানমন্ত্রী এ ঘোষণা দেন।

তিন. চীনে আম রপ্তানি : চীন বাংলাদেশ থেকে আম নিতে আগ্রহী। বাংলাদেশও চীনে আম পাঠাতে চায়। বাংলাদেশ চীনে আম রপ্তানির জন্য ৬ বছর আগে দেশটির কাছে আবেদন করেছিল। তবে নানা জটিলতায় সেটা আর কার্যকর হয়নি। তবে প্রধান উপদেষ্টার চীন সফরের মধ্যে দিয়ে সেদেশে আম রপ্তানির দুয়ার খুলেছে। আগামী মে-জুন মাস থেকে চীনে আম রপ্তানি শুরু হবে। এর মধ্যে দিয়ে বিদেশে বাংলাদেশি আমের চাহিদা বাড়বে।

চার. তিস্তা প্রকল্পে সহায়তা : তিস্তা নদী প্রকল্প বাস্তবায়নে অনেক আগেই থেকে চীনের সহায়তা চেয়ে আসছে বাংলাদেশ। এবার প্রধান উপদেষ্টার চীন সফরে এই প্রকল্পে সহায়তার আশ্বাস মিলেছে। তবে শুধু তিস্তা প্রকল্প নিয়েই সীমাবদ্ধ থাকেননি অধ্যাপক ইউনূস। তিনি নদী ও পানি ব্যবস্থাপনা পরিচালনার জন্য চীন থেকে ৫০ বছরের মাস্টারপ্ল্যান চেয়েছেন।

প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক চীন সফরে সেদেশের পানিসম্পদমন্ত্রী লি গোইয়িংয়ের সঙ্গে বৈঠক করেন। সেসময় নদী ও পানি ব্যবস্থাপনা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন। বৈঠকে তিস্তা নদী ব্যবস্থাপনা ও ঢাকার চারপাশের দূষিত পানি পরিষ্কারের বিষয়ে সহায়তার প্রয়োজনীয়তার কথা উল্লেখ করেন ড. ইউনূস।

পাঁচ. ৯ চুক্তি ও সমঝোতা সই : প্রধান উপদেষ্টার চীন সফরে একটি চুক্তি ও ৮টি সমঝোতা স্মারক সই হয়েছে। বাংলাদেশ ও চীনের মধ্যে অর্থনৈতিক এবং কারিগরি সহযোগিতা–সংক্রান্ত একটি চুক্তি সই হয়েছে। এ ছাড়া দুই দেশের চিরায়ত সাহিত্যের অনুবাদ ও প্রকাশনা, সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য বিনিময় ও সহযোগিতা, সংবাদ বিনিময়, গণমাধ্যম, ক্রীড়া ও স্বাস্থ্য খাতে সই হয়েছে ৮টি সমঝোতা স্মারক।

উল্লেখ্য, প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস গত বুধবার (২৬ মার্চ) চারদিনের  চীন সফরে যান। প্রধান উপদেষ্টার এটাই প্রথম কোনো দেশে দ্বিপক্ষীয় সফর। শনিবার রাতে তিনি ঢাকায় ফিরেছেন।

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

দেশে পৌঁছেছেন প্রধান উপদেষ্টা

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
দেশে পৌঁছেছেন প্রধান উপদেষ্টা
সংগৃহীত ছবি

চীনে চার দিনের সরকারি সফর শেষে দেশে পৌঁছেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।

শনিবার (২৯ মার্চ) রাত ৮টা ১০ মিনিটের দিকে ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে তাকে বহনকারী বিমানটি অবতরণ করে।

এর আগে শনিবার বাংলাদেশ সময় দুপুর আড়াইটার দিকে তিনি বেইজিং থেকে ঢাকার উদ্দেশে রওনা হন। বিমানবন্দরে তাকে বিদায় জানিয়েছেন চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সহকারী মন্ত্রী ও প্রেসিডেন্ট শি চিনপিংয়ের চিফ প্রটোকল অফিসার হং লেই।

এদিন সকালে বেইজিংয়ে পিকিং বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মুহাম্মদ ইউনূসকে সম্মানসূচক ডক্টরেট ডিগ্রি দেওয়া হয়, তার পর তিনি সেখানে শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে বক্তব্য রাখেন।

মুহাম্মদ ইউনূস গত বুধবার চার দিনের সরকারি সফরে চীনে পৌঁছান। শুক্রবার প্রধান উপদেষ্টা চীনের প্রেসিডেন্ট শি চিনপিংয়ের সঙ্গে বৈঠক করেন। শির সঙ্গে বৈঠকের পর মুহাম্মদ ইউনূস প্রেসিডেনশিয়াল বেইজিংয়ে চীনা ব্যবসায়ী নেতাদের সঙ্গে একটি ‘ইনভেস্টমেন্ট ডায়ালগে’ অংশ নেন।

