কোন কোন লক্ষণে বুঝবেন কমছে কিডনির কার্যক্ষমতা

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
কোন কোন লক্ষণে বুঝবেন কমছে কিডনির কার্যক্ষমতা
সংগৃহীত ছবি

সুস্বাস্থ্যের জন্য শরীরের সব অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের সঠিকভাবে কাজ করা জরুরি। আমাদের শরীরের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ হলো কিডনি। আমাদের শরীরে ফিল্টারের মতো কাজ করে এই অঙ্গ। কিডনি সঠিকভাবে কাজ করলে তবেই শরীরে জমে থাকা যাবতীয় দূষিত পদার্থ বা টক্সিন বের হয়ে আসে।

শরীর ভেতর থেকে পরিশ্রুত হয়।

কিডনি বিকল হয়ে গেলে, সঠিকভাবে কাজ না করলে শরীরে একাধিক সমস্যা দেখা দিতে পারে। আপনার শরীরের কোন কোন লক্ষণ দেখলে বুঝতে পারবেন যে কিডনিতে সমস্যা হয়েছে, ঠিকভাবে আর কাজ করছে না এই অঙ্গ, তা জেনে নিন আজকের প্রতিবেদনে। 

  • কিডনির সমস্যা দেখা দিলে প্রস্রাবের সমস্যা হবে।
কিডনি ভালোভাবে কাজ না করলে প্রস্রাবের সঙ্গে ফেনা বের হতে পারে। এ ছাড়া প্রস্রাব করার সময় ব্যথাও হতে পারে। 
  • কিডনির সমস্যা দেখা দিলে রাতের দিকে বারবার প্রস্রাব পেতে পারে। বিশেষ করে বেশি রাতের দিকে এই সমস্যা দেখা দিতে পারে।
  •  
    আরো পড়ুন
    টেবিল ল্যাম্পের আলোয় বই পড়া কি ভালো?

    টেবিল ল্যাম্পের আলোয় বই পড়া কি ভালো?

     
    • কিডনির সমস্যা দেখা দিলে হাতের বিভিন্ন অংশ ফুলে যেতে পারে। পা ও মুখে ফ্লুইড জমে ফোলা ভাব দেখা যেতে পারে। 
    • কিডনি সঠিকভাবে কাজ না করলে মস্তিষ্কে ঠিকভাবে অক্সিজেন পৌঁছবে না। এর ফলে মাল্টি অরগ্যান ফেইলিওর হওয়ার আশঙ্কা  থাকবে। মস্তিষ্কে অক্সিজেন সঠিক মাত্রায় না পৌঁছলে মস্তিষ্কেও অনেক সমস্যা দেখা দিতে পারে।
     
  • কিডনির সমস্যা দেখা দিলে শরীরে অ্যানিমিয়াও দেখা দিতে পারে। অর্থাৎ রক্তাল্পতায় ভুগতে পারেন। ফ্যাকাসে হয়ে যেতে পারে আপনার চেহারা। 
  • আচমকা মাথা ঝিমঝিম করলে সেটাও অনেক সময় কিডনির সমস্যার কারণে হতে পারে।
  • অতিরিক্ত ক্লান্তিও লাগতে পারে কিডনির সমস্যার কারণে। সারাক্ষণ একটা ঝিমানি, ক্লান্তিভাব থাকতে পারে। 
  • কিডনি ঠিকভাবে কাজ না করলে শরীরে দূষিত পদার্থ ক্রমশ জমতে থাকে। কিডনিতে পাথর জমতে পারে। পিঠের নিচের দিকে ব্যথাও হতে পারে। 
  • আরো পড়ুন
    সেকেন্ড হ্যান্ড মোটরসাইকেল কেনার আগে যা দেখবেন

    সেকেন্ড হ্যান্ড মোটরসাইকেল কেনার আগে যা দেখবেন

     
    • কিডনি ঠিকভাবে কাজ না করলে শরীরে দূষিত পদার্থ জমে যায়। এর ফলে খাওয়াদাওয়ার প্রতি অনীহা আসে। গা-গোলাতে থাকবে।

    এসব সমস্যাসহ কিডনির যেকোনো সমস্যা বা লক্ষণ দেখা দিলে তাড়াতাড়ি চিকিৎসকের পরামর্শ নেবেন। নয়তো সমস্যা মারাত্মক পর্যায়ে পৌঁছতে পারে।

