<p>গ্যালিলিও গ্যালিলি বাস করতেন ইতালির পিসা নগরীতে। মাঝে-মধ্যেই গীর্জায় যেতেন তিনি। একদিন লক্ষ্য করলেন আশ্চর্য এক ব্যাপার। গীর্জায় একটি ঝাড়বাতি ঝুলছিল। তখনকার দিনে বিদ্যুৎ ছিল না। তাই ঝাড়বাতি তৈরি হতো অনেকগুলো মোমবাতি একটা বাতিদানে সাজিয়ে। গীর্জার এক কেয়ারটেকার ঝাড়বাতি থেকে পুরোনো মোমবাতি সরিয়ে নতুন মোমবাতি লাগাতে গেলেন। ফলে সেটা দুলতে শুরু করে। সাধারণত যখন কোনো বস্তু দুলতে থাকে তখন তার গতি বেশি থাকে। যখন ধীরে ধীরে সেটা থেমে যায়। অর্থাৎ সময়ের সাথে বস্তুটির দোলন গতি কমে যায়। প্রথম দিকে বস্তুটি যখন দুলতে থাকে থাকে তখন দোলনের একপ্রান্ত থেকে অপর প্রান্ত পর্যন্ত বিস্তার বেশি থাকে। পরে গতি কমার সাথে সাথে বিস্তার রও কমতে থাকে। </p> <p>গ্যালিলিও লক্ষ করেন ঝাড়বাতিটির গতি বেশি থাকা অবস্থার এপাশ থেকে ওপাশে যেতে যতটুকু সময় লাগছে, তেমনি গতি কম হয়ে বিস্তার ছোট হয়ে গেলেও বাতিটাকে এপাশ থেকে ওপাশের শেষ বিন্দু যেতে একই সময় লাগছে। গ্যালিলিও বিষয়টা আরও ভালভাবে পরীক্ষা করার জন্য বাড়িতে এসে একটা সরল দোলক তৈরি করলেন। ঘরের সিংলিং বা কোনো ঝুলন্ত রডের সাথে একটা সুতো ঝুলিয়ে তার নিচে ভারি কিছু বেঁধে দিলেই সরল দোলক তৈরি হয়ে যায়। সেই দোলক পর্যবেক্ষণ করেই পেয়ে গেলেন সরল দোলকের সূত্রগুলো।</p> <p>সূত্র: ব্রিটানিকা</p> <p> </p>