ইউনূসের এই সফরে বাংলাদেশ ও চীনের মধ্যে একটি চুক্তি ও আটটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) সই হয়েছে।

এ ছাড়া বাংলাদেশ চীন সরকার ও ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে ২১০ কোটি মার্কিন ডলারের ঋণ, অনুদান ও বিনিয়োগের প্রতিশ্রুতি পেয়েছে।
জলবিদ্যুৎ, বন্যা মোকাবেলা ও দুর্যোগ হ্রাস, নদী খনন এবং পানিসম্পদ উন্নয়নের মতো বিষয়ে পারস্পরিক সহযোগিতা জোরদারেও ‘একমত হয়েছে' বাংলাদেশ ও চীন।

চীনের সরকারি বার্তা সংস্থা সিনহুয়াকে দেওয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান বলেছেন, দুই দেশ ব্যাপক সহযোগিতার সম্পর্ক স্থাপন করেছে, যা অনেক ইতিবাচক ফলাফল এনেছে।

চীন থেকে বাংলাদেশের আমদানি বাড়ছে।

আমাদের শিল্প ব্যবহারের বেশির ভাগ পণ্য আসে চীন থেকে। ভবিষ্যতের দিকে তাকিয়ে ইউনূস দুই দেশের মধ্যে অর্থনৈতিক পরিপূরকতা এবং তাদের বিশাল সহযোগিতার সম্ভাবনার ওপর জোর দেন। তিনি আশা করেন, আরো চীনা বিনিয়োগকারী বাংলাদেশে আসবেন এবং স্থানীয় অংশীদারদের সঙ্গে একত্রে একটি ‘বৃহত্তর বাজার উন্মুক্ত’ করবেন।

মন্তব্য

ঈদের দিনও থাকবে গরম, নেই বৃষ্টির সম্ভাবনা

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
ঈদের দিনও থাকবে গরম, নেই বৃষ্টির সম্ভাবনা
সংগৃহীত ছবি

ঢাকাতে আজ শনিবার তাপমাত্রা ৩৭.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস, শুক্রবার যা ছিল ৩৮.৩। তবে আজ দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা যশোরে, ৩৯.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যদিও সেটা গতকালের তুলনায় কম। গতকাল ছিল ৪১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। 

আবহাওয়া অফিস জানাচ্ছে, তাপমাত্রা এমনই থাকবে আগামী বেশ কয়েক দিন।

বৃষ্টির সম্ভাবনা আপাতত নেই।

আরো পড়ুন
দুধ দিয়ে গোসল করলে কি কলঙ্ক মোছে?

দুধ দিয়ে গোসল করলে কি কলঙ্ক মোছে?

 

এদিকে এবার ২৯টি রোজা হয়, তবে পবিত্র ঈদুল ফিতর উদযাপিত হবে সোমবার। আর রোজা যদি ৩০টিই হয়, তবে ঈদ হবে মঙ্গলবার। এখন প্রশ্ন হলো, ঈদের দিন আবহাওয়া কেমন থাকবে? আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, এবারের ঈদুল ফিতর কাটবে তাপপ্রবাহের মধ্য দিয়ে।

বৃষ্টিপাতের তেমন কোনো সম্ভাবনা নেই। তবে গরমের তেজ কিছুটা কম থাকতে পারে।

চলতি মাসে এক দফা তাপপ্রবাহ হয়ে গেছে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে। এরপর দেশের বিভিন্ন স্থানে আকাশ মেঘলা হয়ে পড়ে।

রাজধানী ঢাকায় কিছুটা বৃষ্টি হয়। বেশি বৃষ্টি হয় উত্তর-পূর্বের সিলেট এবং এর কাছাকাছি এলাকাগুলোয়। এর পর থেকে তাপমাত্রা খানিকটা কমতে শুরু করে। তবে গত সোমবার থেকে তাপমাত্রা আবার বাড়তে শুরু করেছে। বুধবার দেশের অন্তত সাত জেলায় মৃদু তাপপ্রবাহ বয়ে গেছে।
আর বৃহস্পতিবার ১৩ জেলায় ও শুক্রবার ১৫ জেলায় তাপপ্রবাহ ছিল। 

আরো পড়ুন
মধ্যপ্রাচ্যের গণমাধ্যম বলছে বাংলাদেশে ঈদ সোমবার

মধ্যপ্রাচ্যের গণমাধ্যম বলছে বাংলাদেশে ঈদ সোমবার

 