    সূত্র : এবিপি লাইভ

    মন্তব্য

    সম্পর্কিত খবর

    দেড় মাস পর ডেঙ্গুতে একজনের মৃত্যু

    অনলাইন ডেস্ক
    অনলাইন ডেস্ক
    শেয়ার
    দেড় মাস পর ডেঙ্গুতে একজনের মৃত্যু
    ফাইল ছবি

    এডিস মশাবাহিত ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে দেড় মাস পর একজনের মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার (৪ এপ্রিল) সকাল থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় এই মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে।

    এ সময়ে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ১০ জন। শনিবার (৫ এপ্রিল) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ অ্যান্ড ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুমের সংবাদ বিজ্ঞপ্তি থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

    এতে বলা হয়, নতুন করে আক্রান্তদের মধ্যে ঢাকার হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৪ জন, আর ঢাকার বাইরের হাসপাতালগুলোতে ভর্তি হয়েছেন আরো ৬ জন রোগী।

    চলতি বছর আক্রান্ত হয়ে এখন পর্যন্ত ১৪ জনের মৃত্যু হয়েছে, যাদের মধ্যে ৭১ দশমিক ৪ শতাংশ পুরুষ এবং ২৮ দশমিক ৬ শতাংশ নারী।

    তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে ৫ এপ্রিল পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছেন মোট ১ হাজার ৯০২ জন। এর মধ্যে ৬২ দশমিক ৫ শতাংশ পুরুষ এবং ৩৭ দশমিক ৫ শতাংশ নারী।

    এর আগে, সর্বশেষ গত ১৭ ফেব্রুয়ারি একই এলাকার হাসপাতালে মধ্যবয়সী আরেক নারীর মৃত্যু হয়েছিল।

    প্রাসঙ্গিক
    মন্তব্য

    অতিরিক্ত ঘামের সমস্যা? এ খাবারগুলো এড়িয়ে চলুন

    জীবনযাপন ডেস্ক
    জীবনযাপন ডেস্ক
    শেয়ার
    অতিরিক্ত ঘামের সমস্যা? এ খাবারগুলো এড়িয়ে চলুন
    সংগৃহীত ছবি

    ঘাম হওয়া মানবদেহের স্বাভাবিক একটি প্রক্রিয়া। ঘাম শরীর থেকে টক্সিন বের করতে সাহায্য করে। অনেকেরই অতিরিক্ত ঘাম হয়, এমনকি শীতকালেও। এটি কিছু শারীরিক সমস্যার কারণে হতে পারে যেমন অতিরিক্ত ওজন, রক্তচাপ বা ডায়াবেটিস।

    যদি অতিরিক্ত ঘাম হয়, তবে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি। তবে ঘরোয়া কিছু পদ্ধতিতে এই সমস্যা অনেকটা নিয়ন্ত্রণ করা যেতে পারে। চলুন, জেনে নিই।

    যা খাওয়া উচিত:

    সাদা তিল: অতিরিক্ত ঘামের সমস্যা থাকলে সাদা তিল খাওয়া উপকারী।

    এটি ওজন কমাতে সাহায্য করে ও চুল পড়া কমায়।

    পর্যাপ্ত পানি: শরীরের হাইড্রেশন বজায় রাখতে প্রচুর পানি পান করুন। বিশেষত অতিরিক্ত গরমের দিনে।

    ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ খাবার: দই, দুধ ও তিল খেলে হাড় মজবুত হয় এবং শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।

    যা এড়িয়ে চলবেন:

    মসলাদার খাবার: মসলাদার খাবার ঘামের সমস্যা বাড়াতে পারে, তাই এগুলো কম খাওয়া ভালো।

    ক্যাফেইন: চা, কফি বা ক্যাফেইন জাতীয় পানীয় অতিরিক্ত ঘাম বাড়ায়। চেষ্টা করবেন এগুলো কম খাওয়ার।

    এই খাবারগুলো আপনার খাদ্যতালিকায় যোগ করলে অতিরিক্ত ঘামের সমস্যা অনেকটাই কমানো যেতে পারে।