শনিবারও দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের ওপর দিয়ে তাপপ্রবাহ বয়ে গেছে। কিছু কিছু জায়গায় তা তীব্র তাপপ্রবাহে রূপ নিয়েছে। দেশের ৪০ জেলার ওপর দিয়ে তাপপ্রবাহ বয়ে গেছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে বলে আভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। সংস্থাটি বলছে, ৪০ জেলার মধ্যে ২ জেলায় তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। বাকি ৩৯ জেলায় মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে গেছে। 

দুই দিন ধরে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা বয়ে যাচ্ছে যশোরে। শনিবার ৩৯.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করেছে যশোর বীরশ্রেষ্ঠ মতিউর রহমান বিমানঘাঁটির নিয়ন্ত্রণাধীন আবহাওয়া অফিস। শুক্রবারও দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল যশোরে ৪১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গত দুই দিন ধরে তাপদাহে চরম ভোগান্তিতে রয়েছে সব শ্রেণি-পেশার মানুষ। বিশেষ করে এদিন ঈদের কেনাকাটা করতে আসা মানুষের গরমে নাভিশ্বাস উঠে যায়।
 
আবহাওয়া অফিসের তথ্য মতে, গত বছরের ৩০ জুন যশোরে তাপমাত্রা ৪৩ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসে উঠে। এর আগে দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ১৯৭২ সালে ১৮ মে। সেদিন রাজশাহীতে তাপমাত্রা ছিলো ৪৫ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। 

আরো পড়ুন
চাঁদ দেখা যায়নি ইন্দোনেশিয়ায়

চাঁদ দেখা যায়নি ইন্দোনেশিয়ায়

 

আবহাওয়াবিদ মো. ওমর ফারুক বলেন, ঈদের দিনে তাপপ্রবাহ থাকলেও একেবারে অসহনীয় গরম হওয়ার সম্ভাবনা কম। পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতের যেসব অঞ্চল থেকে বায়ুপ্রবাহ বাংলাদেশে প্রবেশ করে, সেখানকার তপ্ত হাওয়া। এর হেরফেরে তাপমাত্রা এখন যে ধারণা করা হচ্ছে, তার চেয়ে বেশি হতে পারে। ঝড়-বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই বললেই চলে।

মন্তব্য

মধ্যপ্রাচ্যের গণমাধ্যম বলছে বাংলাদেশে ঈদ সোমবার

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
মধ্যপ্রাচ্যের গণমাধ্যম বলছে বাংলাদেশে ঈদ সোমবার

পবিত্র রমজান মাস শেষের পথে। দেশে দেশে শুরু হয়েছে ঈদুল ফিতরের প্রস্তুতি। অপেক্ষা চাঁদ দেখার। রমজান যদি ২৯টা হয় তবে বাংলাদেশে ঈদ সোমবার, ৩০টা হলে মঙ্গলবার।

এদিকে সংযুক্ত আরব আমিরাতভিত্তিক সংবাদমাধ্যম খালিজ টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশে আজ (শনিবার) চাঁদ দেখা যায়নি। ফলে দেশটিতে ৩১ মার্চ (সোমবার) পবিত্র ঈদুল ফিতর উদযাপিত হবে। একইভাবে মধ্যপ্রাচ্যের আরেক সংবাদমাধ্যম গালফ নিউজও বলছে, বাংলাদেশে ঈদুল ফিতর উদযাপন করা হবে সোমবার।

গালফ নিউজের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিশ্বের বৃহৎ মুসলিম দেশ ইন্দোনেশিয়ায় দেখা যায়নি শাওয়াল মাসের চাঁদ।

দেশটিতে আজ রমজানের ২৯তম দিন ছিল। কিন্তু কোথাও চাঁদ দেখা না যাওয়ায় আগামী সোমবার (৩১ মার্চ) ঈদুল ফিতর উদযাপিত হবে। যার অর্থ ইন্দোনেশিয়ার মানুষ ৩০টি রোজা পূর্ণ করবে।

ইন্দোনেশিয়া ছাড়াও পবিত্র ঈদুল ফিতরের তারিখ ঘোষণা করেছে মালয়েশিয়া।

দেশটিতে আগামী সোমবার (৩১ মার্চ) পবিত্র ঈদুল ফিতর উদযাপিত হবে। আজ শনিবার (২৯ মার্চ) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে খালিজ টাইমস।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মালয়েশিয়া সোমবার আনুষ্ঠানিকভাবে ঈদুল ফিতর পালন করবে। আগামীকাল রবিবার (৩০ মার্চ) খালি চোখে অর্ধচন্দ্র দেখা যাবে বলে আশা করা হচ্ছে।

এর আগে প্রথম দেশ হিসেবে আনুষ্ঠানিকভাবে ঈদের তারিখ ঘোষণা করে অস্ট্রেলিয়া।

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