    সূত্র : আজতক বাংলা

    মন্তব্য

    থাইরয়েড সমস্যায় ভুগছেন? প্রাকৃতিক ৫ উপাদানে পাবেন উপকার

    অনলাইন ডেস্ক
    অনলাইন ডেস্ক
    শেয়ার
    থাইরয়েড সমস্যায় ভুগছেন? প্রাকৃতিক ৫ উপাদানে পাবেন উপকার
    সংগৃহীত ছবি

    অল্পতেই ক্লান্তি, হঠাৎ ওজন বেড়ে যাওয়া, চুল পড়া বা রুক্ষ ত্বক— এসব থাইরয়েড গ্রন্থির সমস্যার লক্ষণ হতে পারে। বর্তমানে থাইরয়েডের সমস্যা পৃথিবীর প্রায় ১৫ শতাংশ মানুষের স্বাভাবিক জীবন ব্যাহত করছে। নারীদের মধ্যে এই সমস্যা বেশি দেখা যায়।

    থাইরয়েড গ্রন্থি শরীরের বিপাকীয় প্রক্রিয়া নিয়ন্ত্রণসহ আরো নানা গুরুত্বপূর্ণ কাজ করে।

    তাই এই গ্রন্থির সমস্যা হলে শরীরে অন্যান্য জটিলতা দেখা দিতে পারে। তবে চিকিৎসকের পরামর্শের পাশাপাশি ঘরোয়া কিছু আয়ুর্বেদিক উপায়ও সাহায্য করতে পারে থাইরয়েডের ভারসাম্য বজায় রাখতে।

    চলুন, জেনে নিই উপায়গুলো কী কী।

    অশ্বগন্ধা: এটি একটি শক্তিশালী ভেষজ, যা থাইরক্সিন হরমোনের ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করে।

    নিয়মিত ৫০০ মিলিগ্রাম অশ্বগন্ধা সেবন থাইরয়েডের সমস্যা কমাতে সাহায্য করে।

    ত্রিফলা: পাচনতন্ত্রকে শক্তিশালী করতে এবং শরীর থেকে টক্সিন বের করতে সহায়তা করে। রাতে এক চামচ ত্রিফলা গরম জলে ভিজিয়ে রেখে সকালে খালি পেটে পান করুন।

    নারিকেল তেল: এটি বিপাক প্রক্রিয়া দ্রুত করে এবং থাইরয়েডের কার্যকারিতা ঠিক রাখতে সাহায্য করে।

    খাবারে নারিকেল তেল ব্যবহার থাইরয়েড সমস্যা নিয়ন্ত্রণে সহায়ক।

    আদা: থাইরয়েড গ্রন্থির প্রদাহ কমাতে আদা চা পান করা খুব কার্যকর।

    যোগব্যায়াম: মানসিক চাপ থাইরয়েডের জন্য ভালো নয়। নিয়মিত যোগব্যায়াম করলে তা থাইরয়েড গ্রন্থির উপর ইতিবাচক প্রভাব ফেলে।

    আয়োডিন সমৃদ্ধ খাবার: থাইরয়েডের রোগীরা আয়োডিন সমৃদ্ধ সামুদ্রিক খাবার যেমন ডিম, শাকসবজি ও তাজা ফল বেশি খাবেন।

    এই ঘরোয়া উপায়গুলো নিয়মিত অনুসরণ করলে থাইরয়েডের সমস্যায় উপকার পাবেন। তবে যেকোনো উপায় অনুসরণ করার আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নেয়া উচিত।

    সূত্র : আজকাল

    মন্তব্য

    বাংলাদেশে বছরে এক লাখের বেশি শিশুর মৃত্যু

    অনলাইন ডেস্ক
    অনলাইন ডেস্ক
    শেয়ার
    বাংলাদেশে বছরে এক লাখের বেশি শিশুর মৃত্যু
    সংগৃহীত ছবি

    ২০২৩ সালে বাংলাদেশে এক লাখেরও বেশি শিশু তাদের জন্মের পাঁচ বছরের মধ্যেই মারা গেছে, যার প্রায় দুই-তৃতীয়াংশ ঘটেছে জন্মের ২৮ দিনের মধ্যে।

    জাতিসংঘের ইন্টার-এজেন্সি গ্রুপ ফর চাইল্ড মর্টালিটি এস্টিমেশন (আইজিএমই) প্রকাশিত সর্বশেষ প্রতিবেদনে এ কথা বলা হয়েছে বলে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে ইউনিসেফ।

    আইজিএমই প্রতিবেদনে বলেছে, মা ও নবজাতকের যত্নের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ উল্লেখযোগ্য চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করছে।

    ১৯৯০ সাল থেকে অগ্রগতি অর্জিত হলেও দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে মৃত সন্তান প্রসবের সর্বোচ্চ হারের রেকর্ড রয়েছে বাংলাদেশের।

    দ্বিতীয় প্রতিবেদনে দেখা যায়, বাংলাদেশে প্রতিবছর ৬৩ হাজারের বেশি মৃত শিশুর জন্ম হয়। সে হিসেবে প্রতি ৪১টি শিশুর মধ্যে একটি মৃতশিশু জন্ম হয়, যা দক্ষিণ এশিয়ায় সর্বোচ্চ।

    টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) সম্পর্কিত লক্ষ্য পূরণে বাংলাদেশকে অবশ্যই প্রতি বছর আরো ২৮ হাজার নবজাতককে বাঁচাতে হবে, যা মা ও নবজাতক যত্নের উন্নতির প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরে।

    বাংলাদেশে ইউনিসেফের প্রতিনিধি ফারুক আদ্রিয়ান দুমুন বলেন, ‘বাংলাদেশে প্রতিবছর এক লাখেরও বেশি নবজাতক মারা যায় প্রতিরোধযোগ্য রোগ যেমন- অপরিণত জন্ম, প্রসবকালীন জটিলতা এবং সেপসিস ও নিউমোনিয়ার মতো সংক্রমণের কারণে।

    এটা তাদের বেঁচে থাকা ও বেড়ে ওঠার মৌলিক অধিকারের লঙ্ঘন।’

    তিনি বলেন, ‘আমরা যদি স্বাস্থ্য ব্যবস্থাকে শক্তিশালী করতে আরও বেশি বিনিয়োগ করি, প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবায় অগ্রাধিকার দিই এবং প্রশিক্ষিত স্বাস্থ্য পেশাদার; বিশেষ করে মিডওয়াইফদের সংখ্যা বাড়াই, তাদের সঠিক সরঞ্জাম দিয়ে প্রতিটি নবজাতককে নিরাপদ রাখি, তাহলে আমরা মিলিয়ন মিলিয়ন শিশুর এবং মায়ের জীবন বাঁচাতে পারব।’

    ফারুক আদ্রিয়ান বলেন, ‘বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) সহযোগিতায় ইউনিসেফ মাতৃ ও শিশুমৃত্যু রোধে মানসম্পন্ন স্বাস্থ্যসেবা অর্জনে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার ও অংশীদারদের সঙ্গে কাজ করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’

    বাংলাদেশে নবজাতক মৃত্যুর এবং মৃত শিশুর জন্মের উচ্চ হার সম্পর্কে কিছু মূল চ্যালেঞ্জের মধ্যে রয়েছে- বাড়িতে প্রসবের হার বেশি (৩০%), ছোট এবং অসুস্থ নবজাতকদের জন্য সঠিক যত্নের অভাব এবং স্বাভাবিক যোনিপথে প্রসবের জন্য বাড়ির কাছাকাছি মিডওয়াইফের অভাব।

    এ ছাড়া, মা ও নবজাতকদের জন্য অন্যান্য ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে- উপাজেলা স্তরে সার্বক্ষণিক মানসম্পন্ন সেবা নিশ্চিতকরণের অভাব, প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা স্তরে পর্যাপ্ত প্রসবপরবর্তী যত্নের অভাব এবং অপরিকল্পিত বেসরকারি খাত; যার ফলে জন্ম আসফিক্সিয়া, প্রিম্যাচিউরিটি এবং সংক্রমণের মতো প্রতিরোধযোগ্য মৃত্যু ঘটে।

    তা ছাড়া, গর্ভাবস্থায় দুর্বল প্রসবপূর্ব ও প্রসবকালীন যত্ন এবং অন্যান্য রোগ প্রতিরোধ ও ব্যবস্থাপনার অভাবে বাংলাদেশে উচ্চ মৃতশিশু জন্মের হার আরো বেড়ে যায়, যা দেশের এসডিজি লক্ষ্যমাত্রা পূরণকে বাধাগ্রস্ত করে।

    তহবিল এবং সম্পদের সীমাবদ্ধতা এই সমস্যাগুলোকে আরো জটিল করে তোলে, যা শিশুমৃত্যু কমানোর জন্য অগ্রগতি বাধাগ্রস্ত করছে।

    বাংলাদেশে ডব্লিউএইচওর প্রতিনিধি ডা. আহমেদ জামশেদ মোহাম্মদ বলেছেন, ‘মৃতশিশু জন্ম এবং প্রতিরোধযোগ্য শিশুমৃত্যু এখও বিশ্বের লাখ লাখ মানুষের জন্য একটি হৃদয়বিদারক বাস্তবতা। গত কয়েক দশকে বাংলাদেশ মাতৃ ও শিশু স্বাস্থ্যে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জন করেছে; তবুও মানসম্পন্ন এবং সঠিক সময়ে যত্ন পাওয়ার ক্ষেত্রে এখনও বৈষম্য রয়ে গেছে।

    তিনি বলেন, ‘আমাদের এখনই পদক্ষেপ নিতে হবে যাতে এই ধারা পরিবর্তন করা যায় এবং এই মর্মান্তিক ক্ষতি বন্ধ করা যায়। প্রসবপূর্ব ও ইন্ট্রাপার্টাম কেয়ার বিষয়ে ডব্লিউএইচও'র সুপারিশ, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার লেবার কেয়ার গাইড এবং নারী, শিশু ও কিশোর-কিশোরীদের স্বাস্থ্য বিষয়ক বৈশ্বিক কৌশল সরকার ও অংশীজনদের জন্য প্রমাণভিত্তিক কর্মপদ্ধতি দিয়ে থাকে। টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্য অর্জনের জন্য মাত্র পাঁচ বছর বাকি, তাই আমাদের মা ও শিশুর স্বাস্থ্য উন্নত করতে দ্রুত পদক্ষেপ প্রয়োজন।’

    ইউনিসেফের সহযোগিতায় ডব্লিউএইচও প্রতিরোধযোগ্য শিশুমৃত্যু ও মৃত সন্তান জন্মদান বন্ধে দ্রুত ও সম্মিলিত পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে।

    ডা. আহমেদ জামশিদ বলেন, ‘সরকারের দৃঢ় অঙ্গীকার, প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা-ভিত্তিক ব্যবস্থায় টেকসই বিনিয়োগ এবং বৈশ্বিক প্রমাণ ও সর্বোত্তম অনুশীলনের মাধ্যমে আমরা এই দুঃখজনক ক্ষতি রোধ করতে এবং প্রতিটি শিশুর জন্য একটি স্বাস্থ্যকর ভবিষ্যত গড়ে তুলতে পারি।’

    মা ও শিশু স্বাস্থ্যে বাংলাদেশের অর্জন প্রশংসনীয়; তবু এখনও দুর্বল স্বাস্থ্য ব্যবস্থার কারণে প্রায়ই অনেকে পর্যাপ্ত যত্ন পান না। মা ও শিশুর প্রতিরোধযোগ্য মৃত্যু কমাতে একটি সমন্বিত ও সুসংগঠিত ব্যবস্থা প্রয়োজন। 

    ইউনিসেফ ও ডব্লিউএইচও বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে, যাতে ইউনিয়ন স্তরেও দক্ষ জন্ম সহকারীসহ আরো হাসপাতাল বা সেন্টারে প্রসব বাড়ানো হয়, মিডওয়াইফদের মাধ্যমে নবজাতক যত্ন ইউনিট সম্প্রসারিত করা হয়, প্রশিক্ষিত নার্স এবং মিডওয়াইফের সংখ্যা বাড়ানো হয় এবং প্রসবকালীন, প্রসব ও প্রসবপরবর্তী যত্ন ব্যবস্থা উন্নত করা হয়।

    ইউনিসেফের মতে, মা ও শিশুর স্বাস্থ্যসেবা জোরদার করার জন্য প্রশিক্ষিত কর্মী এবং চিকিৎসা সরঞ্জামের জন্য তহবিল বাড়ানো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

    মন্তব্য

    সর্বশেষ সংবাদ